
উপজেলা ও সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ দ্রুত বাস্তবায়ন, পদোন্নতি, সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সুবিধাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর সিইসির দপ্তরের সামনে জড়ো হন কর্মকর্তারা। তাদের দাবির চিঠি গ্রহণ করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
আখতার আহমেদ বলেন, “আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে যাচ্ছি। যেটা স্যারের সঙ্গে বলার দরকার আমরা বলব। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা যে যার কাজে যান।”
উপজেলা ও সহকারী উপজেলা/থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে এই ১০ দফা দাবি করেছে।
দাবি সমূহ:
১. দ্রুত ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ বাস্তবায়নের জন্য বিধিমালা প্রণয়ন ও গেজেটে প্রকাশ।
২. উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতি।
৩. নির্বাচন কার্যক্রম সহজ ও সফল করতে উপজেলা/থানা অফিসারদের জন্য ডাবল-কেবিন পিক-আপ এবং সহকারীদের জন্য মোটরসাইকেল সরবরাহ।
৪. উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের পদোন্নতির হার বৃদ্ধি ও পদ সংরক্ষণ।
৫. নির্বাচনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদায়ন।
৬. সহকারী উপজেলা/থানা অফিসারদের জন্য পৃথক রুমের ব্যবস্থা।
৭. নির্বাচন কার্য পরিচালনার জন্য তাদের বরাদ্দ প্রদান।
৮. মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৯. ২০২৩ সালে প্রণীত বৈষম্যমূলক জাতীয় পরিচয়পত্র আইন বাতিল।
১০. কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের রাজস্বখাতে রূপান্তর।
উপজেলা ও সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা আশা করছেন, কমিশন তাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং নির্বাচন পরিচালনায় সহায়ক সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।