শীত তাড়াতে ঘর সাজানোর পাঁচ কৌশল
শীতকালে ঘরকে গরম ও আরামদায়ক রাখতে সঠিক উপায়ে সাজানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীত তাড়াতে ও ঘরকে আরামদায়ক করার জন্য পাঁচটি কার্যকর কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে। গরম কাপড় বা ফ্যাব্রিকস ব্যবহার করুন: ঘরে ভারী ও গরম কাপড়ের পর্দা বা ব্ল্যাংকেট যোগ করুন। যেমন- মখমল, ফ্ল্যানেল বা উল দিয়ে তৈরি পর্দা ব্যবহার করুন। সোফা ও চেয়ারের জন্য উষ্ণ কুশন বা কাভার ব্যবহার করুন। বিছানায় হেভি কমফোর্টার বা ডুভেট রাখুন। কার্পেট: ফ্লোর ঠান্ডা হয়ে গেলে ঘরে শীত বেশি লাগে। তাই, উলের বা ফোমের মোটা কার্পেট ব্যবহার করুন। রঙিন ও টেক্সচারযুক্ত কার্পেট ঘরের উষ্ণতা ও সৌন্দর্য বাড়ায়। উজ্জ্বল রঙের ডেকর: শীতের সময় উজ্জ্বল রঙের সামগ্রী ঘরে একটা উষ্ণ ভাব এনে দেয়। যেমন- হলুদ, কমলা বা লাল রঙের কুশন, কাভার বা পর্দা। দেয়ালে উজ্জ্বল রঙের আর্টওয়ার্ক বা পোস্টারও ব্যবহার করা যেতে পারে। আলো ও উষ্ণতার সঠিক ব্যবস্থা: ঘরের উষ্ণতা ধরে রাখতে জানালা-দরজার চারপাশে রাবার সিল লাগান। গরম বাতি বা হলুদ আলো ব্যবহার করুন। মোমবাতি বা ডেকোরেটিভ ফায়ারপ্লেসের ব্যবস্থা করুন। উদ্ভিদ ও প্রাকৃতিক উপাদান: শীতকালে ঘরে কিছু গাছ বা সবুজ উদ্ভিদ রাখলে একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। যেমন- ঘরের কোণে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা যেতে পারে। বাঁশ, কাঠ বা কৃত্রিম ফারের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করুন।এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে শীতের সময় ঘরকে গরম, আরামদায়ক ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলা যায়।
শীতে ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে যা করবেন
ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা জমে ফুলে ওঠে, যা ব্রণ নামে পরিচিত। প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ হয় ও লাল হয়ে যায়। জীবাণুর সংক্রমণ হলে এতে পুঁজ হয়। সংক্রমণ সেরে গেলেও মুখে দাগ থেকে যেতে পারে। ব্রণ একটি সাধারণ কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি ত্বকের রোগ। বয়স, লিঙ্গ, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কারণে ব্রণ হয়। ত্বকের খুব সাধারণ এই সমস্যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। ফলে, ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ব্রণ নিয়ে চিন্তিত? শীত হোক কিংবা গরম, কোন ঋতুতেই পিছু ছাড়ছে না এই সমস্যা। তাহলে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন? দৈনন্দিন কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্রণের সমস্যা থেকে পেতে পারেন। তা হল- ত্বক পরিষ্কার রাখুন: মুখে ব্রণ থাকলে ত্বক দিনে অন্তত দুই বার পরিষ্কার করতে হবে। এতে ছিদ্রগুলো ভালভাবে পরিষ্কার হয়। মুখ থেকে অতিরিক্ত সিবাম ও ধুলা-ময়লা দূর হয়। এ জন্য, মৃদু ও প্রাকৃতিক উপাদানসহ একটি মাইল্ড ক্লিনজিং লোশন বেছে নিন। সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। তৈলাক্ত ব্রণ প্রবণ ত্বকের ব্যক্তিদের লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয় না। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজারগুলো আপনার ত্বককে আঠালো বা চটচটে না করেই হাইড্রেটেড রাখতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহার: একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্য ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু, যাদের ত্বকে খুব ব্রণ হয় তারা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন বা জেলভিত্তিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। জেলভিত্তিক সানস্ক্রিন খুবই লাইটওয়েট হয়, যা আপনি আপনার মেকআপের ভিত্তি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। হাতের নখ ছোট রাখুন: ব্রণের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাতের নখ ছোট রাখুন। কেননা হাতের নখের সংস্পর্শে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই, হাতের নখ সব সময় ছোট রাখুন। মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রাখা: মেকআপ ব্রাশ, মেকআপ স্পঞ্জ অপরিষ্কার থাকলে এবং বহু দিন ধরে সেগুলো ব্যবহার করলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আরও বেশি থাকে। তাই, নোংরা ব্রাশ, স্পঞ্জ ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন। না হয় ময়লা ব্রাশ, স্পঞ্জে থাকা ব্যাকটেরিয়া আপনার ত্বকে আরও বেশি ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। মেকআপ তুলে ঘুমান: ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ অপসারণ ও ত্বক পরিষ্কার করুন। রাতে মেকআপ করে রাখলে ত্বকের ছিদ্রগুলো আটকে যেতে পারে ও ব্রণ-পিম্পল হতে পারে। রাতে মেকআপ অপসারণ বা মুখ পরিষ্কার করা কেবল ব্রণের হাত থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে না, পাশাপাশি আপনার ত্বককে সুস্থ, পরিপুষ্ট ও সতেজ রাখে।
যেসব কারণে শীতকালে অগ্নিকাণ্ড বেশি
শীতকালে অগ্নিকাণ্ড বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ কাজ করে। ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য মানুষ যে ধরনের গরম করার পদ্ধতি বা যন্ত্র ব্যবহার করে, তার সঙ্গে অসতর্কতা বা অবহেলা মিলিত হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জেনে নিন শীতকালে অগ্নিকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো- গরম করার যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসতর্কতা: শীতে ঘর গরম রাখতে হিটার, কাঠ বা কয়লার চুলা, কেরোসিন বাতি ইত্যাদি বেশি ব্যবহার করা হয়। এগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে আগুন ধরে যেতে পারে। ইলেকট্রিক হিটারের ওভারলোড বা ভুল ব্যবহার আগুনের কারণ হতে পারে। গ্যাস বা কাঠের চুলার ব্যবহার বৃদ্ধি: শীতে রান্নার সময় গ্যাস চুলা বা কাঠের চুলার ব্যবহার বাড়ে। অসাবধানতাবশত আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি কাছাকাছি দাহ্য বস্তু থাকে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অতিরিক্ত চাপ: শীতে একসঙ্গে বহু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যেমন- হিটার, ওয়াটার হিটার ব্যবহারের কারণে বৈদ্যুতিক তারের উপর চাপ বেড়ে যায়, যা শর্ট সার্কিটের কারণ হতে পারে। শুষ্ক আবহাওয়া: শীতে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকে। ফলে, আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। দাহ্য পদার্থের মজুত: শীতে কাঠ, কেরোসিন এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থ বেশি মজুত রাখা হয়, যা আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ায়। বহু সময় এসব পদার্থ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। অলংকার বা পোশাক থেকে আগুন লাগা: শীতে ভারী ও লম্বা কাপড় (যেমন শাল, চাদর) ব্যবহৃত হয়, যা সহজেই চুলা বা হিটারের আগুনে স্পর্শ করে দাহ্য হতে পারে। ধূমপানজনিত অসতর্কতা: শীতে অনেকেই ঘরের ভেতরে ধূমপান করে, যা থেকে অজান্তে আগুন লেগে যেতে পারে। উৎসব ও আলোকসজ্জা: শীতকালীন উৎসবের যেমন: বড়দিন, পহেলা ফাল্গুন সময় মোমবাতি, ফানুস বা আতশবাজি ব্যবহারে অসতর্কতা থাকলে অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সঠিকভাবে ব্যবহার করুন ও নিয়মিত পরীক্ষা করুন; দাহ্য পদার্থ সুরক্ষিত জায়গায় সংরক্ষণ করুন; হিটার ও চুলার কাছাকাছি দাহ্য বস্তু রাখবেন না; ধূমপান বা খোলা আগুন ব্যবহারে সতর্ক থাকুন; অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যেমন- ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার) ঘরে রাখুন ও প্রয়োজনে ব্যবহার করতে শিখুন। সতর্কতা অবলম্বন করলে শীতকালীন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
