
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা চায় বাজুস
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের নতুন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন- বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসান। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। এমনকি বাসা-বাড়িতেও জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা পরিবার নিয়ে নিরাপদ বোধ করছে না। এসব অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনাও বাড়ছে। রিপনুল হাসান বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের ওপর ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার চেষ্টা হয়। যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়। এভাবে জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, আশুলিয়া সাভারে ডাকাতদের গুলিতে একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী নিহত হন এবং বনশ্রীতে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। গত এক বছরে এই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশের ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাজুসের সহসভাপতি বলেন, এসব ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের আলাদা দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের সব জেলার জুয়েলারি মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। বাজুসের নেতারা বলছেন, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া অলংকার উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ১৫ এপ্রিলের পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, সহসভাপতি এম এ হাসান আজাদ, সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন খোকন, সহসভাপতি সমিত ঘোষ অপু প্রমুখ।

২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিল চীন
চীনের সরকার ও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঐতিহাসিক সফরের ফলস্বরূপ এ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শুক্রবার (২৮ মার্চ) এর তথ্য জানান। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে এক্সক্লুসিভ চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে চীনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করার পর এই প্রতিশ্রুতি এসেছে। চীন মংলা বন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ, চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণের মাধ্যমে আসবে। প্রধান উপদেষ্টার চার দিনব্যাপী প্রথম দ্বিপাক্ষিক চীন সফর প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জয়েন বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশের প্রতি চীনা বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়ার অনুরোধ করেন। আশিক চৌধুরী জানান, প্রেসিডেন্ট শি চীনা কোম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই সফর চীনের অনেক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার। এ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক। শুক্রবার ড. ইউনূস এবং আশিক চৌধুরী বেইজিংয়ে তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বিশ্বের বৃহত্তম কিছু কোম্পানিসহ ১০০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে উন্নত বস্ত্রশিল্প, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান ড. ইউনূসের
বাংলাদেশের ব্যবসায়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে চীনের বিনিয়োগকারীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি চীনা বিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারা (চীনা বিনিয়োগকারীরা) বাংলাদেশের ব্যবসায়ের সম্ভাবনার সুবিধা নিতে পারেন’। শুক্রবার (২৮ মারচ) বেইজিংয়ের ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল’-এ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বিনিয়োগ সংলাপে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। এছাড়া, বাংলাদেশ এমন একটি চমৎকার ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে যেখানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ বড় বড় নদীগুলো প্রবাহিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য ও ব্যবসায় সম্প্রসারণে সমুদ্রের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যও স্থলবেষ্টিত।’ এসব দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন তিনি, যা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের মানব সম্পদের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং প্রতি বছর আরও ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’ তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ বাস করে। যাদের বেশিরভাগই যুবক। যারা উদ্যম, সৃজনশীলতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ।’ প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর অভাব নেই-পুরুষ এবং নারীরা সমানভাবে অংশগ্রহণ করছে’। বাংলাদেশের রূপান্তর প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সম্প্রতি এক সম্পূর্ণ নতুন দেশে পরিণত হয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘দেশে নতুন প্রজন্ম উঠে আসছে, যা ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বক্তৃতা করেন। সংলাপে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে ড. ইউনূসের বৈঠক
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে বেইজিংয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় বৈঠকের এ তথ্য জানানো হয়।জানা যায়, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে অংশগ্রহণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।এছাড়া একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা ও যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব-এই তিনটি বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন তিনি।এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বেইজিংয়ে পৌঁছালে মুহাম্মদ ইউনূসকে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে অভ্যর্থনা জানান চীনের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং।গত বুধবার (২৬ মার্চ) চার দিনের সফরে চীন পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি শাফিউজ্জামান
বেসরকারি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শাফিউজ্জামান। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। শাফিউজ্জামান এর আগে ব্যাংক এশিয়ায় অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও চিফ ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে তার ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৯৪ সালে ইউনাইটেড লিজিং কোম্পানি লিমিটেডে (বর্তমানে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড) এক্সিকিউটিভ হিসেবে। এরপর ওয়ান ব্যাংকে ১৪ বছর এবং ব্যাংক এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যাংকিং খাতে আধুনিকায়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও সৃজনশীল সেবাপণ্য উদ্ভাবনে বিশেষ দক্ষতার জন্য তিনি প্রশংসিত।

শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক খোলা, লেনদেন ২ ঘণ্টা
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে আগামী শুক্রবার (২৮ মার্চ) সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী— এই চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে দুই ঘণ্টার জন্য লেনদেন কার্যক্রম চালু থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সরকারি ছুটি হলেও এই চার ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লেনদেন চলবে। তবে ব্যাংকের অফিস কার্যক্রম চলবে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। জুমাতুল বিদার কারণে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নামাজের বিরতি থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়ম অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার বেসরকারি শিক্ষকদের ঈদের আগে বেতন-ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে এ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।

দেশের ইতিহাসে ২৬ দিনে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স
ঈদ সামনে রেখে আরও বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। ঈদের আগে চলতি মাস মার্চের প্রথম ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৩ বিলিয়ন (২৯৫ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ১১.৩৪ কোটি ডলার বা প্রায় ১৩৮৪ কোটি টাকা করে। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। তার আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) রেমিট্যান্স আসে গত ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে গত মাস ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেড়ে যায় প্রবাসী আয়ের গতি। একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি ও অর্থপাচার। আবার খোলা বাজারের মতই ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর কেন্দ্র করে আরও বেশি বেড়েছে রেমিট্যান্স আসার গতিপ্রবাহ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম ৮ মাসে এক হাজার ৪৯৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৫৫ কোটি ডলার। এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৭ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

ভারত থেকে এল সাড়ে নয় হাজার টন চাল
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে সাড়ে ৯ হাজার টন সিদ্ধ চালবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৯ টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
স্টার্টআপ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (মার্চ ২৭) পরিপত্র জারি করে এ অনুমতি দেওয়া হয়। পরিপত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্টার্টআপ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতূল্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে একটি মাত্র কোম্পানি গঠনের জন্য পাঠাতে পারবে। এ অনুমতি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭’-এর অধীনে দেওয়া হয়েছে। নিবাসী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে ব্যাংকে আবেদন করে বিদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে। পরিপত্র অনুযায়ী, ব্যক্তি পর্যায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে একই পদ্ধতিতে বিদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীদের উদ্ভাবনী ধারণা থাকতে হবে, যা বিদেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণসহ পরবর্তী বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও আয় নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করবে। ছোট আকারের বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক নিবাসী কোম্পানিগুলোকে তাদের নিজস্ব শেয়ার/সিকিউরিটিজের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানির শেয়ার সোয়াপের মাধ্যমে বিদেশে বিনিয়োগ সুযোগ দিয়েছে। এ পদ্ধতিতে বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নগদ অর্থের প্রয়োজন হবে না। এ পদ্ধতিতে বিদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাবনা বিবেচনায় ক্ষেত্রে শেয়ার/সিকিউরিটিজের সোয়াপ অনুপাত বিশ্বব্যাপী উত্তম চর্চার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিল চীনের এক্সিম ব্যাংক
চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইয়ু বলেছেন, তার ব্যাংক চীনা উৎপাদন কারখানাগুলোকে বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য সহায়তা করবে, যাতে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের বোয়াও শহরে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া অ্যানুয়াল কনফারেন্স ২০২৫’-এর সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। চীনা এক্সিম ব্যাংক দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশে অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন করে আসছে। তবে এবারই প্রথম বার তারা বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি শিল্পকারখানা স্থাপনে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করলো। মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান ও মানবসম্পদ দেশের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক উৎপাদন হাবে রূপান্তর করতে পারে। তিনি চীনের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদকদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার তাদের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা দেবে এবং একটি ট্রেড করিডোর গড়ে তুলবে।’ প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উৎপাদন ক্ষেত্রে চীনের পরিপূরক হতে পারে। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ চেন হুয়াইয়ু বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে পণ্য সরবরাহের জন্য আদর্শ অবস্থানে রয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ভিয়েতনাম কিভাবে চীনা ও পশ্চিমা বিনিয়োগ ব্যাবহার করে তার অর্থনীতি বদলে ফেলেছে, বাংলাদেশও যদি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে তবে একইভাবে লাভবান হতে পারবে। এ বিষয়ে ড. ইউনুস বলেন, আমরা ভিয়েতনামের কাছ থেকে শিখবো। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দ্রুত এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নের অনুমোদন, নতুন অবকাঠামো প্রকল্প যেমন দশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার বাস্তবায়নে সহায়তা এবং ঋণ হ্রাস করার অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে চেন হুয়াইয়ু জানান, তার ব্যাংক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশকে আরও বেশি চীনা মুদ্রা (আরএমবি) ভিত্তিক সহজ শর্তের ঋণ গ্রহণের পরামর্শ দেন। উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা শিগগিরই পুনরায় বৈঠকে বসবেন এবং আলোচনার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে জানানো হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

