বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেভেন সিস্টার্সে ব্যান্ডউইথ নেয়ার প্রস্তাব বাতিল

বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের প্রস্তাব বাতিল করেছে বিটিআরসি। সম্প্রতি বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমানের সেই করা চিঠিতে এ বিষয়টি জানানো হয়৷ প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভারতের টেলিকম অপারেটর ‘ভারতী এয়ারটেল’-এর সঙ্গে মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোম। প্রস্তাব বাতিলের কারণ হিসেবে বিটিআরসি বলছে, ‘ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে দুর্বল হবে বাংলাদেশ, শক্তিশালী হবে ভারত।’ আসাম-ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য থেকে চেন্নাই সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের দূরত্ব পাঁচ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। আর বর্তমান নেটওয়ার্কে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সিঙ্গাপুরে সিগন্যাল পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় আট হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব। এতে সময় লাগে প্রায় ৮৭ মিলি সেকেন্ড। কিন্তু, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ব্যান্ডউইথ নিতে পারলে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত দূরত্ব কমে তিন হাজার ৭০০ কিলোমিটার; ল্যাটেন্সি বা সময় কমবে প্রায় ৩৭ মিলি সেকেন্ড। এতে সাত রাজ্যে কম খরচেই উন্নত ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে ভারত। এই সুযোগ নিতে গত বছর বিটিআরসির কাছে ভারতী এয়ারটেলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে সেভেন সিস্টার্সে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের প্রস্তাব দেয় সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোম। তার আগে ২০২২ সালে এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে ভারতী এয়ারটেল। এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় বিটিআরসি। যদিও এই আবেদন নিয়ে আপত্তি তুলে আসছে অন্য অংশীজনরা। ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইআইজিএবি) মহাসচিব আহমেদ জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি যে, এ ধরনের ট্রানজিট কখনোই লিগ্যাল হতে পারে না।’ তবে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারতকে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলছে, ‘ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের অব্যবহৃত প্রায় চার হাজার ৯০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ কাজে লাগানো ঝুঁকিতে পড়বে। বাধাগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের মেটা, গুগল, আকামাই ও অ্যামাজনের মত প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ সংযোগ কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, ‘ট্রানজিট আমাদের গাইডলাইনেই নেই।’তবে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে একমত হতে পারেনি সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোম। ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মশিউর রহমান বলেন, ‘এখানে আইসিটি আমদানি করে নর্থ-ইস্টার্ন বা সেভেন সিস্টার্স স্টেটে বিক্রির ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবলের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ নিয়ে। এটা কীভাবে সাবমেরিন ক্যাবলের জন্য ক্ষতিকর, তা আমার বোধগম্য নয়।’ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সঙ্গে ট্রানজিটের অনুমতি দেয়ার জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো আগের চিঠিও বাতিল করেছে বিটিআরসি।

দারাজে অনার ডিভাইসে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়

বছর শেষ হতে আর কিছু দিন বাকি। বছরের এই শেষ সময়কে আরও স্মরণীয় করে তুলতে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনার ব্যবহারকারীদের জন্য এনেছে আকর্ষণীয় অফার। ব্যবহারকারীরা দেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ আয়োজিত ১২.১২ ক্যাম্পেইনে অনার ডিভাইস কেনার সময় উপভোগ করতে পারবেন ২২ শতাংশ (চার হাজার টাকা) পর্যন্ত ছাড়।দারাজ বছরের শেষ গ্র্যান্ড সেল এনেছে। এই ক্যাম্পেইন আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ক্যাম্পেইনের চলাকালীন গ্রাহকরা অনার স্মার্টফোন ও ডিভাইসে ২২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন। এই ক্যাম্পেইনে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাডস ও পোর্টেবল স্পিকারসহ অনার ব্র্যান্ডের আরও বহু ডিভাইস পাওয়া যাবে। সম্প্রতি অনার এক্স৭সি ফোনটি বাজারে এসেছে। ফ্ল্যাশ সেল চলাকালীন এই ডিভাইসটি কেনার সময় গ্রাহকরা ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া, ক্রেতারা উপহার হিসেবে পাবেন একটি উইন্ডব্রেকার। এই কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আরও সুবিধাজনক করার জন্য, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ব্যাংক কার্ড দিয়ে ডিভাইস কেনার সময় শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা পাবেন; সাথে থাকছে ফ্রি ডেলিভারি। অনারের ডিভাইস ও ক্যাম্পেইন অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন https://cutt.ly/HonorDaraz।

ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস: স্টাইল, শক্তি ও স্থায়িত্বের নিখুঁত সমন্বয়

সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস মিড বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্লিম এন্ড কার্ভড ডিজাইন নিয়ে ফ্যাশন, শক্তি ও স্থায়িত্বের দারুণ সমন্বয়ে স্মার্টফোনটি ইনফিনিক্স হট সিরিজের ফোনগুলোর প্রতি গ্রাহকদের প্রত্যাশার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। স্টাইলিশ ডিজাইন: বিশ্বের সবচেয়ে স্লিম থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে ও টাইটানউইং আর্কিটেকচার ডিজাইনের ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস প্রথম নজরেই মন কেড়ে নেয়। মেটাল ও মসৃণ ফিনিশের কারণে ফোনটিতে ব্যবহারের সময় আঙুলের কোন দাগ পড়ে না। এমন বৈশিষ্ট্য থাকায় স্মার্টফোনটি হাতে নিলে প্রিমিয়াম অনুভূতি পাওয়া যায়।টাইটানিয়াম গ্রে, ড্রিমি পার্পল ও স্লিক ব্ল্যাক- এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটি ওজনে মাত্র ১৬২ গ্রাম ও পুরুত্ব ছয় দশমিক আট মিলিমিটার হওয়ায় খুবই হালকা। ফলে, দীর্ঘ সময় এক হাতে ব্যবহারেও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। চার্জিং প্রযুক্তি: পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারিসহ হট ৫০ প্রো প্লাস ফোনে রয়েছে ৩৩ ওয়াটের অ্যাডভান্সড ফাস্টচার্জ। বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট প্রোটেকশনের মত উদ্ভাবনী চার্জিং ফিচারগুলো ব্যাটারির দীর্ঘ স্থায়িত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি আধুনিক জীবনের চাহিদা পূরণ করে। ফলে, ব্যবহারকারীরা সারাটা দিন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবেন। শক্তিশালী পারফরম্যান্স: হট ৫০ প্রো প্লাস ফোনে রয়েছে শক্তিশালী হেলিও জি১০০ প্রসেসর, অক্টা-কোর সিপিইউ ও মালি জি-৫৭ জিপিইউ। এটি গেমিং ও মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত ও কার্যকর পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়। ১৬ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ দেয় প্রচুর ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণের সুবিধা। স্থায়িত্ব: ডিভাইসটিতে রয়েছে ছয় দশমিক ৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ও কর্নিং গরিলা গ্লাস, যা ফোনটিকে করে তুলেছে সুরক্ষিত, স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী। ফলে, ব্যবহারকারীরা পাবেন শক-প্রুফ অভিজ্ঞতা। আইপি৫৪ রেটিং থাকায় বডি ডাস্ট ও পানির ছিটা থেকে সুরক্ষিত রাখে। নিখুঁত স্পর্শ প্রযুক্তি থাকায় ফোনটি ভেজা বা তৈলাক্ত অবস্থাতেও ব্যবহার করা যাবে স্বচ্ছন্দ্যে। এছাড়া, ডিভাইসটিতে রয়েছে টিইউভি-এসইউডি সার্টিফিকেশন, যা চিন্তামুক্তভাবে ব্যবহারকারীকে দেবে পাঁচ বছর পর্যন্ত ল্যাগ-মুক্ত পারফরম্যান্স। ক্যামেরা: হট ৫০ প্রো প্লাসে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ব্যাক ক্যামেরা, দুই মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স ও ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। বিভিন্ন এআই-চালিত ফিচার যেমন এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন ও এআই ভয়েস ক্যাপচার ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। এটি ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট ক্রিয়েশন, প্রতিদিনের স্মৃতি ধরে রাখা ও প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে। সব মিলিয়ে, ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস এমন একটি ফোন, যা গ্রাহকদের সাধ্যের ভেতরেই একটি প্রিমিয়াম, স্টাইলিশ ও টেকসই পারফরম্যান্স দেবে। স্টাইল, শক্তি ও সূক্ষ্মতার মিশেলে এই স্মার্টফোনটি এখন দেশের অফিসিয়াল রিটেইলারদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায়।

