
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই আগামী জাতীয় নির্বাচনকে থামাতে সক্ষম হবে না। জনগণ এখন সম্পূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রিক এবং নির্বাচনি উৎসব উদযাপনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনের মেঘনা উপজেলার মানিকার চর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধানের শীষের পক্ষে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর ফলে কিছু পক্ষ ভীত হয়ে অযৌক্তিক অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর বা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, “গত ১৫ বছরে জনগণ কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু যখনই ভোটের সুযোগ পেয়েছে, তারা বিপুল ভোটে বিএনপিকে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে। মানুষ বিশ্বাস করে, একমাত্র বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, ব্যাপক উন্নয়ন, গণতন্ত্রের শক্তিশালীকরণ এবং সমাজে শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।”
তিনি উল্লেখ করেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৫ বছরে গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা ও নিপীড়নের মাধ্যমে বিএনপিকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এই সময়কাল ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন এবং ২৪ জুলাই আন্দোলনে বিএনপির অবদান প্রশংসনীয়।”
ড. খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের এক দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দেশের মানুষ এটি সাদরে গ্রহণ করেছে। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং সরকার পতনের এক দফার কর্মসূচিতে তারা অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।”
তিনি জনগণকে মনে করিয়ে দেন, “গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার, দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সর্বস্তরের জনগণকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই।”
সমাবেশের পর ধানের শীষের পক্ষে বিশাল গণমিছিলটি মানিকার চর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে ফায়ার সার্ভিস রোড পর্যন্ত চলে।