
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৬০০
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৪ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪০৮ জন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৩৯ জন। শনিবার (২৯ মার্চ) দেশটির সামরিক কাউন্সিল এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আট দেশে গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে আজ শনিবার দুপুরেই। এর আগে প্রাথমিক খবরে দেশটিতে প্রায় ১ হাজার জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছিল। মিয়ানমার ছাড়াও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। দেশ দুইটিতে হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, বিশেষত মিয়ানমার থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি। কেননা, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে ও সেখান থেকে তথ্য পাওয়া কঠিন।

এবার ভারত, পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণা
অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের পর এবার ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন দেশ জানিয়েছে, শনিবার (২৯ মার্চ) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিদায় নিতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান। এরপরই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মুসলিম বিশ্ব উদযাপন করবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উদযাপিত হবে। শনিবার (২৯ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ান ফতওয়া কাউন্সিল ঈদের তারিখ ঘোষণা করে।ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বে সবার আগে ঈদের ঘোষণা দিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া। এ বছর সবার আগে রমজান মাস শুরুর ঘোষণাও দিয়েছিল দেশটি। ঈদের তারিখও জানাল সবার আগে।এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাই। দেশটিতে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বলে জানানো হয়েছে।তৃতীয় দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ মালয়েশিয়া। এই দেশটিতেও সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বলে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশে রোববার (৩০ মার্চ) খোলাচোখে চাঁদ দেখা যেতে পারে। ফলে সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়াতে পারে: মার্কিন জরিপ
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) দাবি করলো, শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। খবর রয়টার্সের। শুক্রবার (২৮ মার্চ) রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে দেশটির বিমানবন্দর, সেতু ও মহাসড়ক ব্যবস্থা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পাশের দেশ থাইল্যান্ডও। সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমারের সামরিক সরকার শনিবার (২৯ মার্চ) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও কম্পন অনুভূত হয়, যেখানে রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি আকাশচুম্বী ভবন ধসে পড়ে অন্তত ৯ জন প্রাণ হারান। ব্যাংককের ধসে যাওয়া ৩৩ তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপে এখনও ৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে মিয়ানমারের কর্মীরাও আছেন। ইউএসজিএসের মডেলিং অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের অর্থনৈতিক ক্ষতি দেশটির বার্ষিক জিডিপিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল মান্দালয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, কিছু এলাকায় আগুনও লেগেছে। এদিকে, আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানানোর পর শনিবার মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয় সফর করেন। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি উদ্ধার তৎপরতা ত্বরান্বিত করতে ও জরুরি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’ মান্দালয়ে বেঁচে যাওয়া লোকেরা শুক্রবার নিজ উদ্যোগে মাটি খুঁড়ে আটকে পড়াদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেছে। ভারী যন্ত্রপাতি ও কর্তৃপক্ষের সহায়তার অভাবেই নিজেরা উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছিল অনেকে। এই ভূমিকম্প মিয়ানমারের জন্য গত কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এরইমধ্যে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটির অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে ও লাখ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস, সড়ক ধসে যাওয়া ও চলমান সংঘাতের কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে মারাত্মক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো এখনও ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা পৌঁছাতে পারেনি।’ মিয়ানমারের এই ভূমিকম্প পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধসে পড়ায় মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোববার ঈদ
সৌদি আরবের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। দেশটিতে কাল রোববার (৩০ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বৈঠকের পর দেশটির সুপ্রিমকোর্ট এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর খালিজ টাইমসের। ভারত ও পাকিস্তানেও আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কাল দেশটিতে খালি চোখে ঈদের চাঁদ দেখা যাবে। এদিকে ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার ঈদের চাঁদ দেখা যায়নি। দেশটিতে আগামী সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মালয়েশিয়াও আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী সোমবার দেশটিতে ঈদ উদযাপন করা হবে। সে হিসেবে এ বছর ৩০টি রোজা পালন করবে মালয়েশিয়া। কাল রোববার সহজেই খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে বলে আশা করছে দেশটি। এদিকে ব্রুনাইও ঈদুল ফিতরের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে দেশটিতে এবার রোজা হচ্ছে ২৯টি। এর আগে ঈদুল ফিতরের দিন ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে আগামী সোমবারঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ শনিবার দেশটির ফতোয়া পরিষদ এই ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে কাল রোববার (৩০ মার্চ) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসবে। এদিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল ও ঈদের চাঁদের অনুসন্ধান করা হবে। তবে বাংলাদেশে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসার আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র আজ শনিবার জানিয়েছে, বাংলাদেশে কাল চাঁদ দেখা যাবে। আর সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে আরবি ভাষায় একটি পোস্ট করেছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে করা এ পোস্টে তারা লিখেছে, ‘বাংলাদেশ: সোমবার ৩১ মার্চ, ঈদুল ফিতর। বাংলাদেশে এখন সূর্য অস্ত গেছে। আজ (সেখানে) ২৮ রমজান। কাল রোববার খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে।’

তুরস্কে বিক্ষোভকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন এরদোয়ান
তুরস্কে জনগণের শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না। চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। সরকারি কর্মচারীদের প্রতি কোনো সহিংসতা সহ্য করা হবে না বলেও জানান তিনি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেফতারকে ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক। ছাত্রজনতা থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক, সবার মাঝেই ছড়িয়ে পড়েছে এ বিক্ষোভের আগুন। তাদের দাবি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তবে, বিক্ষোভের তোয়াক্কা না করেই আন্দোলনকারীদের দিকে হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিয়েছেন এরদোয়ান।এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘জনগণের শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না তার সরকার।’ যেসব ব্যক্তি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের প্রতি হুমকি বা সহিংসতা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।তুরস্কের বহু শিক্ষার্থী এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেককে আটকও করা হয়। এ অবস্থায়, আটককৃত বিক্ষোভকারীদের পরিবার উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে।এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও তুরস্কের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। দেশটির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রুবিও।তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শাসনামলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে যে সুসম্পর্ক ছিল, তা এবারের মেয়াদেও বজায় রাখতে চায় হোয়াইট হাউস।’

বিমসটেকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক চান মিয়ানমারের জান্তা প্রধান
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বিমসটেকের আঞ্চলিক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চান। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও জান্তা প্রধান বৈঠক করতে চান বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত অন্তত তিনটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। ২০২১ সালে দেশটির গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সুচি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মিন অং হ্লেইং। অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গৃহযুদ্ধের মাঝে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে বিরল সফর করছেন তিনি। পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন মিন অং হ্লেইং। একই সঙ্গে আসিয়ানের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দায়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এই জোটের শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে তাকে। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে একাধিক সূত্র বলেছে, আগামী ৩-৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক জোটের বেশির ভাগ দক্ষিণ এশীয় দেশের নেতাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন মিন অং হ্লেইং। যেখানে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল জোটের নেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জান্তা প্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করতে চায়। একাধিক সূত্র বলেছে, ‘মিয়ানমারের কর্মকর্তারা যেসব বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক অন্যতম।’ মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একটি বলেছে, ‘তারা বৈঠকের জন্য অনুরোধ করছেন।’ ভারত সরকারের একটি সূত্র বলেছে, ‘মিয়ানমারের কর্মকর্তারা জান্তা প্রধান ও মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চেয়ে নয়াদিল্লিকে ‘প্রস্তাব’ দিয়েছেন। তবে এই বৈঠকের বিষয়ে ভারত এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।’ এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাড়া দেয়নি। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মিয়ানমারের জান্তা প্রধান বিমসটেকের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর সব নেতা বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’

ঈদের তারিখ জানাল মালয়েশিয়া
বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শেষের পথে। দেশে দেশে শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি। অপেক্ষা চাঁদ দেখার। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ ঈদের তারিখ ঘোষণা শুরু করেছে। অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেইয়ের পর এবার ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া। সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, মালয়েশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে সোমবার (৩১ মার্চ) দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর আগে প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনেই।দেশটিতে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উদযাপিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে হাম, দুইজনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে হামের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে দেশটির অন্তত পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ। এতে টেক্সাসে আক্রান্তের হার সর্বোচ্চ, প্রায় ৪০০ জনের শরীরে হাম শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন দুজন। গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিবৃতির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। ২০২৪ সালে বছরজুড়ে যে সংখ্যক আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে, সেই তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে তারা। টেক্সাস ছাড়াও নিউ মেক্সিকো, কানসাস, ওহাইয়ো ও ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্তের হার বাড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামে সংক্রমিত হয়ে দুইজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সিডিসি। মৃত দুই ব্যক্তি হামের টিকা গ্রহণ করা ছিলেন না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। টেক্সাসে হামে আক্রান্ত হয়ে এক শিশু এবং নিউ মেক্সিকোতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যে গত কয়েক বছরে টিকা নেওয়ার হার কমে যাওয়ায় আগেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। বিশেষজ্ঞদের সেই আশঙ্কাই এখন বাস্তব প্রমাণিত হয়েছে। হাম ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। মূলত বাতাসের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির নিশ্বাস, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা সংক্রমিত হয়ে থাকেন। সিডিসির তথ্যমতে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনেরই এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। টিকার সাফল্যের কারণে ২০০০ সালে নির্মূল হওয়ার ঘোষণা দিলেও যুক্তরাষ্ট্রে আবারও জেঁকে বসেছে হাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, টেক্সাসের সংক্রমণের সঙ্গে নিউ মেক্সিকোর সংক্রমণের যোগসূত্র রয়েছে। টেক্সাসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, দুই মাস আগে অঙ্গরাজ্যটিতে সংক্রমণ শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ৪০০ জনের শরীরে হাম শনাক্ত হয়েছে, এরমধ্যে ৪১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিউ মেক্সিকোতে এ পর্যন্ত ৪৪ জন সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে। কানসাস অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এলাকাটিতে ২৩ জনের শরীরে হাম শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, ওকলাহোমা ও ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যে যথাক্রমে নয় ও ১০ জন সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই পাঁচটি অঙ্গরাজ্য ছাড়াও আলাস্কা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, কেন্টাকি, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্কসহ আরও বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জানায়, দেশটিতে সাধারণত বাইরে থেকে আসা কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যম হাম ছড়িয়ে থাকে। করোনা মহামারির পরে ধর্মীয় বিশ্বাস বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কারণে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের টিকা দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে মত দেন তারা। হামের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা সাধারণত সংক্রমিতদের উপসর্গগুলোর জটিলতা কিছুটা কমিয়ে তাদের স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। তবে সংক্রমণ এড়াতে তারা টিকা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হাম থেকে বাঁচতে ১২-১৫ মাস বয়সী শিশুদের হাম, মাম্পস ও রুবেলা ভাইরাসের জন্য এমএমআর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর ৪-৬ বছর বয়সের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য বলা হয়। গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্কের সদস্য স্কট উইভার জানান, সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত। বিশেষত সংক্রমিত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য কিংবা যাদের শ্বাসনালি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত কারাবন্দি ইমরান খান!
