ঢাকা, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার
মেনু |||

শেখ হাসিনার আজাদকে নিয়ে এক কর্মীর আবেগগন স্ট্যাটাস ভাইরাল

প্রিয় আবুল কালাম আজাদ ভাইয়ের উদ্দশ্যে কিছু কথা….

 

আসসালামু আলাইকুম ভাই….

 

আপনার একটা শতভাগ এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড গার্মেন্টস্ রিলেটেড ফ্যাক্টরী ছিল… যা দিনে দিনে খুবই ভালো অবস্থায় যাচ্ছিল… যার আয় দিয়ে আপনি রাজার হালে থাকতে পরতেন।

 

আচ্ছা ঠিক আছে…
এইটা বাদ দিলাম আপনার যে পারিবারিক ঐতিহ্য অথবা স্বয়সম্পত্তি ছিল বা আছে শুধুমাত্র এর উপরে ভর করেও আপনি ভালো থাকেতে পারতেন কিন্তু এগুলো ও আজ সমাপ্তির পথে।

 

এরকম কেন হচ্ছে…? কারন আপনি এগুলো নিয়ে থাকলে আপনি রাজনীতিতে সময় দিতে পারছিলেন না। আপনাকে দেখছি আপনার সকল ধ্যান হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াকে কেন্দ্র করে, ছাত্রলীগ শেষ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার লক্ষে রাত দিন কাজ করতে।

 

আপনার বাবা দির্ঘদিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, আপনার দাদা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বড় কাকা বর্তমান চেয়ারম্যান, আরেক কাকা দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি। আপনার নিকটাত্মীয় সবাই আওয়ামী লীগ করে এমনকি আপনার শশুর বাড়ীর সকল আত্মীয় স্বজনও আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।

 

মানলাম আপনি পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী রাজনীতি শুরু করেছেন। আপনি ওয়ার্ড ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে স্কুল, ইউনিয়ন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন, বর্তমানে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন সময়ে পালন করেছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক । যখন অনেকেই অবৈধ বা বৈধ ভাবে টাকা আয় নিয়ে ব্যাস্ত তখন আপনি এত ক্ষমতা পেয়েও সংগঠনকে ব্যবহার করে দশ পয়সাও আয় করেননি, উল্টো দল ও দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে হারিয়েছেন কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা। সবসময় সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনের সারিতে থেকে। দলের যখন দুঃসময় ছিল সেই ১/১১এর সংকটাপন্ন সময়ে, হেফাজতের আন্দোলনে অন্যরা যখন মাঠে নামবে তো দূরের কথা পালিয়ে দিশা পাচ্ছিলনা শুরু করে দিয়েছিল বিশ্বাসঘাতকতা, আপনি সেই সময়ও নিজের জীবন বাজি রেখে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, সয়েছেন হাজারো নির্যাতন, আপনিতো একবারও আপনার পরিবার স্ত্রী সন্তানদের কথা চিন্তা করলেন না…?

 

“আপনি বলেছেন নিজের জীবনের মূল্যেও নেত্রীকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে আসবেন”

 

আচ্ছা এগুলো বাদ…আপনি সব সময় চেয়েছেন আপনার কর্মীরা ভালো থাকুক, আপনার এলাকার লোক গুলো ভালো থাকুক সেজন্য কারো বিপদে-আপদে, অসুখে-বিসুখে সবার আগে দৌড়ে গেছেন নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছেন তাদের উপকার করতে, দিয়েছেন সাহস এমন হাজারো দৃষ্টান্ত রয়েছে আমার সামনে, আমার অগোচরে কত করেছেন সেটা মহান রাব্বুল আলামিন ই ভালো জানে।

 

প্রায় ১৫ বছরের উপরে হবে আপনাকে আমি কাছ থেকে দেখছি- দেখেছি কত অর্থের প্রলোভন এসেছে আপনার সামনে, কত পেয়েছিলেন সুযোগ যা দিয়ে নিমিশেই হয়ে যেতে পারতেন বিপুল অর্থ ভিত্তের মালিক, যেখানে অনেকেই দলের সুসময়ে সংগঠনের ছোট একটি পোষ্টের দাপটেই হয়ে গেছেন কোটিপতি। কই আপনিতো সেই পথে হাটলেন না আপনি বলতেন

 

“আমি আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মী আমি তাদের আদর্শ ধারন করি আমি কখনো বেইমানী করতে পারবনা যে কাজে তাদের বদনাম হয়, সংগঠন এর বদনাম হয় ”…

 

সব ঠিক আছে ভাই কিন্তু আমার কষ্ট লাগে মাঝে মধ্যে যখন দেখি আপনার কাছে ঘর থেকে বাহির হওয়ার টাকা টুকুও থাকেনা। অথচ এর মধ্যেও সগঠন এর প্রয়োজনে খরচ করে চলছেন লক্ষ লক্ষ টাকা …

 

ভাই আপনি হাজারো কর্মী গড়ার কারিগর প্রত্যেকটি থানায় এমনও কর্মী রয়েছে যারা আপনার জন্য জীবনও দিতে পারে- না এই ভালোবাসা আপনি এমনি এমনি পেয়ে যান নাই বা আপনার টাকা পয়সা দেখেও তারা আসেনাই…তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা, নেতৃত্ব, সততা, নিষ্ঠাপরায়নতা, নিরহংকারিতা, সর্বোপরী আপনি তাদের বিশ্বাস এজন্যেই তারা আপনাকে এত ভালোবাসে।

 

ভাই আমি জানি আপনি এখন যেই পোষ্টের দাবি করছেন আমি মনে করি আপনার যোগ্যতার বিচারে এর চেয়েও বড় পোষ্টের দাবিদার আপনি।

 

আপনাকে যদি সঠিক মূল্যায়ন না করা হয় জানি অনেক সৎ ত্যগী নেতাকর্মীরা রাজনীতি করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলবে…

 

দোয়া করি ভাই আপনি যাতে আপনার সবগুলো গুণ ধারন করে এগিয়ে যেতে পারেন, কোন দুষ্কৃতকারীর কালো ছায়া যেন আপনাকে গ্রাস করতে না পারে।

 

ইনশাআল্লাহ নেত্রী আপনাকে অবমূল্যায়ন করবেননা। আপনি শেখ হাসিনার আজাদ।

 

মিনহাজ আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী।


ঢাকাওয়াচ/স

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