
জাতীয় রাজনীতিতে তারেক রহমানের সম্ভাব্য ফেরাকে ঘিরে আলোচনা জোরালো থাকলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ তারেক রহমানের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।
মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ফিউচার বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। খসরু বলেন, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তারেক রহমানকেই নিতে হবে এবং কেন তাকে ট্রাভেল ভিসা দেওয়া হবে বা হবে না, সে সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা নেই।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি জনগণের আস্থার ওপর ভিত্তি করে রাজনীতি করে এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগামী নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না। সুযোগ পেলেই দেশের মানুষ তা প্রমাণ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে আমীর খসরু জানান, আগামী দিনে বিনিয়োগের মূল গুরুত্ব থাকবে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলায়, যাতে তরুণরা সহজেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ইশতেহার তৈরি হবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা বাড়লে তারেক রহমান ফেসবুকে লিখেছিলেন, “এখনই দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আমার একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয় এবং বিষয়টিকে স্পর্শকাতর ও বিস্তারিত জানানোর সুযোগ সীমিত।”
এর আগে, সোমবার ১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, তারেক রহমানের স্ট্যাটাস স্পর্শকাতর হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। তিনি আরও জানান, দেশে ফিরতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ওয়ান টাইম পাস দিতে প্রস্তুত এবং চাইলে অন্তর্বর্তী সরকার এক দিনের মধ্যেই ট্রাভেল পাস ইস্যু করতে পারে।