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার শাসন এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য প্রচেষ্টায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সংবাদ আনাদোলু এজেন্সির। শনিবার (২৯ মার্চ) ভোরে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্সের (পিডব্লিউএ) সদস্যরা এই ঘোষণা দেন। এটি গত ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ, যারা নরওয়েজিয়ান রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামেরও সদস্য।সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে পার্টিয়েট সেন্ট্রাম বলেছে, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, মনোনীত করার অধিকারী এমন একজনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমরা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।’এর আগে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ২০১৯ সালেও ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।প্রতি বছর, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শত শত মনোনয়ন পায়। এরপর তারা দীর্ঘ আট মাসব্যাপী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করে।প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দি। গেল জানুয়ারিতে, কর্তৃত্বের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত একটি মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ছাড়লেন ড. ইউনূস
চার দিনের সফর শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৯ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রধান প্রটোকল অফিসার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী হং লেই বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান। এর আগে চার দিনের সফরে গত ২৬ মার্চ চীনে পৌঁছান মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের হাইনানের কিয়ংহাই বোয়াও বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনাসহ উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয় দেশটির সরকার। পর দিন ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এদিন বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে অংশ নেন তিনি। একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা ও যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব- এই তিনটি বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেন ড. ইউনূস। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের নির্বাহী উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েশিয়াং, চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িং, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি ওভারচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) চেয়ারম্যান বান কি-মুন সাক্ষাৎ করেন।

বিশ্বশান্তির জন্য গ্রিনল্যান্ড দখল করা প্রয়োজন: ট্রাম্প
বিশ্বশান্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দখল করা দরকার বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ডেনমার্কের আধা স্বায়ত্তশাসিত এ ভূখণ্ডকে নেজ দেশের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরো বাড়িয়ে তুললেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শান্তির কথা বলছি না। আমরা বিশ্বশান্তির কথা বলছি। আমরা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা বলছি।’ গতকাল শুক্রবার গ্রিনল্যান্ডের একটি আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, তার স্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা। গ্রিনল্যান্ডবাসী এবং ডেনিশদের মধ্যে উত্তেজনার পর এই সফরের সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়। পরামর্শ না করেই মূল ভ্রমণ পরিকল্পনা করায় গ্রিনল্যান্ডবাসী এবং ডেনিশরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। পৌঁছানোর পরপরই ভ্যান্স ঘাঁটিতে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে বসেছিলেন এবং বলেছেন, ‘আর্কটিক নিরাপত্তায় সত্যিই আগ্রহী আমরা এবং যদি আমেরিকা এই অঞ্চলে নেতৃত্ব না নেয় তবে, চীন বা রাশিয়ার মতো শক্তিগুলো তা করবে ‘ ভ্যান্স বলেন, ‘আমরা গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সমালোচনা করছি না। আমার মনে হয়, তারা অসাধারণ মানুষ এবং এখানে তাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সমালোচনা আসলে ডেনমার্কের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, যারা গ্রিনল্যান্ডে কম বিনিয়োগ করেছে ও সেখানকার নিরাপত্তায় কম নজর দিয়েছে। এটির অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হলো, এটি পরিবর্তন করা।’ আধা-স্বায়ত্তশাসিত ডেনিশ ভূখণ্ডে ভ্যান্স এমন এক সময়ে ভ্রমন করছেন, যখন ট্রাম্প বারবার বলে আসেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কোনো না কোনোভাবে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রিত খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করা। এরপর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নর্ডিক দেশটির মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। সূত্র : আলজাজিরা

মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল, নিখোঁজ ৩০
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। নিহতের সরকারি সংখ্যা ১০০২ জনে পৌঁছেছে। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর-বিবিসি নিহতদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের। মান্দালয় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছের শহর। ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা ২,৩৭৬ জন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৩০ জন। