মোদির বিতর্কিত পোস্টের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল বাংলাদেশ

বিজয় দিবসের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত পোস্টেকে কেন্দ্র ক‌রে বাংলা‌দে‌শের মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধ‌রে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মোদির বিতর্কিত পোস্টের প্রতিবাদে বিবৃতিতে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ইতিহাস তুলে ধ‌রা হয়েছে। ‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সংগ্রাম ও নয় মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ সহ্য করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড: ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে তার বইয়ে, প্রাক্তন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জেএন দীক্ষিত লিখেছেন, ‘আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ডের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল যৌথ কমান্ডের বাংলাদেশ পক্ষের কমান্ডার জেনারেল এমএজি ওসমানির উপস্থিতি নিশ্চিত ও স্বাক্ষরকারী করতে ব্যর্থতা।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তার অনুপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে, তার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল। কিন্তু, আত্মসমর্পণের সময়সূচির অনুযায়ী সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু, ব্যাপক সন্দেহ ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি ভুল পথে পাঠানো হয়েছিল, যাতে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারেন এবং অনুষ্ঠানে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের ওপর নিবদ্ধ হয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্যুতি ছিল; যা ভারত এড়াতে পারত। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানির উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে- এমন বহু রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারত।’ বিবৃ‌তিতে উ‌ল্লেখ করা হয়, ‘আমরা ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি, আমরা সত্য উদযাপন করি।’ গেল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডে‌লে একটি পোস্ট দেন নরেন্দ্র মোদি। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মোৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।’ পোস্টটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গিয়ে একাত্তরের বিজয়কে কেবল ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলা হয়েছে। যা বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষকে আহত করেছে।

ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না: সয়াবিন সরবরাহ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা

ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কি বহু বেশি শক্তিশালী- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট না বলে ব্যবসায়ী যারা আছে, তারা খুব শক্তিশালী। ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুব বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি, আমদানিকারক, সরবরাহকারী, এজেন্ট আছে, এটা একটা কমপ্লেক্স। যেটা ভাঙা সহজ না।’ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে যদি আমরা একসঙ্গে ধরি, তাহলে দেখবেন বাজারে এর থেকে আরও বেশি প্রভাব পড়বে। আমরা চাই, সবাই ব্যবসায় করুক। তবে, অতিরিক্ত লাভ করুক, তা চাই না। আমরা চাচ্ছি আমাদের দিক থেকে সরবরাহটা থাকুক। যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা মেসেজ যায়।’ সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই। আজকে সার, সয়াবিন তেল, চাল, মসুর ডাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছি। এতে সয়াবিনের দাম সহনীয় হতে পারে। রমজান পর্যন্ত যত ধরনের নিত্যপণ্য আছে- চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি এগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করে চেষ্টা করছি, বাজারটা যাতে আরেকটু সহনীয় থাকে। তবে, একটু সময় লাগবে। কারণ, এগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। লোড আনলোডে সময় লাগে।’ বাজারে এখনও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা ২০০ টাকার ওপরে দাম নিচ্ছে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারের বিষয়ে আমাদের একটু গ্যাপ আছে। যে দিন দাম আট টাকা বাড়ানো হল, তার পর দিন সরবরাহ বহু কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের একটা প্রত্যাশা আছে, আট টাকা বাড়ানো হয়েছে, আরও হয়তো বাড়বে। আজকে আমরা সয়াবিন তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি, আমাদের দিক থেকে সরবরাহটা থাকুক। যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা যায়।’ ভোক্তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে, বাজারে মনিটরিং হচ্ছে না, সে জন্য দাম বাড়ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজার মনিটরিং হচ্ছে না, বিষয়টা কিন্তু তা না। অন্যান্য দেশে কিন্তু এ রকম হয় না। বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কয়টা জায়গায় যেতে পারে। কিছু দিন আগে আমি পাবনা গেলাম। সেখানেও একই অবস্থা। ডিসিদের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা বাজারে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ ঠিক থাকে। চলে এলে যেই সেই অবস্থা। এ জন্য ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। বাইরের দেশগুলোতে কিন্তু ভোক্তারা সচেতন৷ তারা অভিযোগ দেন।’

