সাউথ জার্সিতে ‘জিম হুইলান স্মৃতি’ পুরস্কার পেলেন বাবুল

যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ জার্সিতে ‘জিম হুইলান স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুল। রোববার (২ মার্চ) এগ হারবারের রিনাল্ট ওয়াইনারির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আটলান্টিক কাউন্টি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ৫০তম বার্ষিক কনভেনশনে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অগ্রযাত্রা ও কমিউনিটি সেবায় অবদান রাখায় তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন। পার্টির চেয়ারম্যান মাইকেল সুলেমান কনভেনশনে তার হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন। কনভেনশনে আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক নেতা আব্দুর রফিক, সোহেল আহমদ, সুব্রত চৌধুরী, হাবিব রেহমান, ইশরাত জাহান, লাকি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লা সদরের কৃতি সন্তান জহিরুল ইসলাম বাবুল ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে এটি সাউথ জার্সিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জনপ্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে করোনাকালীন তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির বিভিন্ন জনহিতকর ও কল্যাণমূলক কর্মসূচি বাংলাদেশ কমিউনিটিসহ অন্যান্য কমিউনিটিতে বেশ সাড়া ফেলে। তাঁর গতিশীল ও দূরদর্শি নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণেও সক্ষম হয়। চার সন্তানের বাবা জহিরুল ইসলাম বাবুল আটলান্টিক সিটি গভর্নমেন্টের মার্কেন্টাইল দপ্তরে সহকারী পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন।

৮-১০ আগস্ট ফিলাডেলফিয়ায় মুনার ন্যাশনাল কনভেনশন

আগামী ৮- ১০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় অবস্থিত পেনসিলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে ‘মুনা কনভেনশন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে মুসমানদের সবচেয়ে বড় এ আয়োজনকে সাফল্যমন্ডিত করতে মিডিয়ার সহায়তা কামন করেছেন মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার (মুনা) নেতৃবৃন্দ। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে ইফতার মাহফিল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন করেছে মুনা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুনার ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেকক্টর আরমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মুনা ন্যাশনাল মিডিয়া বিভাগ পরিচালক আনিসুর রহমান গাজী ও পরিচালনা করেন মুনা ন্যাশনাল এ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আব্দুল্লাহ আল আরিফ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুনা ন্যাশনাল এ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আহমদ আবু উবায়দা, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মুনা মজলিশে শুরা সদস্য এমএম মাওলা সুজন, মুনা নিউইয়র্ক সাউথ জোনের সভাপতি এমদাদ উল্লাহ, মুনা নিউইয়র্ক নর্থ জোন সেক্রেটারি মমিনুল ইসলাম মজুমদার, নিউইয়র্ক সাউথ জোন মিডিয়ার পরিচালক আমিনুর রসুল জামসেদ। আলোচনার ফাঁকে ইসলামী গান করেন মুনা শিল্পী গোষ্ঠির সদস্য সালাহউদ্দিন রাসেল। ইফতারের পূর্বে আমেরিকাসহ বিশ্বশান্তি কামনা করে দোয়া করেন ইমাম দেলোয়ার হোসাইন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগামী ৮, ৯ ও ১০ আগস্ট পেনসিলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে মুনা কনভেনশন-২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই কনভেনশন মুসলিম জীবনে বিশেষ করে বাংলাদেশী আমেরিকান পরিবারের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। মুনা আমেরিকার একটি দাওয়াতি ও সামাজিক সংগঠন। মানুষের ব্যক্তিগত নৈতিক ও সামাজিক মানোন্নয়নের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানোর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় মুনা। এই সংগঠনটি ১৯৯০ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে কর্পোরেশন ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মুনা আমেরিকার প্রায় সবকটি রাজ্যেই কমবেশি কর্মতৎপরতা পরিচালনা করছে। মুসলমানদের প্রাত্যহিক সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ড এবং জাতীয় নাগরিক জীবনে ভূমিকা পালনের নিমিত্তে সবাইকে সংগঠিত করতে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে এসব ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রসূল মুহাম্মদের (সা,) অনুসরণের মাধ্যমে মানবতার সেবা করে যেতে পারে। এবারের কনভেনশনের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় এবং থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইসলামের মশাল বহন : বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় বিশ্বাসের বিস্তৃতি’| সংবাদ সম্মেলনে বলে হয়, দুনিয়াব্যাপী মানবতা আজ মুক্তির জন্য দিশেহারা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তি তথা সামগ্রিক কল্যাণ ইসলামেই নিহিত রয়েছে। মুনা চায়, প্রত্যেক মুসলিম ভাই-বোনেরা ইসলামের সুমহান আদর্শকে নিজেদের জীবনে যথার্থভাবে ধারন করে, এক একজন দ্বীনের মশাল বাহক হিসাবে দুনিয়াব্যাপী প্রচারে আত্ননিয়োগ করুক। ইসলাম শুধু মুসলিম তথা ইসলামে বিশ্বাসীদের জন্য নয়, এটা গোটা মানবজাতির উন্নতি ও অগ্রগতির সোপান । মুনা এই বিশ্বাসকে ধারণ করেই এবারের কনভেনশনের মূল কেন্দ্রীয় প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর তালিকায় ৫০০ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক ফেরত পাঠানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশি নাগরিকও ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র না থাকা ৪০০-৫০০ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানোর জন্য এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গেছে, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় দুইটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে এবং প্রতি সপ্তাহে ছয়-সাত জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হবে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। ফেরত আসা সব বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকার বিমানবন্দরে গ্রহণ করার পর সরকার তাদের বাড়িতে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈঠকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় এবং যাদের ফেরত পাঠানো হবে তাদের যেন হাতকড়া না পরানো হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাম্প প্রশাসন ২০ জানুয়ারি অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে। সে অনুযায়ী মুসলিম এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশসহ ১০ দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানকে যুক্ত করে আবারও ‘ট্র্যাভেল ব্যান’ আদেশ জারির চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মধ্য মার্চের পর এ আদেশটি জারি হতে পারে। এ আদেশের আওয়তায় থাকা দেশগুলো হচ্ছে কিউবা, ইরান, লিবিয়া, নর্থ কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন। হোয়াইট হাউসের উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার (৭ মার্চ) নিউইয়র্ক টাইমস উল্লেখ করেছে, তালিকাটি আরও দীর্ঘ হতে পারে। পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমারসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশ এ তালিকার আওতায় আসতে পারে। হোয়াইট হাউসের সূত্রগুলো জানিয়েছেন, ট্র্যাভেল ব্যানের আওতাভুক্ত দেশের বাইরেও বেশ কয়েক ডজন রাষ্ট্রকে ‘অরেঞ্জ’ এবং ‘ইয়েলো’ ক্যাটাগরিতে রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ এসব দেশের নাগরিকও বিদ্যমান রীতি অনুযায়ী ভিসা পাবেন না। তাদের ভিসা পেতে অপেক্ষা করতে হবে ওয়াশিংটন ডিসি কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাওয়া পর্যন্ত। জানা গেছে, ট্র্যাভেল ব্যানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহের তালিকা নির্বাহী দপ্তরের মতামত চেয়ে বিতরণ করেছে হোয়াইট হাউস। এটি হচ্ছে ‘রেড লিস্ট’ এবং চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এসব দেশের নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবেন না। অন্যদিকে ‘অরেঞ্জ’ গ্রুপের দেশসমূহের নাগরিকের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হবে না। কেবল ব্যবসায়ীরা ভিসা পাবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। তবে বেশি দিন থাকতে পারবেন না। এ গ্রুপের দেশসমূহের নাগরিক ইমিগ্র্যান্ট কিংবা ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য অযোগ্য হবেন। ভিসার জন্য এসব দেশের নাগরিকদের দূতাবাসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে। তৃতীয় গ্রুপটি হচ্ছে ‘ইয়েলো’। এ গ্রুপকে ৬০ দিন সময় দেওয়া হতে পারে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত না হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো সম্পন্নের জন্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়া যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য ফ্লাইট ছাড়ার আগেই ওয়াশিংটন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। পাসপোর্ট ইস্যুতে যথাযথভাবে সতর্কতা অবলম্বন, যাতে ভিনদেশি সন্ত্রাসীরা পাসপোর্ট না পায়। যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধ দেশের নাগরিক যাতে ইয়েলো ক্যাটাগরির দেশের পাসপোর্ট বানাতে না পারে।

নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ এলাকায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা এগুবে রোববার

যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ এলাকায় কাল রোববার (৯ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে ডে লাইট সেইভিং টাইম। রোববার ঘড়ির কাটা এগিয়ে নিতে হবে এক ঘণ্টা। শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত (৯ মার্চ রোববার) ২টায় ঘড়ির কাটা এগিয়ে যাবে তিনটার ঘরে। আইফোন বা অন্য কোনো ধরনের স্মার্ট ফোন, কম্পিউটারে সময় বদলে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। তবে কোন কোনো ঘড়ির ক্ষেত্রে পরবর্তিত সময় মিলিয়ে নিতে হবে। নতুন এই সময়সূচি চালুর ফলে দিন হবে দীর্ঘায়িত। সন্ধ্যা হবে দেরিতে। নতুন এই সময়সূচি অনুযায়ী নিউইয়র্কে যখন রাত ২টা বাজবে বাংলাদেশে হবে তখন দুপুর ১২টা। এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে আগামী ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে আগামী ১ নভেম্বর দিবাগত রাত দুইটায় ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে রাত একটা করতে হবে। তবে অ্যারিজোনা, হাওয়াই, আমেরিকান সামুয়া গুয়াম, পুয়ের্তোরিকো ও ভার্জিন আইল্যান্ডের ঘড়ির কাঁটা একই স্থানে থাকে। অর্থাৎ, এই স্টেটগুলোতে ডে লাইট সেভিংয়ের কোনো প্রভাব পড়ে না। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ এলাকায় দুই দফা ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা আগানো-পিছানো হয়। দিনের আলোকে কাজে লাগানোর জন্য এই উদ্যোগকে বলা হয় ডে লাইট সেইভিং টাইম। একে স্প্রিং ফরোয়ার্ড, সামার টাইমও অভিহিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১০৬ বছর আগে ১৯১৮ সালে এই নীতি চালু করা হয়। গ্রীষ্মকালে দিন বড় হয়। এ জন্যে ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা এগিয়ে নিলে আমেরিকানদের কর্মপরিধি কিছুটা বাড়ে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

আত্মপ্রকাশ করল ‘বাংলা প্রেস ক্লাব ভেনিস ইতালি নর্দ’

ইতালির ভেনিসসহ উত্তর ইতালিতে বাংলা মিডিয়ায় কর্মরত প্রবাসী সংবাদকর্মীদের নিয়ে ‘বাংলা প্রেস ক্লাব ভেনিস ইতালি নর্দ’ নামে নতুন সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) ভেনিসের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের আয়োজিত সভায় সময় টেলিভিশনের ইতালি প্রতিনিধি মাকসুদ রহমানকে সভাপতি ও এনটিভি ইউরোপের প্রতিনিধি নাজমুল হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।আংশিক কমিটিতে আইওন টিভির ইতালি প্রতিনিধি সজীব আল হোসাইনকে সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ইতালি প্রতিনিধি মোখলেছুর রহমান সরকারকে অর্থ সম্পাদক, মিলান বার্তার ভেনিস প্রতিনিধি জাকির হোসেনকে প্রচার সম্পাদক ও টিভি ওয়ান প্রতিনিধি নাসরিন আক্তারকে মহিলা সম্পাদিকা নির্বাচিত করা হয়।মাকসুদ রহমান বলেন, ‘প্রবাসে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে এবং বাংলাদেশি ইতালি প্রবাসীদের ভালোবাসাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই আমরা। একই সাথে প্রবাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ঐক্যবদ্ধসহ অবস্থানের মাধ্যমে ভাবমূর্তি উন্নয়ন ও প্রবাসীদের অধিকার অর্জনের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাব।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভেনিস অঞ্চলের বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, আঞ্চলিক সংগঠন ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বাংলা গণমাধ্যমের পাশাপাশি ইতালির মূলধারার সংবাদ কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যবসায়িকদের পক্ষ থেকে প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।শিগগিরই ভেনিসসহ উত্তর ইতালির বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠিত করে, জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।সভা শুরুর আগে সংগঠনের আয়োজনে রমজান উপলক্ষে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং দোয়া করা হয়। ইফতার শেষে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