বিশ্বজুড়ে ডাউন ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ

মেটা প্ল্যাটফর্মের মালিকানাধীন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন হয়ে পড়েছে। এতে বাংলাদেশ সময় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সমস্যায় পড়েছেন। আউটেজ-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর ডটকমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বিশ্বব্যাপী ১৩ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী ফেসবুকে অ্যাক্সেস করতে সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।এ ছাড়া, ৬ হাজার ৬০০ এর বেশি মানুষ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।অন্যদিকে, মেটার মেসেজিং পরিষেবা ও হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন থাকার ২ হাজার ৩০০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে ডাউনডিটেক্টর ডটকম।

মিড বাজেটের ওয়াটারপ্রুফ রেটিং সমৃদ্ধ স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি সি৭৫

প্রথম বারের মত আইপি৬৯ সার্টিফিকেশন পাওয়া সি-সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে আনছে রিয়েলমি। আগামী রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ন্মোচন হতে যাওয়া রিয়েলমি সি৭৫-এ আইপি৬৯ রেটিংয়ের পাশাপাশি আরও রয়েছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৬ সার্টিফিকেশন। ফলে, পানি ও ধুলাবালি থেকে ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। বাজারের অন্য স্মার্টফোন যেখানে কেবল একটি বা দুটি স্তরের পানি প্রতিরোধক সুরক্ষা দেয়, রিয়েলমি সি৭৫ দিচ্ছে অল-রাউন্ড প্রটেকশন। আইপি৬৬, আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ - প্রতিটি রেটিং আলাদাভাবে পরিপূর্ণ সুরক্ষা দেয়: আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে। এই তিনটি সার্টিফিকেশনের সমন্বয়ে রিয়েলমি সি৭৫ ফোনপ্রেমীকে অনন্য টেকসইতা দেয়। রিয়েলমি সি৭৫’-এর দুর্দান্ত প্রটেকশন তৈরী হয়েছে অত্যাধুনিক ওয়াটারপ্রুফিং প্রযুক্তির সাহায্যে। যার মধ্যে রয়েছে উন্নত ফোম সিল, একটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইনকৃত ওয়াটারপ্রুফ কাঠামো ও উন্নতমানের উপাদানের সমন্বয়। এছাড়াও, উদ্ভাবনী সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন ফিচার দ্রুত স্পিকার থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ডিভাইসের টেকসইত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। শক্তিশালী ছয় হাজার এমএএইচ ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং থাকায়, রিয়েলমি সি৭৫ মাত্র ৩৮ মিনিটে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। আট জিবি+১৬ জিবি ডায়নামিক র‍্যাম থাকায় ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মাল্টিটাস্কিং ও দ্রুত অ্যাপ চালানোর দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন । রিয়েলমি সি৭৫’-এর মাধ্যমে উদ্ভাবন আর গুণগতমানের উৎকর্ষতা ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে রিয়েলমি তার প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে। আরও তথ্যের জন্য রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/realmeBD/ -এ ভিজিট করতে পারেন।

‘প্রবাসী প্যাক’ চালু করল গ্রামীণফোন

প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ‘প্রবাসী প্যাক’ চালু করেছে বেসরকারি মোবাইল অপারটর কোম্পানি গ্রামীণফোন। প্রবাসীদের জন্য গ্রাহককেন্দ্রিক পদক্ষেপ এই প্রথম; তাদের প্রয়োজনের দিকটি এর আগে সেবার আওতাভূক্ত ছিল না। পাঁচ বছর পর্যন্ত সিমের মেয়াদসহ উদ্ভাবনী এই প্যাকটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন তা প্রবাসীদের সংযোগের চাহিদা পূরণ করতে পারে। বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত বাংলাদেশীদের ক্ষমতায়নের জন্য প্যাকটিতে রয়েছে বিশেষ সব ফিচার। সমন্বিত ও অনন্য সব সুবিধা দিয়ে প্রবাসীদের জন্য সাজানো হয়েছে এই প্যাকটি; যারা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্যাকটির মাধ্যমে বিদেশে থাকাকালে মোবাইল নম্বর সচল রাখা ছাড়াও কোন বাড়তি চার্জ ব্যতীত আনলিমিটেড ইনকামিং এসএমএসের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। এছাড়া, অনলাইন ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা এবং গুগল ও ফেসবুকের মত অ্যাপের জরুরি ওটিপিগুলো পাবেন তারা। ফলে, সব সময় প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সেবা নিতে পারবেন গ্রাহকরা; যা তাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে সংযুক্ত রাখবে। গ্রাহকদের সুবিধা ও প্রয়োজনের দিকটি মাথায় রেখে প্যাকটিতে তিন জিবি বা পাঁচ জিবির ইন্টারনেট বোনাস রাখা হয়েছে; দেশে থাকাকালীন বোনাসটি উপভোগ করতে পারবেন প্রবাসীরা। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যুক্ত থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ খোঁজ-খবর রাখতে পারবেন তারা, যা তাদের শেকড়ের সাথে বন্ধনকে রাখবে অটুট; নিশ্চিত করবে আরো সহজ ও সংযুক্ত জীবনধারা। অফারটি পেতে, গ্রাহকদের তিন বছর মেয়াদের জন্য ৯৯৪ টাকা ও পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য এক হাজার ৪৯৪ টাকা রিচার্জ করতে হবে। ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা বা বিদেশ থেকে রিচার্জ করার সুযোগ না থাকায় সিম সচল রাখতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রায়ই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই প্যাকটির মাধ্যমে গ্রাহকরা কোন ঝামেলা ছাড়া তাদের সিমটি সচল ও কার্যকর রাখতে পারবেন, যা বহু ক্ষেত্রে তাদের পরিচয়ের একটি মূল অংশ হয়ে দাঁড়ায়। বিদেশে থাকাকালে সিম সচল রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রবাসীদের পরিচিতি রক্ষার নিশ্চয়তা দেবে এই প্যাকটি। এছাড়া, তারা দেশে আসার পর পাচ্ছেন ইন্টারনেট বোনাস ব্যবহারের সুযোগ। ফলে, নিজের দেশে সবার সাথে যুক্ত থাকতে ও যোগাযোগ রক্ষায়ও সহায়ক এই প্যাকটি। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আবেগঘন গল্প তুলে ধরতে এ বছর ’স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ নামে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঈদ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে গ্রামীণফোন। এতে উঠে আসে তাদের আত্মত্যাগ ও বাড়িতে থাকা ভালবাসার মানুষদের সাথে দৃঢ় বন্ধনের চিত্র। এই গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই প্রবাসী প্যাকটি তৈরি করেছে অপারেটরটি। এই প্যাকটি ওই আবেগগুলোকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি বিদেশে থাকাকালে বাংলাদেশি সিম চালু রাখার সমাধান নিয়ে এসেছে। এতে দূরে থেকেও সব সময় দেশের সান্নিধ্য পাবেন প্রবাসীরা। গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘একমাত্র অপারেটর হিসেবে অনন্য এই সেবাটি আনতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত; যা আমাদের প্রবাসী গ্রাহকদের দেবে নিরবচ্ছিন্নভাবে ও ডিজিটালি যুক্ত থাকার সুযোগ। যুগান্তকারী এই পদক্ষেপটি গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এটি প্রবাসী গ্রাহকদের সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করার পাশাপাশি এমন একটি ডিজিটাল সংযোগ তৈরি করবে; যা তাদের জীবনধারাকে সমৃদ্ধ ও দেশের সাথে বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে। প্রবাসী প্যাকটির মাধ্যমে সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা প্রদানে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন, যেন প্রবাসীরা দেশের সাথে সংযুক্ত থাকতে ও আধুনিক যোগাযোগের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রবাসীরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, তারা যেন কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করতে এবং তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সাথে যুক্ত থাকতে পারেন।’ ইতোমধ্যে, বাংলাদেশে থাকা গ্রাহকরা যাদের হাতে সিম আছে, তারা সহজেই বিভিন্ন চ্যানেল যেমন- রিটেল আউটলেট, বিকাশ, গ্রামীণফোন ওয়েবসাইট অথবা মাই জিপি অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি নির্দিষ্ট টাকা রিচার্জ করতে পারবেন। মাই জিপি অ্যাপ থেকে ’বান্ডলস’ সেকশনে গিয়ে তাদের মূল অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ব্যবহার করে অফারটি নিতে পারবেন গ্রাহকরা। এছাড়া, তিন বছরের প্ল্যানের জন্য *১২১*৯৯৪# বা পাঁচ বছরের প্ল্যানের জন্য *১২১*১৪৯৪# ইউএসএসডি কোড ডায়াল করতে হবে। সিম কার্ডটি সাথে থাকা অবস্থায় যারা দেশের বাইরে আছেন, তারা একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অথবা অন্যের সহায়তায় রিচার্জ করতে পারবেন।

ফেসবুকে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার: মেটাকে ব্যবস্থা নিতে বললেন ড. ইউনূস