রাতে ভাল ঘুমের জন্য খেতে পারে যেসব খাদ্য
খাবার ও ঘুম একটির সাথে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। আবার দেহকে সুস্থ রাখতেও কাজ করে খাদ্য ও ঘুম। তাই, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘রাতে ভাল ঘুমের জন্য নিয়মিত ডায়েট লিস্টে নির্দিষ্ট কিছু খাদ্য রাখা জরুরি।’ সূত্র হেলথলাইন। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু খাবার রয়েছে; যা খেলে আপনার রাতের ঘুম ভালে হবে। শরীরে মেলাটোনিন ও কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ হয়। ফলে রাতে ভাল ঘুম হয়। তাই, চলুন জেনে নিই, কোন খাবার খেলে রাতে ভাল ঘুম হয়:গরম দুধ: রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। এটি রাতে ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। এছাড়া, দুধে বিদ্যমান অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান ভাল ঘুমের জন্য সহায়ক।ডিম: ডিমে আছে ভিটামিন ডি। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে, ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে। ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না।মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘ঘুমের মাসি’। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ঘুমাতে সাহায্য করে।কাঠবাদাম: কাঠবাদাম মেলাটোনিনের উৎস। ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন, যা আমাদের দেহঘড়িকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাঠবাদামে আরও আছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ভাল ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই, ভাল ঘুমের জন্য রাতে একমুঠো কাঠবাদাম খেতে পারেন।কলা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি উপাদান, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ঘুম ভাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মধু: মধু সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে। নিয়মিত মধু খেলে ভাল ঘুম হয়।সাদা ভাত: ভাত বলতে আমরা সাধারণভাবে সাদা ভাতকে বুঝি, যা আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় হুট করে। এর কারণে ঘুম ভাল হয়।তেলযুক্ত মাছ: তেলযুক্ত মাছে থাকে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ঘুমের আবেশ আনতে কাজে আসে এ দুইটি উপাদান। ভাল ঘুমের জন্য রাতে তেলযুক্ত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।তবে, মনে রাখবেন, নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদও দূর করে। রাতে ভাল ঘুম গভীর হতেও কাজ করে। তাই, ডায়েট লিস্টে উল্লিখিত খাবারগুলো রাখার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
শীতের সকালে নয় পুষ্টিকর নাশতা
শীতের সকালের নাশতায় এমন খাদ্য বেছে নেয়া ভাল, যা গরম, পুষ্টিকর ও এনার্জি দেয়। জেনে নিন হিমদিনের জন্য সহজ ও মজাদার নাশতায় কী কী পদ থাকতে পারে। খিচুড়ি ও ডিম ভাজি: গরম খিচুড়ি শীতের সকালে দারুণ আরামদায়ক। সাথে এক বা দুইটি ভাজা ডিম খেলে পুষ্টি আরও বাড়বে। সবজি বা মুরগির স্যুপ: হালকা গরম স্যুপ শীতের সকালে দেহ গরম রাখতে সাহায্য করে। স্যুপে নানা রকমের শাকসবজি বা চিকেন যোগ করতে পারেন। পরোটা ও সবজি কারি: ঘরে বানানো পরোটা ও সবজি বা ডাল দিয়ে কারি মজাদার ও পুষ্টিকর হয়। দুধ-চিড়া ও মধু: চিড়ার সঙ্গে গরম দুধ ও মধু মিশিয়ে নাশতা হিসেবে খেতে পারেন। এটি হালকা, পুষ্টিকর ও খুব দ্রুত তৈরি করা যায়। ওটস পোরিজ: ওটস দুধে রান্না করে তার সঙ্গে মধু, বাদাম ও ফল যোগ করুন। এটি স্বাস্থ্যকর ও সহজ নাশতা। পায়েস বা সেমাই: গরম দুধ দিয়ে রান্না করা পায়েস বা সেমাই শীতের সকালে ভাল লাগে। ডিমের ঝুরি ও টোস্ট: ভাজা ডিমের ঝুরি বা ওমলেটের সঙ্গে গরম টোস্ট ব্রেড খেতে পারেন। সঙ্গে এক কাপ চা বা কফি হলে মজাই আলাদা। মিষ্টি আলু বা ভাপা পিঠা: শীতের ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠা বা মিষ্টি আলু নাশতায় রাখলে মজার সঙ্গে পুষ্টিও মেলে। ফলের সালাদ ও বাদাম: যদি হালকা কিছু চান, তবে ফলের সালাদে কিছু বাদাম বা দই যোগ করুন। এটি স্বাস্থ্যকর ও এনার্জি-ফিলড।আপনার পছন্দ অনুযায়ী এগুলোর যে কোন একটি বেছে নিন, আর দিন শুরু করুন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নাশতার মাধ্যমে।
জেনে নিন ব্রোকলি খাওয়ার উপকারিতা
ব্রোকলি খাওয়ার অশেষ উপকারিতা। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি, যা দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ও সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ব্রোকলি বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীর সুরক্ষিত রাখতে পারে। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। তাই, ত্বকের অ্যালার্জি সংক্রান্ত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্রোকলি দারুণ কার্যকর। ব্রোকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬, ফলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। এছাড়াও, এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও সালফারযুক্ত যৌগ রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জেনে নিন ব্রোকলি খাওয়ার উপকারিতা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ব্রোকলিতে ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে ও সাধারণ ঠান্ডা-কাশি থেকে রক্ষা করে।ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক: এতে রয়েছে সালফোরাফেন নামক উপাদান, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত স্তন, প্রোস্টেট ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে রয়েছে, যা হাড়ের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ব্রোকলিতে পটাসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ভাল রাখে। ডিটক্সিফিকেশন: ব্রোকলিতে সালফার ও গ্লুকোফানিন থাকে, যা লিভার পরিষ্কার করে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।হজমে সহায়ক: ফাইবারের উচ্চ পরিমাণ থাকার কারণে ব্রোকলি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।চোখের জন্য উপকারী: এতে ভিটামিন এ এবং লুটেইন থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও চোখের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করে।ওজন নিয়ন্ত্রণ: ব্রোকলিতে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি, যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূর রাখতে সাহায্য করে ও ওজন কমাতে সহায়ক।ত্বক ও চুলের জন্য ভাল: এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ব্রোকলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। কীভাবে ব্রোকলি খাবেন: ব্রোকলি সালাদ, স্যুপ, ভেজিটেবল স্টার-ফ্রাই কিংবা হালকা ভাপে রান্না করে খাওয়া সবচেয়ে ভাল। খুব বেশি সেদ্ধ বা ভাজা না করা ভাল। কারণ এতে পুষ্টিগুণ কিছুটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।পরামর্শ: নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ব্রোকলি রাখলে দেহ আরো শক্তিশালী ও সুস্থ থাকবে। তবে, অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ও কাঁচা অবস্থায় ভালভাবে ধুয়ে নিন।
শীতে পাঁচ উপকরণ মেশানো চায়ে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