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের উদ্ধারকর্মীরা এখনও জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। ভূমিকম্পটির তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে। ভূকম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল, প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানায়, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজধানী নেপিদোতে। সেখানে কমপক্ষে ৯৬ জন নিহত হয়েছেন। সাগাইংয়ে ১৮ জন ও মান্দালয়ে ৩০ জন নিহত হন। এর মধ্যে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদ ধসে পড়ে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের একটি নির্মাণাধীন ভবনে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। এটি ধসে পড়লে অন্তত ৯০ জন নিখোঁজ আছেন। ৬ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজধানী ব্যাংককের কর্তৃপক্ষ। শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের সামরিক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আবেদন করেছে। সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং ভূমিকম্পের পর বলেন, ‘মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করতে চাওয়া যে কোনো দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে সহায়তা গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত।’ সামরিক শাসনের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মিয়ানমারের জন্য এটি একটি বিরল ঘোষণা। সেনা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, ‘আমরা চাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যত দ্রুত সম্ভব মানবিক সহায়তা দিক।’ ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘ তাদের আঞ্চলিক সহায়তা কার্যক্রম সক্রিয় করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুবাই থেকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। ভূমিকম্প-পরবর্তী সর্বাত্মক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো নিশ্চিত করেছেন, সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছে। তবে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশের সীমাবদ্ধতায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ফুটেজে দেখা যায়, ভূমিকম্প শুরুর পর ব্যাংককে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। আশপাশের লোকজন আতঙ্কে পালাচ্ছেন; ধুলোয়-ধোঁয়ায় ছেয়ে যাচ্ছে আশপাশ। হোটেলে থাকা অনেকে গোসলের পোশাক ও সুইমিংয়ের পোশাক পরে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন। থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইয়ের বাসিন্দা ৭৬ বছরের সাই ভূমিকম্পের সময় একটি দোকানে কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি দ্রুত অন্য গ্রাহকদের সঙ্গে দোকান থেকে বের হয়ে যাই। এটা আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।’ থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এক্সে লেখেন, তিনি ভূমিকম্পের পর জরুরি বৈঠক করতে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ফুকেটে তাঁর নির্ধারিত সরকারি সফর স্থগিত করেছেন। বিকেলে ব্যাংকক থেকে আলজাজিরার ইমরান খান জানান, ভূমিকম্পের কারণে শহরটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন। কোনো মেট্রোরেল চলাচল করছে না। শহরজুড়ে যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের অনেক স্থানে ভূপৃষ্ঠে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক সড়কে ফাটল ও মাটি দেবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ভবনের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে। মান্দালয় উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। এ সংখ্যা কয়েকশ হতে পারে। উদ্ধার অভিযান চলছে।’ মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার জানিয়েছে, ছয়টি অঞ্চল– সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য ও নেপিদো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মিয়ানমার দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, তারা অনুসন্ধান শুরু করেছেন। হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মিয়ানমারের ইয়াংঙ্গুনে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সবকিছু কাঁপতে শুরু করলে আমরা সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। চোখের সামনে পাঁচতলা ভবন ধসে পড়তে দেখেছি। আমার শহরের সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। কেউ ভবনের ভেতরে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছে না।’ বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ভূকম্পন মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ ইউনান ও সিচুয়ান প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে। সেখানেও ভবন ধসে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দুই দশকে মিয়ানমারে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প আর হয়নি। বৈশ্বিক ভূকম্পন ঝুঁকির ‘রেড জোনে’ রয়েছে মিয়ানমার। সাগাইং ফল্ট লাইনের মধ্যে এর অবস্থান। এর আগে সাগাইং ফল্টেই ১৯৩০ ও ১৯৫৬ সালে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ২০১৬ সালে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমারে তিনজন নিহত হন।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৬৭০ জন। স্থানীয় সময় আজ শনিবার (২৯ মার্চ) দেশটির জান্তা সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। ভূমিকম্পটির তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ১৪৪, আহত ৭৩২
শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে মিয়ানমারে অন্তত ১৪৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। এখন পর্যন্ত ৭৩২ জন আহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর বিবিসির। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজধানী নেপিদোতে। সেখানে অন্তত ৯৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া, মান্দালয়ে ৩০ এবং সাগায় ১৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন মি. হ্লাইং। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভবন ধসে তিনজন নিহতের কথা জানা গেছে। আটকা পড়েছেন ৮১জন নির্মাণ শ্রমিক। থাই সামরিক বাহিনীর তথ্য মতে, ধসে পড়া ভবনের বেশিরভাগই নির্মাণাধীন।

মোদীর ব্যাংকক সফরের সূচিতে ইউনূসের সাথে বৈঠক নেই
