ঢাকা, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
মেনু |||

চুরির অভিযোগে যুবককে মারধর, চুল কাটার ভিডিও ভাইরাল

‘বিপদে পড়ে খোকন মেম্বরের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলাম। কিন্তু মেম্বর আমার দায়িত্ব নেয়নি। পরে জমিওয়ালা এসে আমাকে অনেক মারধর করে। আরেকজন মাথার চুল কেটে দেয়। একজন আবার সেটা ভিডিও করেন।’

শুক্রবার এভাবেই নিজের নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিচ্ছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নাঈম শেখ। ১৭ এপ্রিল রাতে কলা চুরির অভিযোগে তাঁকে বেধড়ক মারধরের পর চুল কেটে দেওয়া হয়। পরদিন রাতে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

নাঈম শেখ উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মানিক শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। তবে ফেসবুকে ভিডিও ছড়ালেও এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা বাজার থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি গোপকগ্রাম যাওয়ার কথা বলে নাঈমের ভ্যানটি ভাড়া নেন। পথে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আরও দু’জন সহযোগী যুক্ত হন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ভ্যান থামিয়ে ওই ব্যক্তিরা কলাভর্তি একটি সাদা বস্তা ভ্যানে তোলেন। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে ভ্যানচালক নাঈমকে আটক করেন এবং তাঁকে মারধর করেন। এ সময় সেখানে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. খোকন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার বর্ণনায় একই তথ্য জানিয়েছেন নাঈম।

নাঈম জানান, সে সময় তিনি খোকনের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন। পরে জমির মালিক রওশন আলী, সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন। এদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম কাচি দিয়ে তাঁর মাথার চুল কেটে দেন।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে রওশনসহ অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাবীব চৌহান জানান, ফেসবুকে তিনি ভিডিওটি দেখেছেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনা যাই হোক তাঁকে (নাঈম) পুলিশের কাছে সোপর্দ করা উচিত ছিল। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।


ঢাকাওয়াচ/টিআর

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