ঢাকা, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
মেনু |||

পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চোরা-চালান, টেন্ডারবাজি ও সংখ্যালঘ্যুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদের নামে মামার বাড়ির এলাকায় ভোটার, নারী কেলেঙ্কারি, মাদক ব্যবসায়ীদের সেল্টারদাতা, কঁচা নদীতে চোরাই চালানের প্রধান হোতা, টেন্ডার বাজি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঠিকাদারকে মারধরের প্রধান আসামী, কাবিখা প্রকল্প সহ অপকর্মসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বায়েজিদ হোসেন বর্তমানে পিরোজপুরে শহরের ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহাকে কুপিয়ে জখম করার মামলায় পালতক আছেন।
পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়জিদ পিরোজপুর সদরের কদমতলা ইউনিয়নের শেখ মো: মাইনূল হোসেনের ছেলে কিন্তু তিনি জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা দিয়েছে পিরোজপুর সদরের শিকদারমলিল্লক ইউনিয়নের পূর্ব জুজখোলা গ্রামের যেখানে তার নানা বাড়ি। অভিযোগ রয়েছে তার পিতার বাড়ির স্বজনরা অনেকেই জামাত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তাই এ কলংঙ্ক ঠেকাতে পিতার বাড়ির ঠিকানা বদল করে নানা বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড করেছেন আওয়ামী নামধারী এ ভাইচ চেয়ারম্যান।

 

বায়েজিদের দাদা মৃত ওহাব সেখ ছিলেন একজন গ্রাম নিরাপত্তা কর্মী(দফাদার)। তিনি কদমতলা ইউনিয়নের শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বাবা মো: মাইনূল হোসেন বিদেশে থাকেন, তার চাচা ফরিদ সেখ একজন প্রভাষক, তার মেঝ চাচা শিহাব সেখ একজন নামকরা সুদের ব্যবসায়ী তিনি একসময়ে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বর্তমানে তিনি জামায়াতের রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তার অতিমাত্রায় সুদের কারনে শত শত পরিবার নিঃশ^ হয়ে জমি জমা বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে গেছেন।তার ছোট চাচা ফারুক শেখ মাদক ব্যবসায়ী। একাধিকবার পিরোজপুর সদর থানায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। পারিবারি জীবনে দাদা থেকে শুরু করে চাচারা কেউ প্রত্যক্ষ ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত না। বায়েজিদ হোসেন তার প্রকৃত পরিচয় গোপন করতেই আইডি কার্ডে মামার বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করেছে।
এস এম বায়জিদ হোসাইনের মামার বাড়ি পিরোজপুর সদরের জুজখোলা গ্রামের হাওলাদার বাড়ি। বায়জিদ বর্তমানে মামা বাড়ি থেকে নব্য আওয়ামী লীগ সেজেছেন। বায়জিদ ছাত্রলীগে ঢুকে নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। ছাত্রলীগের পদ পদবী ভাগিয়ে নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দদের কাছে টাকা দিয়েছে যা পদ পদবী না পাওয়ার পরে বয়েজিদের আপন বোন ফেসবুকে লাইভে এসে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এছাড়াও পিরোজপুরের কঁচা নদীতে চোরাই পথে কয়লা, বালু ও ইয়াবা ব্যবসা এব চাঁদাবাজি করে অর্থের মালিক হয়েছেন। একাধিক মেয়ের সাথে রয়েছে তার শারিরীক সম্পর্ক। প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পিরোজপুর শহরের এক হিন্দু পরিবারের মেয়ের টাকা পয়সা স্বর্ণ অলংকারসহ নগদ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার সাথে শারীরিক সম্পর্কও করেছে। যার প্রমাণ ফেসবুখে ঘুরে বেরাচ্ছে। পিরোজপুর শহরে বর্তমানে মাদকের আখড়া বানিয়েছেন এই বায়জিদ। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দিয়েছেন ইয়াবা। অথচ প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় থাকার জন্য পিরোজপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ঠিকাদারা অভিযোগ করে জানান, ভাইস চেয়ারম্যান বায়জিদ সহ একটি চত্র অবৈধ্য ভাবে ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সাধারণ ঠিকাদারদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। সেই চক্রটিই সংখ্যালঘু ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহাকে কুপিয়ে জখম করেছে।

 

সংখ্যালঘু ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি জানান বায়েজিদ অন্যায় ভাবে জোড় খাটিয়ে ঠিকাদারী করে আসছিলো তবে ঠিকাদারীর কাজ নিয়ে প্রভাব খাটানো চেষ্টা করলে তার প্রতিবাদ করলে সংখ্যালঘু ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহাকে কুপিয়ে জখম করে। সে মামলায় প্রধান আসামী বায়েজিদ হোসেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

 

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, কিভাবে এই অল্প দিনে বায়জিদ এতো টাকার মালিক হলো প্রশাসনের তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ এই ধরণের নব্য ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতারাই প্রধানমন্ত্রীর দুনীর্তি মুক্তি বাংলাদেশ গড়তে বাধার সৃষ্টি করছে।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়জিদের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।


ঢাকাওয়াচ/স

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