
‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯–এ এ শুনানির সময় নির্ধারিত হয়েছে। এর আগে মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদালতে বদলির নির্দেশ দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, “মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলি করা হয়েছে। সোমবার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।”
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি প্রথমে দায়ের করা হয় গত ২৭ মার্চ। সেদিন সিআইডির সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপর ১৪ অক্টোবর পলাতক ২৬১ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়, যা দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়।
অবশেষে মামলার নথি প্রস্তুত হওয়ায় গত ১১ নভেম্বর এটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়, পরবর্তীতে বিচার কাজের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৯ এ হস্তান্তর করা হয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর একটি জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। সেই সভায় শেখ হাসিনা তার কর্মীদের উদ্দেশে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।