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশবিরোধী বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মোকাবিলা করতে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটাকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মেটার মানবাধিকার নীতির পরিচালক মিরান্ডা সিসন্সকে সাক্ষাৎ প্রদানকালে তিনি এ অনুরোধ করেন। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘একটি ব্যাপক বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চলছে এবং আমরা এর ভুক্তভোগী।’ মিরান্ডা সিসন্স প্রধান উপদেষ্টাকে মেটার মানবাধিকার নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেজন্য তারা সতর্ক ছিলেন।’ ড. ইউনূস মেটাকে তার প্রযুক্তি তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব করতে বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি বহু ঘটনা ঘটানোর একটি হাতিয়ার। কিন্তু, প্রযুক্তি আমরা কী করতে চাই তা নির্ধারণ করে না। সুতরাং, এটিকে নিখুঁত করতে আমাদের পুনরায় ইঞ্জিনিয়ারিং করতে হবে।’ ফেসবুকের প্রচুর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তরুণদের উদ্যোক্তা করতে ফেসবুক ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’ এ সময় এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ও নেপালের জন্য মেটার পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারোয়ার, মেটার অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ, এশিয়া-প্যাসিফিকে মেটার মিসইনফরমেশন নীতি বিষয়ক প্রধান অ্যালিস বুদিসাত্রিজো উপস্থিত ছিলেন।

অপোর এ৩এক্স হ্যান্ডসেটে মূল্যছাড় ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার

অপো ফ্যানস ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে ও বাংলাদেশে অপোর দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য এসেছে দারুণ সব অফার। ‘ডিউরেবিলিটি চ্যাম্পিয়ন’ স্মার্টফোন অপো এ৩এক্সের সাথে থাকছে এই অনন্য সুযোগ। অপো এ৩এক্সের (চার জিবি+৬৪ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৩ হাজার ৯৯০ টাকায়, যার পূর্বের মূল্য ছিল ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা। এছাড়া, ৫-৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপো এ৩এক্স কিনলেই অংশ নিতে পারবেন বিশেষ লটারিতে। এই লটারির মাধ্যমে একজন ভাগ্যবান গ্রাহক পাবেন ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফার। এছাড়া, প্রতিটি অপো এ৩এক্সের সঙ্গে রয়েছে এক্সক্লুসিভ অ্যাক্সেসরি সেট ও দুই বছরের কমপ্লিমেন্টারি ওয়ারেন্টি। ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। এর মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি কঠিন পরিস্থিতিতেও ডিভাইসকে টেকসই রাখে। এছাড়া, এর মাল্টিপল লিকুইড রেজিস্ট্যান্স ও স্প্ল্যাশ টাচ প্রযুক্তি ডিভাইসকে তরলের পদার্থের ছিটা থেকে সুরক্ষা দেয়। পাশাপাশি, ফোনটির চার বছরের বেশি স্থায়ীত্বের ব্যাটারির উপর নিশ্চিন্তে ভরসা করা যায়। ৪৫ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি প্রয়োজনের সময় ব্যবহারকারীদেরকে দ্রুত চার্জিং সুবিধাও দেয়। অপো বাংলাদেশের অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের দশম বর্ষপূর্তি উদযাপনের পাশাপাশি গ্রাহকদের সঙ্গে ফ্যানস ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। চমৎকার অফার ও চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে এই ইভেন্টটি গ্রাহকদের একটি সত্যিকারের উৎসব উদযাপনের আনন্দ দেবে।’ এই উদযাপনে অংশ নিয়ে দারুণ সুযোগগুলো পেতে নিকটস্থ অপো স্টোর বা অনুমোদিত রিটেলারদের কাছে যাওয়ার জন্য গ্রাহকদের আহ্বান জানান হচ্ছে।

ডিজিটাল অ্যারেস্ট ফাঁদে তরুণী

আতঙ্কের প্রতীক হয়ে উঠছে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’। গত ১০ মাসে এই প্রতারণার মাধ্যমে ২,১৪০ কোটি টাকা হারিয়েছেন ভারতের সাধারণ মানুষ। থাইল্যান্ড, হংকং, লাওসের মতো একাধিক দেশের মাধ্যমে এই প্রতারণা ভারতে চলছে। এবার সামনে এলো মুম্বাইয়ের এক ২৬ বছরের তরুণীর ঘটনা। অভিযোগে জানা গেছে, ভিডিও কলে তাকে জোর করে পোশাক খুলতে বাধ্য করে প্রতারক এবং তার থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর রাতে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থায় কাজ করা ওই তরুণী একটি ফোন কল পান। প্রতারক নিজেকে দিল্লির পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে জানান যে, ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নরেশ গোয়েলের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হয়। প্রতারকের নির্দেশে তরুণীকে একটি হোটেল রুম বুক করতে বাধ্য করা হয় এবং সেখানে একটি ‘ভার্চুয়াল শুনানি’র নাটক তৈরি করা হয়। এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের নামে তার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘বডি ভেরিফিকেশন’-এর অজুহাতে ভিডিও কলে তাকে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়। গত ২৮ নভেম্বর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত করার কাজ চলছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল অ্যারেস্টের মতো প্রতারণার বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করেন। তিনি জানান, কোনও সরকারি তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে কাউকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে কাজ করে না। এ ধরনের ফোন পেলে দ্রুত ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

রোববার রাতে তিন ঘণ্টা বিঘ্নিত হবে দেশের ইন্টারনেট সেবা

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) কক্সবাজারের সিমিইউ-৪ সাবমেরিন ক্যাবলের চেন্নাই ও সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। সেজন্য রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে তিন ঘণ্টার জন্য দেশের ইন্টারনেট সেবা সাময়িক সময়ের জন্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএসসিপিএলসির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত (মোট দুই ঘণ্টা ৫৯ মিনিট) কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের সিমিইউ-৪’-এর চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। তাই, এই সময়ে সিমিইউ-৪’-এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। এ অবস্থায় সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিএসসিপিএলসি সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ ক্যাবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ও আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সিমিউই-৪’-এর জন্য বিএসসিসিএলের কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সিমি-দউই-৫’-এর জন্য বিএসসিসিএলের ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।

বাজারে মাত্র ৯,৯৯৯ টাকায় স্পার্ক গো ওয়ান এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এলো টেকনো

উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড টেকনো টেকসই এবং শক্তিশালী স্মার্টফোন স্পার্ক গো ওয়ান এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এসেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত ফিচার সমৃদ্ধ স্পার্ক গো ওয়ান ডিভাইসটি গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করা হয়। লঞ্চের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফোনটি। গ্রাহকদের মাঝে এই ফোনের জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে টেকনো নতুন ৩ জিবি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এসেছে; ফলে গ্রাহকরা এখন আরও কম বাজেটে এই ফোন কিনতে পারবেন। টেকনো স্পার্ক গো ওয়ান ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করবে ৪ বছরের দীর্ঘস্থায়ী স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা। এই ফোনে থাকছে আইপি৫৪ পানি, ধুলো ও তেল প্রতিরোধী ফিচার। ডিটিএস সাউন্ড সিস্টেম সহ স্টেরিও ডুয়াল স্পিকার নিশ্চিত করবে সাউন্ডে অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ব্যবহারকারীরা প্রায় ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত লাউড সাউন্ডশুনতে পারবেন। ব্রাউজিং, গেমিং অথবা স্ট্রিমিংয়– যেকোনো পরিস্থিতিতে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৬৭" আইপিএসএলসিডি ডিসপ্লের সাহায্যে ব্যাবহারকারী পাবে দুর্দান্ত স্মুথ অভিজ্ঞতা পাশাপাশি ১২০ হার্জ স্মুথ ডিসপ্লে সেগমেন্টেএই ডিভাইসটিকে ইউনিক করে তুলেছে। এই ফোনে রয়েছে অক্টা-কোর টি৬১৫ প্রসেসর এবং ৪.৫জি লাইটিনিং মোবাইল নেটওয়ার্ক যা মাল্টিটাস্কিং, গেমিং অথবা অ্যাপ ব্যবহারের সময় প্রদান করবে চমৎকার পারফরম্যান্স, সাথে দুর্দান্ত গতি। এছাড়া, তিন’শ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড পাওয়া যাবে, যা গতানগতিক ফোরজি নেটওয়ার্কের তুলনায় প্রায় শতভাগ বেশি গতি নিশ্চিত করবে। ডিসপ্লে, প্রসেসর, নেটওয়ার্ক সব কিছুর কম্বিনেশন এই ফোনকে সেগমেন্টে ইউনিক করে তুলেছে। প্রাণবন্ত ছবি এবং ভিডিও কলের জন্য এই ফোনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল প্রাইমারী ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। স্পার্ক গো ওয়ানে আরও আছে আইআর রিমোট কন্ট্রোলের মতো ইউনিক ফিচার যা স্মার্ট হোম ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। উন্নত অভিজ্ঞতার জন্য আরও রয়েছে ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট ও ডায়নামিক পোর্ট সহ ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। নতুন ৬৪জিবি স্টোরেজ + ৬জিবি র্যাম (*৩জিবি + ৩জিবি এক্সটেন্ডেড) ভ্যারিয়েন্টটি দেশব্যাপী সকল আউটলেটে মাত্র ৯,৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট প্রযোজ্য) পাওয়া যাচ্ছে ৩টি স্টার ট্রেইল ব্ল্যাক, গ্লিটারি হোয়াইট (সাদা) ও ম্যাজিক স্কিন গ্রিন (সবুজ) এই তিনটি কালারে। এছাড়া ৬৪জিবি স্টোরেজ+ ৮জিবি র্যাম (৪জিবি + ৪জিবি এক্সটেন্ডেড) ভ্যারিয়েন্টটির দাম মাত্র ১০,৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য) এবং ১২৮জিবি স্টোরেজ+ ৮জিবি র্যাম (৪জিবি + ৪জিবি এক্সটেন্ডেড) ভ্যারিয়েন্টটি মাত্র ১২,৪৯৯ টাকায়(ভ্যাট প্রযোজ্য) ক্রয়করতে পারবেন।