নিউইয়র্কে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হল ঊনবাঙালের বইমেলা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ঊনবাঙাল সাহিত্য সংগঠনের আয়োজনে একুশের বইমেলা। গত ২১-২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে এই মেলা। মেলায় দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জ্যামাইকার ইলহাম একাডেমিতে শুরু হয় এই মেলা। উদ্বোধন করেন সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক মঞ্জুর আহমদ। এ সময় সবাই হাতে আঁকা প্রতিকী একুশে ফেব্রুয়ারির মিনারের সামনে ফুল রেখে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ঊনবাঙালের সভাপতি মুক্তি জহির ও ঊনবাঙালের প্রধান প্রাণপুরুষ কাজী জহির সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘হিমাঙ্কের নিচে যখন ঠান্ডা ,আমরা ব্যানার নিয়ে রাস্তায় হাঁটছিলাম। মনে হচ্ছিল আমার হাত পা ঠান্ডায় ফেটে যাবে। কিন্তু আমরা কেউই হাঁটা থামাইনি।’ মেলার আহ্বায়ক ফখরুল আলম বলেন, ‘আজকের এই শুভ সূচনার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের জন্য বড় একটা উদ্দেশ্যকে রোপন করলাম।’ প্রধান অতিথি শাহ নেওয়াজ সবাইকে ধন্যবাদ জানান তীব্র শীত উপেক্ষা করে মেলায় আসার জন্য। মেলায় তিন দিনের প্রতিদিনের কর্মসূচিতেই ছিল নতুন নতুন সংযোজন। ছোটদের এবং নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভোরের পাখি ও আমরা সবাই রাজা এদুটি ছিল ছোট মনিদের নিয়ে অনুষ্ঠান। মেলার স্লোগান ছিল ‘পৃথিবী জুড়ে বাঙালি ,বাঙালির পৃথিবী’। সরজমিনে দেখা গেছে, মেলা চলেছে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এ সময় প্রচুর দর্শক সমাগম হাতে দেখা গেছে। প্রতিদিন বই মেলায় দারুন সব উপভোগ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গান,আবৃত্তি,স্বরচিত কবিতা পাঠ, নাটক, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, বই সমালোচনা,পুথি পাঠ সব কিছুরই আয়োজন ছিল এই মেলায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি মেলার শেষ দিন এসেছিলেন বাংলাদেশ কন্সুলেট থেকে কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ‘এ মেলা আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা শেখার আগ্রহ তৈরি করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনে এই মেলা আরো অনেক বড় আকারে আমরা দেখতে পাবো। লেখক পাঠকের এই মিলনমেলাকে তিনি খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।’ মেলা কমিটির আহ্বায়ক ফখরুল আলম মনে করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই এই মেলা সফল হয়েছে। সদস্য সচিব আহসান হাবীব ও সুমন শামসুদ্দিন মেলা নিয়ে মানুষের উপস্থিতিকে খুবই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন সামনে এই মেলা আরও বড় পরিসরে তৈরি করা হবে।

নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের শীতকালীন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ঐতিহ্যপ্রিয় বাঙালির ঘরে শীত এলেই হাজির হয় পিঠার আমোদ। তবে প্রবাসে সেই পরিচিত দৃশ্য নেই বললেই চলে। তাইতো শীত এলে প্রবাসীদের প্রধান আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নেয় পিঠা উৎসবে। পিঠার মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলে। বাহারি রঙের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও নকশায় অনন্য হয়ে উঠেছে এক একটি পিঠা। কনকনে শীতের সন্ধ্যায় গ্রামে চুলার পাশে বসে যেমন পিঠা খাওয়া হতো, তেমনি এখানেও যেন একই দৃশ্য। আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠাপুলির সঙ্গে সেলফি তুলে পিঠা খাওয়ার দৃশ্যকে স্মৃতিময় করে রাখার চেষ্টাও লক্ষণীয়। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার উদ্যোগে শীতকালীন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চিত্র এটি। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমের পরিচালনায় পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। তিনি বলেন, ‘পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। শীত আর পিঠা একে অপরের পরিপূরক। বাংলার গ্রামের মা, চাচি, খালা, বোন, ভাবিদের চিরায়ত সেই ঐতিহ্য আমাদের প্রবাস জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে।’ আতাউর রহমান সেলিম আবহমান বাংলার এ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে পিঠা উৎসবকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক মো. আলী, সংগঠনেসর বোর্ড অব ট্রাস্টি বদরুন নাহার খান মিতা, ছদরুন নুর, সৈয়দ নাজমুল হাসান কুবাদ, সাবেক বোর্ড অব ট্রাস্টি আব্দুস সহিদ, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জিল্লু, বাংলাদেশ সোসাইটি সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সুহাগ, মৌলভীবাজার ডিস্টিক সোসাইটির সভাপতি সোহান আহমেদ টুটুল, সাবেক সভাপতি তজুমুল হোসেন, হবিগঞ্জ সদর সমিতির সভাপতি মিয়া মো. আছকির, সুনামগঞ্জ জেলা সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোতাহের রুবেল, সংগঠনেসর সাবেক নির্বাচন কমিশনার একেএম কামাল, সাবেক সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট সাইকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এসোসিয়েশনের সাবেক সহ সভাপতি জোসেফ চৌধুরী, গীতা পাঠ করেন কবি সুধাংশু মন্ডল। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসবের আহ্বায়ক মো. জাবেদ উদ্দিন, সদস্য সচিব হুমায়ূন কবির সোহেল, এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি শফিউদ্দিন তালুকদার শফি। পিঠা উৎসবে অংশ নেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমেদের সহধর্মিনী আতিকা মহসিন সুমি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমের সহধর্মিনী সাজনা হাকিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জিল্লু সহধর্মিনী লুৎফা জিল্লু, সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেনের সহধর্মিনী সাহিদা হোসেন মুক্তা, কমিউনিটি মহিলা উদ্যোক্তা মাকসুদা আহমেদ, ফারজানা লতিফা, সুরাইয়া আলম লাকি, মনজুরা আহমেদ অলি, তাসলিম আরা লিমা, সুলতানা আহমদ, রাহিমা বিনতে উদ্দিন, আয়েশা খাতুন, সামিয়া আক্তার, রুজি আপা, সপসি দেবনাথ, সুস্মিতা দেব, জুলি বেগম, শাকিলা রিতা, নাছরিন চৌধুরী, মাছুদ আহাদ প্রমুখ। সিলেটসহ গ্রামবাংলার হরেক রকম প্রায় ৩০টি পিঠা সাজানো হয়েছে এ উৎসব। এসব পিঠার মধ্যে মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, তেলের পিঠা, দুধ চিতই, ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, নকশি পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, সেমাই পিঠা, নোন পিঠা, পিঁয়াজু, চানা মুড়ি, বরপি পিঠা, গোলাপ পিঠা, চট্টগ্রাম ঐতিহ্যবাহী বিন্নি পিঠা উল্লেখযোগ্য। পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি উৎসবে ছিল গান, আবৃত্তি, অ্যাক্রোবেটিকসহ ও পথনাটকসহ নানা অনুষ্ঠানমালা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. শফিউদ্দিন তালুকদার ও মো. জাবেদ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মো. আলিম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, কার্যকারি সদস্য মো. আব্দুল আজিজ, হুমায়ূন কবির সোহেল ও মো. ফজল খান।