কমছে তাপামাত্রা, বাড়ছে শীত। এ সময়ে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই সর্দি-গলাব্যথা খুব সহজেই ধরে যাচ্ছে। সেই সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, জ্বর, শরীর, হাত-পায়ে ব্যথা- এসব তো আছেই। তাই, দেহ সুস্থ রাখতে শুধু ওষুধ খেলেই হবে না, দেহে নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রাখতে হবে। তাই, প্রতিদিন কিছু উপাদান মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর চা বানিয়ে খেতে পারেন, যা স্বাভাবিকভাবেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। পাঁচটি উপকরণ মিশিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। আদার রস: আদা দিয়ে লিকার চা খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। আদাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে; যা দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তো বাড়াবেই, পাশাপাশি বাতের ব্যথা, পেশিতে টান ধরার সমস্যা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথার কষ্টও কমাবে। আদা দিয়ে চা খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কমবে। দারচিনি: চায়ে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে দিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনই দেহেও বিভিন্ন উপকার হয়। দারচিনিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন কে। এই দুই ভিটামিন যে কোন রকম সংক্রামক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে। পাশাপাশি, দারচিনি মেশানো চা খেলে মেদও কমে। হজমশক্তি বাড়ে। তেজপাতা: তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি বহু অসুখবিসুখ সারাতে পারে। হৃদ্যন্ত্রকে শক্তিশালী করতে তেজপাতা বেশ কার্যকর। এছাড়াও, কোলেস্টেরলে মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগ ঝুঁকি কমাতেও তেজপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতেও তেজপাতা কার্যকরী। লবঙ্গ: লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের গোলমাল ঠেকাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য লবঙ্গ উপকারী। গবেষণা জানাচ্ছে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কমে। পাশাপাশি, সর্দি-কাশি সারাতেও লবঙ্গের ভূমিকা রয়েছে। এক কাপ গরম জলে ৪-৫ টি লবঙ্গ দিয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রেখে দিন। একটু ঠান্ডা হলে খেয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেতে পারেন লবঙ্গ চা। তুলসী: এক বাটি পানিতে এক মুঠো তুলসী পাতা ফুটতে দিন। টগবগ করে ফুটলে আঁচ কমিয়ে দশ মিনিট ফোটান। এরপর এতে মেশান এক চামচ মধু আর দুই চামচ লেবুর রস। তুলসির চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে প্রদাহের প্রবণতা কমবে, জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ কমবে। তবে, ডায়াবিটিসের ওষুধ খেলে বা ইনসুলিন নিলে তুলসী চা খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে যেভাবে বাড়াবেন আয়রন ও হিমোগ্লোবিন
আমাদের দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি আয়রন। এটি হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে কাজ করে, যা প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে। আয়রনের অভাবে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও এমনকি রক্তস্বল্পতা হতে পারে। তবে, এই সমস্যাটি মোকাবিলা করার জন্য সব সময় সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হয় না। বেশ কিছু সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পানীয় এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ক্যালফোর্নিয়া সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত পুরুষদের জন্য ১৩.৮-১৭.২ জি/ডিএল (১৩৮-১৭২ জি/এল) এবং নারীদের জন্য ১২.১-১৫.১ জি/ডিএলের (১২১-১৫১ জি/এল) মধ্যে থাকে। এই মানগুলো পৃথক কারণের উপর ভিত্তি করে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। এবার তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিকভাবে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে কী পান করবেন- বিটরুট ও গাজরের রস: বিটরুট ও গাজরের রস আয়রনে সমৃদ্ধ। বিট এর আয়রন সামগ্রীর জন্য পরিচিত। অন্য দিকে, গাজর ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা আয়রন শোষণ বাড়ায়। এগুলো শুধু হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে না, সেইসাথে রক্তকে ডিটক্সিফাই করে। পানীয়টিতে এক চামচ লেবুর রস যোগ করুন - এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা আয়রন শোষণে সহায়তা করবে। সবুজ এই স্মুদি ডায়েটে আয়রন যোগ করার একটি দুর্দান্ত উপায়। পালং শাকে প্রচুর নন-হিম আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। আয়রন শোষণ বাড়ানোর জন্য, কমলা বা আনারসের মত ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফলের সঙ্গে সবুজ শাক মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। ক্রিমি টেক্সচার ও অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য কিছু বাদাম যোগ করুন। ডালিমের রস: ডালিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাজা ডালিমের রস পান করলে তা রক্ত সঞ্চালন ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মিষ্টতা সব বয়সের মানুষের জন্য একটি দুর্দান্ত পানীয় হতে পারে। এর প্রভাব বাড়ানোর জন্য এক মুঠো খেজুর বা কিশমিশের সাথে মিশ্রিত করুন, উভয়ই আয়রনে শক্তিশালী। কুমড়া বীজ স্মুদি: কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন ও জিঙ্ক রয়েছে, উভয়ই শক্তি বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ। ভিজিয়ে রাখা কুমড়ার বীজ, কলা, দই ও মধু ব্লেন্ড করে ক্রিমি, আয়রন সমৃদ্ধ স্মুদি তৈরি করুন। এই পানীয় শুধু পুষ্টিকর নয়, এটি শরীরকে সতেজ করার জন্য একটি চমৎকার পোস্ট-ওয়ার্কআউট স্ন্যাকও।
কয়েকটা ব্যাপারে নজর রাখলেই বুঝতে পারবেন প্রেমিকা মিথ্যা বলছে
সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকা অত্যাবশ্যক। বিশ্বাস না থাকলে কোন সম্পর্ক টিকে না। তবে, বহু সময় দেখা যায়, দুইজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় মিথ্যা কথা বলা কেন্দ্র করে। আবার বহু সময় সরলতার সুযোগ নিয়ে এক পক্ষ ক্রমাগত মিথ্যা বলে; যা এক পর্যায় সামনে এসে সম্পর্ক শেষ করে দেয়। আপনার সঙ্গী যদি বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা কথা বলেন, তাহলে সাবধান হোন। কিছু ব্যাপারের দিকে নজর দিলেই স্পষ্টভাবে বুঝবেন, প্রেমিকা আপনার সাথে মিথ্যা বলছেন। কিছু কৌশল থেকে বুঝবেন প্রেমিকা মিথ্যা বলছেন নাকি সত্যি। চোখ নামিয়ে কথা বলা: সাধারণত মিথ্যে কথা বলার সময় আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়। তাই, সেই সময়টায় চোখে চোখ রাখা যায় না। আর এটা হল মিথ্যার প্রথম লক্ষণ। তাই, এ বার থেকে কথা বলার সময় প্রেমিকার চোখে চোখ রাখুন। কথা বলার সময় তিনি যদি চোখ নীচু করে নেন, তাহলে বুঝবেন ডালের মধ্যে সত্যিই কিছু কালো রয়েছে। তখন তাকে এ ব্যাপারটা নিয়ে অন্য কোন প্রশ্ন করুন। তাহলেই দেখবেন পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে। কোন বিষয় লুকানো: সঙ্গী যদি আপনার কাছ থেকে বহু বিষয় আড়াল করে, তবে সেতা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এটি এক ধরনের সূক্ষ্ম প্রতারণা। এতে করে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আপনি যাকে ভালবাসেন আর তার অপছন্দের কাজ করেন সেটা কি আপনার উচিত হবে। এতে অন্যজন আঘাত পান। যা কথা বলার, ম্যাসেজ করার ভালবাসার মানুষটির সামনেই করুন। গলার স্বর পরিবর্তন: অনেকের মিথ্যে বলার সময় গলার স্বর বদলে যায়। অর্থাৎ, তারা তখন স্বাভাবিক স্বরে কথা বলতে পারেন না। আর এটাই হলো মিথ্যা চেনার অপর একটি সহজ উপায়। তাই, স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে বলতে প্রেমিকা যদি গলার স্বর বদলে ফেলেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে। তখন এক বার তার কথাটা ভাল করে বোঝার চেষ্টা করুন। কম কথা বলা: মিথ্যা কথা খুব বেশি বলা যায় না। কারণ, মিথ্যা বলতে গেলে বিভিন্ন বিষয় আড়াল করতে হয় যেটার কারণেই এক নাগাড়ে কোন বিষয় বলা যায় না। তাই, হ্যাঁ বা না বলেই কথা শেষ করতে চান মিথ্যাবাদী। তাই, এরপর থেকে কোন কঠিন প্রশ্ন করার পর প্রেমিকা যদি বিস্তারিত না বলেন, ছোট ছোট উত্তর দেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে। অজুহাত: পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এসে আপনাকে জানানো হল সে আপনার সাথে অংশ নিতে পারবে না। বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন। কখনো কখনো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও দেখান। একটা সময় জানতে পারলেন ওই সময়টায় তার কোন কাজই ছিল না। এমনটা দেখলে তার সঙ্গ এড়িয়ে চলুন। তবে, মনে রাখতে হবে উপরের বিষয়গুলো মিলে গেলেই যে কেউ মিথ্যা বলছে, সেটা কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। যদি মনে হয় আপনার প্রেমিকা মিথ্যা বলছেন, তাহলে তার সাথে সরাসরি কথা বলুন। তার মিথ্যা বলার কারণ কী জানতে চান। না জেনে পূর্ব থেকেই আপনার ধারণা সঠিক এমন ভাববেন না।
