
১৭৩ টাকার তালা ৫ হাজার ৫৯০ টাকায় কিনেছিল রেলওয়ে
রাজশাহীতে রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) প্রায় আড়াই কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ১৮ জন কর্মকর্ত...
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানদের প্রতিনিধি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক, এনটিএমসি, এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন। ভোট প্রস্তুতির এই পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এটিই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। সভায় নির্বাচন কমিশনের চার কমিশনার, সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত আছেন।
সরকারের নতুন বাড়িভাতা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করতে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান কর্মবিরতি আরও জোরদার করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে জানানো হয়, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও ৫ অক্টোবর সেটি প্রকাশের পর শিক্ষক-কর্মচারীরা তা গ্রহণ না করে আন্দোলনে নামে। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়িভাতা ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে, তবে সেটি গৃহীত হয়নি। রোববার বিকেলে শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজধানীতে ‘ভুখা মিছিল’ আয়োজন করতে গেলে শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে যাওয়ার পথে হাইকোর্ট মাজার গেট এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সমাবেশে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী ঘোষণা দেন, “সোমবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষকরা আমরণ অনশন শুরু করবেন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছি। তার প্রতি কোনো আস্থা নেই। এখন আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি এবং উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করা।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে, যা চলতি সরকারের মেয়াদেই গেজেট আকারে প্রকাশ ও কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি সূত্র জানায়, জাতীয় পে কমিশন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। কমিশন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেবে। পরিকল্পনামাফিক সবকিছু এগোলে, আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধা পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা। নতুন কাঠামোয় শুধু মূল বেতনই নয়, বরং চিকিৎসা, শিক্ষা, পদোন্নতি ও অন্যান্য ভাতা কাঠামোতেও বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে। একই সঙ্গে কিছু পুরোনো সুবিধা বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত কাঠামোয় ‘সাকুল্য বেতন’ বা ‘পারিশ্রমিক’ নামে একটি নতুন পদ্ধতি চালুর কথা বলা হয়েছে, যেখানে বিদ্যমান ভাতাসহ আর্থিক ও অনার্থিক কোনো অতিরিক্ত সুবিধা থাকবে না। এই ধরনের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে চালু রয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের বিনিময়ে যে সম্মানি পান, তা বাতিলের প্রস্তাবও কমিশনে জমা পড়েছে। এসব খাতে প্রতিবছর সরকারের ব্যয় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংশোধিত বাজেটে রাখা হবে। গেজেট প্রকাশের পরই এটি কার্যকর করা সম্ভব হতে পারে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনের খুনের ঘটনায় নতুন ও চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পুরান ঢাকার যে ভবনে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তার পাশে অবস্থিত একটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার সময় দুজন যুবক তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এদের একজনের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট, অন্যজন পরেছিলেন গোলাপী রঙের টি-শার্ট। তবে ফুটেজের মান খারাপ হওয়ায় ওই দুইজনের মুখ পরিষ্কারভাবে শনাক্ত করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এই দুই তরুণের একজন নাকি জুবায়েদের এক ছাত্রীর প্রেমিক। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে এখন সিসিটিভি ভিডিওটি আরও বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। পাশাপাশি আশপাশের অন্যান্য ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার, ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জুবায়েদের রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, তিনি ওই বাসায় টিউশনি করাতে যেতেন। জুবায়েদ হোসাইন ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ওই বাসাটিই ছিল জুবায়েদের টিউশনের জায়গা। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাত করে রাসেল মিয়া নামের পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় রাসেল মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কনস্টেবল পদে কর্মরত এবং সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। রাসেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ীর রইসনগর এলাকায় তারা পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রায়েরবাগ এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন রাসেল। হঠাৎ ৩-৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার পথরোধ করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তার হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। নুরুল ইসলাম আরও বলেন, “খবর পেয়ে আমরা দ্রুত তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়।” ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সকালে আহত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানিয়েছেন, এনসিপি দল জুলাই সনদে সই না করায় সবাই মন খারাপ করেছে। "এই দল, যুবকরা, এই শিক্ষার্থীরা এত বড় আন্দোলন করেছে। রক্ত ঝরিয়েছে, জীবন দিয়েছে। তারাই যদি সই না করে, বিষয়টা আমাদের কপালে একটা কলঙ্ক তিলকের মতো," তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, "অতএব, আমরা তাদের মানিয়ে নেব।" আজ রবিবার, জাতীয় প্রেসক্লাবে আকরম খাঁ মিলনায়তনে গণশক্তি সভার আয়োজনে ‘জুলাই যোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই সনদ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মান্না এসব কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, "যারা রাগ করে, অভিমান করে সই করছেন না, জেনুইন কোনো কারণে সই করছেন না। তাদের বলি, সই করেন। লড়াইটা করতে পারবেন। লড়াই শেষ হয়নি, লড়াই শুরু। আরও একটা গুণগত রূপান্তরের জন্য আমাদের লড়াই শুরু করতে হবে... সেই লড়াইটাই করতে হবে এই ভোটের সময়।" তিনি বলেন, "তিনটা টার্ম ভোটই হয়নি, যা ইচ্ছা তাই হয়েছে। এবার ভোট হবে। কত ভালো ভোট হবে, তা বলতে পারি না। পুলিশগুলো তো ভালো হয়নি। তারা এখনো কাজ করে না। আর পুলিশের দোষ দেব কী, মানুষ তাদের ওপরে এত আক্রোশ ছিল; পিটিয়ে হত্যা করে গাছের মধ্যে টাঙিয়ে রেখেছে। তাইতো পুলিশ ভয় পায়।" মান্না উল্লেখ করেন, "পুলিশ কনফিডেন্ট নয়। পুলিশকে আপনি সে রকম কোনো আস্থা দেননি। জনগণ, সরকার, সবাই মিলে পুলিশসহ যারাই নির্বাচন করবে, তাদের যদি সেই আস্থার জায়গায় নিতে পারতাম আমরা, তাহলে আরও ভালো ভোট হতে পারত।" সভার সভাপতি সাবেক সচিব ও কূটনৈতিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের আমলাদের কারণে অনেক কাজ করা যায়নি। তিনি বলেন, "এত বড় গণঅভ্যুত্থান হলো, কিন্তু এর পর যতটা পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল, জনগণের যতটা সুফল পাওয়ার কথা ছিল, তা না পাওয়ার পেছনে আমলাদের একটি বড় অংশের বিরাট দায় রয়েছে। জুলাই যোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান প্রদানের ক্ষেত্রেও বহু সরকারি দপ্তরে গড়িমসি দেখা গেছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই বাচ্চাদের অভিশাপে ওইসব আমলাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।" সভায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন, নাগরিক নারী ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেছেন দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে। তিনি রণতরীটিকে ভারতের সামরিক শক্তি ও আত্মনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন, অপারেশন সিন্দুর চলাকালে এই বিক্রান্তই পাকিস্তানকে ‘হাঁটু গেড়ে বসতে’ বাধ্য করেছিল। সোমবার (২০ অক্টোবর) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী মোদি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনের ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন। সোমবার তিনি গোয়া ও কর্ণাটকের কারওয়ার উপকূলে অবস্থানরত আইএনএস বিক্রান্তে গিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দেন। সেখানে উপস্থিত নৌবাহিনীর শতাধিক সদস্যকে উদ্দেশ করে মোদি বলেন, “আজকের দিনটি অসাধারণ, এই দৃশ্য অবিস্মরণীয়। একদিকে আমার সামনে অসীম সাগর, অন্যদিকে ভারত মায়ের বীর সন্তানরা, এ দৃশ্য অনন্য।” তিনি আরও বলেন, “এক পাশে অনন্ত দিগন্ত আর অসীম আকাশ, আর অন্য পাশে এই বিশাল আইএনএস বিক্রান্ত। এটি অসীম শক্তির প্রতীক। সাগরের পানিতে সূর্যের আলো ঠিক সেই দীপাবলির প্রদীপের মতো, যা আপনারা জ্বালিয়েছেন দেশরক্ষার জন্য।” মোদি জানান, দেশীয় প্রযুক্তি ও দক্ষতায় নির্মিত আইএনএস বিক্রান্ত ভারতের সামরিক সক্ষমতার উজ্জ্বল নিদর্শন। তার ভাষায়, “অপারেশন সিন্দুর চলাকালে কয়েক দিনের মধ্যেই এই রণতরী পাকিস্তানকে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেছিল।” তিনি আরও বলেন, “তিন বাহিনীর সমন্বিত ও অসাধারণ প্রচেষ্টার ফলেই পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। আইএনএস বিক্রান্ত কেবল একটি যুদ্ধজাহাজ নয়, এটি একবিংশ শতকের ভারতের পরিশ্রম, প্রতিভা ও প্রভাবের জীবন্ত সাক্ষ্য।” মোদি জানান, তিনি গত রাতটি বিক্রান্তে কাটিয়েছেন। “সে অভিজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন,” বলেন তিনি। “আমি দেখেছি, আপনাদের মধ্যে কতটা শক্তি ও উদ্দীপনা রয়েছে। গত রাতে যখন আপনাদের দেশাত্মবোধক গান গাইতে দেখলাম এবং অপারেশন সিন্দুরের কাহিনী শুনলাম, তখনই বুঝেছি—যুদ্ধে দাঁড়িয়ে একজন জওয়ান যা অনুভব করে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।” বক্তৃতার শেষাংশে মোদি বলেন, “আমার দীপাবলি এবার বিশেষ, কারণ আমি তা আপনাদের মাঝেই উদযাপন করেছি।”
রোববার (১৯ অক্টোবর) জনতা ব্যাংক পিএলসিতে অনুষ্ঠিত তরুণদের উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠানে ব্যাংকের গ্রাহকসেবা এবং নতুন এনএফসি সুবিধাযুক্ত ‘টাকা পে কার্ড’ উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, যিনি ব্যাংকের এই নতুন সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে ঋণ প্রদান ব্যবস্থার ‘ই-ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরগণ মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম, মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ আশরাফুল আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ব্যাংককর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ঋণ প্রদানের পূর্বে সঠিক গ্রাহক বাছাইয়ের জন্য ডিউ ডিলিজেন্স প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে। চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান বলেন, “ই-ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর ফলে ব্যাংকের ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল, স্বচ্ছ ও দ্রুততর হবে।” এছাড়াও, এমডি মোঃ মজিবর রহমান বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনতা ব্যাংক পিএলসিকে আরও শক্তিশালী করার সংকল্প ব্যক্ত করেন।