ওল্ডহামে নেবট্রার উদ্যোগে ভাষা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইংল্যান্ডের নর্থ ইংল্যান্ড বাংলাদেশী টিভি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নেবট্রা) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওল্ডহামের দিঅ্যাম্পায়ার ব্যাঙ্কয়েটিং হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নেবট্রার সভাপতি এমজি কিবরিয়ার সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হোসেনের পরিচালনায় সভায় পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রশিক্ষণ সম্পাদক সৈয়দ জামাল আহমেদ মিজান। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন জাহান আলম। সভায় বক্তব্য দেন নেবট্রার উপদেষ্টা ফারুক যোশী ও গনি চৌধুরী, সহ-সভাপতি তৈয়বুর রহমান শ্যামল ও শাহ কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোবাশ্বির আলী। বক্তারা ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এমজি কিবরিয়া বলেন, ‘বিলেতে নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষাকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে ব্রিটিশ বাংলাদেশী মা-বাবাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। বাসায় সন্তানদের সাথে বাংলায় কথা বলতে হবে। বাংলা লেখা শিখতে তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। সভা শেষে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন উপদেষ্টা গনি চৌধুরী।

আটলান্টিক সিটিতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির ফুড ব্যাংক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির উদ্যোগে ফুড ব্যাংকের আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফেয়ারমাউন্ড এভিনিউতে অবস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টারে ফুড ব্যাংকের এই কার্যক্রম চলে। ‘ফুড ব্যাংক’ কার্যক্রমের আওতায় মাংস, তাজা শাকসবজি, ফল, টিনজাত খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আটলান্টিক সিটির বিভিন্ন কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক লোক এই ফুড ব্যাংক কার্যক্রমে অংশ নেয়। ফুড ব্যাংক কার্যক্রমে সহায়তা করে ‘কমিউনিটি ফুড ব্যাংক অব নিউজার্সি’। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মো. আইয়ুব, মনিরুজ্জামান মনির, মামুনুল হক মামুন, রহমান বাবুল, মো. আমিনের সার্বিক সহযোগিতায় ফুড ব্যাংকের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকিরুল ইসলাম খোকা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রফিক ফুড ব্যাংকের কার্যক্রম সফল করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান

মেরীল্যান্ডে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের একুশে উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্রের মেরীল্যান্ড রাজ্যে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহান একুশে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বই উৎসব। অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বই উৎসব ছিল একুশের মূল আকর্ষণ। শিশুদের চিত্রাঙ্কন, গাং, নাচ ও কবিতা আবৃতিতে মোড়ানো একুশের অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অংশ নেয়।গত ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেরীল্যান্ডের সিলভার স্প্রিং শহরের রস্কো আর নিকষ এলিমেন্টারি স্কুল অডিটোরিয়ামে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন ইনক মেরীল্যান্ড। একুশে অনুষ্ঠানে স্থানীয়, ভার্জিনিয়া ও ওয়াশিংটন স্টেট থেকে ছুটে আসেন বাংলাভাষা প্রেমী বাঙালিরা। অনুষ্ঠানে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আগস্টিন বিপুল ডি কস্তার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সহ সভাপতি নিয়তি নির্মলা রেগো বলেন, ‘বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা। এই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন অনেকে। তাই, বাংলা ভাষা আমাদের কাছে গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। প্রবাসের মাটিতে আমরা প্রাণের ভাষার ব্যবহার ও প্রসার ঘটাতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সংগঠন বছরব্যাপী বাংলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত দর্শকবৃন্দ। এই সময় সুকুমার পিউরিফিকেশন ধারাবাহিকভাবে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার পটভূমি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্যায়ে সুবীর কাস্মীর পেরেরার দুটি কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও তরুণ প্রজন্মের অগ্রপথিক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পী ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা মাহমুদ। সাথে ছিলেন সংঠনের উপদেষ্টা জুড ভি গোমেজ, অতুল পিউরিফিকেশন, নিয়তি নির্মলা রেগো, আইরিন পিউরিফিকেশন, মুক্তা মেবেল রোজারিও ও মুক্তি গোমেজ। মোড়ক উন্মোচন পরিচালনায় ছিলেন সুকুমার পিউরিফিকেশন।অনুষ্ঠানে শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক বিভাষ ফ্রান্সিস রোজারিওর উপস্থাপনার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় সৃষ্টি নৃত্যাঙ্গন, মঞ্জুরি নৃত্যালয়, মুক্তা মেবেল রোজারিওর গানের শিক্ষার্থী এবং বিসিএর সংগীত দল। দেশের গানের তালে তালে সব বয়েসের বাঙালির হাতে বাংলাদেশের পতাকা একটি ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিচালনায় ছিলেন মুক্তা মেবেল রোজারিও। নৃত্যে কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন নৃত্যশিল্পী রোজ মেরী মিতু রিবেরু ও নৃত্যশিল্পী শিল্পী গ্লোরিয়া রোজারিও। অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক লিমা কোরাইয়া ও মুক্তা মেবেল রোজারিও। একুশের অনুষ্ঠানে এই প্রথম যুক্ত হল বই উৎসব। চপল ইগ্নেশিয়াস পেরেরা ও মিল্টন মাইকেল রোজারিও তত্বাবধানে বইয়ের স্টলে ছিল স্থানীয় লেখকের প্রকাশিত বই। এছাড়া এবারের প্রথম বাংলা খাবারের স্টলে ছিল দেশীয় খাবারের সমাহার।