২০ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করলো মেটা

লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিলো মেটা। এসব অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার কারণও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সিদ্ধান্তের পিছনে মূল উদ্দেশ্য পিগ বুচারিং কেলেঙ্কারির মোকাবেলা করা। কেননা অনলাইনে প্রতারকরা নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপের মেটা এআইতে যেসব সুবিধা রয়েছেপ্রথমে বিভিন্ন অ্যাপের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেন অনেকেই। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগ্রহ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে অর্থ সংগ্রহ করে সাইবার অপরাধীরা। এমনকি ব্ল্যাকমেল করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থও চুরি করে তারা। আর তাই অনলাইনে পরিচিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতারণার শিকার ৩ লাখ মানুষ২০২৩ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্বে অন্তত ৩ লাখ মানুষ এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সব মিলিয়ে এক বছরে ৬৪ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন তারা। গত ২ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মেটা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও আইনি সংস্থার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তদন্ত চালিয়ে তারা জানতে পেরেছে কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে বিশাল একটি গ্রুপ রয়েছে এর পিছনে। অবশেষে এই কেলেঙ্কারি বন্ধে ২০ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করলো মেটা। যেভাবে সতর্ক হবেনএই বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। অনলাইনে পরিচিত হওয়া কোনো ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত তথ্য, কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠানো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতারকেরা এসব ছবি ও ভিডিও কাজে লাগিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেল করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে থাকে। কোনো ধরনের সন্দেহ হলেই রিপোর্ট করুন প্রোফাইলটি।

মেটাকে ৮৪ কোটি ডলার জরিমানা করলো ইইউ

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ইউরো (৮৪ কোটি ডলার) জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোম্পানিটি ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবায় ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশাধিকার দেয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা-সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। ইউরোপীয় কমিশনের অভিযোগ, মেটা তার অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবা ফেসবুক মার্কেটপ্লেসকে তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সাথে যুক্ত করেছে। একই সাথে অন্যান্য অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবা প্রদানকারীদের উপর অন্যায্য শর্ত আরোপ করেছে মেটা। যা বিশ্বাস-বিরোধী আইন (অ্যান্টি ট্রাস্ট রুল) লঙ্ঘন। আর ক্ষমতার সেই অপব্যবহারের কারণেই মেটার উপর ৭৯ কোটি ৭৭ লক্ষ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে জারি করে বিবৃতিতে বলা হয়, অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবা ফেসবুক মার্কেটপ্লেসকে ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সাথে যুক্ত করে এবং অন্যান্য অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবা প্রদানকারীদের উপর অন্যায্য শর্ত আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশ্বাস-বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছে মেটা। এই কারণে সংস্থাকে জরিমানা করা হয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এমনিই মার্কেটপ্লেসের সাথে যুক্ত থাকেন। ইউরোপীয় কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ব্যবহারকারীরা চান বা না চান, তাদের কাছে ফেসবুকের অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবা নিয়মিত ভাবে উন্মোচিত হয়৷ এটি ফেসবুককে বাড়তি সুবিধা দেয়। কিন্তু মার্কেটপ্লেসের প্রতিযোগীদের জন্য সেই সুবিধা নেই। ফলে অন্যান্য অনেক অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবা ক্ষতির মুখে পড়ছে। জরিমানা প্রসঙ্গে ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিযোগিতা নীতির দায়িত্বে থাকা এগজিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্গ্রেথ ভেস্টেগার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ প্রাধান্যের সুযোগ নেওয়া এবং প্রচারমূলক বিষয়বস্তু বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করার জন্য মেটার উপর ওই জরিমানা চাপিয়েছ ইউরোপীয় কমিশন।

সাইবার হামলা নিয়ে ‘প্যাসিফিক রিম’

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস সম্প্রতি ‘প্যাসিফিক রিম’ শিরোনাম শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কীভাবে চীন ভিত্তিক একাধিক আন্তঃসংযুক্ত সাইবার হামলাকারীরা সফোসের ফায়ারওয়ালসহ এর পেরিমিটার ডিভাইসগুলো লক্ষ্যবস্তু করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নজরদারি, হামলা এবং সাইবার স্পায়িংয়ের জন্য এই হামলাকারীরা নতুন পদ্ধতি এবং কাস্টমাইজড ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে। এই কৌশলগুলো চীনা রাষ্ট্র গোষ্ঠীর ভোল্ট টাইফুন, এপিটি৩১ এবং এপিটি৪১ গ্রুপগুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের। হামলাকারীরা প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট-বড় উভয় কাঠামো এবং সরকারিস্থাপনা গুলো লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক শক্তি সরবরাহকারী, রাজধানীর বিমানবন্দর, সামরিক হাসপাতাল, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিস্টেম। সাইবারসিকিউরিটি এবং থ্রেট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সফোস এক্স-অপস আক্রমণকারীদের মোকাবেলা করার জন্য কাজ করেছে এবং ক্রমাগত প্রতিরক্ষা ও পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে। প্রাথমিক আক্রমণে সফোস প্রতিক্রিয়া জানালে হামলাকারীরা তাদের প্রচেষ্টা বাড়ায় এবং আরও অভিজ্ঞ অপারেটরদের নিয়ে কাজ করে। ২০২০ সালে ক্লাউড স্নুপার এবং অ্যাসনারক হামলা নিয়ে সফোস বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। এছাড়া চীন রাষ্ট্রের হামলাকারী নিয়ে এবং আনপ্যাচড আর অচল ডিভাইস (ইওএল) ডিভাইসগুলোর প্রতি তাদের টার্গেট সম্পর্কে সচেতনতার গুরুত্ব সফোসের বিশ্লেষণ উঠে আসে। সাইবার হামলাকারীরা প্রধানত ইন্টারনেট ভিত্তিক এবং জটিল ডিভাইসগুলো টার্গেট করে। এ ধরনের ডিভাইসগুলো সুরক্ষিত রাখতে সফোসের কিছু পরামর্শ হলো- সম্ভব হলে ইন্টারনেট কানেক্টেড সার্ভিস এবং ডিভাইসগুলো কমিয়ে আনুন।ইন্টারনেট কানেক্টেড ডিভাইসগুলোতে দ্রুত প্যাচিং করুন এবং ডিভাইসগুলো পর্যবেক্ষণে রাখুন।এজ ডিভাইসগুলোর জন্য স্বয়ংক্রিয় হট ফিক্স ব্যবহার করুন।আইওসিগুলো (ইন্ডিকেটর অফ কম্প্রোমাইজ) শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আইন এবং সরকারি-বেসরকারি পার্টনারদের সাথে কাজ করুন।প্রায় অকার্যকরী ডিভাইসগুলোর দিকে খেয়াল রাখুন।

এই স্যাটেলাইট কাঠের তৈরি!

