ঢাকা, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
মেনু |||

ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন থেকে তুলে নিয়ে ২ শিক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা লঞ্চঘাটের সামনে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন থেকে তুলে নিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে। লঞ্চঘাটের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটায়।

 

ফতুল্লা মডেল থানার মাত্র ৩শ’ থেকে ৪শ’ গজ দূরে সংঘটিত এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযোগ করা হয়েছিল পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করায় গুরুতর আহতদের সঠিক সময় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

 

হাতুড়িপেটায় আহতরা হলেন- ঢাকা টিএন্ডটি কলেজের মিলন ও বন্দর কদম রসূল কলেজের মাসুম। মঙ্গলবার বিকালের এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সারা দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ নির্যাতন হত্যার বিচার দাবিতে ফতুল্লার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

 

মানববন্ধন চলাকালে ফতুল্লা লঞ্চঘাটের সামনে গাড়ি না রাখতে অনুরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে যানজট দেখা দিতে পারে বলে ঘাট কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে থাকেন। এ সময় তর্ক বেধে গেলে ঘাটের পাহারা দেয়া মুন্না বাহিনীর নেতৃত্বে নিহাদ, হৃদয়, তানভীরসহ তাদের অনুসারীরা শিক্ষার্থীরা ওপর হামলা চালিয়ে মিলন ও মাসুম নামে দুজনকে তুলে নিয়ে যায়।

 

হামলায় মিলনের ২ হাত ও মাসুমের ২ পা ভেঙে গেছে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরে থানায় দৌড়ে খবর দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি নিয়ে বিলম্ব করায় ওই সময়ের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করে হাত-পা ভেঙে দেয়।

 

এক পর্যায়ে মারধর করে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আহত দুজনকে উদ্ধার করে।

 

মানববন্ধনে অংশ নেয়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ জানান, তর্কের এক পর্যায়ে আমি গিয়ে হাজির হই। ওই সময় হামলাকারীরা দুই শিক্ষার্থীকে চড় মারে। আমি সমাধান করতে গেলে আমার ওপরও হামলা চালিয়ে দুজনকে তুলে নিয়ে যায়।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, থানায় গিয়ে সবাই দ্রুত তুলে নিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে অনুরোধ জানাই। কিন্তু পুলিশ অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের ওই সময়ের মধ্যে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। সময়মতো গেলে হয়ত এত মার খেতে হতো না। তাদের ফতুল্লা মোস্তাফিজ সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

 

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, লঞ্চঘাটের সামনে দুইপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


ঢাকাওয়াচ/স

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