ঢাকার কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় ওয়াশিংটন
যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি ভাওয়েল গত ২৪ থেকে ২৫ মার্চ বাংলাদেশে সফর করেছেন। এ সফরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকার সঙ্গে। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভাওয়েল বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। যেখানে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের দৃঢ় সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং পারস্পরিক নিরাপত্তা স্বার্থ ও চলমান সহযোগিতার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। দেশীয় নিরাপত্তা রক্ষায়, বিশেষত দুর্যোগ মোকাবেলা ও অন্যান্য জটিল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের অব্যাহত ভূমিকার স্বীকৃতি তাদের আলোচনায় স্থান পায়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রধান সামরিক চ্যালেঞ্জগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহায়তার ক্ষেত্রগুলোসহ সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। চলতি বছর গ্রীষ্মে দুই দেশ সামনে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে। সেই অনুষ্ঠিতব্য সামরিক মহড়া ‘টাইগার লাইটনিং’ নিয়ে আলোচনা করে ঢাকা-ওয়াশিংটন। এছাড়া পারস্পরিক কার্যক্ষমতা ও সামগ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের সম্ভাবনার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি দক্ষ ও পেশাদার সামরিক বাহিনীর অপরিহার্য ভূমিকার কথা বৈঠকে তুলে ধরা হয়।

ঈদবাজারে বেড়েছে ক্রেতার চাপ, শেষ সময়ের কেনাকাটায় ব্যস্ত ঢাকাবাসী
ঈদুল ফিতরের ঠিক আগ মুহূর্তে সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকেই জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা। রাজধানীর শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ব্যস্ততায় আগে যারা করতে পারেননি কেনাকাটা, তারা সেরে ফেলছেন সেটি। এদিকে শেষ সময়ের ক্রেতা উপস্থিতিতে ভালো ব্যবসায়ের প্রত্যাশা বিক্রেতাদের। দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে তাইতো সকাল থেকেই শপিংমলগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। চাপ বেড়েছে কসমেটিকসের দোকানেও।বুধবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে এই ছুটির দিনটিকে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন শপিং প্রেমীরা। ব্যস্ততায় আগে যারা করতে পারেননি কেনাকাটা, শেষ সময়ে তারা সেরে নিচ্ছেন সেটি। ফলে কাপড়, জুতা, কসমেটিকস কিংবা গহনার দোকান, সবখানেই দেখা গেছে ক্রেতার চাপ।ক্রেতারা বলছেন, ‘ঈদের আগে ছুটির দিন পাওয়ায় কেনাকাটা করতে বেশ সুবিধা হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে ছুটির দিন ছাড়া তেমন সময় পাওয়া যায় না।’বিক্রেতারা বলছেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। ছুটির দিন হওয়ায় শেষ সময়ের কেনাকাটা সারছেন ক্রেতারা। ফলে শুরুর দিকের ক্রেতা ঘাটতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।’বরাবরের মতো এবারও রোজার শেষ দিনগুলোতে মাঝরাত পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে শপিংমল ও বিপনি-বিতানগুলো। আর এতে সকাল থেকে রাত, দিনের সবটা সময় কেনাকাটা করতে পারছেন ক্রেতারা।

রেমিট্যান্স আহরণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড
মাস শেষ না হতেই চলতি মার্চে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আয় এসেছে। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি বাংলাদেশে। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীদের ২৬৪ কোটি ডলার এসেছিল, ওটাই ছিল একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। তার আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, ‘গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি সাত দিন এই ধারাবাহিকত অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের ওপরে মাইল ফলক রেমিট্যান্স আসবে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে হুন্ডি সহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যালেনে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া পবিত্র রমজান মাস চলছে। আসছে খুশির ঈদ। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে বাড়ছে বিভিন্ন কেনাকাটা। তাই পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যার কারণে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে ডলারের দর বেশ কয়েক মাস যাবৎ ১২২ টাকায় স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১২৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৬২ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে বৈধ পথে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে এসেছিল ৯ কোটি ডলার বা এক হাজার ১১০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে এবং আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।