বিশ্বে প্রথমবারের মতো কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হলো। স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছেন জাপানি গবেষকেরা। গত ৫ নভেম্বর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ অভিযানে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল জাপান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা র‍য়টার্সের প্রতিবদেনে এ তথ্য জানা গেছে।কাঠের স্যাটেলাইটটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার অংশ হিসেবে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। ধাতব উপাদানের পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করে ভবিষ্যতে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য স্যাটেলাইট তৈরি করা সম্ভব কি না, তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব হবে।‘লিগনোস্যাট’ নামের স্যাটেলাইটটি হোনোকি কাঠ দিয়ে জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটি ও সুমিতোমো ফরেস্ট্রির গবেষকরা যৌথভাবে তৈরি করেছেন। ‘লিগনোস্যাট’ শব্দটি লাতিন ‘উড’ থেকে এসেছে। এটি একটি হাতের তালুর আকারের মতো ছোট স্যাটেলাইট।কিয়োটো ইউনিভার্সিটির গবেষক ও মহাকাশচারী তাকাও ডই বলেন, ‘কাঠ দিয়ে আমরা মহাকাশে বাড়ি তৈরি করে আজীবন বসবাস ও গবেষণা করতে সক্ষম হব বলে আশা রাখি।’চাঁদ ও মঙ্গলে গাছ লাগানো এবং কাঠের ঘর তৈরির ৫০ বছরের পরিকল্পনা রয়েছে ডই ও তাঁর দলের। আর মহাকাশে কাঠ ব্যবহার করা সম্ভব কি না, তা প্রমাণ করতে নাসা স্বীকৃত কাঠের স্যাটেলাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কিয়োটো ইউনিভার্সিটির ফরেস্ট সায়েন্সের অধ্যাপক কোজি মুরাতা বলেন, ‘‌১৯০০ সালের শুরুতে উড়োজাহাজগুলো কাঠের তৈরি ছিল। তাই কাঠের স্যাটেলাইট অসম্ভব কিছু না। পৃথিবীর চেয়ে মহাকাশে কাঠ বেশি টেকসই হবে, কারণ সেখানে পানি বা অক্সিজেন নেই। ফলে কাঠকে নষ্ট হবে না।’জাপানি এ গবেষকদের মতে, সাধারণ ধাতব স্যাটেলাইটগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের কণার সৃষ্টি করে, যা পরিবেশকে দূষিত করে। কিন্তু কাঠের স্যাটেলাইট সহজে পুড়ে যাবে এবং কম দূষণ তৈরি করবে।

অ্যাসোসিও সম্মাননা অর্জন করল বাংলাদেশ

এশিয়ান-ওশেনিয়ান অঞ্চলের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) কতৃক আয়োজিত `অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২৪ টোকিও’ এ দুই ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে দেশের দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। আউটস্ট্যান্ডিং টেক অর্গানাইজেশন বিভাগে রাইজআপ ল্যাবস এবং ইমার্জিং ডিজিটাল সল্যিউশন অ্যান্ড ইকোসিস্টেম বিভাগে ইগরুট লিমিটেড এই সম্মাননা অর্জন করেছে। ৬ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত জাপানের রাজধানী টোকিওতে আয়োজিত অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২৪ এ্রর দ্বিতীয় দিনে অ্যাওয়ার্ড নাইটে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন অ্যাসোসিওর চেয়ারম্যান ড. ব্রায়ান সিন। এসময় অ্যাসোসিওর আজীবন সম্মানিত চেয়ারম্যান ও বিসিএস প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফিসহ অ্যাসোসিও এর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ১৩টি বিভাগে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ২৪টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এশিয়া এবং ওশেনিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অ্যাসোসিও প্রতিবছর এই পুরষ্কারের আয়োজন করে থাকে। এই অঞ্চলের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একে সম্মাজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এশিয়ান-ওশেনিয়ান অঞ্চলের সংগঠন অ্যাসোসিও’র একমাত্র সদস্য। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী বিভিন্ন প্রকল্পকে অ্যাসোসিও’র এই সম্মাননার জন্য প্রতিবছর বিসিএস মনোনয়ন প্রদান করে।অ্যাসোসিওর আজীবন সম্মানিত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ এইচ কাফি বলেন,‘বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পাওয়ায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে বিসিএসসহ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোর ভূমিকা বরাবরের মতোই প্রশংসনীয়।প্রসঙ্গত, ৬ থেকে ৮ নভেম্বর ২০২৪ জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিসিএস এর ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন।

আইফোন ১৫ প্লাস ও প্রো মডেলে মিলছে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়

আইফোন ১৬ নিয়ে আইফোনপ্রেমীদের নানা আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই জানা গেল আইফোন ১৫ এর দাম কমেছে। সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৬ বাজারে আসার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নতুন সিরিজের আইফোন। তবে ভারতের বাজারে আসন্ন দীপাবলি উৎসবকে সামনে রেখে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে আইফোন ১৫ সিরিজের প্রো ও প্লাস এই মডেল দুটি। কেননা ভারতের জনপ্রিয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ফ্লিপকার্ট আইফোন ১৫ প্রো ও প্লাস মডেলে দিচ্ছে বড় অঙ্কের মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন অফার। ফ্লিপকার্টের ১০ দিনব্যাপী ‘দীপাবলি সেল’ শুরু হয়েছে আজ (১০ অক্টোবর) থেকে। প্ল্যাটফর্মটির এই সেল উৎসবের অংশ হিসেবেই আইফোনের প্রো ও প্লাস মডেল দুটিতে মিলছে বিশেষ এই মূল্যছাড়।আইফোন ১৫ প্লাস মডেলে মূল্যছাড়ের অফারগত বছর বাজারে আসার পর আইফোন ১৫ প্লাসের দাম ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৮৯,৯০০ রুপি। গত মাসে আইফোন ১৬ সিরিজ উন্মোচনের পর ১৫ প্লাসের দাম স্থায়ীভাবে ১০ হাজার রুপি কমিয়ে আনা হয় ৭৯,৯০০ রুপিতে। বর্তমানে ‘দীপাবলি সেল’ উপলক্ষ্যে ফ্লিপকার্ট ১৮ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়ে ফোনটি অফার করছে ৬৪,৯৯৯ রুপিতে।আইফোন ১৬ সিরিজ উন্মোচন, দাম কত?অবশ্য আকর্ষণীয় অফারের এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে মিলছে অতিরিক্ত মূল্যছাড়। এই যেমন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) এর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে গ্রাহকরা সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্যছাড়। আবার অ্যাক্সিস ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাকের সুযোগ। এছাড়া আইসিআইসিআই ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডে মিলছে তাৎক্ষণিক ৪,০০০ টাকার মূল্যছাড়।আইফোন ১৬ সিরিজের আদ্যোপান্তপুরাতন আইফোন এক্সচেঞ্জ করে যারা আইফোন ১৫ প্লাস নিতে ইচ্ছুক তারা নির্দিষ্ট ফোনে ৩৮,০৫০ রুপি পর্যন্ত মূল্যছাড় পেতে পারেন। শুধু তাই নয় এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি মডেলে ২,০০০ রুপি অতিরিক্ত ছাড়েরও সুযোগ থাকছে গ্রাহকদের জন্য। আইফোন ১৫ প্রো মডেলের বিভিন্ন ভার্সনেও মিলছে ৪ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। ১৫ প্রো মডেলের ২৫৬জিবি ভার্সনটি ৪ শতাংশ ছাড়ে ১,১৩,৯৯৯ রুপিতে পাওয়া যাচ্ছে। ৫১২জিবি ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে ১৭ শতাংশ মূল্যছাড়,ফলে এর দাম এখন ১,১৫,৯৯৯ রুপি। আইফোন ১৫ প্রো এর ১টিবি ভার্সন ২২ শতাংশ ছাড়ে ১,২৩,৯৯৯ রুপিতে অফার করছে ফ্লিপকার্ট। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অতিরিক্ত মূল্যছাড়ও পাওয়া যাবে, যেমনটা ১৫ প্লাস মডেলে পাওয়া যাচ্ছে।উল্লেখ্য,আইফোন ১৫ সিরিজের প্রো ও প্লাস মডেল দুটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপলের এআই প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ অ্যাক্সেস করতে পারবেন। ফলে অ্যাপলের নিত্যনতুন এআই ফিচারগুলোও ব্যবহার করতে পারবেন তারা।তথ্যসূত্র:ফ্লিপকার্ট, ইন্ডিয়া টুডে, লাইভমিন্ট

৮৪ লাখ অ্যাকাউন্ট ব্যান করল হোয়াটসঅ্যাপ

৮৪ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যান বা নিষিদ্ধ করেছে মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ। নিষিদ্ধ হওয়া এই বিপুল সংখ্যক অ্যাকাউন্ট ভারতীয়দের। কিন্তু ঠিক কী কারণে নিষিদ্ধ করা হলো এসব অ্যাকাউন্ট?।হোয়াসটঅ্যাপের দাবি, তাদের প্ল্যাটফর্ম স্ক্যামের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে সন্দেহভাজন কিছু অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আসলে বহু ব্যবহারকারীই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে এই ধরনের স্ক্যাম সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছিল।বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই প্রায় ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(১)(ডি) এবং ৩এ(৭) ধারায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বারবার অভিযোগ আসার ফলে নজরদারি বাড়িয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এরপরে অবিলম্বে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ।হোয়াটসঅ্যাপের রিপোর্টে দেখানো হয়েছে যে, গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬.৬১ লাখ অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বাকি অ্যাকাউন্টগুলো যাচাই করার পরে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ব্যবহারকারীদের থেকে কোনওরকম অভিযোগ না পেয়েও ১৬ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কারণ নজরদারির সময় অপব্যবহারের বিষয়টি সামনে এসেছিল।প্রতিবেদনে হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে ব্যবহারকারীদের থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এর পাশাপাশি ই-মেইল কিংবা অন্য কোনও মাধ্যম মারফত জমা পড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোম্পানির বক্তব্য, স্ক্যাম এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত কাজেই জড়িত ওই অ্যাকাউন্টগুলো।

এআই কি গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য হুমকিস্বরূপ?