বহু দিনের সংসার ভাঙার প্রধান পাঁচ কারণ
সম্পর্ক একটি জঠিল বিষয়। এটাকে ঠিকিয়ে রাখা অনেক কঠিন। বহু দিনের সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণগুলো সাধারণত সম্পর্কের মধ্যে জমে থাকা সমস্যা, অবহেলা বা পরিবেশগত প্রভাবের কারণে ঘটে। কোন সংসার এক দিনে ভাঙে না। মানসিক সংকট চরম পর্যায় গেলে, দুইজন আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জেনে নিন বহু দিনের সংসার ভাঙার প্রধান পাঁচ কারণ- যোগাযোগের অভাব: সঠিকভাবে একে অপরের কথা শোনা ও বোঝার অভাবে সম্পর্ক দুর্বল হতে পারে। মানসিক চাপ, অপরাধবোধ বা ক্ষোভ জমে থাকার কারণে বহু সময় দাম্পত্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বিশ্বাসের অভাব বা বিশ্বাসঘাতকতা: বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্কের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যায়। এটি হতে পারে প্রতারণা, আর্থিক অসততা বা কথার খেলাপের কারণে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি সম্পর্ক নষ্ট করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার অভাব: দাম্পত্য জীবনে একে অপরকে সম্মান করা জরুরি। অপমান, তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা মতামতকে অবজ্ঞা করার ফলে সম্পর্ক বিষিয়ে উঠতে পারে। আর্থিক সমস্যা: অর্থের অভাব বা বাজেট নিয়ে মতানৈক্য বহু ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রধান কারণ। একে অপরের আর্থিক লক্ষ্য বা চাহিদা না বুঝতে পারলে সম্পর্ক চাপে পড়ে। মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব: দীর্ঘ মেয়াদে একে অপরের প্রতি আগ্রহ বা ভালবাসার ঘাটতি হলে মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব তৈরি হয়। এটি দাম্পত্য জীবনের একে অপরকে গ্রহণযোগ্যতার ওপর বড় প্রভাব ফেলে।প্রতিকার যা হতে পারে: সত্যিকারের আলোচনা: খোলামেলা ও সম্মানজনক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করা। সময় দেয়া: একে অপরের প্রতি সময় ও মনোযোগ দেয়া। পরামর্শ গ্রহণ: প্রয়োজনে পেশাদার কাউন্সেলিং সেবার সাহায্য নেয়া। সমঝোতা: পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমঝোতা বৃদ্ধি করা। দাম্পত্য জীবনে সমস্যা থাকলেও সচেতন প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক সময় সম্পর্ক রক্ষা করা সম্ভব।
আজ আনফ্রেন্ড করার দিন
অবসর সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের অংশ হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। এই প্ল্যাটফর্মে পরিচিত বা অপরিচিত সবার সঙ্গে সহজেই বন্ধুত্ব করা যায়। আবার এই তালিকায় যুক্ত থাকে অনেক বিরক্তিকর ও অপছন্দের মানুষ। কাজের ব্যস্ততায়, আলসেমি, চক্ষু লজ্জায় কিংবা অন্য কোনো কারণে তাদের বন্ধু তালিকা থেকে ছাঁটাই করতে পারছেন না। তাহলে আজকের দিনটি আপনার জন্য। কারণ, আজ (১৭ নভেম্বর) আনফ্রেন্ড দিবস। ২০১৪ সালে কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ‘আনফ্রেন্ড ডে’ বা ‘বন্ধু ছাঁটাই করার দিন’ প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেয়া। বন্ধু বা ফ্রেন্ড শব্দটি অনেক আগে থেকেই আমাদের খুব পরিচিত একটি শব্দ। বলতে গেলে শত বছরের প্রচলিত একটি শব্দ। কিন্তু, ‘আনফ্রেন্ড’ শব্দটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে। অক্সফোর্ড ডিকশনারির ২০০৯ সালের সেরা শব্দ ছিল ‘আনফ্রেন্ড’। যার সংজ্ঞা হলো- ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে কাউকে ‘বন্ধু’ তালিকা থেকে বাদ দেয়া। ‘আনফ্রেন্ড দিবস’ বিশ্বের অনেক দেশেই পালন করা হয় আনন্দের সঙ্গে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিবস নিয়ে নানা স্ট্যাটাস এবং লেখালেখি চোখে পড়ে।
কমলা মাখা তৈরি করবেন যেভাবে
বাতাসে বইছে শীতের হাওয়া। বাজারে দেখা মিলছে কমলার। কিছুটা টক, কিছুটা মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু। শীতের আলতো রোদে কমলা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে টক স্বাদের কমলা অনেকে খেতে চান। সেক্ষেত্রে একটু ভিন্ন কায়দায় বানিয়ে ফেলতে পারেন কমলা মাখা। কীভাবে? জানুন রেসিপি-উপকরণটক-মিষ্টি কমলা- ১ হালিলবণ- আধা চা চামচচিনি- এক চা চামচকাঁচামরিচ কুচি- ১টিধনিয়া পাতা- আধ চা চামচভাঙা শুকনো মরিচ/চিলি ফ্লেক্স- সামান্যলেবুর রস- ১ টেবিল চামচপ্রণালিপ্রথমে কমলার কোয়া ছাড়িয়ে মাঝ বরাবর টুকরো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। খেয়াল রাখবেন কমলা যেন থেঁতলে না যায়। টক-মিস্তি-ঝাল স্বাদের এই কমলা মাখা খেতে পারেন মিড মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবে।
ভিন্নধর্মী স্বাদে অরেঞ্জ ডিলাইট
কমলালেবু খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে মেলা ভার। স্বাদে তো বটেই,কমলালেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে মিষ্টি এবং রসালো ফলটি দিয়ে ভিন্নধর্মী হালুয়া বানিয়ে দেখতে পারেন। রইল রেসিপি।উপকরণ:কমলালেবু ৪টা, চিনি আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, বাদাম (কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ও অন্যান্য) পরিমাণমতো, লেবুর রস ১ চা চামচ, পানি আধা কাপ।প্রণালী:প্রথমে চারটা বড় সাইজের কমলালেবু নিয়ে রস করে সেই রসের মধ্যে কর্ণফ্লাওয়ার ভালভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। এরপর চুলায় একটা ননস্টিক প্যান দিয়ে তাতে সমপরিমাণ চিনি ও পানি দিয়ে জাল করতে হবে। চিনি-পানির মিশ্রণটা যখন একটু আঠালো হয়ে আসবে, তখন তাতে লেবুর রস দিয়ে দিতে হবে যাতে ক্যারামেল না হয়ে যায়।এরপর মিশিয়ে রাখা কমলালেবু ও কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণটা দিয়ে দিতে হবে এবং ভালভাবে নাড়তে হবে। ৮-১০ মিনিট জাল করার পরে যখন ঘন হয়ে আসবে তখন দিয়ে দিতে হবে ২ টেবিল চামচ ঘি। এরপর আরও ৩-৪ মিনিট নেড়ে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে ঢেলে নিয়ে উপর দিয়ে বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিলেই কমলার এই মজার হালুয়া তৈরি। ঠাণ্ডা হওয়ার পর টুকরা করে কেটে নিতে হবে।
মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে হতে পারে যেসব সমস্যা
