 টেলিগ্রামে দেওয়া এক.webp)
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। দনবাস অঞ্চলের প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত এই শহরটি লজিস্টিকস হাব হওয়ার কারণে সামরিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাতারভিত্তিক আল জাজিরা জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে- দুই বছর অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় সময় রোববার (৩০ নভেম্বর) রাত থেকে পোকরোভস্ক সম্পূর্ণই তাদের নিয়ন্ত্রণে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন এই তথ্য নিশ্চিত করে। বিবৃতিতে রুশ চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, রাশিয়া খারকিভের ভভচানস্ক শহরটিও দখল করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে গেরাসিমভ জানিয়েছেন যে, পুতিন ফ্রন্টলাইনের একটি কমান্ড সেন্টার পরিদর্শন করার সময় পোকরোভস্ক দখলের খবর পান। দোনেৎস্ক অঞ্চলের এই শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্র, যা রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।
একসময় ৬০ হাজার মানুষের ব্যস্ত নগরী হিসেবে পরিচিত পোকরোভস্ক সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রুশ ড্রোন, বোমা ও গোলাবর্ষণে ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। বহু ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও ইউক্রেন এখনো শহরটি হারানোর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া সামাজিক মাধ্যমে পোকরোভস্কের রাস্তায় সৈন্যদের মার্চপাস্ট ও পতাকা ওড়ানোর ভিডিও প্রচার করছে।
তাস জানায়, পোকরোভস্ক দখলের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনাদের অভিনন্দন জানান। পুতিন বলেন, “ক্রাসনোআর্মেইস্ক (পোকরোভস্কের রুশ নাম) সংক্রান্ত এ অভিযানের ফলাফলের জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। অবশ্যই, আমাদের যোদ্ধারা, যারা এসব যুদ্ধ কাজ সম্পন্ন করছে।”
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধানের পথ খুঁজছেন। তিনি সোমবার বলেন, তার প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি হলো- রাশিয়াকে এমন কোনো ভূখণ্ড না দেওয়া, যা মস্কোর দখলদারত্বকে বৈধতা দিতে পারে।