যখন প্রথমবার এআই AI (Artificial Intelligence) এর নাম প্রথম শুনি তখন হকচকিয়ে উঠি। ট্রাডিশনাল ইউটিউবাররা তো শুরু করে দিলো, যারা ডিজাইন সেক্টরে আছেন তাদের ক্যারিয়ার শেষ! অনেক ডিজাইনারদের দেখতাম হতাশার সমুদ্রে অবগাহন করতেসে। এআই নাম শুনলে কেউ কেউ ভয়ে কেঁপে ওঠে।এ আই গ্রাফিক্স ডিজািইনারদের জন্য আশীর্বাদ না-কি অভিশাপ ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রিতে AI এর প্রভাব নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও, এটি সরাসরি গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়, বরং আমার কাছে মনে হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা ও পরিবর্তনের সূচনা করছে। এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। AI ভিত্তিক ডিজাইন টুলস যেমন Midjourney, Leonardo AI, Stable diffusion, Adobe Sensei, Adobe firefly, RunwayML, SunoAI এইগুলো আমার নিত্য দিনের সাথী। এই টুলসগুলো আমার সময় বাঁচাচ্ছে এবং ডিজাইন কন্সেপ্ট তৈরীতে সাহায্য করছে। এ আই ব্যবহার করে আমি স্টক ইমেজ, ভেক্টর আর্ট, ঝিঙ্গেল, ভিডিয়ো জেনারেট করে আমার মোশন ডিজাইনে সুনিপুণভাবে ব্যবহার করেছি। এবং কাজগুলোও হয়েছে চোখে লাগার মত।কারা টিকে থাকবে? সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যারা AI টুলস ব্যবহার করে তাদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা আরও বাড়িয়ে তুলছেন, তারা ভবিষ্যতে ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রিতে এগিয়ে থাকবেন। আমাদের AI টুলস ব্যবহার করতে শেখা AI আমাদের ক্রিয়েটিভিটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রি AI এবং মানুষের সৃজনশীলতার সম্মিলিত প্রয়াসে আরও সমৃদ্ধ হবে।কারা হারিয়ে যাবে? ডিজাইনের বেসিক কাজ, যেমন ফটো এডিটিং, ক্লিপিং মাক্স বা ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, AI সুন্দরভাবে অটোমেটেড করতে পারে। সো অদূর ভবিষ্যতে এন্ট্রি-লেভেল ডিজাইনারদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।AI অনেক শক্তিশালী এটা সত্য, তাই বলে কি এটা মানুষের সৃজনশীলতার বিকল্প ?? AI আলগোরিদম দিয়ে কাজ করে এবং মানুষের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কাজের আউটপুট দেয়। নতুন এবং ইউনিক কনসেপ্ট তৈরি করতে মানুষের কল্পনাশক্তি এবং সাংস্কৃতিক ধারণা অপরিহার্য। আমরা যেভাবে ক্লায়েন্টের প্রয়োজন বুঝে একটি কাস্টমাইজড এবং ইউনিক ডিজাইন তৈরি করি, AI কিন্তু সেইটা পুরোপুরি ধারণ করতে পারে না। সবশেষে এটা বলতে পারি AI হুমকি নয় বরং ডিজাইনারদের কাজকে আরও সৃজনশীল ও ফলপ্রসূ করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।লেখক: সোহানুর রহমান (মোশন ডিজাইনার, মুভঅন টেকনোলজি)।

স্মার্টফোনের স্থায়িত্বে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে অপো

বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোন ব্যবহারে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দেখা দিছে। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অপো এ৩ সিরিজ নিয়ে এসে স্মার্টফোনের স্থায়িত্বে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে অপো। ‘ডিওরেবিলিটি চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে ডিজাইন করা অপো এ৩ দৈনন্দিন জীবনের নানা বাধা বিপত্তি এড়াতে পারবে সহজেই। পানির ফোঁটা এবং পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করার জন্য মজুবত গঠনের অপো এ৩-তে রয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিস্টেন্স এবং বিশেষ ওয়াটার রেজিস্টেন্স ফিচার। এর ফলে এটি বৃষ্টির পানি এবং তরলের ছিঁটা থেকে সুরক্ষিত থাকে। অপো এ৩-এর দীর্ঘস্থী ব্যাটারি ও নেটওয়ার্ক ছাড়াই কল করার সুবিধা এবং কার্যকারিতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে। অপো এ৩ বাংলাদেশের অনুমোদিত অপো স্টোরগুলিতে ২০,৯৯০ টাকার আকর্ষণীয় মূল্যে পাওয়া যাবে। ৩ থেকে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত অপো এ৩ কিনলে গ্রাহকরা ২ বছরের ওয়ারেন্টি, একটি স্টাইলিশ ফ্যান জার্সি এবং জিরো লাইফ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এক্সক্লুসিভ মেম্বার রিওয়ার্ড পাবেন। মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স থাকার কারণে ব্যবহারকারীরা স্বা”ছন্দ্যের সাথে ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন। টেবিল বা বারান্দা থেকে, এমনকি দ্রুত গতিতে কাজের সময় পড়ে গেলেও ফোনটি নষ্ট হওয়ার দুশ্চিন্তা থাকে না। এর অত্যন্ত পাতলা ও মসৃণ ডিজাইন প্রতিকুল অবস্থা সহ্য করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা ফোনটির সামনের ও পিছন দিকের দৃঢ়তা নিশ্চিত করে। অপো এ৩ এ-তে বিভিন্ন তরল পদার্থ প্রতিরোধের ফিচারও রয়েছে, যা দুধ চা, কফি এবং স্যুপ পড়লেও ফোনটিকে রক্ষা করে। উদ্ভাবনী স্প্ল্যাশ টাচ ফাংশনের ফলে ব্যবহারকারীরা ভেজা হাত বা হালকা বৃষ্টিতেও নির্ভুল টাচ ও সক্রিয়তা উপভোগ করতে পারেন। অপো এ৩-তে রয়েছে ৪৫ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ টেকনোলজিসহ ৫,১০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ ও ৭৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ করা যায়। স্মার্ট চার্জিং ফিচার থাকার কারণে এটি ব্যবহারকারীদের চার্জিংয়ের ধরন অনুযায়ী কাজ করে। ফলে ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বাড়ে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের জন্য উপযোগী অভিজ্ঞতা পায়। অপো এ৩-এর ১,০০০ নিটসের পিক আল্ট্রা ব্রাইটনেস ব্যবহারকারীদেরকে মুগ্ধ করবে। এর ফলে সূর্যের আলোতেও স্ক্রিন ভালোভাবে দেখা যায় এবং চোখের উপর কোনো চাপ ছাড়াই বিভিন্ন কনটেন্ট উপভোগ করা যায়। এছাড়া, বিশেষ বিকনলিঙ্ক ফিচার থাকায় মোবাইল সিগন্যাল ছাড়াই ভয়েস কল করা যায় এই ফোনে । অপো বাংলাদেশের অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ব্যব¯’াপনা পরিচালক ড্যামন ইয়াং বলেন, ”আমাদের ব্যবহারকারীরা বিশেষভাবে ডিভাইসের দীর্ঘ স্থায়ীত্ব প্রত্যাশা করেন। অপো এথ্রি-এর মাধ্যমে আমরা ফোনের উন্নত বিল্ড কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের ডিভাইসের মজবুত গঠন ও উন্নত পারফরমেন্স ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতার মান বাড়িয়ে তুলবে।”

কো-ব্র্যান্ডেড ফোরজি স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও সিম্ফনি