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড, মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের যে প্রস্তাব ঢাকা দিয়েছিল, তাতে নয়াদিল্লীর সাড়া মেলেনি। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর সফরসূচি নিয়ে শুক্রবার (২৮ মার্চ) যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাতে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কোনো কথা রাখা হয়নি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে বিমসটেকের বর্তমান সভাপতি, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।’ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাত দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক জোট বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামী ৪ এপ্রিল। এ সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন ইউনূস ও মোদী। সেখানে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের ইচ্ছা জানিয়ে দিল্লিকে বার্তা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ঢাকা। ওই চিঠির প্রতিউত্তরের জন্য অপেক্ষা থাকার কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, ‘বৈঠকটি হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘স্থরিবতা’ কাটার সম্ভাবনা তৈরি হবে।’ পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক সম্মেলনে বলেন, “আমরা যে কোনো দেশের সাথে শীর্ষ পর্যায়ের যে বৈঠক, সেই বৈঠককে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি এবং ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ‘এবং আমরা আশা করি যে, যদি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে স্থবিরতা, সেটা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই তিনি ভারতে চলে যান। তিন দিন পর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর দুই দফায় দেখা হওয়ার সুযোগ তৈরি হলেও তা হয়ে ওঠেনি। বিমসটেকের সম্মেলনে তাদের বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। ৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে গিয়ে পর দিন ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। আর নরেন্দ্র মোদী ৩ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। পর দিন বিমসটেক নেতাদের টেবিলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এ জোটের ষষ্ঠ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে তা পিছিয়ে নভেম্বরে করার চিন্তাভাবনা করা হয়। ওই সময়ও ইউনূস ও মোদীর বৈঠকের কথা উঠেছিল। এর আগে সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের কথা উঠেছিল। কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি। কারণ হিসেবে গত ২১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিউ ইয়র্কে পৌঁছানোর আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। কাজেই সেখানে তাদের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।’ ওই বৈঠক না হওয়ার কারণ হিসেবে সেসময় মুহাম্মদ ইউনূসের ‘একটি সাক্ষাৎকারকে’ সামনে আনে কোনো কোনো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে জানাশোনা আছে- এমন ব্যক্তিদের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ‘ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূসের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে, বৈঠকটি হবে না। ইউনূসের বক্তব্য নয়াদিল্লি ভালোভাবে নেয়নি।’ গত বছরের অক্টোবরে সামোয়াতে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনেও মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে সাক্ষাৎ হতে পারত। কিন্তু দুই নেতার কেউই তাতে যোগ দেননি।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ধসে পড়ল ব্রিটিশ আমলের সেতু
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মিয়ানমারে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। ভূমিকম্পে দেশটির ইরাবতী নদীতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ৯১ বছরের পুরনো একটি সেতু ধসে পড়েছে। মিয়ানমার-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারের মান্ডালায়, নেপিদো ও অন্যান্য কয়েকটি এলাকায় ভবন ধসে পড়ে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরে।ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত ৯১ বছর বয়সি আভা সেতু ভেঙে পড়ে, যা পুরাতন সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত। মান্ডালায় এবং সাগাইং অঞ্চলের মধ্যে ইরাবতী নদীতে ব্রিটিশরা এই সেতু নির্মাণ করেছিল।বার্তাসংস্থা এএফপি মিয়ামারের রাজধানী নেপিদো থেকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতায় রাস্তাঘাট স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং ভবন থেকে ছাদের টুকরো ভেঙে পড়েছে।সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মিয়ানমারে প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। আর ১টা ২ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস এবং চীনে।থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। ব্যাংকক পোস্ট শুক্রবার বিকেলে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং এর জেরে ব্যাংককে কম্পন অনুভূত হয়েছে।থাই আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ব্যাংককসহ থাইল্যান্ডের অনেক জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। দেশটিতে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনও ধসে পড়েছে।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ২০ জনের মৃত্যু, আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। পরে ১টা ২ মিনিটের দিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি আফটারশক আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।দেশটির মান্দালয় শহরে একটি মসজিদ ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। দুজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, যখন কম্পন শুরু হয় আমরা প্রার্থনা করছিলাম। মসজিদ ধসে তিনজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।ভূমিকম্পে বহু হতাহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালে অনেক চিকিৎসা নিচ্ছেন।এক সরকারি বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকার ভূমিকম্পের পর ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।অন্যদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংককে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা করেছে।চীনের ইউনান প্রদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। দেশটির ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্র জানিয়েছে, এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। ভারতের কলকাতা ও মণিপুরের কিছু অংশ থেকেও ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পে ব্যাংককে ৩০ তলা ভবনধস, আটকা ৮০ শ্রমিক
