
নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সিনিয়র অফিসারদের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা তার ওপরে পদমর্যাদার কর্মকর্তা কেবল আইফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
আইডিএফ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে হ্যাকিং বা অনুপ্রবেশের ঝুঁকি কমানোর জন্য। জেরুজালেম পোস্ট এবং আর্মি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ডিভাইসে নিরাপত্তা বাড়ানোই মূল উদ্দেশ্য। এর আগে, গুগল কয়েক সপ্তাহ আগে দাবি করেছিল যে, আইফোনের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিরাপদ।
সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে একাধিকবার হানি পট ধরনের সাইবার হামলার খবর এসেছে। এই হামলায় সেনাদের ফোন বা কম্পিউটার হ্যাক করে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য চুরি করার চেষ্টা করা হয়।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিএফ-এর এই নিষেধাজ্ঞা গুগলের জন্য হতাশাজনক হতে পারে। কারণ, মাত্র গত মাসে গুগল ঘোষণা করেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক অনুমোদিত তালিকায় তাদের পিক্সেল ফোন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গুগল জানিয়েছিল, “পিক্সেল ফোনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে সেগুলো বিভিন্ন মিশনের জন্য প্রস্তুত, নিরাপদ এবং আমাদের ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সাবলীলভাবে কাজ করতে পারে।”
জেরুজালেম পোস্ট উল্লেখ করেছে, এই নতুন পদক্ষেপ মোবাইল নিরাপত্তা বৃদ্ধির পূর্ববর্তী উদ্যোগগুলোর ধারাবাহিকতা। এর মধ্যে রয়েছে সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল সম্পর্কে সচেতন করা। পত্রিকাটি লিখেছে, “সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের সতর্কতা ও অনুশীলন চালাচ্ছে আইডিএফ। অ্যান্ড্রয়েড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তও তারই অংশ।”
ইসরায়েল ন্যাশনাল নিউজ জানিয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী আইফোন ছাড়া কোনো সামরিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত থাকবে, তবে সামরিক বা কমান্ড সম্পর্কিত কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ। নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গুগল গত ১৮-২৪ মাসে অ্যান্ড্রয়েডে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে, তবুও আইফোনের নিয়ন্ত্রিত ইকোসিস্টেম থাকার কারণে নিরাপত্তার দিক থেকে অ্যাপল এখনও এগিয়ে রয়েছে।