সকাল থেকে রাত প্রতি মুহূর্তে আমাদের সঙ্গী হয় মোবাইল ফোন। অবস্থা এমন যে ঘুমের মাঝেও যদি জেগে উঠি সবার আগে ফোনটিই হাতে নেওয়া হয়। তবে সারাক্ষণ বিশেষ করে ঘুমের সময় পাশে ফোন রাখা আমাদের জন্য নানা ধরনের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট হেলথ.কম জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে হতে পারে নানা সমস্যা। যেমন• মোবাইল ফোনের এই তরঙ্গ বা ফ্রিকোয়েন্সি মাথার ও কানের ক্ষতি করে• শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে• মনঃসংযোগে সমস্যা হয়• ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে• শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা হতে পারে• পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ ও মানও অনেক কম হয়। যেভাবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে • ঘুমের সময় মোবাইল বালিশের নিচে নয়, বিছানার বাইরে রাখুন• দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলা বা ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা নয়• চলাফেরার সময় ফোনটি হাতে বা পকেটে না রেখে, রাখুন একটি ছোট ব্যাগে • শিশুদের হাতে ফোন দেওয়ার অভ্যেস করবেন না।
ফলের রসে তৃপ্তি-পুষ্টি
আমের জুসযে গরম পড়েছে, অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। এই মহামারি করোনার সময় গরমের কারণে অসুস্থতা এড়াতে ও সুস্থ থাকতে নিজের প্রতিই নজর দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে সব সময় শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে। বোতলজাত কোমল পানীয়ের পরিবর্তে নিয়মতি পান করুন দেশি টাকটা ফলের শরবত। সুস্থ থাকবেন সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। লেবুর পানিএ তালিকার শীর্ষ পানীয় হতে পারে লেবুর পানি। একেবারে সাদামাটা পদ্ধতিতে বানানো যায়। লেবু হরহামেশাই মেলে। ভিটামিন ‘সি’-এ পূর্ণ ফলটি দারুণ উপকারী। স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। পুষ্টিগুণ তো দেবেই, সেই সঙ্গে দেহের পানির চাহিদাও পূরণ হবে। ডাবের পানিকচি ডাব বা নারিকেলের পানির গুণের কথা সবাই জানেন। দেহের বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু করে ডাবের পানি। যাদের হজমে সমস্যা তারা পাবেন মুক্তি। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা ডাবের পানি খেলে গোটা দিন সুস্থ থাকবেন। দেহের অন্য অনেকগুলো অসুবিধা সেরে যাবে এ পানিতে। আমের জুসপাকা আম ৪ টি, মধু ৩ টেবিল চামচ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ স্কুপ, দুধ বা পানি ৬ কাপ, বরফ কুচি। আম কুচি করে কাটুন। ব্লেন্ডারে আমের সঙ্গে মধু, দুধ অথবা পানি ও আইসক্রিম দিয়ে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। মুহূর্তেই সজীবতা ফিরে পাবেন। তেঁতুলের শরবততেঁতুল, বিট-লবণ, চিনি, কাচামরিচ কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, মরিচের গুঁড়া, পানি।প্রথমে তেঁতুল থেকে বিচি আলাদা করে একটি পাত্রে তেঁতুল গুলে নিন। গোলানো তেঁতুলের সঙ্গে পরিমাণমতো পানি মেশান। তেঁতুলের সঙ্গে চিনি, বিট-লবণসহ সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১৫ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এবার তেঁতুলের মিশ্রণটি অন্য একটি পাত্রে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন। সুস্বাদু তেঁতুলের শরবত তৈরি। গরমে অনেকেই রাস্তায় বিক্রি হওয়া ফলের জুস পান করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরের পানীয় পান করা একেবারেই ঠিক নয়। এটি কিছু সময়ের জন্য প্রশান্তি দিলেও হতে পারে মারাত্বক পানিবাহিত রোগ বা জীবাণুর সংক্রমণ।
বৃক্ষরোপণে ইসলামের উৎসাহ ও নির্দেশনা
স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা জরুরি। আর ভারসাম্যপূর্ণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বৃক্ষের। বৃক্ষ শুধু পরিবেশ রক্ষার জন্যই নয়; বরং ধর্মীয় কারণেও মানুষের বৃক্ষরোপণ করা চাই। মহানবী (সা.) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও তা পরিচর্যার কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন হাদিসে উৎসাহ ও নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর মোট উদ্ভিদ প্রজাতির ভেতরকার ২৫ শতাংশই বৃক্ষ। বৃক্ষ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশের কল্পনা করা অবান্তর। ইসলাম সঙ্গত কারণেই পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণে জনসচেতনতা তৈরিতে উদসাহ ও নির্দেশনা দিয়েছে। বৃক্ষরাজি ও প্রকৃতি নিয়ে কোরআনের বর্ণনা আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণ হিসেবে ফলবান বৃক্ষরাজি ও সবুজ-শ্যামল সৃষ্টি করেছেন। বনভূমির মাধ্যমে পৃথিবীকে সুশোভিত ও অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছেন। গাছপালার মাধ্যমে ভূমণ্ডল ও পরিবেশ-প্রাকৃতিক ভারসাম্য সংরক্ষণের শিক্ষা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে তাই ঘোষণা এসেছে—‘আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে নয়নাভিরাম সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উদ্গত করেছি। আর আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টিবর্ষণ করি এবং এর দ্বারা উদ্যান ও পরিপক্ব শস্যরাজি উদ্গত করি, যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়। ’ (সুরা কাফ, আয়াত: ৭-৯) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন—‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন। অতঃপর তা (বায়ু) মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তা স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান, তখন তারা আনন্দিত হয়। (সুরা রুম, আয়াত: ৪৮) পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির কিছু দৃশ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। যেন মানুষ প্রাকৃতিক বিচিত্র, প্রকারভেদ, বর্ণ, গন্ধ ও সৌন্দর্য দেখে পুলকিত ও অভিভূত হয়। সব কিছুর উন্নতি, অগ্রগতি ও সক্রিয়তা দেখে মানুষ আল্লাহর শক্তিমত্তার কথা স্মরণ করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য তা (পানি) দিয়ে জন্মান শস্য, জাইতুন, খেজুরগাছ, আঙুর ও সব ধরনের ফল। অবশ্যই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন। ’ (সুরা নাহল, আয়াত: ১১) বৃক্ষরাজি যে কত বড় নিয়ামত, পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতের মাধ্যমে তা প্রতীয়মান হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—‘তারা কি লক্ষ করে না, আমি ঊষর ভূমির ওপর পানি প্রবাহিত করে তার সাহায্যে উদগত করি শস্য, যা থেকে তাদের গবাদি পশু এবং তারা নিজেরা আহার গ্রহণ করে। ’ (সুরা সাজদা, আয়াত: ২৭) একটি বৃক্ষের অর্থনৈতিক মূল্য কত? গাছবিহীন এক মুহূর্তও অসম্ভব। মানুষের যাপিত জীবনের সব কিছুই গাছকে ঘিরে ও গাছকে নিয়ে। তাই গাছ নিধন হলে গাছ শুধু একাই মরে না। মানুষসহ সব প্রাণসত্তার জন্যই তা ঝুঁকি ও উত্কণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষ বছরে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে, তা কমপক্ষে ১০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের বার্ষিক অক্সিজেনের চাহিদা মেটায়। ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টি এম দাস ১৯৭৯ সালে পূর্ণবয়স্ক একটি বৃক্ষের অবদান আর্থিক মূল্যে বিবেচনা করে দেখান যে ৫০ বছর বয়সী একটি বৃক্ষের অর্থনৈতিক মূল্য প্রায় এক লাখ ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার (সূত্র : ইন্ডিয়ান বায়োলজিস্ট, ভলিয়ম-১১, সংখ্যা-১-২) বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে হাদিসে উৎসাহ ও নির্দেশনা হাদিসে এসেছে, ‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তবে তা উৎপাদনকারীর জন্য সদকা (দান) স্বরূপ গণ্য হবে। ’ (বুখারি, হাদিস: ২৩২০, মুসলিম, হাদিস: ১৫৬৩/১২) এ হাদিসটি আরও স্পষ্ট করে অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি বৃক্ষরোপণ করে তা ফলদার হওয়া পর্যন্ত তার পরিচর্যা ও সংরক্ষণে ধৈর্য ধারণ করে, তার প্রতিটি ফল যা নষ্ট হয়, তার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাকে সদকার নেকি দেবেন। ’ (মুসনাদ আহমাদ: ১৬৭০২) অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো বৃক্ষ রোপণ করে, আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তাকে ওই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিদান দান করবেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫৬৭) বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা সম্পর্কে হাদিস আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করতে নির্দেশ দিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কিয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে, যা রোপণ করা যায়, তবে সেই চারাটি রোপণ করবে। ’ (বুখারি, আদাবুল মুফরাদ: ৪৭৯; মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ৩/১৮৩) অন্য বর্ণনায় মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামত এসে গেছে, এমন অবস্থায় তোমাদের কারো হাতে যদি ছোট একটি খেজুরগাছ থাকে, তাহলে সে যেন গাছটি রোপণ করে দেয়। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২৯০২; আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৪৭৯; মুসনাদে বাজজার, হাদিস: ৭৪০৮) বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটার শাস্তি অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটবে [যে গাছ মানুষের উপকার করতো], আল্লাহ তার মাথা আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন। ’ (বায়হাকি, হাদিস: ৬/১৪০) অবশ্য এই হাদিসের বর্ণনা দুর্বল। হাদিসবিশারদরা দীর্ঘ ব্যাখ্যা ও প্রাসঙ্গিকতা বর্ণনা করেছেন। বৃক্ষের ছায়ায় মহানবী (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘মক্কা এবং মদীনার মাঝে অবস্থিত একটি বৃক্ষের নিকট যখন তিনি আসতেন তখন তার নীচে শুয়ে বিশ্রাম করতেন। তিনি বলতেন রাসুলুল্লাহ (সা.) এরূপ করতেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস: ৪৭) গাছ-বৃক্ষ প্রকৃতি ও পরিবেশের ‘বন্ধু’। তাই নির্বিচারে গাছ না কেটে প্রচুর বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর
যাদুকরী টি ট্রি অয়েল
বর্তমানে সব ধরনের শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ ও অয়েন্টমেন্টে বহুল ব্যবহৃত একটি প্রাকৃতিক উপাদান টি ট্রি অয়েল। ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তোলায় এটি অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভব টি ট্রি অয়েল; যেখানে ৩০০ প্রজাতির ‘টি ট্রি’ স্বভাবতই জন্মায়। সেখানকার বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে টি ট্রি অয়েল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছেন। • ত্বকের যেসব মারাত্মক সমস্যা নিমিষেই সমাধান দিতে পারে টি ট্রি অয়েল • খেলোয়াড়দের পায়ের ক্ষত সারাতে • আঙুলের ডগা নরম করতে • কাটা-ছেঁড়া দূর করতে • ব্রণ দূর করতে • খুশকি তাড়াতে নিচের পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন – আক্রান্ত স্থানে সরাসরি এক-দুই ফোঁটা টি ট্রি তেল লাগাতে পারেন। – ক্যারিয়ার তেল যেমন- নারিকেল, জলপাই ও বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। – ঘর পরিষ্কার করার ডিটারজেন্টের সঙ্গেও দু-এক ফোঁটা মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। – খুশকি এবং উকুনের চিকিৎসা হিসেবে গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। – গোসলের পানিতে পাঁচ-ছয় ফোঁটা মিশিয়ে দিন। আপনি কি টি ট্রি অয়েল কখনো ব্যবহার করেছেন না করে থাকলে আজই চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর
রোজা রাখা শরীরের জন্যও উপকারী
প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজানের এক মাস রোজা রাখা ফরজ। এর ধর্মীয় এবং সামাজিক নানা উপকারিতা তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে রোজা রাখা শরীরের জন্যও উপকারী। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের তো অসুবিধা হয়ই না, বরং অনেক চমকপ্রদ উপকার মেলে। রোজা রাখলে তা আপনাকে শান্ত, পরিণতই করবে না, সেইসঙ্গে সুস্থ রাখতেও কাজ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজা রাখলে শরীরে কী ঘটে- ১. ওজন কমাতে কাজ করে রোজা রাখলে তা আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখা অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকা, খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ঠিক রাখা অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া এবং খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর রাখার অভ্যাস, ওজন কমানোর কাজে সহায়ক। এই অভ্যাসগুলো ওজন হ্রাস, চর্বি হ্রাস এবং রক্তের লিপিড উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। ২. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করে বেশ কিছু গবেষণা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের উন্নতি এবং সম্ভাব্যভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করার উপায় হিসাবে রোজা রাখাকে সমর্থন করে। তাই রোজা রাখলে এই সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন। ৩. অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে রোজা রাখার আরেকটি সুবিধা হলো, অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৈচিত্র্য এবং সংখ্যা উভয়ের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব। এটি ওজন পরিবর্তন, কোমরের চর্বি কমানো এবং বিপাকের উপর একটি উপকারী প্রভাব ফেলে। ৪. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে বিরতিহীন উপবাস হৃদরোগের কিছু ঝুঁকির কারণ কমাতে পারে। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং প্রদাহের মতো সমস্যা কমাতে এটি বিশেষ কার্যকরী। তাই রোজা রাখলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে অনেকটাই। ৫. রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আপনার শরীরকে রোগ প্রতিরোধ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলোতে কাজ করতে সাহায্য করে। এর কারণ হলো, যখন আমরা রোজা রাখি, তখন শরীর অটোফ্যাজি নামে একটি প্রক্রিয়া শুরু করে। এই প্রক্রিয়ায় কোষ থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর
সেহরিতে যেসব খাবার খাবেন না
রমজান মাসে সেহরি সারা দিন রোজা রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেহরির খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ এসময় খাওয়া খাবার থেকেই আপনি সারাদিনের শক্তি ও পুষ্টি পাবেন। অনেক সময় আমরা ভুল করে সাহরিতে এমন সব খাবার খেয়ে থাকি যা সারাদিন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো সাহরিতে এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. ভাজা খাবার ভাজা খাবার যেমন সমুচা, পাকোড়া বা পেঁয়াজু-বেগুনিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ক্যালোরি বেশি থাকে, যা রোজার সময় বদহজম, পেট ফোলা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহরিতে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেইসঙ্গে ইফতারেও যতটা সম্ভব ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। ২. নোনতা খাবার অতিরিক্ত লবণ খেলে তা রোজার সময় ডিহাইড্রেশন এবং তৃষ্ণার কারণ হতে পারে। নোনতা খাবার যেমন আলুর চিপস, লবণাক্ত বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত মাংস সাহরির সময় এড়িয়ে চলুন। অন্যান্য সময়েও এ ধরনের খাবার যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো। ৩. চিনিযুক্ত পানীয় ফলের রস, কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকসের মতো মিষ্টি পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সাহরিতে এ ধরনের পানীয় পান করলে আপনি সারাদিন অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। এতে রোজা থাকা কষ্টকর হবে। তাই সাহরিতে চিনিযুক্ত পানীয় খাবেন না। ৪. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাংস, ক্রিমি সস এবং ভাজা খাবার হজম হতে বেশি সময় নিতে পারে। এ ধরনের খাবার রোজার সময় অস্বস্তি এবং পেট ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই সাহরিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ৫. অতিরিক্ত মসলাদার খাবার যদিও মসলা খাবারে স্বাদ যোগ করে কিন্তু অত্যাধিক মসলাদার খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালার কারণ হতে পারে। এটি বুকে জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সাহরিতে খাওয়া হয়। তাই সাহরির খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইফতারে প্রশান্তি আনে স্বাস্থ্যকর মাঠা