উত্তরা ও তুরাগ এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচদিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।অন্যদিকে গাজীপুরে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার ও ইজতেমা ময়দান জুবায়েরপন্থীদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুবায়েরপন্থীরা।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ অবরোধ করেন জুবায়েরপন্থীরা। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে।এদিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে সকাল থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহতরা হলেন– কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। সংঘর্ষে আহত ৪০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার পর সরকার ওই মাঠের দায়িত্ব নেবে।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাদ অনুসারী মাওলানা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। সেদিন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের। বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

জাতীয়

মোদির বিতর্কিত পোস্টের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল বাংলাদেশ

বিজয় দিবসের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত পোস্টেকে কেন্দ্র ক‌রে বাংলা‌দে‌শের মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধ‌রে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মোদির বিতর্কিত পোস্টের প্রতিবাদে বিবৃতিতে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ইতিহাস তুলে ধ‌রা হয়েছে। ‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সংগ্রাম ও নয় মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ সহ্য করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড: ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে তার বইয়ে, প্রাক্তন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জেএন দীক্ষিত লিখেছেন, ‘আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ডের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল যৌথ কমান্ডের বাংলাদেশ পক্ষের কমান্ডার জেনারেল এমএজি ওসমানির উপস্থিতি নিশ্চিত ও স্বাক্ষরকারী করতে ব্যর্থতা।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তার অনুপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে, তার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল। কিন্তু, আত্মসমর্পণের সময়সূচির অনুযায়ী সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু, ব্যাপক সন্দেহ ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি ভুল পথে পাঠানো হয়েছিল, যাতে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারেন এবং অনুষ্ঠানে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের ওপর নিবদ্ধ হয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্যুতি ছিল; যা ভারত এড়াতে পারত। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানির উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে- এমন বহু রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারত।’ বিবৃ‌তিতে উ‌ল্লেখ করা হয়, ‘আমরা ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি, আমরা সত্য উদযাপন করি।’ গেল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডে‌লে একটি পোস্ট দেন নরেন্দ্র মোদি। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মোৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।’ পোস্টটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গিয়ে একাত্তরের বিজয়কে কেবল ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলা হয়েছে। যা বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষকে আহত করেছে।

এসবির প্রধানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন চার কর্মকর্তাকে বদলি

এক্সক্লুসিভ
রাজনীতি

বিডিয়ার হত্যাকান্ডের বিচারের অগ্রগতি জাতি জানতে চায়

রোমহষর্ক বিডিয়ার ট্রাজেডির বিচার কোন অবস্থায় আছে জাতিকে তা জানানোর দাবি করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, ‘নির্দয় নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এতগুলো অফিসার হত্যার মধ্য দিয়ে মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অকার্যকর করার নীলনকশারই অংশ। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনতার প্রত্যাশা হল বিডিয়ার ট্রাজেডিসহ সব হত্যাকান্ডের বিচার দ্রুত শেষ করা।’ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব দাবি জানান। বিবৃতিতে ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণহত্যার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। ইউনুস সরকারের প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসর আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কোন অবস্থাতেই দেশত্যাগ সম্ভব নয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা হেফাজতে থাকা ৫৬ জন কোথায়- এ প্রশ্ন আজ দেশবাসির।’ তিনি অবিলম্বে খুনি হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের পলাতক সব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ইমতিয়াজ আলম আরও বলেন, ‘এ সরকারের প্রতি দেশের জনতার এত সমর্থন; যা অতীতে কোন সরকারের প্রতি কখনো ছিল না। তাহলে খুনিদের বিচার করতে ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকারের ভয় কিসের? কোন চাপের কাছে এ সরকার মাথা নত করবে না- এটাই জনতার আকাঙ্ক্ষা। জনতার আকাঙ্খা পূরণে সরকার আরও আন্তরিক হবে এটা সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান।’

স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের প্রতিবন্ধক সব কালো আইন বাতিল জনগণের দাবী

সারাদেশ

চট্টগ্রাম সিটির যানজট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: মেয়র

চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে বিভিন্ন সেবা সংস্থার বিচ্ছিন্ন কার্যক্রমের বদলে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে চট্টগ্রাম সিটির যানজট নিরসনকল্পে মত বিনিময় সভায় তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় মেয়র বলেন, ‘নগরীকে যানজট মুক্ত করতে চসিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিসহ (বিআরটিএসহ) সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রম প্রয়োজন। এ জন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য যত্রতত্র চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে যানজট কমানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন। ব্যাটারি রিকশাগুলোর জন্য যে সব অবৈধ চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো বন্ধে আমি আমাদের যেসব ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন, তাদেরকে বলেছি। তবে, আমি বিআরটিএসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলব।’ ‘কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে যে যানজট হচ্ছে, সেটার জন্য আমরা ডিসিকে একটা জায়গার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছি। আশা করি, এই জায়গাটা বেশি বড় না হলেও ওখানকার যে গাড়িগুলো আছে, আমরা হয়তোবা পাার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারব। আশা করছি, সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে বাস টার্মিনাল অথবা বাস স্টেশন চালু হবে। আর বহদ্দারহাট একটা বাস টার্মিনাল আছে, এটাতে আসলে পর্যাপ্ত সুবিধা সেখানে নেই। সেখানে টয়লেট ফ্যাসিলিটিসটা আসলে ভেরি ইম্পর্টেন্ট ও সেখানে লাইটিং ফ্যাসিলিটিস বোধয় কম আছে। তাই, ওগুলো যদি আমরা আরেকটু নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে নাগরিকদের সুবিধা হবে।’ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগরীর যানবাহনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হলে যত্রতত্র বাসসহ যে কোন যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না। যাত্রী ছাউনি, বাস স্টপেজ যেখানে থাকবে, সেখানে দাঁড়াতে হবে। এই জায়গায় আমাদেরকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়ানোর কারণে কেবল যে যানজট বাড়ছে, তা নয় বরং সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই অব্যবস্থাপনা।’ ‘আমি কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে, আমাদের কর্পোরেশন উদ্যোগে ভূমি বরাদ্দ দিলে সেখানে দিনের বেলায় কার পার্কিং থাকবে। আর রাতের বেলায় তারা ওই জায়গাটাকে ছোট ছোট দোকান হিসাবে যেগুলো এখন রাস্তায় বসছে, সেগুলোকে মার্কেট হিসেবে তারা ব্যবহার করতে পারবে। এই টাইপের একটা চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। এই চিন্তা নিয়ে আমরা আগাচ্ছি। যেখানে ফ্লাইওভারগুলো আছে, সেখানে বেশ স্পেস আছে। সে জায়গাগুলোতে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। অন্যান্য যেসব জায়গায় প্রশস্ত না সেগুলোতে শুধু পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি আমার যে চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে বলছি, অনতিবিলম্বে গোলচত্বরগুলোকে সাইন্টিফিক ওয়েতে কিভাবে যানজট নিরসণের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে, কীভাবে স্পেসটা কমিয়ে এনে যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে, সে ধরনের একটা স্টাডি এনালাইসিস করে আমাকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।’ মেয়র বলেন, ‘বাওয়া স্কুলের যে র‌্যাম্প, সেটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এখানে র‍্যাম্প হতে দেওয়া যাবে না, এটা আমি মেয়র হিসেবে স্ট্রংলি বলতে চাই। আমি সিডিএকে বলেছি, সিডিএর চেয়ারম্যানকে এবং এখানে সিটি নিয়ে যারা পরিকল্পনা করে তাদেরও। নগর পরিকল্পনা নিয়ে যারা ভাবেন, তারাও এই র‌্যাম্পের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয়, এই জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যে, কোন একজন ব্যক্তির লাভের জন্য আমরা আমাদের সিটিতে যানজট করতে পারি না।’ ‘এটা ওই সময়কার একজন ব্যবসায়ীকে খুশি করার জন্য, তার হোটেলের ব্যবসায় ভাল হওয়ার জন্য একটা র‌্যাম্প সেখানে বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তার হোটেলের যাত্রীগুলো খুব দ্রুত এয়ারপোর্ট চলে যাওয়ার জন্য। আমি সেদিন উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের সামনে স্পষ্ট বলেছি। যারা সাংবাদিক ছিল তারা হয়তোবা আমার কথা শুনেছেন। আমি পূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সামনে স্পষ্ট বলেছি যে, পেনিনসুলার যে মালিক, তার খুশি করার জন্য এই কাজটি করা হয়েছে। এখানে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে সেটা করা হয়েছে।’ সভায় ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (ট্রাফিক-উত্তর) জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা। একটি শহরকে শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন। তবে, চট্টগ্রামে সড়ক আছে মাত্র দশ শতাংশ। এক্ষেত্রে, আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পার্কিংয়ের সংকট। অতি দ্রুত চট্টগ্রাম শহরে পার্কিং প্লেস নির্ধারণ করা জরুরি। আনফরচুনেটলি দেখা যায়, রাস্তার পাশে বিভিন্ন যে কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, মার্কেটগুলো আছে তারা তাদের যে পার্কিংগুলো আছে, সেগুলোকে অকুপাইড করে রেখেছে অন্য কাজে। এগুলো উন্মুক্ত করা দরকার। এক্ষেত্রে সিডিএ’র নিজস্ব ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর মত ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। আমাদের সিটি কর্পোরেশনও আছে। যে সব জায়গায় যতগুলা পার্কিং থাকার কথা, সিডিএর কাছে নিশ্চয় প্ল্যানে আছে। ওগুলো যদি অকুপাইড হয়ে থাকে, সেগুলোকে উন্মুক্ত করলে দেখা যাবে যে, মার্কেটকেন্দ্রিক যে গাড়িগুলো আসে, সেগুলো বেশিরভাগই মার্কেটের নিচে পার্কিংয়ের সুযোগ পাবে।’ সভায় বক্তব্য দেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, বিআরটিএর পরিচালক মো. মাসুদ আলম, ট্রান্সপোর্ট প্রফেসনালস এলাইয়েন্সের সিইও মোহাম্মদ নুরুল হাসান, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী।