কো-ব্র্যান্ডেড ফোরজি স্মার্টফোন সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ নিয়ে এলো গ্রামীণফোন ও সিম্ফনি। বাংলাদেশে তৈরি সাশ্রয়ী মূল্যের এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে উন্নত মানের হ্যান্ডসেটের মত প্রিমিয়াম সব ফিচার। ফলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো এখন চলে এসেছে সবার হাতের মুঠোয়। এই অংশীদারিত্ব ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনকে সক্ষম ও রূপান্তরিত করতে সমাজের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে।৬.৭৫ ইঞ্চির প্রাণবন্ত এইচডি প্লাস ডিসপ্লের সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এ রয়েছে ১.৬ গিগাহার্টজ অক্টা কোর প্রসেসর। ফোনটিতে রয়েছে ৪জিবি সম্প্রসারণযোগ্য ৮জিবি র‌্যাম ও ৬৪জিবি রম, একটি ৫২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা ও ৫ হাজার মিলি এম্পিয়ারের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। কো-ব্র্যান্ডেড অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় রঙে, যার মধ্যে রয়েছে ডিভাইন গোল্ড, মেরিন ব্লু, অক্সি ব্ল্যাক ও টাইটানিয়াম গ্রে। অসাধারণ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী এই স্মার্টফোনটির মূল্য ৮ হাজার ৪৯৯ টাকা (অনলাইনে কেনার ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড়া)। গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, গ্রামীণফোন সেন্টার (জিপিসি), জিপি অনলাইন শপ এবং সিম্ফনি আউটলেট থেকে স্মার্টফোনটি কিনতে পারবেন গ্রাহকরা ।অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যগুলো ছাড়াও গ্রাহকরা অ্যাটম ফাইভ কেনার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ডেটা অফার উপভোগ করতে পারছেন। প্রি-ইনস্টল করা মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা ১৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদসহ ৭জিবি ইন্টারনেট (৪জিবি নিয়মিত ডেটা+৩জিবি সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য) উপভোগ করতে পারবেন। এই এক্সক্লুসিভ প্যাকটি শুধুমাত্র কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ক্রয়কারী গ্রাহকদের জন্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে । সক্রিয় হওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত অফারটি একাধিকবার উপভোগ করা যাবে।গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “সিম্ফনির সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোন আনতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী, আধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই পদক্ষেপ। আজকের প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল বিশ্বে কানেক্টিভিটি আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সিম্ফনি এটম ফাইভ আরো অনেক মানুষকে নির্ভরশীল ও ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়ার পাশাপাশি দিচ্ছে স্টাইল ও কার্যকারিতার নিশ্চয়তা। অনন্য ডিজাইন ও শক্তিশালী ফিচারের বদৌলতে স্মার্টফোনটি নিশ্চিতভাবে তরুণদের মধ্যে সাড়া ফেলবে; যারা একই সাথে স্টাইল, পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ের সমন্বয় চান। গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী, বিশেষ করে তরুণদের ক্ষমতায়নে। তাদের হাতে আমরা এমন টুল পৌঁছে দিতে চাই যাতে তারা সংযুক্ত থাকতে, তথ্য জানতে এবং পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। অ্যাটম ফাইভ হল সাশ্রয়ী, দুর্দান্ত এবং আধুনিক প্রযুক্তির নিখুঁত সমন্বয়। আমাদের বিশ্বাস ডিভাইসটি গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া ফেলবে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে আনবে ভিন্ন মাত্রা।”

দেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি

ঢাকা: বাংলাদেশের টেলিকমখাতের বিটিএসগুলোতে (বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন) ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে এবং ওয়ালটন। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি ডিভিশনের টাওয়ার ইনফ্রার পরিচালক ও প্রধান মো. আব্দুর রায়হান এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। চুক্তির আওতায় ওয়ালটন আগামী সাত মাসের মধ্যে টেলিকম লিথিয়াম ব্যাটারি বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৮০ হাজার ব্যাটারি উৎপাদনে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রোডাকশন লাইন তৈরি করার পাশাপাশি সারা দেশে এই ব্যাটারির বিক্রয় ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পরিচালনা করবে। লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, ডিজাইনের নির্দেশনা, কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে হুয়াওয়ে।বহু বছর ধরে বিটিএস টাওয়ার ব্যাকআপ পাওয়ারের উৎসের জন্য লেড-এসিড ব্যাটারির ওপর নির্ভরশীল।এই ব্যাটারিগুলো লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতো পরিবেশবান্ধব নয়। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চেয়ে লেড ব্যাটারি ৫০ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে। এছাড়া এগুলো বায়ু ও মাটির দূষণের জন্যও দায়ী। অন্যদিকে লেড-এসিড ব্যাটারির সক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে কম। এর কার্যকারিতা মাত্র ৮০-৮৫ শতাংশ। পাশাপাশি স্থায়িত্ব ও ব্যাটারি এনার্জি ডেনসিটিও কম। বিটিএস-এ এগুলোর জন্য বেশি জায়গা প্রয়োজন হয়।অপরদিকে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কার্যকারিতা প্রায় শতভাগ। এই ব্যাটারি যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমন এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনও কম। পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি পরিবেশবান্ধব। এই কারণে বিটিএস টাওয়ারের ব্যাকআপ পাওয়ার হিসেবে লিথিয়াম ব্যাটারি টেলিকমখাতে ইতোমধ্যেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে বাংলাদেশের বাজারে এখনো নিম্ন মানের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এইসব নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারির স্থায়িত্ব কম এবং রক্ষণাবেক্ষণও বেশ জটিল। এছাড়া এনএমএস (নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর মাধ্যমে এসব ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। এই ধরনের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি কোনো সাইট থেকে চুরি হলে টেলিকম অপারেটররা সময়মতো চুরির ঘটনা সনাক্ত করতে পারে না। ফলে সেই সাইটে ব্যাকআপ পাওয়ার থাকে না এবং অনেক সময় সাইটটি বন্ধও হয়ে যায়। এই কারণে সেই এলাকার ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হন।হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি এবং আগামীতে উৎপাদিত উচ্চমানের ইন্টেলিজেন্ট ব্যাটারি টেলিকম শিল্পে খরচ সাশ্রয়, পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে। এছাড়া এর ব্যবহার বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে।চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বিপ্লব চলছে। ক্রমশ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার ফটোভোলটাইক ও বায়ুচালিত শক্তি মতো নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য লিথিয়াম এনার্জি স্টোরেজ প্রযুক্তি প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে আজকের চুক্তিটি এই প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা বিশ্বাস করি, উভয়পক্ষের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রপ্তানি পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণকে উপকৃত করবে।ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি বলেন, আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগ হলো একটি অত্যাধুনিক লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন কারখানা স্থাপন। এটি বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে বর্তমানে ব্যবহৃত লেড অ্যাসিড ব্যাটারির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে, যার ফলে সামগ্রিকভাবে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পাবে। এই প্রকল্পটি শুধুই একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়। সবুজ পৃথিবী রক্ষার যে অনুপ্রেরণা নিয়ে ওয়ালটন কাজ করে, এই চুক্তিটি সেই লক্ষ্যের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ। হুয়াওয়ের বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তির সাহায্যে লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে আমরা একটি সবুজ দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবো। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারি ১৭০টির বেশি দেশে ৩৪০টিরও বেশি অপারেটর ব্যবহার করছে। অর্থাৎ, বিশ্বের টেলিকম খাতে ব্যবহৃত শক্তির এক-তৃতীয়াংশের জন্য এই ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারির বাজারের শেয়ার ৩৫ শতাংশ। অপরদিকে, ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বাধুনিক বহুজাতিক ব্র্যান্ড, যা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বিশেষভাবে দক্ষ। বাংলাদেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ওয়ালটনের সাথে আমাদের একটি কৌশলগত চুক্তি হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমাদের এই যৌথ উদ্যোগ টেলিকম খাতে আরও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।

সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডা চালানো অ্যাকাউন্টের ৭২ শতাংশই ভারতীয়