বহুকাল ধরে বাঙালির ইফতারের অন্যতম উপাদান হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পানীয়। প্রতি বছর রোজ এলেই বাজারে প্রচলিত পানীয় বা শরবতের কদর বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর মৌসুমটা যদি হয় কাঠ ফাটা রোদের— তাহলে তো কথাই নেই। প্রচলিত নানা ধরনের পানীয়র মধ্যে গরমে তৃষ্ণার্ত রোজাদারদের প্রাণ জুড়ানোর অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় ‘মাঠা’। গ্রাম থেকে শহরের ইফতারের বাজারে খুঁজলেই হাতের কাছে পাওয়া যায় মাঠা। বাসায় তৈরি করা যায় জনপ্রিয় এই দুগ্ধজাত পানীয়। মাঠায় প্রচুর পরিমাণে পটশিয়াম ও ভিটামিন ‘বি’ থাকে। একাধিক মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্স সমৃদ্ধ মাঠা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঘুমও ভালো হয়। তাহলে মাঠা কীভাবে বানাবেন, কী কী লাগবে তা দেখে নিন এখানে… মাঠা বানাতে যা লাগবে: টক দই ও চিনি (পরিমাণমতো), লবণ (স্বাদমতো), পেস্তা বা কাজু বাদাম বাটা, লেবুর রস ও বরফ কুচি । বাসায় যেভাবে তৈরি করবেন: টক দই কিছুটা পানি দিয়ে একটু পাতলা করে নিন। এবার ডাল ঘুটনি দিয়ে বেশ ভালো মতো ঘুটতে হবে। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ওপরে ক্রিম ভেসে উঠবে, সেগুলো তুলে ফেলুন। এবার ওই ক্রিম তোলা টক দইতে বাকি পানি, চিনি, লবণ, বাদাম বাটা, লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মাঠা। ঢাকাওয়াচ/টিআর
মশা দূর করার ঘরোয়া উপায়
গরম তো একটু একটু করে বাড়ছেই, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উপদ্রব। রাতে নাহয় মশারি টাঙিয়ে ঘুমালেন, তাই বলে সারাক্ষণ তো আর মশারির ভেতর বসে থাকা সম্ভব নয়। এই মশার উপদ্রবে শান্তিতে দু’দণ্ড বসাটাও যেন কষ্টকর হয়ে উঠছে। কোন ফাঁকে এসে কুটুস করে কামড়ে পেট ভরে রক্ত খেয়ে চলে যাবে, টেরও পাবেন না। গায়ে বসার সুযোগ না পেলে তখন চলতে থাকে ওড়াউড়ি আর বিরক্তিকর প্যানপ্যানানি গান! এখানেই শেষ হলে ভালো হতো। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, মশার কামড় থেকে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সব অসুখ। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতিও হতে পারে। তাই মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা আপনাকে করতেই হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রাকৃতিক উপায়ে মশা দূর করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মশা দূর করার ঘরোয়া উপায়- লেবু-লবঙ্গ লেবু তো সবার বাড়িতেই থাকে। এটি কিন্তু মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী। এক্ষেত্রে একটু পাকা হলদে রঙের লেবু হলে ভালো হয়। সেই লেবুতে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে জানালার পাশে রেখে দিতে হবে। এতে মশা আপনার বাড়িতে ঢুকতে আর আগ্রহ পাবে না। কারণ এই গন্ধ মশাদের কাছে খুব অপছন্দের। এছাড়া লেবু টুকরা করে একটি থালায় নিয়ে তা ঘরের এক কোণে রেখে দিতে পারেন। এতে মশা দূরে থাকবে। নিমতেল নিমতেলেরর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। এটি বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগে বেশ কার্যকরী। তার পাশাপাশি এটি মশা তাড়াতেও সাহায্য করে। নিমতেল আর নারিকেল তেল মিশিয়ে তা শরীরের যেসব অংশ খোলা সেখানে লাগিয়ে রাখবেন। এতে কমে আসবে মশাতের উৎপাত। তেলের গন্ধে মশা আপনার কাছে ঘেঁষবে না। পুদিনা পুদিনা পাতা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করেন নিশ্চয়ই? বাড়িতেই রাখতে পারেন এর গাছ। আপনার খাবার টেবিলে বা ঘরের যেকোনো স্থানে পানিভর্তি একটি গ্লাসে কিছু পুদিনার গাছ ভিজিয়ে রাখুন। কয়েকদিন পরপর সেই পানি পাল্টে দেবেন। বাড়িতে পুদিনার গাছ থাকলে মশা আর কাছে ঘেঁষবে না। কারণ এর গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। সেইসঙ্গে গরম পানিতে পুদিনা ফুটিয়ে তার ভাপও ছড়িয়ে দিতে পারেন পুরো ঘরে। এই পদ্ধতিও কার্যকরী। চা চা তৈরির পর চা পাতা ফেলে দেন নিশ্চয়ই? এই ফেলনা বস্তুই আপনার বাড়ি থেকে মশা তাড়াতে কাজ করবে। চা তৈরির পর চা পাতা ফেলে না দিয়ে তা শুকিয়ে নিন ভালো করে। এরপর সেগুলো পুড়িয়ে পুড়িয়ে ধুনোর মতো করে সারা ঘরে তার ধোঁয়া দিতে পারেন। এতে মশা তাড়ানো অনেক সহজ হয়। রসুন রসুন শুধু ভেষজ খাবার হিসেবেই উপকারী নয়, এটি মশা তাড়াতেও দুর্দান্ত। প্রথমে পাঁচ ভাগ পানিতে একভাগ রসুনের রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তা সেই পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার সেই মিশ্রণ পুরো ঘরে স্প্রে করুন ভালোভাবে। এর গন্ধে মশা আর আপনার কাছে ঘেঁষবে না। আবার মজে যাওয়া রসুন পিষে ঘরের কোণে রেখে দিলে তাতেও মশা দূরে থাকবে। তুলসী ও কর্পূর তুলসী পাতা কেবল আপনার ঠান্ডা-কাশিই দূর করে না, এটি মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রেও সমান কার্যকরী। তুলসী গাছ থাকলে মশা আর বাড়ির আশেপাশে আসবে না। আপনার বারান্দায় বা জানালার কাছে তুলসী গাছ রাখলে উপকার পাবেন। আবার একটি পানিভর্তি ছোট বাটিতে ৫০ গ্রাম কর্পূর মিশিয়ে ঘরের কোণে রেখে দিলে তাও মশা তাড়াতে কাজ করবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর
কোন আঙুর বেশি উপকারী
ভীষণ সুস্বাদু ফল আঙুর। টসটসে রসালো এই ফল খেতে পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফলের দোকানগুলোতে দেখবেন সবুজ আর কালো রঙের থোকা থোকা আঙুর ঝুলতে থাকে। দেখেই যেন জিভে জল চলে আসে। শুধু দেখতে ভালো কিংবা খেতেই সুস্বাদু নয়, এই ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। তবে সবুজ না কালো, কোন রঙের আঙুর বেশি উপকারী তা কি জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক- কালো এবং সবুজ দুই ধরনের আঙুরেই থাকে প্রাকৃতিক চিনি। তবে কালো আঙুরে থাকা ফাইবার অন্যান্য আঙুরের রঙের আঙুরের তুলনায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকরী, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কালো আঙুর তুলনামূলক বেশি উপকারী। সবুজ আঙুরের তুলনায় কালো আঙুরে পলিফেনল নামক উপাদান থাকে বেশি। এটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। যে কারণে কালো আঙুর খেলে তা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে কালো আঙুর খেতে পারেন নিয়মিত। সাধারণত কালো রঙের আঙুরে অন্যান্য রঙের আঙুরের তুলনায় রেসিভেরাট্রোলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে বেশি। যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার সঙ্গে সঙ্গে এবং সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখতে কাজ করে। তাই দেখা যাচ্ছে কালো রঙের আঙুর খেতে পারলে তা শরীরের জন্য বেশি লাভজনক। কালো বা সবুজ যেকোনো রঙের আঙুরেই প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিন থাকে। তাই আঙুর শরীরের জন্য ভালো। তবে কালো রঙের আঙুরে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে-এর মতো নির্দিষ্ট পুষ্টি কিছুটা বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে হাতের কাছে কালো আঙুর না পেলে সবুজ আঙুর খেলেও চলবে। অন্যান্য রঙের আঙুরের তুলনায় কালো আঙুরে রেসিভেরট্রোল থাকে বেশি। যে কারণে এটি রক্তনালীর ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি হৃদযন্ত্রে স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত করে আঙুর খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো নয়, একমুঠো খাওয়াই যথেষ্ট। ঢাকাওয়াচ/টিআর