বাংলাদেশে ইউএসএআইডি প্রকল্প চালু রাখার আহ্বান সিনেটর চাক শ্যুমারের

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) সহায়তা স্থগিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সিনেটের বিরোধী দলীয় নেতা চাক শ্যুমার। ওই সহায়তা ফের চালু করার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘এমন একটি ভুলের জন্যে নিদারুণ কষ্টের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও ঝুঁকিতে ফেলবে।’ ২০২৪ সালে ইউএসএআইডি ৩৭১ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে দিয়েছে, যা ব্যবহার হয়েছে মানবিক সহায়তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা এবং সামাজিক সেবা, দুর্যোগ মোকাবেলাসহ পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই বিদেশে সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। তাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ (ইউএসএআইডি) বিভিন্ন বৈশ্বিক কর্মসূচির কোটি কোটি ডলারের তহবিল হুমকির মুখে পড়েছে। বিদেশে মার্কিন সহায়তা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না’ তা পর্যালোচনার জন্য ফেব্রুয়ারিতে মানদণ্ড তৈরি করবে ট্রাম্প প্রশাসন। এই পর্যালোচনার পরে সহায়তা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া, সংশোধন করা বা সমাপ্ত করা হবে কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চাক শ্যুমার বলেছেন, ‘ইউএসএইড’র কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের ওপর বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছ; একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি-স্বার্থকেও নাজুক অবস্থায় ফেলতে পারে। বাংলাদেশকে নানাভাবেই সহায়তা দেওয়ার মানে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দেশটির মানবিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।’ চাক শ্যুমার বলেন, ‘জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন প্রকল্পে আকস্মিকভাবে অর্থায়ন বন্ধ ঘোষণা করায় বাংলাদেশের মত বহুদেশের সামাজিক, মানবিক ও জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে নেওয়া হয়েছে। এ জন্যে আমি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে ইউএসআইডির কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য এবং বাংলাদেশের জন্যে মঞ্জুরিকৃত অর্থের ছাড় দেওয়া হোক।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাব

মার্কিন নাগরিকদের প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে উৎসাহ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব এনেছেন নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে জনপ্রিয় মেং গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদে তোলেন।পরে প্রস্তাবটি পরীক্ষা করার জন্য কংগ্রেসের কমিটি ফর ওভারসাইট অ্যান্ড গভার্নমেন্ট রিফর্মের কাছে পাঠানো হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘শিক্ষার মাধ্যমে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের লক্ষ্য ও আদর্শকে সমর্থন জানানো এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য।’ এ দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে প্রস্তাবে বলা হয়, ‘১৯৫২ সালে পাকিস্তানের অধীনে থাকা বাংলাদেশের ছাত্র জনতা তাদের মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার দাবিতে আন্দোলনে নেমে রাজপথে প্রাণ দিয়েছিল। সেই দিনের স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।’ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষাবাদ প্রচারের জন্য ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির ওই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ইউনেস্কো প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য একটি নির্দিষ্ট থিম নির্ধারণ করে, যার উদ্দেশ্য হল ভাষাগত শিক্ষার বিভিন্ন দিক প্রচার করা। ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে, যা ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষাবাদের গুরুত্বকেই তুলে ধরেছে। ইউনেস্কোর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে আট হাজারের বেশি ভাষার মধ্যে আনুমানিক ১ হাজার ১৮১টি ভাষা আর ব্যবহৃত হয় না। আনুমানিক ৬ হাজার ভাষা রয়েছে বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে। মার্কিন জনশুমারি ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০টির বেশি ভাষায় কথা বলে মানুষ, যার মধ্যে অন্তত ১৬০টি স্বতন্ত্র নেটিভ আমেরিকান ভাষা। ইউনেস্কোর বিপন্ন ভাষার অ্যাটলাস অনুযায়ী, ইউরোপীয়দের আগমনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে ২৮০টি নেটিভ আমেরিকান ভাষা প্রচলিত ছিল, যার মধ্যে ১১৫টির বেশি ভাষা ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং অনেক ভাষা বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। গ্রেস মেংয়ের প্রস্তাবে বলা হয়, ‘যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী এবং বিদ্যমান ভাষাগুলোর সংরক্ষণ সেই ঐতিহ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেহেতু প্রতিনিধি পরিষদে দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ করা হচ্ছে। এগুলো হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের লক্ষ্য ও আদর্শকে সমর্থন জানানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে উপযুক্ত অনুষ্ঠান, কর্মসূচি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে উৎসাহিত করা।

মুনা সেন্টার অফ নিউ ইয়র্কের উদ্বোধন

নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম বৃহৎ মসজিদ, বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজোন পার্কে মুনা সেন্টার অফ নিউইয়র্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বােধন করেন মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা তথা মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম মাওলানা দেলােয়ার হোসেইন। প্রায় ৩৫ হাজার হাজার স্কোয়ার ফিট এলাকার মুনা সেন্টার অফ নিউ ইয়র্কে ২২ হাজার স্কয়ার ফিট এলাকা কেবল নামাজের জন্য ব্যবহার করা হবে। সেন্টারের কর্মকর্তারা জানান, এক সাথে প্রায় ৫ হাজার মুসুল্লি এখানে নামাজ পড়তে পারবেন। সেন্টারের বাকী অংশ অন্যান্য কাজে ব্যবহার হবে। সেন্টারের পাৰ্কিং লটে শতাধিক গাড়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। মুনা সেন্টার অফ নিউইয়র্কের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসাইন।

রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির আলোকসজ্জা

মাহে রমজান সমাগত। রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির (বিএএসজ) উদ্যোগে বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আটলান্টিক সিটির ফেয়ারমাউন্ট এভিনিউতে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার’ ভবনটিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। পুরো রমজান মাসে এ আলোকসজ্জা থাকবে। বিএএসজের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও শাহরিয়ার আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আব্দুর রফিক, কাউন্সিল এট লারজ প্রার্থী সোহেল আহমদ, শেখ আমিন, মো. আইউব, রহমান বাবুল, গিয়াসউদদীন, মনিরুজ্জামান মনির, সুব্রত চৌধুরী, রওশন উদদীন, সিরাজুল ইসলাম, বেলাল উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর মামুনুল হক মামুন, সৈয়দ শহীদ, ওয়ালিদ, শাহরু চৌধুরী, মো. মিজান। দোয়া ও মোনাজাত করেন মওলানা আবদুল হাই। অনুষ্ঠানে জহিরুল ইসলাম বাবুল সংগঠনের পক্ষ থেকে সাউথ জার্সিবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস, রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, সংযমের মাস। আজকে ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে রমজানের শিক্ষাকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে।’