২৬ মার্চ, ২০২৫: স্বর্ণের আজকের বাজারদর
ঈদুল ফিতরের আগে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাজুস। এবার স্বর্ণের ২২ ক্যারেটের এক ভরিতে ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৩০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ১৮ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৮ টাকা করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৯ মার্চ থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর ১৬ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১২ বার, আর কমেছে মাত্র ৪ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এ সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৩৯তম সভা অনুষ্ঠিত
শরিয়াহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৩৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। সভায় অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, এস. এ. এম. হোসাইন, আলহাজ মোহাম্মদ শামসুল আলম এবং মো. জাহেদুল হক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, এফসিএস।

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬২তম সভা অনুষ্ঠিত
কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বিপিএম। সভায় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন) মো. মতিউর রহমান শেখ, অ্যাডিশনাল আইজি ও পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভলপমেন্ট) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (অ্যাডমিন), কাজী মো. ফজলুল করিম, ডিআইজি (সেবা) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, ডিআইজি (পুলিশ টেলিকম) মো. আমিনুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (হাইওয়ে পুলিশ) মুনতাসিরুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (যুগ্ম-কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) সুফিয়ান আহমেদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট) আহমদ মুঈদ, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর ও পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান তালুকদার, স্বতন্ত্র পরিচালক মাসুদ খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), মো. আবদুল কাইয়ুম খান এবং কোম্পানি সচিব সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন রিটার্নের ৬৬ শতাংশই শূন্য কর: এনবিআর চেয়ারম্যান
চলতি করবর্ষে অনলাইন রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। সোমবার (২৪ মার্চ) আগারগাঁওয়ের এনবিআর আয়োজিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ তথ্য জানান। এবারে ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্ন জমা পড়েছে জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘এর মধ্যে মধ্যে ১০ লাখ করদাতা সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে রয়েছে। এর মানে আমরা সঠিকভাবে করদাতাদের শনাক্ত করতে পারছি না। চলতি অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কাঙ্খিত কর আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের অবশ্যই রিটার্ন খতিয়ে দেখতে হবে, যারা কর প্রদান করছেন না, তাদের প্রকৃতপক্ষে করযোগ্য আয় নেই কিনা। আমাদের কর ফাঁকি শনাক্ত করার দিকে আরও মনোযোগী হতে হবে।’ অনুষ্ঠানে ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে ব্যক্তিগত করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকার করার প্রস্তাব দেন। এ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকা করার বিষয়টি যৌক্তিক মনে করি। তবে এখন আমরা যদি শূন্য রিটার্নের সীমা বাড়িয়ে চার লাখ করি, তাহলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বাড়বে।’ ইআরএফের এবারের বাজেট প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রশ্রেণির ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর ফেরতের ব্যবস্থা করা; নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, শিক্ষা ও চিকিৎসা উপকরণে করহার পাঁচ শতাংশে সীমিত রাখা; ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশে পৃথক রাজস্ব নীতিপ্রণয়ন; বাজেটে স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব পরিকল্পনা করাসহ বরাদ্দ রাখা; বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত রাখা; প্রান্তিক করদাতাদের জন্য ডেডিকেটেড ডিজিটাল সার্ভিস; তামাকের কর বাড়িয়ে কর আদায় থেকে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো; ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ করা; ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা; বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পদ কর আদায়; পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইনসহ মিডিয়ার করহার কমিয়ে আনা; রাজস্ব বোর্ডের তিনটি বিভাগের জন্য পৃথক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা; কাস্টমসের টাইম রিলিজ স্টাডির মতো আয়কর ও ভ্যাটেও একই রকম স্টাডি করা; এনবিআরে তিনটি বিভাগের ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ যাতে বিনিয়োগকারী ও সেবা প্রত্যাশি করদাতারা সহায়তা পান; শতভাগ বেতন প্রদান ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে না করে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদে দেওয়ার সুযোগ রাখা আগামী পাঁচ বছর; চট্টগ্রাম, বেনাপোল ও মংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নারীবান্ধব করা; প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া এবং সমন্বিত ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম হাতে নেওয়া। যেখানে বেশি কর, সেখানে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) মতো করদাতা ইউনিট বা এমটিইউ খোলা; করছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও জবাবদিহি দেওয়া; মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা ৪ লাখে উত্তীর্ণ করা; এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ইমপোর্ট ট্যারিফ ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন করে ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা; এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগকে আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ করতে দক্ষ জনবল নিয়োগসহ এজন্য বিনিয়োগ বাড়ানো; পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারী শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো; বড় ঋণ অনুমোদনের আগে এনবিআরের নির্দিষ্ট ডাটাবেজ থেকে ব্যবসায়িক তথ্য নেওয়া বাধ্যতামূলক করা; হয়রানিমুক্তভাবে কর পরিশোধের লক্ষ্যে সব পর্যায়ে বাধ্যতামূলক অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা; দেশের টাকা পাচার ও করফাঁকি রোধে এনবিআরের কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি করা; রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্য সম্ভাবনাময় খাত যেন তৈরি পোশাক শিল্পের মতো নিয়মিত বন্ডেড সুবিধা পায় সে ব্যবস্থা করা; পরিবেশবান্ধব বা সবুজ শিল্পায়নে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এনবিআর সাধারণ কারখানা ও পরিবেশবান্ধব শিল্পের মধ্যে করপোরেট করের ব্যবধান কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ রাখা; আমাদের কৃষি যান্ত্রিকরণের জন্য মেশিনারি ও এর যন্ত্রাংশের শুল্ককর মুক্ত আমদানি সুযোগ দেওয়া; দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানিও শুল্ককর মুক্ত রাখাসহ এনবিআরের বিভিন্ন প্রজেক্টের প্রচারণার খাতে অর্থনীতি সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করা, যাতে সঠিক তথ্য জনগণ জানতে পারে ও গুজব ছড়িয়ে না পড়তে পারে।

টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা ৯ দিন (২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে শিল্পঘন এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ কিছু ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। মূলত পোশাক খাতে কর্মরতদের বেতন-ভাতা দেওয়ার সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকার কিছু ব্যাংক শাখা ওই দুই দিন খোলা থাকবে। সোমবার (২৪ মার্চ) পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপ-শাখা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে ফাইন্যান্স (আর্থিক প্রতিষ্ঠান) কোম্পানিও। ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্পঘন এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে।’ যেসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকা। এসব এলাকায় ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে হবে। লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা হবে। শনিবার ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত, এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। ব্যাংকের যেসব শাখা খোলা থাকবে, সেই শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা ও বুথ সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হবে।’ আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ছাড়া) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ায় নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিজিএমইএ ভবন অবরুদ্ধ
বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ভালুকার রোর ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এতে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে বিজিএমইএ ভবনের প্রধান ফটক অবরোধ করে শ্রমিকরা কর্মকর্তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। ফলে অনেক কর্মকর্তা অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এই অচলাবস্থা চলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিএমইএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সকালে অফিসে আসার আগেই খবর পেয়েছি শ্রমিকরা বিজিএমইএর ভবনে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। সে কারণে অফিসে যাইনি। যারা অফিসে গেছেন, তাদের অনেকেই ঢুকতে পারেননি।’ জানা গেছে, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভালুকার রোর ফ্যাশন লিমিটেড গত জানুয়ারিতে লে-অফ ঘোষণা করা হয়। ময়মনসিংহ অঞ্চলের শিল্প পুলিশের এক উপপরিদর্শক জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে আর্থিক সংকটে পড়ে ময়মনসিংহের ভালুকার রোর ফ্যাশন লিমিটেড। এতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। বকেয়া আদায়ে শ্রমিকরা একাধিকবার মহাসড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকদের দাবি, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হলেও জানুয়ারির বেতন এবং লে-অফ ক্ষতিপূরণ এখনো বকেয়া। কারখানাটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে, যেখানে বর্তমান ১ হাজার ৩৭৬ জন শ্রমিক কাজ করেন। এ নিয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাহাত খান বলেন, ‘ভালুকার রোর ফ্যাশনের শ্রমিকরা গতকাল থেকে বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ রয়েছে। কারখানাটির মালিক পলাতক থাকায় শ্রমিকদের পাওনা দেওয়ার বিষয়ে কোনো মিটিং এখন পর্যন্ত হয়নি। শুনেছি, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সভা হওয়ার কথা রয়েছে।’

