ব্যাংক বন্ধ হবে না, ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে একীভূতকরণ: গভর্নর

খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ব্যাংক খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হয়েছে। এবার চ্যালেঞ্জ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। যেসব ব্যাংক একেবারে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না, সেগুলো একীভূত করা হবে, বন্ধ হবে না। তবে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ কোথায় গিয়েছে, তা এখনও খোঁজা হচ্ছে। সম্প্রতি অনলাই নিউজ পোর্টাল সময় সংবাদের সঙ্গে একান্ত আলাপে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।ধীরে ধীরে মুক্ত হচ্ছে হাসিনা সরকারের আমলে জিম্মি হয়ে পড়া বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। একই সঙ্গে চলছে গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করার কার্যক্রম।এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। তিন মাসে বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। বাড়তে থাকা এই খেলাপী ঋণের লাগাম টানতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প দেখছেন না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িত বোর্ডগুলো (ব্যাংকের পর্ষদ) ভেঙে দেয়া হয়েছে। যদি ব্যাংকের পর্ষদ ভালো হয়, বিনিয়োগ ভালো হয়, তাহলে ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’গভর্নর জানান, কোনো ব্যাংকই বন্ধ হবে না। তবে, গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষা দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ ব্যাংকগুলো আইন মেনে একীভূত করা হবে। যেসব ব্যাংক কার্যকরভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারবে না, তাদেরকে অন্য সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে বন্ধ করা হবে না। এতে গ্রাহকের ভয়ের কিছু নেই।অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে এস আলম গ্রুপসহ ব্যাংক খাতে আধিপত্য বিস্তার করা কোম্পানির দাপটে পাচার হওয়া অর্থ কোথায় গিয়েছে তা খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনার কর্মযজ্ঞও চলছে। ব্যাংক খাতের কোন তথ্যই গোপন করা হবে না বলেও জানান ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, কিভাবে টাকাগুলো বিদেশে পাচার করা হয়েছে সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অনেকগুলো শনাক্তও করা হয়েছে। টাকা ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বজনপ্রীতির শঙ্কা দেখা দিলেই তা ভেঙে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যাংকের পর্ষদ পরিবারগতভাবে গড়ে উঠলে বা সদস্যরা উপযুক্ত না হলে সেসব পর্ষদ ভেঙে দেয়া হবে।’

লোহাগাড়ায় বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত

চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া মাজার গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিন নারী ও এক শিশু রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে কক্সবাজারগামী রিল্যাক্স পরিবহন বাসের সঙ্গে চট্টগ্রাম অভিমুখী দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা যান। তারা সবাই হাইয়েসের যাত্রী ছিলেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে পুলিশ জানিয়েছে। দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘সোমবার (৩১ মার্চ) পাঁচজন নিহত হওয়ার জাঙ্গালিয়া পাড়া এলাকার একই স্থানে সকালে কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সাত যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয় আরও ছয়জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’ লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পরিচয় জানার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে ঈদের দিন গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে একই স্থানে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের প্রাণহানি হয়।

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কী বলেছেন ড. ইউনূস, ভারতে তোলপাড় কেন?

সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাতটি রাজ্য নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। আর দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা পবন খেরা বলেছেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিষয়ে ঢাকার দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’ এনডিটিভি, এএনআইয়ের। চার দিনের চীন সফরে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য। এই রাজ্যগুলো ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। সমুদ্রে পৌঁছানোর জন্য তাদের যোগাযোগের কোন উপায় নেই। এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।’ মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটি বিশাল এক সম্ভাবনা উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণও হতে পারে।’ মূহাম্মদ ইউনূসের এই মন্তব্য নিয়ে ভারতের রাজনীতিবিদ, সাবেক আমলা ও নীতিনির্ধারকদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ড. ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করার জন্য আরও শক্তিশালী রেল ও সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা জরুরি।’ তিনি বলেছেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যকে ল্যান্ডলকড (স্থলবেষ্টিত) এবং বাংলাদেশকে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক হিসাবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্য আপত্তিজনক এবং অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই মন্তব্য ভারতের কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডোর নিয়ে দীর্ঘ দিনের দুর্বলতার ন্যারেটিভকেই তুলে ধরে।’ ভারতের ‘চিকেনস নেক’ খ্যাত করিডোরটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির এক প্রান্তে অবস্থিত; যা ওই অঞ্চলটিকে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। চিকেনস নেক খ্যাত করিডোরের এই প্রান্তে নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভুটানেরও অবস্থান রয়েছে। বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে, এমনকি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গোষ্ঠীও মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ করিডোরটি বিচ্ছিন্ন করার কথা বলছে। সুতরাং চিকেনস নেক করিডোরের নিচে এবং চারপাশে আরও শক্তিশালী রেলপথ এবং সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়া চিকেনস নেককে কার্যকরভাবে এড়িয়ে উত্তর-পূর্বকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিকল্প সড়কপথ অনুসন্ধানে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’ তবে এই কাজে প্রকৌশলগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে জানিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দৃঢ় সংকল্প এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে এটির বাস্তবায়ন সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ তার এসব মন্তব্য গভীর কৌশলগত এবং দীর্ঘকালীন এজেন্ডা প্রতিফলিত করে।’ দেশটির রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা পবন খেরা বলেছেন, ‘ভারতকে অবরুদ্ধ করার জন্য চীনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের উত্তর-পূর্বের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত বিপজ্জনক। কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরকে দেখছে না এবং চীন অরুণাচল প্রদেশে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এমন এক শোচনীয় পর্যায়ে রয়েছে যে, যার (বাংলাদেশ) সৃষ্টির জন্য আমরা প্রধান ভূমিকা পালন করেছি, এখন সেই দেশটি আমাদের ঘিরে রাখতে ব্যস্ত।’ ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য ত্রিপুরার রাজনৈতিক তিপরা মোথা পার্টির নেতা প্রদ্দূত মানিক্যও ড. ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এক সময় আমাদের যে আদিবাসীরা চট্টগ্রামকে শাসন করেছিল, তাদের সমর্থনে সমুদ্রে যাওয়ার জন্য ভারতের রুট তৈরি করার সময় এসেছে। আমরা আর অকৃতজ্ঞ শাসনব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল নই।’ ত্রিপুরার এই রাজনীতিক বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন ভারতীয় ইউনিয়নের অংশ হতে চাইলেও বন্দরটি ছেড়ে দেওয়াটা ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল।’ বাংলাদেশকে টুকরো টুকরো করে ফেলার মতো বেফাঁস কথা বলেছেন তিপরা মোথা পার্টির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবনী ও প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয়ের পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙেও ফেলে সমুদ্রের নিজেদের পথ তৈরি করতে পারি। চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে সবসময় উপজাতিরা বসবাস করতেন; যারা ১৯৪৭ সাল থেকে ভারতের অংশ হতে চেয়েছিলেন। সেখানে ত্রিপুরা, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ মানুষ রয়েছেন; যারা বাংলাদেশে তাদের ঐতিহ্যবাহী ভূমিতে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাস করেন। এটিকে আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও তাদের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা উচিত।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল চীন সফরে গিয়ে ড. ইউনুস উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা কেন উল্লেখ করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সঞ্জীব সান্যাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য আসলে কী?’ তিনি বলেন, ‘মজার বিষয় হলো, ড. ইউনূস চীনাদের কাছে প্রকাশ্যে ভারতের সাতটি রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগে চীনকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় রাজ্যগুলো স্থলবেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য আসলে কী?’ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাই কমিশনার বীণা সিক্রি ড. ইউনূসের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য অত্যন্ত হতাশাজনক। এ জাতীয় বক্তব্য দেওয়ার কোন অধিকার তার নেই। তিনি জানেন উত্তর-পূর্ব ভারত হলো ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আলোচনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও আছে।’

এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের আভাস, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়

চলতি এপ্রিল মাসে দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু (৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ১ থেকে ২টি তীব্র (৪০-৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ৫-৭ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এবং ১-৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। নদ-নদীর অবস্থায় বলা হয়েছে, ‘এপ্রিল মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের নদ-নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।’

জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জঙ্গি সমস্যার উত্থান হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশে কোনো জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত সমস্যার উত্থান হয়নি।’ বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর খিলক্ষেত, বাড্ডা, ভাটারাসহ বিভিন্ন থানায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কোন পত্রিকা কী বলে, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে দেশে এই মুহূর্তে জঙ্গিবাদ নিয়ে কোনো উদ্বেগ দেখছি না।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর প্রথমে সরকার ছিল না, তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এখন সবাই একত্রে চেষ্টা করছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও এই উন্নতি অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘এজহারে অনেকের নাম এসেছে, তবে এমন অনেকেই রয়েছে যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন এবং সে সময় বিদেশে ছিলেন। আমরা প্রপার তদন্ত করছি এবং নির্দোষ কোনো ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হবে না।’ জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আজকের থানা পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া।’

ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষ

হাইলাইটস
রাজনীতি

সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন। সবার উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনাদের এত ত্যাগ ও সংগ্রাম বৃথা যায়নি এবং যাবে না। দেশবাসীর ভোটাধিকার সবাই মিলে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘ দিন পর সবাইকে এভাবে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় আগামীর পথচলায় দেশবাসীর দোয়া ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরো অংশগ্রহণ করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আহ্বায়ক আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

আ.লীগ ও দিল্লির প্রশ্নে দেশের মানুষ কোন আপস করবে না: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

সারাদেশ

বিএনপি কখনো বলেনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার, ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

আগে নির্বাচন পরে সংস্কার- এমন কথা বিএনপি কখনো বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগে নির্বাচন পরে সংস্কারের কথা বলেনি। এটা যদি কেউ বলে থাকে তাহলে, ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমরা বলেছি, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে ন্যূনতম যে সংস্কার প্রয়োজন সেটা করতে হবে। কারণ এই সংস্কারের প্রথম দাবি ছিল বিএনপির।’ আজ বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের তাতিপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপিকে টার্গেট করা হচ্ছে দাবি করে মহাসচিব বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপিকে টার্গেট করে প্রচারণা করা হচ্ছে যে, বিএনপি আগে নির্বাচন চায়, তারপর সংস্কার চায়। অথবা সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়, যা একবারে মিথ্যা। আমি সরাসরি বলতে চাই, এ নিয়ে জনগণের মাঝে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাজনৈতিক দলগুলোর সেটা যেই দল হোক না কেন। যারা সংস্কারের এসেছেন তাদের আমরা শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। তবে তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে বিএনপি সেটা সমর্থন করবে না।’ মহাসচিব আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার পর যদি স্বৈরাচার হয়ে উঠে তাহলে জনগণই তাদের বের করে দেয়। যার বাস্তব প্রমাণ আওয়ামী লীগ।’ এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ উপস্থিত ছিলেন।

আমার এলাকার খবর
আন্তর্জাতিক

কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের গোলাগুলি, উত্তেজনা

কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সীমান্তে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। ভারতের সেনাবাহিনীর বেশ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী লাইন অব কন্ট্রোল পার হয়ে গুলিবর্ষণ করলে এই উত্তেজনা দেখা দেয়। জবাবে ভারতীয় সেনারাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বুধবার (২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলায় অনুপ্রবেশ করেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশ কিছু সূত্র জানিয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, ১ এপ্রিল নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের কারণে কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে একটি মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। আমাদের সেনারা নিয়ন্ত্রিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বজায় রাখার জন্য দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের মহাপরিচালকদের মধ্যে হওয়া সমঝোতার নীতিমালা বজায় রাখার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা সহিংসতার কারণ হতে পারে এমন উদ্বেগগুলো সমাধানে সম্মত হন। উভয় পক্ষই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্ত চুক্তি, সমঝোতা এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। অন্যদিকে কাশ্মির সীমান্তে উত্তেজনা ও গোলাগুলির বিষয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বা পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এখনও কোন তথ্য সামনে আসেনি।

প্রথম বার বৈঠকে বসছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি

অর্থনীতি

ব্যাংক বন্ধ হবে না, ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে একীভূতকরণ: গভর্নর

খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ব্যাংক খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হয়েছে। এবার চ্যালেঞ্জ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। যেসব ব্যাংক একেবারে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না, সেগুলো একীভূত করা হবে, বন্ধ হবে না। তবে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ কোথায় গিয়েছে, তা এখনও খোঁজা হচ্ছে। সম্প্রতি অনলাই নিউজ পোর্টাল সময় সংবাদের সঙ্গে একান্ত আলাপে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।ধীরে ধীরে মুক্ত হচ্ছে হাসিনা সরকারের আমলে জিম্মি হয়ে পড়া বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। একই সঙ্গে চলছে গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করার কার্যক্রম।এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। তিন মাসে বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। বাড়তে থাকা এই খেলাপী ঋণের লাগাম টানতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প দেখছেন না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িত বোর্ডগুলো (ব্যাংকের পর্ষদ) ভেঙে দেয়া হয়েছে। যদি ব্যাংকের পর্ষদ ভালো হয়, বিনিয়োগ ভালো হয়, তাহলে ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’গভর্নর জানান, কোনো ব্যাংকই বন্ধ হবে না। তবে, গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষা দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ ব্যাংকগুলো আইন মেনে একীভূত করা হবে। যেসব ব্যাংক কার্যকরভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারবে না, তাদেরকে অন্য সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে বন্ধ করা হবে না। এতে গ্রাহকের ভয়ের কিছু নেই।অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে এস আলম গ্রুপসহ ব্যাংক খাতে আধিপত্য বিস্তার করা কোম্পানির দাপটে পাচার হওয়া অর্থ কোথায় গিয়েছে তা খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনার কর্মযজ্ঞও চলছে। ব্যাংক খাতের কোন তথ্যই গোপন করা হবে না বলেও জানান ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, কিভাবে টাকাগুলো বিদেশে পাচার করা হয়েছে সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অনেকগুলো শনাক্তও করা হয়েছে। টাকা ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বজনপ্রীতির শঙ্কা দেখা দিলেই তা ভেঙে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যাংকের পর্ষদ পরিবারগতভাবে গড়ে উঠলে বা সদস্যরা উপযুক্ত না হলে সেসব পর্ষদ ভেঙে দেয়া হবে।’

কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম

খেলাধুলা

পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। বুধবার (২ এপ্রিল) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচেও ৭৩ রানে জয় পাওয়া নিউজিল্যান্ড এই ম্যাচেও নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টম ল্যাথামের দল। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে বড় অবদান রাখেন ড্যারিল মিচেল। মাত্র ৭৮ বলে অপরাজিত ৯৯ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৭টি ছক্কা। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও তার ইনিংসেই কিউইরা বড় সংগ্রহের ভিত পায়। এ ছাড়া অভিষিক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আব্বাস ৬৬ বলে ৪১ রান করেন। ওপেনার নিক হিলি ২৩ বলে ৩১ রান এবং হেনরি নিকোলস ৩২ বলে ২২ রান করেন। তবে বাকিরা তেমন বড় অবদান রাখতে পারেননি। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও সুফিয়ান মুকিম ২টি করে উইকেট নেন। তবে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা বাজে দিন কাটান, অতিরিক্ত ৩২ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে সাহায্য করেন তারা। লক্ষ্য তাড়ায় কখনই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি পাকিস্তান। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমের সঙ্গে তৈয়ব তাহিরের জুটিও শেষ হয় ৩৩ রানে। ১১৪ রানে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তান ফাহিম ও নাসিমের ব্যাটে পায় সবচেয়ে বড় জুটির দেখা। নবম উইকেটে তারা গড়েন ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি। দুজনেই পান ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা। ৮০ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করা ফাহিমের বিদায়ে ভাঙে জুটি। সুফিয়ান মুকিমের সঙ্গে শেষ উইকেটে ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করে শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসিম আউট হন ৪৪ বলে ৪টি করে ছক্কা-চারে ৫১ রান করে।

বিনোদন

পাইরেসি বন্ধে বিশেষ বার্তা শাকিবের, দিলেন ৪ পরামর্শ

প্রেক্ষাগৃহে ঈদের সিনেমা মুক্তি পেলেই শুরু হয় পাইরেসির সমস্যা। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির মেধা সম্পদ পাইরেসির কবলে পড়ে সৃষ্টিশীল শিল্পকে ধ্বংস করছে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই পাইরেসি বন্ধে বিশেষ বার্তা দিলেন ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান। ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে পাইরেসি প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দেন শাকিব। সেখানে পাইরেসি বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।স্ট্যাটাসে শাকিব সবাইকে পাইরেসিকে রুখে দিতে এগিয়ে আসতে বলেন। এরজন্য ৪টি কাজের পরামর্শও দেন। এগুলো হল বাংলা সিনেমার উন্নতির স্বার্থে কোনো সিনেমাই যেন পাইরেসির শিকার না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে; আবেগতাড়িত হয়ে সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে; প্রেক্ষাগৃহে কেউ ভিডিও করলে তাকেও নিষেধ করতে হবে এবং প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে।সবশেষে শাকিব স্ট্যাটাসে লেখেন, দেশের প্রচলিত আইনে পাইরেসি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং পাইরেসিকে না বলুন।এবারের ঈদে শাকিব অভিনীত দুইটি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। একটি অ্যাকশন ও রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা ‘বরবাদ’। এ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইধিকা পাল।অন্যটি রোমান্টিক ও ট্রাজেডি ঘরানার সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’। এ সিনেমাতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।