আটলান্টিক সিটিতে ‘হালাল ভাই কাচ্চি বিরিয়ানি এন্ড সুইটস’র উদ্বোধন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে ‘হালাল ভাই কাচ্চি বিরিয়ানি এন্ড সুইটস’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিটির ৩২০৬ আর্কটিক এভিনিউতে রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধন করেন সিটির মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়র। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির তিন স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম সেলিম, এইচএম আজমুল হক (তানিন) ও মো. দিনার ইসলাম মেয়রকে অভ্যর্থনা ও স্বাগত জানান । সাইফুল ইসলাম সেলিম জানান, আটলান্টিক সিটি ও পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তারা এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। তিনি জানান, এখানে ইফতারের বিভিন্ন পদের খাবার, মিষ্টি ও জিলিপিসহ বিভিন্ন ধরনের বাঙালি খাবার সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে। এছাড়াও জন্মদিন, বিবাহ ও বনভোজনসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানেও ক‍্যাটারিং সেবা দেবেন তারা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তাদের দীর্ঘ ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শেফ রয়েছে। প্রথম রমজান থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত দুপুর বারোটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এখানে টেক ইন ও টেক আউটেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে, আটলান্টিক সিটি ও পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই তারা আটলান্টিক সিটিতে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন কাউন্টির কেনমোর মিডল স্কুল অডিটোরিয়ামে এই দিবসটি পালন করা হয়। আর্লিংটন কাউন্টি ও আর্লিংটন আর্টসের সার্বিক সহযোগিতায় ডিসি একুশে এলায়েন্সের (ডিসিইএ) আয়োজন ও সামাজিক সংগঠন ধ্ৰুপদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আর্লিংটন কাউন্টি এবং ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার ২৯টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত প্রচার ও সমবেত কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ পরিবেশন করা হয়। এরপর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরা হয়। ফয়সাল কাদের ও তাসকিন বিনতে সিদ্দিকীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় আমেরিকানসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ছিলেন প্রিয় বাংলার প্রিয়লাল কর্মকার। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত ডিএম সালাউদ্দিন মাহমুদ, আর্লিংটন কাউন্টির কমিশন ফর দ্যা আর্টসের চেয়ারম্যান অ্যাডাম গ্রীণ ও সাবেক চেয়ারম্যান মার্শা সিমেল, ইউএস সিনেটর মার্ক আর ওয়ার্ণারের আউটরিচ রিপ্রেজেনটেটিভ জ্যাকলিন মারমল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাবলিক হিউম্যানিটিজ কনসাল্টেন্ট অ্যান্ড রাইটার ডেভিড বিয়ানজার, আর্লিংটন স্কুল বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ড্রিম প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ড. এমা ভায়োল্যান্ড-স্যানচেজ, আর্লিংটন স্টুডিও পজের প্রতিষ্ঠাতা ড. সুষ্মিতা মজুমদার। অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলনে আমাদের ভাইয়েরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেই আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলি। ভাষা আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম-এক অনন্য উপহার। আর এই উপহার ছাড়া আমরা আমাদের মনের ভাষা প্রকাশ তথা যোগাযোগ করতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের সব ভাষাভাষীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ও ভাষা রক্ষায় কাজ করার দায়িত্ব রয়েছে।’ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ভাষার জন্য কমিউনিটি সদস্যদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আবৃত্তিকার অদিতি সাদিয়া রহমানের নির্দেশনায় শিশু শিল্পীদের পরিবেশনা অ আ-র ফুলঝুড়ি’ পরিবেশিত হয়। এতে শিশুরা সমবেত কণ্ঠে ‘চল চল চল’, ‘ভোর হলো দোর খোল’, ‘হাট্টি মাটি মটিম’, ‘আহ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গানগুলো পরিবেশন করে। এছাড়া আলী আনন্দের সংকলন ও পরিচালনায় বাংলা বর্ণমালা নিয়ে শিশুদের সমবেত গান ‘অ আ’ পরিবেশন করা হয়। এ পর্বে শফিকুল ইসলামের গ্রন্থনা ও পরিচালননায় অমর একুশের উপর একটি ভিডিও চিত্রও দেখানো হয়। সবশেষে এবারের একুশে এলাায়েন্সের প্রধান সমন্ময়ক হিরণ চৌধুরীর ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আয়োজক সংগঠনগুলো ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখা। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। নিউইয়র্ক জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দুর নেতৃতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির উপদেষ্টা গিয়াস মজুমদার ও জসিম চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারিস উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি শফিউল আলম, মহিলা সম্পাদিকা জেসমিন আক্তার চৌধুরী, সাংগঠনিক মীর জাকির, কোষাধ্যক্ষ জিএম ইলিয়াস। এ সময় ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ১ মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। একুশ মানে চির উন্নত মম শির শিরোনামে আলোচনা, মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক দেওয়ার মাদ্ধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডেলাওয়্যার ভ্যালির পিঠা উৎসব

যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার রাজ্যে পিঠা উৎসব করেছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডেলাওয়্যার ভ্যালি।’ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শহরের মর্টন বরো হলে এ পিঠা উৎসব চলে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। উৎসবে ছিলে দেশীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য সমারোহ, যেখানে সর্বসাধারণ উপভোগ করেছেন নানা স্বাদের বাহারি পিঠা, দেশীয় খাবার, ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও গয়নার সংগ্রহ এবং বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির বাহারি উপস্থাপনা। এবারের উৎসবে ছিলো অতীতের সফল ইভেন্টগুলোর জনপ্রিয় বিক্রেতাদের সংগ্রহ, যা দর্শকদের মন ভরিয়েছে নিঃসন্দেহে। উৎসবজুড়ে ছিলো সঙ্গীত ও বিনোদনের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, যেখানে বাজেছে দেশীয় গান ও উৎসবের সুর। সাথে পার্কিং ও প্রবেশ মূল‍্য সম্পূর্ণ ফ্রি থাকায় পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে অনেকেই যোগ দিন এ পিঠা উৎসবে এবং উপভোগ করেন ঐতিহ্যের অনাবিল আনন্দ।