ঢাকা: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যালঘু সংক্রান্ত সহিংসতাও হয়েছে। হয়েছে বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরও। তবে এ সহিংসতার খবরকে প্রচারের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত রকমের সাম্প্রদায়িক রঙ মাখিয়ে ভয়াবহ প্রোপাগান্ডা চলছে। ভারতের মূলধারার কিছু গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যেন প্রোপাগান্ডার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন। ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার বলছে, গত এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে এক্সে (সাবেক টুইটার) ৫০টি অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করা হয়েছে, যেগুলোতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিভিন্ন ছবি, ভিডিও এবং তথ্যকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ভুয়া এবং অপতথ্য ছড়ানো এসব অ্যাকাউন্টধারীর ৭২ শতাংশই ভারতে থাকেন বলে উল্লেখ করেছেন। অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে দায়িত্বশীল অনেক ব্যক্তিও রয়েছেন। এমনকি ভারতের একাধিক মূল ধারার গণমাধ্যমেও এসব ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে কেন্দ্র করে এক্সে সাম্প্রদায়িক অপতথ্যের ভয়াবহতা’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, উল্লিখিত অ্যাকাউন্টের প্রতিটির অন্তত একটি পোস্টে সাম্প্রদায়িক অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। এসব অ্যাকাউন্টে গত ৫ থেকে ১৩ আগস্টের মধ্যে প্রচারিত ওই পোস্টগুলো ১ কোটি ৫৪ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৭ জুলাই বগুড়ায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যুর একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। গত ৯ আগস্ট ভারতের ‘দীপক শর্মা’ নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশের হিন্দু নারী ও শিশুদের একটি ক্যাম্পে জিহাদিরা বোমা দিয়ে হামলা চালিয়ে শত শত নারীকে হত্যা করার দৃশ্য। ’ রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট যে ৫০টি অ্যাকাউন্টের একটি করে পোস্টকে এই গবেষণায় নমুনা হিসেবে গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে ১৩টি পোস্টেই ভিন্ন ঘটনাকে এমন সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে মুসলিম ব্যক্তিকে হিন্দু দাবিতে প্রচারের ঘটনা। নন্দিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনকেও এক্ষেত্রে হিন্দু বলে প্রচার করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে বাঁধনের বক্তব্যের ভিডিওকে ‘বিক্রম প্রতাপ সিং’ নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হয়, ‘বাংলাদেশে হিন্দু নারীর কান্না করে বক্তৃতা দেওয়ার দৃশ্য’ শিরোনামে। বাঁধন নিজেই বিষয়টির প্রতিবাদ জানান। এমন আরও ১৭টি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট, যা ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ (৩৬ শতাংশ)। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও, মুসলিমদের স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলাকে হিন্দুদের স্থাপনায় হামলা দাবি, ভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে হিন্দুদের স্থাপনায় হামলার দাবি, রাজনৈতিক স্লোগানের বক্তব্যকে ভিন্ন দাবি, স্ক্রিনশট বিকৃতি, ভুয়া বক্তব্য, বিএনপির নামে ভুয়া টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের বরাতে ভুল তথ্য এবং হিন্দু নিহতের সংখ্যা নিয়ে ভুয়া দাবির মাধ্যমে এসব অর্ধশতাধিক ভুয়া তথ্যের ব্যাপক প্রচার লক্ষ্য করেছে রিউমর স্ক্যানার। ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রচারিত পোস্টগুলোর ক্ষেত্রে ভুয়া তথ্যের প্রচারে ৮০ শতাংশ (৪০টি) ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয়েছে ভিডিও ফুটেজ। এসব ভিডিও ফুটেজের মধ্যে ১৫টি ৫ আগস্টের পূর্বের ভিন্ন ঘটনার। বাকিগুলো সরকার পতন পরবর্তী সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার হলেও এসব ফুটেজকে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক ভুয়া তথ্যের প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ছবি ও স্ক্রিনশট এবং বাকি চার শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়েছে ছবি/ভিডিও বিহীন স্ট্যাটাস। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ নিয়ে সাম্প্রদায়িক ভুল এবং অপতথ্য যে ৫০টি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে ৩৬টি অ্যাকাউন্টেরই লোকেশন হিসেবে ভারতের নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া লোকেশন হিসেবে হাঙ্গেরি, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, সুইডেন, সোমালিয়া, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ উল্লেখ রয়েছে একটি করে অ্যাকাউন্টে। এর বাইরে কোনো লোকেশনই উল্লেখ করেনি এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা পাঁচটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি এক হিন্দু ব্যক্তি তার নিখোঁজ পুত্রের সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন করছে এমন দৃশ্য দাবি করে একটি ভিডিও ভারতের মূলধারার অন্তত তিন গণমাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (ANI), এনডিটিভি, মিরর নাউ এর এক্স অ্যাকাউন্টে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, ওই ব্যক্তি মুসলিম। বাবুল হাওলাদার নামে এই ব্যক্তি ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ থাকা তার ছেলের সন্ধান দাবিতে এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন৷ সাম্প্রদায়িক অপতথ্যের এমন প্রচারে ভারতীয় আরও একাধিক গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার৷ এই তালিকায় আরও আছে জি নিউজ মধ্যপ্রদেশ এবং নিউজ টুয়েন্টিফোর নামে গণমাধ্যমের এক্স অ্যাকাউন্ট। ভারতের পরিচিত গণমাধ্যম ‘অপিইন্ডিয়া’র প্রধান সম্পাদক নুপুর শর্মাকেও তার এক্স অ্যাকাউন্টে নিয়মিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে সাম্প্রদায়িক অপতথ্য ছড়াতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। ১১ আগস্ট প্রকাশিত তার একটি এক্স পোস্টকে ভুয়া তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে জানানোর পর তিনি রিউমর স্ক্যানারের একজন টিম মেম্বারকে এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করেন৷ রিউমর স্ক্যানারের তথ্য মতে, সাম্প্রদায়িক গুজব প্রচারে ভারতের বাইরের বিভিন্ন দেশের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরও ভূমিকা থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ইরাকি বংশোদ্ভূত সালওয়ান মোমিকা একাধিকবার প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়ে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি করেন, হয়েছেন গণমাধ্যমের শিরোনাম। এই ব্যক্তিকে তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত বাংলাদেশকে জড়িয়ে সাম্প্রদায়িক অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়াকে তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করতে দেখা গেছে। আদতে এটি ছিল মাশরাফির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ফুটেজ। লিটনের বাড়িতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে সাম্প্রদায়িক কোনো মৃত্যুর খবর বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি। তবে এটা সত্যি যে, সাম্প্রদায়িক হামলার বেশ কিছু ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে। ভারতের ফ্যাক্ট-চেকার অন্কিতা দেশকার সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সাম্প্রদায়িক প্রচারের হার বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক ভুল তথ্য পোস্ট করার মাধ্যমে অ্যাকাউন্টগুলো তাদের ফলোয়ারদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পেয়ে থাকে। অনেকেই তাই নিজেদের এনগেজমেন্ট বা রিটুইট সংখ্যা বাড়াতে এসব অপতথ্য এক্সে শেয়ার করছেন। ’ দেশটির আরেক ফ্যাক্ট-চেকার ইয়ুশা রহমান বলেন, এই অপতথ্যগুলো প্রচার করছে মূলত ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। তাদের মাধ্যমে এসব অপপ্রচার বাড়ছে। তারা সাম্প্রদায়িক প্রচারকে মুসলিম বিরোধী আখ্যান প্রচারের উপায় হিসেবে দেখছে।

৫ জিবি ডাটা না পেলে অভিযোগ করুন : পলক

ঢাকা: দশ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট চালুর পর যে সব গ্রাহক ৫ জিবি ডাটা পাননি তাদেরকে মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অভিযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অ্যামটব, বেসিস, বাক্কো, আইএসপিএবি, বিসিএস, ই-ক্যাবসহ টেলিযোগাযোগ খাতের অংশীজনদের সঙ্গে সমকালীন বিষয়ে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নে তিনি একথা বলেন। গত ২৮ জুলাই বিটিআরসিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পলক জানিয়েছিলেন, মোবাইল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রত্যেককে তিন দিনের জন্য পাঁচ জিবি ডাটা বোনাস হিসেবে পাবেন। ওই দিন বিকেলে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু হয়। ওই ঘোষণার চার দিন পর সচিবালয়ের সভায় এ বিষয়ে এক প্রশ্নে পলক বলেন, যেকোনো গ্রাহক সেবাটা না পেয়ে থাকেন তাহলে অভিযোগ করবেন। তিনি বলেন, আমরা নির্দেশনা দিয়েছি যখনই ফোরজি নেটওয়ার্কে ফিরে এসে যারাই ইন্টারনেট যুক্ত হয়েছে সবাইকে বোনাস ডাটা দিতে হবে। যারা না মানে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটবকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন পলক বলেন, প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরকে অনুরোধ করেন তারা একটা অডিট করে দেখুক। না পেয়ে থাকলে আমাদের বলুক। গ্রাহকরা যেন কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অনলাইনে বা ফিজিক্যালি অভিযোগটা করে। ডাটা কিনেও ব্যবহার না করে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে পলক বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল আন-লিমিটেড করে দেওয়ার জন্য। অ্যামটব সেটার টেকনিক্যাল ব্যাখ্যা দিয়েছে। বিটিআরসির টেকনিক্যাল টিম অ্যামটবের সাথে বসে ব্যাখ্যা চাইবে। আমরাও এটার ব্যাখ্যা চাইবো। ডাটার মেয়াদ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা গত সভায় সিদ্ধান্ত দিয়েছি, এক দিন এবং তিন দিনের প্যাকেজের অনুমতি দিয়েছি। পাশাপাশি বলেছি যে চারটি অপারেটর গ্রাহকদের জন্য যেটা জনপ্রিয় এবং ব্যবহার উপযোগী সেটা যেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে করতে পারে। এ ধরনের প্যাকেজ ঘোষণার জন্য বিটিআরসির কাছে আসতে হবে না। আমরা সেই স্বাধীনতাও দিচ্ছি। কোনো ডাটার যেন মেয়াদ না থাকে সেটাও অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছি। এটা যদি তারা না শুনতে চায় তাহলে আমরা হয়ত বাধ্য করতে বাধ্য হবো। এখন সংকটকালীন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারাও। আমরা জরুরি পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি সবাই। সভায় অংশীজন ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মুশফিকুর রহমান এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।