
চট্টগ্রামে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য জুবায়েরুল আলমকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন–চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক মুখপাত্র মাহবুবা ইলা খাদিজা তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, চাঁদাবাজি, মামলা–বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার বরাবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) মাহবুবা লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের কাছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জুবায়েরুল আলমের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করার কারণে তিনি হুমকি, হয়রানি ও মানসিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, জুবায়েরুল আলম এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য হওয়ার পর তার অনুসারীরা এলাকায় নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মামলা–বাণিজ্য, অবৈধ বালুমহাল দখল এবং ব্রিজঘাট দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়েছেন।
মাহবুবা অভিযোগে জুবায়েরুল আলমসহ আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করেছেন—মো. ফরিদ, মো. কামাল এবং উজ্জ্বল সাহেদ। এছাড়া অজ্ঞাত ৮-১০ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার দাবি, তারা সবাই জুবায়েরুলের অনুসারী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য ও অনুসারী।
মাহবুবা ইলা খাদিজা বলেন, “অপরাধের প্রতিবাদ করার কারণে জুবায়েরুল আলম ও তার অনুসারীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য আমি পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেছি। আমি এনসিপির শীর্ষ নেতাদেরকেও বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার পর জুবায়েরুল আরও বেপরোয়া হয়ে গেছে।”
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে জুবায়েরুল আলম বলেছেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একসময় আমরা মাহবুবার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতাম, তবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। অন্য কারও প্রভাবে মাহবুবা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।”
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) শ্রীমা চাকমা বলেন, “নগর পুলিশের কার্যালয়ে এমন ধরনের অভিযোগ প্রতিদিন আসে। অভিযোগ পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধান করা হয় এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”