টরন্টোয় শিশু চিত্রশিল্পীদের ক্যানভাসে ভাষা আন্দোলনের গল্প

টরন্টোতে বাংলাদেশি-কানাডিয়ান শিশু চিত্রশিল্পীরা তাদের ক্যানভাসে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ ও ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বিআইইএস) বিশেষ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত ড্যানফোর্থের এক্সেস পয়েন্ট মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিশু চিত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চিত্রাঙ্কনের বিষয় ছিল ‘আমার মায়ের ভাষা, আমার গর্ব।’ শিশু চিত্রশিল্পীরা তাদের রঙ-তুলির মাধ্যমে শহীদ মিনার, রক্তাক্ত ২১ ফেব্রুয়ারি, ভাষার দাবিতে বাঙালির সংগ্রাম, মিছিল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খণ্ডচিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে। ছয় থেকে ১৫ বছর বয়সীদের দুইটি বিভাগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে ২০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীরা সনদ ও ৫০০ ডলার প্রাইজমানি পান, আর অংশগ্রহণকারী বাকি সবাই সনদ উপহার পায়। প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন চারুকলার শিক্ষক সুব্রত নাথ। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টরন্টো সিটি কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড, কমিউনিটির বিশিষ্টজন ব্যারিস্টার কামরুল হাফিজ, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, বিআইইএসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাক্তার নীলাঞ্জনা দত্ত, পরিচালক মোস্তফা আকন্দ। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস গৌরব, স্মরণ ও ঐক্যের প্রতীক। ১৯৫২ সালে বাংলাদেশে ভাষা শহীদরা মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। আজ আমরা শুধু বাংলা নয়, বরং সব ভাষাকে উদযাপন করছি- যা মানুষের আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন।’ অন্য বক্তারা বলেন, ‘ভাষা শুধুমাত্র কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি শিল্পের মাধ্যমেও প্রকাশ পায়। শিশু চিত্রশিল্পীদের মনোমুগ্ধকর শিল্পকর্ম শুধুমাত্র তাদের প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং ভালোবাসা, বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্যের গল্প বলে। তারা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভাষা হলো সংযোগের সেতু, বিভেদের দেয়াল নয়।’ প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিআইইএস প্রতি বছর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে, যা কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিআইইএস জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও তারা এই আয়োজন অব্যাহত রাখবে।

নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বাংলা বর্ষবরণ ১২ এপ্রিল

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্বখ্যাত টাইমস স্কয়ারে ১৪৩২ বাংলা বর্ষবরণের ঘোষণা দিয়েছে ‘এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড’। দুই দিনের বৈশাখ বরণের এই উৎসবের এক দিন ১২ এপ্রিল টাইমস স্কোয়ারে এবং পর দিন ১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় হবে। হোস্ট সংগঠনের পক্ষ থেকে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈশাখ বরণের এ ঘোষণা দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথিতযশা শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের প্রধান বিশ্বজিত সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলা বর্ষবরণ ঘোষণার এই অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়কে আহ্বায়ক এবং অভিনেত্রী লুৎফুন্নাহার লতা এবং নৃত্যশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসানকে শুভেচ্ছা দূত করা হয়। এরপর রথীন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে তিনটি দেশাত্মবোধক গান পারিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর আগে, গেল ২২ জানুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বোচ্চ আইনপ্রনয়নকারী সংস্থা স্টেট সিনেট সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পহেলা বৈশাখকে এই অঙ্গরাজ্যের বাংলা নববর্ষ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের স্বীকৃতি হিসাবে ও এই রাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রতি দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ সেকথা উল্লেখ করে সিদ্ধান্তটিতে বলা হয়, ‘প্রতি বছরই বিপুল সমারোহে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে।’

আটলান্টিক সিটিতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ এই প্রত্যয়ের প্রতিধ্বনিতে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে এবসিকন শহরের পূর্ব এবসিকন বুলেভার্ডেঅবস্থিত ট্রাভেল লজে অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। একুশের অনুষ্ঠানমালার বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল একুশের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা, একুশের কবিতা পাঠ, দেশের ও একুশের গান পরিবেশন ও শিশু- কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা । একুশের প্রথম প্রহরে সার্বজনীন একুশ উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি, বেঙ্গল ক্লাব, সাউথ জারসি মেট্রো আওয়ামী লীগ, নিউ জারসি দক্ষিণ স্টেট বিএনপি, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সি, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি, বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটি, সাংবাদিক ফোরাম, ট্যাক্সি ক্যাব এসোসিয়েশন, লোকাল ৫৪, নরসিংদী ভৈরব এসোসিয়েশন, বিজনেস এসোসিয়েশন, আটলান্টিক সিটি জিটনি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সাবেক কাউন্সিলম‍্যান মোমিনুল হক মামুনও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি ও বেঙ্গল ক্লাব আটলান্টিক সিটি যৌথভাবে ‘সার্বজনীন অমর একুশে উদযাপন’ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।এ উপলক্ষে মিরাজ খানকে আহ্বায়ক, মো. মনিরুজামান ও ফরহাদ সিদ্দিককে সদস‍্য সচিব করে ‘অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন’ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কাজী আরিফ লিখন ও কাজল বাড়ৈ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন সুব্রত চৌধুরী, গান করেন জয়ন্ত সিনহা, আসিফ আনোয়ার, রুকু জামান। একুশের অনুষ্ঠানে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ‍ণীয়। তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী একুশের অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম খোকা, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সভাপতি শহীদ খান ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, বেঙ্গল ক্লাব আটলান্টিক সিটির সভাপতি রানা কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজল বাড়ৈ একুশের অনুষ্ঠান সফল করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ।

গুজরাটে সংস্কৃতির মেলা: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জয়ধ্বনি

