
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের দাবির সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসির এই আশ্বাসের পরই চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন কর্মকর্তারা, যা পরিস্থিতিতে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান উপজেলা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. আশফাকুর রহমান। তিনি বলেন, অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় সিইসি তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং নির্বাচন কমিশন সার্ভিস বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি দ্রুত পূরণের আশ্বাস দেন। তাঁর কথায়, “নির্বাচন কমিশন সার্ভিস দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ নবম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত করা, পদোন্নতি এবং আউটসোর্সিংয়ের লোকবল রাজস্ব খাতে আনার দাবিগুলোও বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন সিইসি।” এ আশ্বাস পাওয়ার পরই তারা কর্মসূচি তুলে নেন।
দুপুরের পর বিকেল ৩টার দিকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ভবিষ্যতের সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সহকারী উপজেলা বা থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আবেদন জানায়। পরবর্তীতে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে কর্মকর্তারা সিইসির দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেন। পরিস্থিতি গুরুত্ব পেয়ে গেলে সিইসি তাদের ডেকে আলোচনায় বসেন এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। ১০ দফা দাবি হলো -
১. দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ বাস্তবায়নে বিধিমালা প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ।
২. নির্বাচনী দায়িত্বপালন ও সব দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের স্বার্থে ‘উপজেলা নির্বাচন অফিসার’ পদটি ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং ‘সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার’ পদটি এন্ট্রি পদ হিসেবে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৩. নির্বাচন কার্যক্রম সহজতর, সুষ্ঠু ও সফল বাস্তবায়নের স্বার্থে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসারদের জন্য ডাবল-কেবিন পিক-আপ এবং সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের জন্য মোটরসাইকেল সরবরাহ।
৪. উপজেলা নির্বাচন অফিসার পদে পদোন্নতির হার বাড়ানো এবং পদোন্নতিযোগ্য পদ সংরক্ষণ।
৫. নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার পদে পদায়ন।
৬. সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসারদের জন্য পৃথক রুমের ব্যবস্থাকরণ।
৭. নির্বাচন কার্য পরিচালনার জন্য সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসারদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান।
৮. নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাকরণ।
৯. ২০২৩ সালে প্রণীত বৈষম্যমূলক জাতীয় পরিচয়পত্র আইন বাতিল।
১০. কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের রাজস্বখাতে রূপান্তরকরণ।