
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, যদি ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে ব্যর্থ হওয়ার সত্য স্বীকার করে, তাহলে পশ্চিম ইউরোপে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ ঘটবে। তিনি সতর্ক করে উল্লেখ করেন, কিছু পশ্চিমা নেতা সংঘাতকে ‘ব্যবসায় রূপান্তরিত’ করার সুযোগ নিচ্ছেন এবং সম্ভাব্যভাবে সেনা পাঠানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) মস্কোতে আকস্মিক সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর এই মন্তব্য করেন অরবান।
ইইউ থেকে হাঙ্গেরির ওপর যে কূটনৈতিক চাপ ছিল, তাতে সত্ত্বেও দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্ররোচনায় নতি স্বীকার করেনি। অরবান বলেন, “ইউক্রেন ইস্যুতে জোরজবরদস্তির চেয়ে আবারও শান্তি আলোচনার প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “ইউক্রেন ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধ আর চলতে পারবে না—এই স্বীকারোক্তি ইউরোপীয় রাজনীতিতে মৌলিক ভূমিকম্পের কারণ হবে।”
অরবান সতর্ক করে বলেন, “পশ্চিমারা ক্রমশ সরাসরি সংঘাতে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথমে তারা অর্থ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, এবং এখন দেখা যাচ্ছে যে প্রয়োজনে সৈন্যও পাঠাবে।”
হাঙ্গেরি শুরু থেকেই ইউক্রেনকে অস্ত্র বা সেনা সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এই অবস্থান নিয়ে ন্যাটো ও ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে অরবানের প্রায়শই দ্বন্দ্ব দেখা যায়।
অরবান আরও দাবি করেন, প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়িক মহল ইউক্রেন সংঘাতের কূটনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, “ইউরোপীয় সামরিক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়িক মহল ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রয়োগ করছে।”
তিনি যুক্তি দেন, পশ্চিমারা সংঘাত শুরুতে শান্তি চুক্তি আটকে দিয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের ক্ষতি করেছে। অরবান বলেন, “পশ্চিমারা ইউক্রেনীয়দের একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে, তাদের ধারণা ছিল সময় তাদের পক্ষে। কিন্তু দেখা গেল, তা হয়নি। ২০২২ সালের এপ্রিলে যদি চুক্তি হতো, আজকের চেয়ে পরিস্থিতি আরও ভালো হতো।”