আমার এলাকার খবর
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের নয়া ঘোষণা: বাণিজ্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র?

‘বন্ধু’ মোদিকেও ছাড় দিচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও খাঁটি ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কমিয়ে আনতে চান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি। তাই, দেশটির উচ্চ শুল্কের বিপরীতে ঘোষণা দিয়েছেন পাল্টা শুল্ক আরোপের। এতে, চীনের পর ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বের যে কজন নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে বলে মনে করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে, মৌখিক বন্ধুত্বের কোন ছাপ বাণিজ্য সম্পর্কে রাখছেন না জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিতে যাওয়া এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে ভারতের উচ্চ শুল্ক আরোপের কঠোর সমালোচনা করে, এবার ভারতীয় পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন তিনি। এতে, চীনের পর আরেকটি বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা।বেশ কিছু মার্কিন পণ্য আমদানিতে চড়া শুল্ক আরোপ করে রেখেছে ভারত। চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘উচ্চ শুল্কের মাধ্যমেই ভারতকে জবাব দেয়া হবে। এই তালিকায় আছে ব্রাজিলও।’ ট্রাম্প টাওয়ার অধিপতি বলেন, ‘পণ্য আমদানিতে ওই দেশগুলোর সমপরিমাণ শুল্কারোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যদি কোন দেশ আমাদের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও সেই দেশের পণ্যের ওপর চড়া হারে কর চাপাবে। ওরা (ভারত) প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমাদের ওপর অধিক কর চাপায়। অথচ এত দিন আমরা ওদের ওপর কোন কর চাপাইনি।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বাণিজ্যে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। ভারত যদি মার্কিন পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও সেই পরিমাণ শুল্ক চাপাবে। ওরা আমাদের ওপর শুল্ক চাপালে সমস্যা নেই, কিন্তু সেক্ষেত্রে আমরাও পাল্টা শুল্ক চাপিয়ে দেব।’ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুখকর ছিল না। ২০১৯ সালে ভারতের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিশোধ হিসেবে, কয়েকটি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে ভারত। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি হারায় দেশটি।ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদেও একই ধরনের বাণিজ্য টানাপোড়েনের শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা। সাম্প্রতিক ঘোষণা সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ ও টেক্সটাইল শিল্প।ভারতের অন্যতম রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে গেল অর্থ বছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৭৭ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ভারত আমদানি করেছে ৪২ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

মৃত্যুর পূর্বে তরুণীর অডিও বার্তা, ‘ভাল থেক, বিয়ে করে নিও’

অর্থনীতি

আইএমএফের ঋণ: চতুর্থ কিস্তিতে সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নতুনভাবে আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও আইমএএফের প্রতিনিধি দল। চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গেল ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। প্রতিনিধিদলটি তাদের মিশন শেষে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে ঐকমত্যের বিষয়টি জানায়। এ প্রতিনিধি দলের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইএমএফের আগামী নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে অনুমোদন সাপেক্ষে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। নতুন ঋণের বিষয়টিও ওই বোর্ড সভার অনুমোদন নিতে হবে। আইএমএফের সাথে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ কিস্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে সংস্থাটি থেকে সম্প্রতি আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। এ বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছায় মিশন।