ভূমিকম্পের আঘাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন ৩০ তলা বিশিষ্ট আকাশচুম্বী ভবন ধসে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ৮০ জন শ্রমিক ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে অনুসন্ধান অভিযান শুরু চলছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের। শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডর রাজধানী শহর ব্যাংকককেও প্রকম্পিত করেছে। এতে শহরের অনেক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ভূমিকম্পে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে থাই রাজধানীর উত্তরে অবস্থিত একটি নির্মাণাধীন সরকারি ভবন ধসে পড়ে। ফোন ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিওতে ভবনধসের দৃশ্য ধরা পড়েছে।তাতে দেখা যাচ্ছে, শহরের চাতুচক জেলার ৩০ তলা ভবনটি ভেঙে পড়ছে। ভবনটি অনেকটা তাসের ঘরের মতো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।সরকারি চ্যানেল এনবিটির তথ্যানুসারে, ভূমিকম্পের সময় ব্যাংককের জনপ্রিয় জেজে মার্কেটের কাছের ভবনটিতে ৪০০ জনের মতো শ্রমিক কাজ করছিল। এর মধ্যে ৮০ জন শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান শুরু করেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা আগামী কয়েক ঘন্টায় ভূমিকম্পের আফটারশকের জন্য জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি, প্রতিটি সংস্থা ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে এবং তারা (সাহায্য করার) জন্য প্রস্তুত।’খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী ও এর বাইরে অন্য ভবনগুলো ভূমিকম্পে দুলছিল এবং অনেক ভবনের ছাদের সুইমিং পুলগুলোর পানি ছড়িয়ে পড়ছিল। ভূমিকম্পের মুহূর্তে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে বড় ক্ষতির আশঙ্কা, বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
পরপর দুইটি ভূমিকম্প শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আঘাত হেনেছে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যানুযায়ী, প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার দূরে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প (পরাঘাত) হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মান্দালয় যা বাংলাদেশে থেকে ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে। এতে শুধু মিয়ানমার নয়, এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে ভারত, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে। খবর রয়টার্স ও ব্যাংকক পোস্টের। রাজধানী নেপিদোতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে আহতদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কেউ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কেউ শক্তিশালী ভূমিকম্পের তীব্রতায় হতবাক হয়ে পড়েন। আহতদের মধ্যে অনেককে গাড়িতে ও পিকআপে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের শরীর রক্তাক্ত ও ধুলোয় ঢাকা। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সম্পর্কে দ্রুত অনুসন্ধান এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভূমিকম্পে কতটা ক্ষতি হয়েছে মিয়ানমারে তার সঠিক কোনো তথ্য জানা যায়নি। বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মিয়ানমার থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। খবর-রয়টার্স তবে এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশটির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির খোঁজে ইয়াঙ্গুনে অনুসন্ধান শুরু করেছি। ঘুরে ঘুরে দেখছি। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’ মান্দালয় শহরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোতে ধসে পড়া ভবন এবং শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে পোস্টগুলো যাচাই করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মান্দালয়ে একাধিক ভবন ধসে পড়েছে। মান্দালয়ের তিন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় রাস্তায় লোকজন ছুটে আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়তে দেখেছেন। ফয়েজ নামে একজন বাসিন্দা জানান ভূমিকম্পের সময় তিনি একটি মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নামাজ পড়ার জন্য হাত পরিষ্কার করার সময় কাঁপতে শুরু করে। আমরা সবাই মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসি। আরেক বাসিন্দা হেত নাইং বলেন, ‘রাস্তার পাশে তার একটি চায়ের দোকান ধসে পড়েছে। লোকজন ভেতরে আটকা পড়ে। আমরা ভেতরে যেতে পারিনি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ।’

মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, থাইল্যান্ডেও ক্ষয়ক্ষতি
মিয়ানমারে আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিডো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। নেপিডো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের আঘাতে সেখানে বিভিন্ন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়েছে। ভূমিকম্প এতই শক্তিশালী ছিল যে শত শত মাইল দূরে চীন ও থাইল্যান্ড থেকেই কম্পন অনুভূত হয়। একটি তাৎক্ষণিক বৈঠকের পর ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করেছে থাই সরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন বের হয়ে এসে রাস্তায় জড়ো হচ্ছে। একটি ভবনের ছাদের সুইমিং পুল থেকে পানি বাইরে নিচের দিকে ছিটকে পড়তে দেখা গেছে। ব্যাংকক থেকে বিবিসির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো দুলতে শুরু করে। কয়েকটি ভবনের জানালাও ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। থাইল্যান্ডের তুলনায় মিয়ানমারে ভূমিকম্প তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে দেশটিতে সাত মাত্রার ছয়টি ভূমিকম্প আঘাত হানে যার সবগুলোই ছিল সাগাইং ফল্টের কাছে। ভূপৃষ্ঠের নিচের ওই ফাটল দেশটির মাঝ বরাবর চলে গেছে। থাইল্যান্ড মূলত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নয়। কিন্তু সেখানে অনুভূত হওয়া প্রায় সব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হয় প্রতিবেশী মিয়ানমার। ব্যাংককের ভবনগুলোর শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করার ক্ষমতাসম্পন্ন নয়, এ কারণে সেখানে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় অকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে। ব্যাংককে বসবাসকারী বিবিসি সাংবাদিক বুই থু বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ ডে প্রোগ্রামকে বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় তিনি বাড়িতে রান্না করছিলেন। ‘আমি খুব বিহ্বল হয়ে পড়েছিলাম, খুব আতঙ্কিত ছিলাম। আমি জানতাম না এটা কী ছিল। আমার মনে হয় গত এক দশকে ব্যাংককে এই রকম শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।’ ‘আমার অ্যাপার্টমেন্টের দেয়ালে কিছু ফাটল দেখতে পাচ্ছি। সুইমিং পুল থেকে পানি ছলকে পড়ছে এবং মানুষজন শুধু চিৎকার করছে।’ আফটারশকের পরে তিনি অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে দৌড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসেন। বুই থু বলেন, ‘আমরা মাথা ঘুরিয়ে শুধু বোঝার চেষ্টা করছিলাম চারপাশে কী ঘটছে। ব্যাংককের বিল্ডিংগুলো ভূমিকম্প সহনশীল করে তৈনি করা হয়নি। আমি মনে করি সে কারণেই বড় ক্ষতি হতে চলেছে।’

থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প: মুহূর্তে ধসে পড়ল বহুতল ভবন
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন মুহূর্তে ধসে পড়েছে। উত্তর ও মধ্য থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রচারিত একটি ভিডিওতে ভবনগুলো কাঁপতে দেখা গেছে। আতঙ্কে লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করেন। এনডিটিভিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, বড় একটি বহুতল ভবন সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ছে। স্থানীয়রা ভবনটির ভেঙে পড়ার ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করছেন। পর্যটন শহর চিয়াং মাইয়ের বাসিন্দা ডুয়াংজাই এএফপিকে বলেন, ‘আমি ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। ভূমিকম্প টের পেয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসি।’ ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বড় বহুতল ভবনের ছাদ থেকে সুইমিং পুলের পানি বাইরে নিচের দিকে ছিটকে পড়ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাড়ির ছোট সুইমিং পুলের পানি প্রচণ্ডভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে, যা দেখতে সুনামির মতো। ব্যাংককে ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো দুলতে শুরু করে। কয়েককটি ভবনের জানালাও ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়েছে। ব্যাংককে বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন বের হয়ে এসে রাস্তায় জড়ো হন। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঢাকা থেকে ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের মান্দালয় ৭ দশমিক ৭ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ‘ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরের ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে, যা রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে।’

২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছেই। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি ব্যস্ত বাজারে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (আনরোয়া) জানিয়েছে, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো সহায়তা প্রবেশ করেনি। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে দিয়েছে যে, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল কমপক্ষে ১৭ হাজার ৪০০ শিশুকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৬০০ শিশুকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছে, যাদের বেশিরভাগকেই মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ লাখই শিশু। গত ১৭ মাস ধরে ইসরায়েলি হামলার কারণে তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের স্কুল ধ্বংস করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোও ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক লাখ ১৩ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ‘মোট নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। কারণ যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন তারা আর বেঁচে নেই বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।’ এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজা থেকে তাদের এক-তৃতীয়াংশ কর্মীকে সরিয়ে আনা হবে। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে কর্মীদের তারা গাজায় রাখতে চাইছেন না।

যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রোহিঙ্গারা
মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে জোরপূর্বক যুদ্ধে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী উভয় পক্ষই রোহিঙ্গা যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা গোপনে অস্ত্র চালনা ও যুদ্ধকৌশলের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট। ১৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ রিয়াসের জীবন বদলে গেছে গত বছরের ডিসেম্বরে। পরীক্ষার দিনে স্কুলে যাওয়ার পরিবর্তে তাকে পালাতে হয়েছে বাড়ি থেকে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মি উভয়ই রোহিঙ্গা যুবকদের জোর করে সেনাদলে ভর্তি করছে। রিয়াস বলেন, আমাদের লক্ষ্য জান্তা বাহিনী ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিহত করে নিজেদের ভূমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। আগে শুধু জান্তার সঙ্গে লড়াই করার চিন্তা ছিল, এখন প্রয়োজনে আরকান আর্মির (এএ) বিরুদ্ধেও আমরা অস্ত্র ধরতে প্রস্তুত। বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টকে জানান, গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রথমে ফিটনেস ট্রেনিং দেওয়া হয়। এরপর তাদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ অস্ত্র চালনা শেখেন। এছাড়া মার্শাল আর্টও শেখানো হয় ক্যাম্পে। অবশ্য এসব অস্ত্র কোথা থেকে আসে, সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। আরেকটি দল সোশ্যাল মিডিয়া, কাউন্টার সারভেইলেন্স ও শত্রুদের অবস্থান শনাক্ত করার কৌশল শেখেন। এক রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য শান্তিতে ও সব অধিকার নিয়ে নিজ দেশে বসবাসের অধিকার ফিরে পাওয়া। সরকার ও বিদ্রোহীরা উভয়ই আমাদের ভূমি দখল করেছে।