অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস

Capকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যায় নষ্ট হয়েছে আউশ ধান। ছবি : কালবেলা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যায় নষ্ট হয়েছে আউশ ধান। ছবি : কালবেলা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস

জাতীর পাট দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার পর পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধনও করবেন তিনি। এছাড়া, এদিন ইজারার জন্য নির্ধারিত বিজেএমসির ছয়টি মিলের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এছাড়াও পাট দিবসের এ অনুষ্ঠানে এ খাতে সমৃদ্ধির ধারা চলমান ও বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার প্রদান করা হবে। ১১টি ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে এ সম্মাননা। পাট দিবস উপলক্ষ্যে ১৪ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী বহুমুখী পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী 

ঢাকা: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দারিদ্র্য যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশন বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা, অংশীজন ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সারা দেশে শিক্ষার্থীদেরকে মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছেন, যে কারণে ক্রমাগত ঝরে পড়ার হার কমে যাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে যেভাবে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি, তাতে ঝরে পড়া একদমই কমে যাচ্ছে। নতুন পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, আমি সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রতিদিন  ৫০০ জনের সঙ্গে জুম মিটিং করেছি টানা বিয়াল্লিশ দিন এবং তখন প্রত্যেকের কাছ থেকে একটি কথাই আমি শুনেছি, যেই শ্রেণি কক্ষগুলোতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। সেই শ্রেণি কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শতভাগ এবং তাদেরকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। তারা শ্রেণি কক্ষে আসছে, সেখানে পড়ছে ও ভালো করছে, আনন্দের সঙ্গে শিখছে। তিনি বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী যারা আছে যাদের উচ্চশিক্ষার পথে দারিদ্র হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই শিক্ষার্থীদের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। তারা যেন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যে সক্ষমতা আছে, যার যা মেধা আছে, সে অনুযায়ী তারা যেন পারে। মন্ত্রী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনহিতকর কর্মসূচি সম্পর্কে দিপু মনি বলেন, এ মন্ত্রণালয় থেকে নানা ধরনের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আমি কিডনি ডায়ালাইসিস সুবিধা সহজলভ্য করার জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি, সে লক্ষ্যে রিসোর্স ম্যাপিং চলছে। এছাড়া বয়স্কদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনেও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত রোগী ও অ্যাটেন্ডডেন্টদের থাকার জন্য ডরমিটরি স্থাপনের জন্যও কাজ করছেন বলে জানান তিনি। এরপর মন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীরা হাতে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

পর্দা উঠছে একুশে বইমেলার, বিকেলে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকাওয়াচ/টিআর

ফসলের মাঠ থেকে আলু রপ্তানি হচ্ছে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে

দেশে খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পর এবার ফসলের মাঠ থেকে সরাসরি এখন মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামার আলু। গতবছরের চেয়ে বেশি পরিমাণে এই আলু রপ্তানির আশা করছেন কৃষক। আর আলু রপ্তানিতে কৃষি বিভাগ রপ্তানিকারকদের সাথে কৃষকদের যোগসূত্র স্থাপনে কাজ করছেন। এতে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের। চলতি মৌসুমের মাঝখানে আলুর দাম কিছুটা কম থাকলেও এখন আলু রপ্তানিতেও ভাল দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এবার খানসামা থেকে ১০ হাজার টন আলু রপ্তানির আশা করছেন কৃষি বিভাগ, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ১০০ টন আলু রপ্তানি হয়েছে। চলতি মৌসুমে খানসামা উপজেলায় বীজ, সার ও কীটনাশকের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান সময়ে দেশে ও দেশের বাইরে আলুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা গেছে। খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ২ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার টন আলু বিদেশে রপ্তানি হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মত কাজ করছে কৃষি বিভাগ। ইতিমধ্যে ১০০ টন আলু রপ্তানি হয়েছে। খানসামায় উৎপাদিত সাগিতা, গ্রানুলা, সানসাইন, কুমরিকা, সেভেন জাতের আলু মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। তবে সাগিতা জাতের আলু বেশি রপ্তানি হচ্ছে। হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আবদুল আলীমসহ প্রায় শতাধিক কৃষক কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রফতানিকারকদের মাধ্যমে বিদেশে আলু রফতানি করছেন। জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১৪-১৫ টাকা দরে বিদেশে রপ্তানি করছেন চাষিরা। এতে কৃষকরাও বেশ খুশি। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, খানসামা উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। গত বছরগুলোর তুলনায় এবার বিদেশে আলুর চাহিদাও বেড়েছে। আলু রপ্তানিতে কৃষি বিভাগ রপ্তানিকারকদের সাথে কৃষকদের যোগসূত্র স্থাপনে কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় রফতানিযোগ্য জাতের আলুর চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা আলু বিদেশে রপ্তানি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে। ঢাকাওয়াচ/স

টিরানোসরাসের চেয়েও ভয়ানক প্রাণীর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং হিংস্র মাংসাশী প্রাণীর মধ্যে অন্যতম ছিল টিরানোসরাস রেক্স। টিরানোসরাসদের থেকেও ভয়ানক প্রাণীর অস্তিত্ব মিলেছে। তার নাম প্লিওসর। সম্প্রতি ১৫ কোটি বছর পুরনো সেই প্লিওসরের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশালাকার সেই জীবাশ্ম দেখে তাজ্জব হয়েছেন তারা। এই নতুন অনুসন্ধানের কথা ‘প্রসেডিংস অব দ্য জিওলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই খোঁজ বিজ্ঞানের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পোল্যান্ডের সুইতোকার্জিকির কাছে একটি ভুট্টা খেতের মধ্যে প্লিওসরের এই জীবাশ্ম মিলেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সে সময়ের একটি বিশালাকার সরীসৃপ প্রাণী ছিল প্লিওসররা। খোঁজ পাওয়া প্লিওসরটি প্রায় ৩৩ ফুট লম্বা। তবে সে সময়ে এর থেকে আরও অনেক বড় প্লিওসর ছিল বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এদের চোয়ালে দাঁতের বিন্যাস ছিল অনেকটা কুমিরের মতো। টিরানোসরাসের থেকেও পাঁচ গুণ বেশি শক্ত ছিল এদের চোয়াল। দাঁতও ছিল ভীষণ ধারালো। এরা যা পেত, তাই খেত। এরা এতটাই ক্ষমতাশালী ছিল যে, প্রয়োজনে টিরানোসরাসদেরও চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারত তারা। তবে বিশালাকার এই প্লিওসররা সমুদ্রে বাস করত। সাঁতারের সুবিধার জন্য তাদের পাগুলো ছিল মাছের পাখনার মতো। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের সমস্ত প্রাণী, এমনকি তিমিদেরও খেয়ে ফেলত তারা। প্লিওসরদের পেশি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সমুদ্রের উপরে জলের কাছাকাছি উড়ে যাওয়া বড় আকারের পাখিদেরও এরাজল থেকে ঝাঁপিয়ে সহজেই ধরে ফেলতে পারত। ঢাকাওয়াচ/স