
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেননি—এ তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, চাইলে তার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তারেক রহমানের ফেরার বিষয়ে তিনি পুনরায় বলেন, “তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাস চাননি। তিনি চাইলে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।” তিনি জানান, তার দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ডা. জাহিদ বলেন, “দেশবাসীর কাছে ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া চাই। সবার দোয়ার কারণে এ যাত্রায় তিনি হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসার তদারকি করছেন। প্রধান উপদেষ্টা, সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সবাই যথাসাধ্য সহায়তা দিচ্ছেন।”
চিকিৎসার অগ্রগতি বিষয়ে তিনি জানান, “ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। তবুও বিদেশে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে কি না মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেওয়ার সুযোগ নেই।”
সঙ্কটময় পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দোয়ার কারণেই হয়তো বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি।” পাশাপাশি তিনি দেশবাসীকে গুজব বা বিভ্রান্তিতে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ২৩ নভেম্বর জরুরি ভিত্তিতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এবং আরও কিছু জটিলতা রয়েছে।
গত কয়েক দিনে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয় এবং পরে রোববার ভোরে আইসিইউতে নেওয়া হয়।