
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে গত সপ্তাহ থেকে চলমান প্রবল বন্যা ও ভূমিধসের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (BNPB) মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর জানিয়েছে যে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭১২ জন নিহত হয়েছে।
সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তিনটি প্রদেশে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং প্রায় ১১ লাখ মানুষ এই বিপর্যয়ে প্রভাবিত হয়েছে।
উত্তর ও পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাপানুলি ও সিবোলগা অঞ্চলে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সেখানে ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারি ও আন্তর্জাতিক সহায়তা আকাশপথ এবং জলপথে পাঠানো হলেও অনেক প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ এখনো সহায়তার বাইরে রয়েছে। এর ফলে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকে দোকান ভাঙচুর এবং খাদ্য লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সহায়তা পৌঁছে দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, অনেকেই বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না, কারণ বন্যার পরও ঘরবাড়ি, ফসল এবং যানবাহন কাদামাটিতে চাপা পড়েছে। পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পদাং থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুংগাই নিয়ালো গ্রামে এখনো রাস্তা পরিষ্কার করা শুরু হয়নি, এবং বাইরের কোনো সাহায্য পৌঁছায়নি।
এই সংকট মোকাবেলায় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন যে, স্টারলিংক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে, যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা যায়।