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪২০তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার। সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসায় পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাফাত উল্লা খান, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ইকবাল আহমেদ ওবিই ডিবিএ ফের এনআরবি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান
জনাব ইকবাল আহমেদ ওবিই ডিবিএ এনআরবি ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (২৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। জনাব আহমেদ এনআরবি ব্যাংক পিএলসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও তিনি সীমার্ক গ্রুপ অফ কোম্পানিজ এবং আইবিসিও ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। সিলেটের বাসিন্দা জনাব ইকবাল একজন প্রতিথযশা-অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী। বিশ্বজুড়ে তিনি সততা সুনাম এবং সফলতার সাথে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করেছেন। একটি ছোট পারিবারিক ব্যবসা থেকে সীমার্ক গ্রুপ আজ বিশ্বব্যাপী হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং বিভিন্ন খাদ্য পণ্য সরবরাহ করে। ১৯৭৬ সালে ইকবাল ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি (বর্তমানে আইবিসিও লিমিটেড) তৈরি করেন, যা হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং সকল ধরণের হিমায়িত খাদ্য পণ্য আমদানি ও বিতরণ করে এবং যুক্তরাজ্য এবং ইইউতে ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি আমদানিকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন। ব্যবসার প্রতি তার সততা এবং স্পষ্ট নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশে সীমার্ক একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার পেয়েছে। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তার অবদানের জন্য বৃটেনের রানির সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বীকৃতি ওবিই (অফিসার অফ দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) অর্জন করেন। এছাড়াও ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় প্রতি বছর তিনি বাংলাদেশে একজন শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সিআইপি (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা পদক অর্জন করেছেন। জনাব ইকবাল আহমেদের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলির মধ্যে একটি হল বাংলাদেশে এনআরবি ব্যাংক পিএলসি-এর সফল প্রতিষ্ঠা, যেখানে তিনি বিশ্বজুড়ে ৪৬ জন অনাবাসী বাংলাদেশীকে উদ্যোক্তা বিনিয়োগকারীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য একত্রিত করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল অনাবাসী বাংলাদেশীদের জন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। তিনি এনআরবি-দের জন্য দেশে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান, বাংলাদেশী উদ্যোগগুলিকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার প্রদান এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জনাব ইকবাল তার ব্যস্ত কর্মসূচীর মধ্যেও দাতব্য কাজের জন্য সময় বের করেন। তিনি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের অনেক দাতব্য সংস্থার সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসন, প্রশিক্ষণ। যার মধ্যে রয়েছে সিলেটের ১৪০০ শিক্ষার্থীর জন্য বুরুঙ্গা ইকবাল আহমেদ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের উন্নয়ন। ম্যানচেস্টার চিলড্রেনস হসপিটাল আপিল, রয়েল ম্যানচেস্টার আই হসপিটাল আপিল এবং আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হসপিটাল নির্মানের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং সহায়তা করেছেন। তিনি ইউকেবিসিসিআই-এর চেয়ারম্যান, যা যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের তরুণদের ব্যবসা এবং উদ্যোক্তা হিসেবে উৎসাহিত করে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে তার কোম্পানির সিএসআরএর সাথে জড়িত এবং যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান গঠন করেছেন যার নাম ইকবাল ব্রোস ফাউন্ডেশন, যা বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে।

ভারত থেকে এলো সাড়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন চাল
এমভি ডিডিএস মারিনা জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছেএমভি ডিডিএস মারিনা জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-২) ভারত থেকে সাড়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে এমভি ডিডিএস মারিনা নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।

আট মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৫৮ হাজার কোটি টাকা
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আট মাস (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) শেষে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার বেশি পিছিয়ে আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আলোচ্য আট মাসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৪২০ কোটি টাকা। ওই একই সময়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মধ্যপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়। এর আগে ছয় মাস শেষেও ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘাটতি ছিল প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে। গবেষণা ও পরিসংখ্যানের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা; গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছে ৬৫ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, অর্থাৎ আদায় কমেছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। অন্যদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে আদায় হয়েছে ৭৩ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭০ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এ হিসাবে আদায় বেড়েছে ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। এর আগে ছয় মাস শেষেও ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘাটতি ছিল প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলছে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।