
ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী নৌযানগুলোতে দ্বিতীয় দফায় হামলার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একজন শীর্ষ কমান্ডার। হোয়াইট হাউস এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিত জানান, নতুন হামলার নির্দেশনা দিয়ে “অ্যাডমিরাল (ফ্রাঙ্ক) ব্র্যাডলি তার কর্তৃত্ব ও আইনের মধ্যে থেকেই ভালোভাবে কাজ করেছেন।” তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই হামলার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের মতো করে “সবাইকে হত্যার নির্দেশ” তিনি দেননি বলে স্পষ্ট করেন।
সরকারি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফার হামলা ইতিমধ্যে পরিচালিত হয়েছে। এর আগের এক অভিযানে বিস্ফোরণে একটি নৌযান ধ্বংস হয় এবং সেখানে আটকা পড়া দুজন জীবিত পাওয়া যায়। এসব হামলার পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক দুই দলেরই বহু আইনপ্রণেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং কংগ্রেস এ বিষয়ে পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ব্রিফিংয়ে ক্যারোলিন লেভিত বলেন, “প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড) ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ স্পষ্ট করেছেন- প্রেসিডেন্টের মনোনীত ভেনেজুয়েলার মাদকসন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধের আইন অনুযায়ী মারাত্মক লক্ষ্যবস্তু।”
তিনি আরও বলেন, এসব মাদকসন্ত্রাসী গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ালে প্রেসিডেন্টের তাদের প্রতিহত করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তবে প্রথম দফার হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া দুজনকে হত্যা করতেই দ্বিতীয় দফার হামলা কি-না, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। তার তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই দিন ওভাল অফিসে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে ভেনেজুয়েলা ইস্যুসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার জলসীমায় সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানগুলোর ওপর একাধিক হামলা চালানো হয়েছে, যা ওয়াশিংটন মাদকবিরোধী অভিযান হিসেবে উল্লেখ করছে।
গত সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এসব আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, তারা অবৈধ মাদক পরিবহনকারী নৌযানগুলো ধ্বংস করে আত্মরক্ষার প্রয়াস চালাচ্ছে।