মর্যাদাপূর্ণ আইসিসিআর স্কলারশিপ অর্জন করা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভারতের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৫ গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫টিরও অধিক দেশ এই আয়োজনে অংশ নেয়। বাংলাদেশের প্রতিটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল অনবদ্য। প্রথমেই মঞ্চে বাংলার লোকসংগীত মিলন হবে কত দিনে গানে মঞ্চে সুরের মুগ্ধতা ছড়ায় অনন্যা নট্ট, গীটারে সংগত করেন প্রীতম দাশ, সেই সাথে কাহনে সুরের মুগ্ধতা ছড়ায় অভ্র বড়ুয়া। এর পরেই গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতনাট্যম নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থী অনুরূপা ত্রিপুরার পরিচালনায় ও পরিবেশনায় বেশ কিছু নজরকাড়া লোকনৃত্য ও পাহাড়ি নৃত্য পরিবেশিত হয়। মনিপুরী নৃত্য পরিবেশনা করেন রশ্নি সিনহা। লোকনৃত্য পরিবেশনা করেন ফেন্সী ত্রিপুরা, রোদ্রা দত্ত, ত্রিয়াশা পাল। নজড়কারা ফ্যাশন শো দিয়ে মঞ্চে বাঙালিদের পোশাক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠী অনন্য সুন্দরভাবে তাদের বৈচিত্র্যময় নান্দনিক পোশাক তুলে ধরে, সেই সাতে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ধুতির বৈচিত্র্যতাও ছিল নজরকাড়া। ফ্যাশন শো তে অংশ নেয় তাহমিনা শাম্মি, ফারিয়া তাবাসসুম, চিংসু মারমা, মুক্তা চাকমা, শুভ্র, অনুরূপা ত্রিপুরা, অনন্যা নট্ট, আহনাফ, অভ্র, রশ্নি সিনহা ও ফেন্সী ত্রিপুরা। বাংলাদেশের ওপর মনোমুগ্ধকর ভিডিও প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন তাহমিনা শাম্মি, যেখানে বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান, সংস্কৃতি ও পর্যটনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এছাড়াও ছিল পিটার ও সাজ্জাদ সাওনের গান ও কবিতার মেলবন্ধনে অনবদ্য পরিবেশনা বলে জানান ভারতের দিল্লী বোর্ডের অধীনে দার্জিলিংয়ে অবস্থিত এফএলএসের সাবেক প্রিফেক্টোরিয়াল বডি প্রধান অভ্র বড়ুয়া। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রবাসে থেকেও নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন তা তাদের নিবেদনের মধ্যে ফুটে ওঠে। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা প্রমাণ করে যে, শেকড়ের টান কখনোই ম্লান হয় না। এভাবেই তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিচয় গড়ে তুলছেন, যা বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও সুদৃঢ় করবে।

ভিয়েতনামে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মাধ্যমে দিবসটির প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দূতাবাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পড়া হয়; প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ও একুশের ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সন্ধ্যায় দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে হ্যানয়স্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকবৃন্দ, ইউনেস্কো অফিসের শিক্ষাবিষয়ক প্রতিনিধি, ভিয়েতনামের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি এবং ভিয়েতনামে অবস্থিত প্রবাসি বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের থিম সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ও হ্যানয়স্থ ইউনেস্কো অফিসের শিক্ষাবিষয়ক প্রতিনিধি মিকি নযাবা। মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের শহীদদেরকেশ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫তম উদযাপন বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের জন্য এক দিকে কষ্টের, অন্যদিকে সম্মান ও গৌরবের। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে আমাদের এক ঝাঁক তরুণ রাজপথে তাদের জীবন উৎসর্গ করে। আমরা রক্তের বিনিময়ে মায়ের ভাষার অধিকার ফিরে পেয়েছি যা বিশ্বে বিরল। অন্যদিকে দিবসটি গৌরবের। আমাদের রক্তে অর্জিত ভাষার অধিকারের সম্মানে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০০০ সাল থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রকর্তৃক একযোগে পালিত হয়ে আসছে।’ ‘বাংলাদেশের তরুণ ছেলেরা মাতৃভাষা রক্ষার্থে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে যে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, আগামী শতাব্দীগুলোতে, কাল থেকে কালান্তরে সেই চেতনায় ভাষা এবং সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষার মাধ্যমে সারাবিশ্বে আরো শান্তি ও উন্নয়নের পথ সুপ্রসারিত হোক।’ মিকি নযাবা দিবসটির ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য ‘মেক ল্যাঙ্গুয়েজ কাউন্ট ফর সাসটেইনঅ্যাবল ডেভেলপমেন্ট’ উল্লেখ করে বলেন, ‘জাতিসংঘ উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য-৪ (অন্তর্ভূক্তিমূলক, গুনগত ও জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের বিকল্প নেই। মাতৃভাষা ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাক্ষেত্রে পরিপূর্ণ বিকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ। অথচ আজ বিশ্বে অনেক শিশু মাতৃভাষায় শিক্ষার গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত।’ বিশ্বের সব শিশুর জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সম্মানে হ্যানয়স্থ বেশ কয়েকটি দূতাবাস থেকে তাদের মাতৃভাষায় প্রাপ্ত ভিডিও পারফর্মেন্স দেখানো হয়। ভিয়েতনামে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইটো নাওকি বাংলা ভাষায় গান করেন। রাশিয়া দুতাবাসের কূটনীতিক আন্দ্রে বোরোডেনকো ও ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসি বাংলাদেশী নাগরিক জুনায়েদ সিদ্দিকি রাশিয়ান ও বাংলা ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। এছাড়াও, মায়ের ভাষায় অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য আয়োজন করা হয় ‘দেয়াল লিখন উৎসব’। এতে বিভিন্ন ভাষাভাষীদের লেখনীতে বিভিন্ন ভাষার মিলনমেলায় পরিণত হয় দূতাবাসের প্রাঙ্গণ।

নরসিংদী জেলা সমিতি ইউএসএর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে নরসিংদী জেলা সমিতি ইউএসএ। এ উপলক্ষে গত ২১ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের কুইন্স প‍্যালেসে প্রভাতফেরী করেছে এ সমিতি। সমিতির সভাপতি শামীম গফুর ও সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক বাবুলের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী নরসিংদীবাসী ৫২র ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্বরণে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিল সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কবীর আহমেদ, সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে মোল্লা সানী, জিয়াউর রহমান, সুমন খন্দকার, মতিউর রহমান, সাইফুর রহমান, জেসমিন আনোয়ার। প্রচন্ড শৈত‍্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে শহীদ মিনারে উপস্থিত হওয়ায় শামীম গফুর উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।