শীতে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যেভাবে যত্ন নেবেন
শীতকালে ত্বকের মতো আপনার চুলেরও যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রতা প্রয়োজন, কারণ এটিই আপনার চুল শুকনো এবং ভঙ্গুর হতে বাধা দেয়। ঘরেই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যেভাবে চুলের যত্ন নেবেন দই প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস দই। দই ভিটামিন এ, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, এগুলো সবই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুল নরম এবং ময়েশ্চারাইজ করে। দইতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা খুশকি দূর করতে কার্যকর। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজ কন্ডিশনার প্রাথমিকভাবে হালকা ময়েশ্চারাইজার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই জরুরি যে, আপনার মাথার ত্বক যেন শুষ্ক না হয় কিংবা ফেটে না যায়। যদি হারবাল কন্ডিশনার ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই অ্যালার্জি আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। চা গাছের তেল চা গাছের তেল থেকে তৈরি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও অন্যান্য চুলের প্রসাধনী মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। এটি খুশকি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ উপকারী। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার চা গাছের তেল চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। ভিটামিন বি ও জিংক মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ‘বি’ ও জিংক অতি জরুরি। আখরোট, ডিম ও শাক-সবজিতে ‘বি’ ও জিংক পাওয়া যায়। আপনার যদি এসব খেতে ভালো না লাগে তাহলে সালাদ বানিয়ে মেয়োনিজ দিয়ে খেয়ে নিন। দেখতেও আকর্ষণীয় হবে স্বাদ ও বেড়ে যাবে। কম প্রসাধনী ব্যবহার যেহেতু শীতে ত্বক ও মাথার ত্বক শুকনো হয়ে যায় ও চুলও আর্দ্রতা হারায় তাই এ সময়ে চুলে খুব বেশি স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা পণ্যের রাসায়নিক ক্ষতিকারক পদার্থ মাথার ত্বকে চুলকানি ও ঘন ঘন খুশকির উদ্রেক করে। বেশিবার চুল ধুবেন না ঘন ঘন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে মাথার ত্বক শুকিয়ে খুশকি হতে পারে। গরম পানি কখনোই মাথায় ঢালবেন না। হালকাভাবে ঘষুন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার আলতোভাবে ঘষুন। নাহলে মাথার ত্বক চিরে যেতে পারে ও ফুসকুড়ি উঠতে পারে। চুলে রং করলে মাথার ত্বকে এর প্রভাব পড়ে ও খুশকি হয়। শীতে চুলে রং করা থেকে বিরত থাকুন। তেল গরম করে নিন জলপাই বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। দু’এক ফোঁটা সুগন্ধি ল্যাভেন্ডার তেল যোগ করে দিন। হালকা ধরনের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আপনার চুল শুধু খুশকি মুক্তই হবে না, হবে আকর্ষণীয়ও। ভালোভাবে পরিষ্কার করুন খুশকি মূলত চুল ভালোমতো না ধোয়ার কারণে বেশি হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও যথেষ্ট বিশ্রাম গ্রহণ করুন। খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে চুল ধুতে যাবেন না। খুশকি তাড়াতে লেবু পানি ব্যবহার করতে পারেন। ডিম ডিম কেবল চুলকে আর্দ্রতা বাড়াতেই সহায়তা করে না, চুলের মেরামত এবং মাথার ত্বকে কন্ডিশনিং করে ভাঙা রোধ করে। ডিম প্রোটিন এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ, মাথার ত্বক এবং চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যুগিয়ে আকর্ষণীয় ও মজবুত করে। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর
শীতে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে খান ৬ খাবার
শীতকাল মানেই শুষ্ক আবহাওয়া, ফলে নিষ্প্রাণ আর নিস্তেজ হয়ে পড়ে আমাদের ত্বক। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে হারায় জেল্লা। তখনই ত্বকে শুষ্ক ও রুক্ষভাব চলে আসে। এমনকি র্যাশ ও ব্রণও উঠে থাকে। তাই শীতকালে ত্বকের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। তবে শুধু বাইরে থেকেই ত্বকের যত্ন নিলে হবে না। ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। শীতে জেল্লাদার ত্বক পেতে কয়েকটি খাবারের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। ভারতীয় লাইফস্টাইল বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে এসব খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক – ফ্ল্যাক্সসিড ফ্ল্যাক্সসিডে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে প্রচুর পরিমাণে। এ ছাড়াও, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লিগন্যানস সমৃদ্ধ এই বীজ, যা ত্বকে বার্ধক্যের দাগছোপ পড়তে দেয় না। বলিরেখা রোধ করে এবং ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। এর পাশাপাশি ফ্ল্যাক্সসিড ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ত্বকের রুক্ষ শুষ্কভাব কমায়। সবুজ শাকসবজি পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। অন্যদিকে, ভিটামিন ই ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এই ফ্রি র্যাডিক্যাল অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে এবং ত্বককে নিস্তেজ দেখাতে পারে। তাছাড়া, নিয়মিত শাকসবজি খেলে ত্বকের কালচে দাগছোপও হালকা হয়। বাদাম আমন্ড, আখরোট এবং চিনাবাদাম স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকেরও যত্ন নেয়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে। আখরোটে রয়েছে কোলিন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব পুষ্টি উপাদান ত্বককে সুস্থ রাখে। চিনাবাদাম আমাদের শরীরে ভিটামিন বি৩ সরবরাহ করে, যাকে নিয়াসিনও বলা হয়। ত্বকের পরিচর্যায় এই ভিটামিনের উপকারিতা অপরিমেয়। টমেটো ত্বকের যত্নে অনেকেই টমেটো ব্যবহার করে থাকে। টমেটো যেমন রান্নায় স্বাদ বাড়ায় তেমনই রূপচর্চার ক্ষেত্রেও এর জবাব নেই। এর মধ্যে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানও করে। টমেটোর রসে আছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, যা ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কাটিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। এর ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের মতো সমস্যাগুলোও দূরে থাকে। এর পাশাপাশি সান ট্যান দূর করতে এবং ত্বকের জেল্লা বাড়াতে দারুণ কার্যকর টমেটো। কলা ভিটামিন এ, বি, ডি, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ কলা শরীরের যত্ন নেয় তো বটেই, সেই সঙ্গে ত্বকের জৌলুসও বাড়িয়ে তোলে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে কলা। ফলে ত্বক এমনিতেই সতেজ হয়ে ওঠে। নিয়মিত কলা খেলে ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকে। রাঙা আলু রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিনের দুর্দান্ত উৎস। বিটা-ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ত্বক আর্দ্র রাখে। ত্বকের তারুণ্য ফিরিয়ে আনে। ত্বক তরতাজা ও উজ্জ্বল করে তোলে। এ ছাড়া, ব্রণর সমস্যা থেকেও সুরক্ষিত রাখে ত্বক। ঢাকাওয়াচ/স