আইওটা কনসালটিং বিডির সাথে এনসিসি ব্যাংকের বিশেষ সার্ভিস চুক্তি সই

খেলাধুলা

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর আজ বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। কিংসটাউনে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা গড়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ। এরপর ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে নেমে লাল-সবুজের দলের বোলাররা করেছেন দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স। তাসকিন আহমেদ-তানজিম সাকিবদের তোপে ৪২ রানেই ৬ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ১০২ রানে। আর তাতে ২৭ রানের দুর্দান্ত জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে লিটন দাসের দল। ১৩০ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিজের করা প্রথম ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন তাসকিন। তার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ব্র্যান্ডন কিং। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। টাইগার এই স্পিডস্টারের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন আন্দ্রে ফ্লেচার। তাসকিনের তোপে দলীয় ১৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জনসনকে চার্লসকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান। এরপর তিনি ফিরিয়েছেন নিকোলাস পুরাণকেও। উইকেট নেয়ার উৎসবে যোগ দেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিবও। এ দুজনও একটি করে উইকেট নিলে ৯ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিকে ৬ উইকেট হারানোর পর আকিল হোসেইনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন রোস্টন চেজ। সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভেঙেছেন রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারে রিশাদের করা দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা হাকিয়েছিলেন চেজ। তবে সেই ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। রিশাদের বলে বোল্ড হয়ে ৩৪ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। চেজ ফিরলে ভাঙে আকিলের সঙ্গে তার ৪৭ রানের জুটি। একই ওভারে গুদাকেশ মোতিকেও আউট করেন রশাদ। এরপর আলজারি জোসেফকে সাকিব এবং আকিলকে তাসকিন সাজঘরের পথ দেখালে ২৮ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ৬ বছরে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।

বিনোদন

সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে নয়া রূপে পরীমণি, জানা গেল উদ্দেশ্য

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের আলোচিত ও সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। একাধিক হিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন এই নায়িকা। ওয়েব দুনিয়াতেও নাম লেখিয়েছেন তিনি। এবার কলকাতার চলচ্চিত্রে দেখা যাবে তাকে। ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমা দিয়ে ওপার বাংলায় অভিষেক হতে চলছে পরীমণির। আর সিনেমা মুক্তির আগেই ভিন্নভাবে দেখা গেল পরীকে। সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে ছবি পোস্ট করে আলোচনায় নায়িকা। মূলত সিনেমার প্রচারণার অংশ এটি। আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমাটি। তার সিনেমার আগে প্রচারণা চলছে। আর এবার প্রচারণার অংশ হিসেবে সামনে এল ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমায় পরীমণির লুক। সিনেমায় পরীর চরিত্রের নাম লাবণ্য। সম্প্রতি পরীমণি তার ফেসবুক পেজে ‘ফেলুবক্সী’র পোস্টার শেয়ার করেছেন। সেখানে পরীকে মূলত সিনেমাটির লাবণ্য’র চরিত্রে দেখা যায়। সেখানে কুর্তা গায়ে, কপালে টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর ও হাতে বালাসহ এক অনবদ্য লুকে দেখা যায় এই নায়িকাকে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পরীমনি তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টার শেয়ার দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘লাবণ্যের সঙ্গে পরিচিত হন। যিনি তার উষ্ণতা ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে সব কিছুকে প্রজ্বলন করে। বিশেষ করে তার চওড়া হাসি ও চমৎকার মন দিয়ে যিনি বুদ্ধিদীপ্তভাবে মানবিকতা ও ভালবাসাকে ছড়িয়ে দেয়।’ ‘ফেলুবক্সী’তে অভিনয় প্রসঙ্গে পরীমনি ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘লাবণ্য চরিত্রটা যখন পড়লাম, তখন মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল যে, এটা আমি ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারব। সেই কারণে চরিত্রটা করেছি। কতটা ভাল পেরেছি বা পারছি, সেটা দর্শক বলবে।’ ‘ফেলুবক্সী’ থ্রিলার ঘরানার একটি সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন দেবরাজ সিনহা। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সোহম চক্রবর্তী। এছাড়াও, আছেন কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ছবির শ্যুটিং হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে। ফেলুবক্সী চরিত্রটি স্মার্ট ও প্রযুক্তির সাথে আপডেটেড। সাধারণ এক বাঙালি ছেলে, যে খেতে খুব ভালবাসে আর রহস্যের সমাধান করতে। যে রহস্যের কেন্দ্রে থাকেন পরীমণি।