এখন আমরা আমাদের মাতৃভূমি ফিরে পেতে চাই ও আমরা এর জন্য লড়াই করব। কোন গ্রুপের অধীনে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি রিয়াস। তিনি বলেন, ১ হাজারের বেশি লোক এখন প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছেন। সব শিবির থেকেই এই প্রশিক্ষণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইসলামিক মাহাজ নামের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত এক রোহিঙ্গা নাগরিক ইনডিপেনডেন্টকে জানান, তারাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এই ইসলামিক মাহাজটি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) একটি অঙ্গ সংগঠন। সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট বলছে, বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডজনখানেক সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বেশ কয়েকবার এ নিয়ে উদ্বেগও জানানো হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এসব গোষ্ঠী মাদক, মানবপাচার, হত্যা, চাঁদাবাজি ও ক্যাম্পের অন্তর্কোন্দলের সঙ্গে যুক্ত। এ তালিকায় রয়েছে ইসলামিক মাহাজ, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও), আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (এআরএসএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা ফোর্টিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি বলছেন, তারা বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম তদন্ত করে আসছেন। যে শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছায় ও জোরপূর্বক নিয়োগ চলছে সেখান থেকে সাক্ষ্য, ভিডিও ও অডিও প্রমাণ সংগ্রহ করছেন। জন কুইনলি বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগণের জীবনের প্রতিটি দিকই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে, অনেক রোহিঙ্গা সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের সম্প্রদায়কে মুক্ত করার চেষ্টা করছে। ফোর্টিফাই রাইটসের প্রতিবেদন অনুসারে, এ নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত একটি মানবিক সমন্বয় গোষ্ঠীর একটি অভ্যন্তরীণ স্মারকলিপি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, গত বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ২ হাজার লোককে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রশিক্ষণের জন্য। দ্য ইনডিপেনডেন্ট এ বিষয়ে বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিসের মন্তব্য চেয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করে তারা। কিন্তু কোনো পক্ষ থেকেই সাড়া মেলেনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সহায়তা সংস্থা ক্যাফোডের বাংলাদেশ সমন্বয়ক ফিল টালম্যান বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকটে এগিয়ে আসতে হবে। কারিতাস বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান আলেকজান্ডার ত্রিপুরা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমরা ১৭ লাখ শরণার্থীকে সহায়তা দিচ্ছি। কিন্তু তাদের জন্য আরও সাহায্য প্রয়োজন। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট

লিথুনিয়ায় নিখোঁজ ৪ মার্কিন সেনা
লিথুনিয়ার বেলারুশ সীমান্তের কাছে সামরিক প্রশিক্ষণ চলাকালে নিখোঁজ হয়েছেন চার মার্কিন সেনা। তাদের উদ্ধারের জন্য জোর অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে ওই সেনাদের ব্যবহৃত সাঁজোয়া যানটি ডুবে থাকা অবস্থায় একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) লিথুনিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের প্রমাণ বা তথ্য পাওয়া যায়নি। লিথুনিয়ার সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে পাব্রাদে শহরের কাছে প্রশিক্ষণ এলাকায় ওই সেনারা নিখোঁজ হন। পরদিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, নিখোঁজ সেনারা এম-৮৮ মডেলের যে সাঁজোয়া যানটি ব্যবহার করেছিলেন, সেটি প্রশিক্ষণ এলাকায় পানির নিচে পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী, লিথুনিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য লিথুনিয়ান কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে যানটি একটি জলাশয়ে নিমজ্জিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে ও নিখোঁজ সেনাদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। লিথুনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোভিলে শাকালিয়েন জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে একটি জলাভূমির গভীরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাঁজোয়া যানটি ওই জলাভূমির পাঁচ মিটার গভীর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই জলাশয়ের পানিও নিষ্কাশন করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নিখোঁজ সেনারা যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের প্রথম ব্রিগেডের সদস্য ও তারা পূর্বনির্ধারিত কৌশলগত প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন। লিথুনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শাকালিয়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নিখোঁজ সেনাদের ব্যাপারে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সবাই প্রস্তুত আছে। জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। আমরা ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ‘আটলান্টিক রিজলভ’ নামে পূর্ব ইউরোপ ও বাল্টিক অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ লিথুনিয়ায় শত শত মার্কিন সেনা পর্যায়ক্রমে অবস্থান করেন। ২০২১ সালের আগস্টে লিথুনিয়ার পাব্রাদে শহরে ‘ক্যাম্প হারকাস’ নামে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ক্যাম্পটিতে ৭০০ সেনাকে দীর্ঘ মেয়াদে ও স্বল্পমেয়াদে ১ হাজার সেনা থাকতে পারেন। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স