ঢাকা, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
মেনু |||

জামিয়ার ঘটনায় চুপ কেন শাহরুখ? প্রশ্ন রোশন আব্বাসের

গত ১৫ ডিসেম্বরে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইলেও এখন অবধি চুপ রয়েছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান।

 

এ বিষয়ে ক্ষোভ বা নিন্দা জ্ঞাপন তো দূরের কথা নিজের কোনো মতামতই জানাননি কিং খান। কোনো টুইট বা স্ট্যাটাসও দেননি।

 

বিষয়টিতে এমনভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছেন শাহরুখ, যেন জামিয়ায় কিছুই ঘটেনি।

 

গত চার দিন ধরে শাহরুখের এই নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জনপ্রিয় রেডিও জকি রোশন আব্বাস।

 

কেননা শাহরুখ খান জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র।

 

কিং খানের উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় রোশন প্রশ্ন ছুড়েছেন– আপনিও তো জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিছু তো বলুন– এখন চুপ কেন আপনি?

 

এ নিয়ে সরব হয়েছেন রেডিও জকি রোশন। তিনি ও শাহরুখ খান জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

 

শুধু রেডিও জকি রোশন আব্বাসই নন, নিশ্চুপ শাহরুখের প্রতি একই প্রশ্নের তীর নিক্ষেপ করেছেন তার অনেক ভক্তও।

 

কারণ দিল্লির ওই ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় মুখ খুলেছেন শাবানা আজমির ছেলে ফারহান আখতার, স্বরা ভাস্কর, ভিকি কৌশল। এমনটি অভিনেত্রী আলিয়া ভাট, পরিণীতি চোপড়াও এ ঘটনায় দিল্লি পুলিশের নিন্দা জানিয়েছেন।

 

সেখানে জামিয়ার শিক্ষার্থী হয়ে শাহরুখের মুখে কুলুপ এঁটে থাকা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে।

 

এদিকে জামিয়া ছাত্রদের ব্যঙ্গাত্মক একটি পোস্টে লাইক দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউডের আরেক জনপ্রিয় নায়ক অক্ষয় কুমার। টুইটারজুড়ে ‘বয়কট অক্ষয় কুমার’ ট্রেন্ড ওঠে। তার কানাডিয়ান নাগরিকত্ব নিয়ে খোঁচা দিয়েও লেখা হয় ‘#বয়কট কানাডিয়ান কুমার’।

 

তবে টুইট করে অক্ষয় জানিয়েছেন, এই পোস্টে ভুল করে লাইক দিয়েছিলেন তিনি। এ জন্য ক্ষমাও চান অক্ষয়।

 

প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন (সংশোধনী) বাতিলের দাবিতে উত্তাল গোটা ভারত। প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মাঝে রোববার বিকালে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়।

 

জামিয়ার ক্যাম্পাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। অভিযোগ রয়েছে, শৌচাগারে ঢুকেও শিক্ষার্থীদের ইচ্ছামতো পেটায় পুলিশ। পুলিশ নিজেরই বাসে আগুন দিয়ে শিক্ষার্থীদের নামে তা চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে সেসব ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে।


ঢাকাওয়াচ/স

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