ঢাকা, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার
মেনু |||

বিদেশে রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছি: হাছান মাহমুদ

শাখাওয়াত সজীবঃ কোনো পেশাই অসম্মানের নয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি নিজেও বিদেশে রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছি।’

 

বুধবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে হোটেল বয় হিসেবে কর্মরত চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে অর্থসহায়তা দেয়ার সময় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

অরণ্য পলাশকে ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অরণ্য পলাশের নির্মিত ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশোনা করতাম, তখন হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। অর্থাৎ আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম। একদিন দুদিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস। কোনো কাজই অসম্মানের নয়। অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব- সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি যে, তাকে আমরা কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি কিনা।’

 

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ তাকে ডেকেছি ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্য। কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়ায় করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেন, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদন হতে হয়। কমিটির সঙ্গে আমি কথা বলব, তার (অরণ্য পলাশ) এই চলচ্চিত্র (গন্তব্য) যাতে মুক্তি পায়, সে জন্য আরও কী খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে। আর কী সহায়তা দরকার, কমিটির সঙ্গে সেটি আলোচনা করব।

 

অরণ্য পলাশের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছি যে, আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছি, সুতরাং আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’


ঢাকাওয়াচ/স

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