ইতালিতে প্রবাসী যুবকদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল

ইতালি: ইতালির থিয়েনে প্রবাসী বাংলাদেশি যুবকদের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) থিয়েনে বাইতুল মামুর জামে মসজিদ কমিটি ও যুব সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এ ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইতালিতে বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে ইসলামী মূল্যবোধ, ইসলাম সম্পর্কে ধারণা দেয়া এবং ওয়াজ এর মাধ্যমে দেশে যেভাবে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা হয় তারই আদলে যেন এ দেশের বেড়ে ওঠা ছেলে মেয়ের যেনো ইসলামী পথে চলতে পারে দ্বীন ও ইসলামের জ্ঞান আরোহন করতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় ৯ম বছরের আয়োজন ছিল এ ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল।বাংলাদেশের মত করে বাহিরে বিশাল বড় প্যান্ডেল সাজিয়ে এ ওয়াজের আয়োজন করা হয়।ছোট ছোট কচিকাঁচা বাচ্চাদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বাদ আসর অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয় এবং কোরআন প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে করা হয় পুরস্কার বিতরণ।মাগরিবের নামাজ শেষে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের মূল পর্ব শুরু হয়।বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার ও অত্র মসজিদের সম্মানিত ইমাম মাওলানা ইসরাফিল সাহেবের যৌথ পরিচালনায় বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সম্মানিত সভাপতি সুলতান সরকারের সভাপতিত্বে মাওলানা ইসরাফিল সাহেবের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সম্মানিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে হাফেজ মাওলানা জুবায়ের সাহেব মূল্যবান বয়ান শুরু করেন।ওয়াজ দোয়া মাহফিলে দ্বীন ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেন। উক্ত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ বক্তা হিসেবে আরো বয়ান করেন হযরত হাফেজ মাওলানা মুফতি আসাদ ফাহিম, ইসলামিক স্কলার শায়খ ইমরানী (মরক্কো) ইমাম খতিব বেরগামো জামে মসজিদ, ইসলামিক স্কলার শায়খ আদিল (ফিলিস্তিন)।ওয়াজ মাহফিলের শেষ অংশে প্রধান বক্তা শায়খ ডঃ মাহমুদুল হাসান যুক্তরাজ্য থেকে আগত যুক্তরাজ্য এনটিভির জীবন জিজ্ঞাসা প্রোগ্রামের আলোচক উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন। নিকটবর্তী কমিউনির মুসল্লীগণের পাশাপাশি আলতে, আরজিনিয়ানো, ভিছেন্সা, এসকিও, মালো, পিউভেনে, লুগো, জুলিয়ানো, সহ আশপাশের প্রভিন্স থেকে ও দ্বীনি মূল্যবান বয়ান শোনার জন্য অনেক মুসল্লিরা উপস্থিত হন।গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে শায়খ ডঃ মাহমুদুল হাসান মুসল্লিদেরকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে মোনাজাতে প্রবাসের মাটিতে যেন ছেলে সন্তানদেরকে ইসলামী পরিবেশে ইসলামী মূল্যবোধের বিশ্বাসী নেক সন্তান হিসেবে গড়ে তোলা যায় এবং নেক সন্তান হিসেবে আল্লাহ কবুল করেন সেজন্যে ও বিশ্বময় অস্থিরতা নিরসনে এবং ফিলিস্তিন-লেবানন ইয়েমেন নির্যাতিত ভাই-বোনদের জন্য সাথে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে সব অরাজকতা কাটিয়ে আল্লাহ যাতে সবাইকে শান্তির পথে রাখে শান্তির পথ দেখায় সেজন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাত করেন। মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকল মুসল্লিদের জন্যে তবারক ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।সবশেষে মসজিদ কমিটি ও থিয়েনে বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার আগত অতিথি মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং একটি সফল ইসলামী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন থিয়েনে যুব সম্প্রদায়ের সকল স্বেচ্ছাসেবক দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের নিকট দোয়া চান যাতে একটি সুন্দর ইসলামী মূল্যবোধের সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা চালু করা যায়। সবার প্রতি পুনরায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান এর মন্তব্য ঘোষণা করেন। মসজিদের সভাপতি ও ওয়াজ দোয়া মাহফিলের সভাপতি করা সুলতান সরকার।

রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুমকি দিল মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার খাস্তগীরকে প্রত্যাহারের দাবি এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসী অধিকার পরিষদ।বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ের এক রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।তারা বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একদিনের নোটিশে এমআরপি পাসপোর্টের পরিবর্তে ই-পাসপোর্ট গ্রহণে বাধ্যতামূলক করা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বন্ধ ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠেছে মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসীদের বিপদে ফেলে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাদের সুবিধার্থে, সেই প্রশ্ন রাখতে চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।এ সময় রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুমকিও দেন প্রবাসীরা। মালয়েশিয়ার থার্ড পার্টি অফিস ইএসকেএল এবং হাইকমিশনের কিছু কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে সাধারণ প্রবাসীদের ক্ষেপিয়ে তুলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছেন দেশে-বিদেশে দায়িত্বে থাকা কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর বেশিদিন নেই প্রবাসীরাও এই সরকারের সমালোচনা শুরু করবে। যার অন্যতম কারণ এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধ, জোরপূর্বক ই-পাসপোর্ট গ্রহণে বাধ্য করা এবং কৌশলে এমআরপি পাসপোর্ট ছাপা বন্ধ রাখা। এটি হতে পারে প্রবাসীদের খেপানোর কৌশল। তারা আরও বলেন, সঠিক সময়ে পাসপোর্ট না পেয়ে মালয়েশিয়ার বহু প্রবাসী অবৈধ হওয়ার পথে। যারা প্রথম ই-পাসপোর্ট বানাবে তাদের জন্য ই-পাসপোর্ট ঠিক আছে। কিন্তু প্রবাসীদের জন্য কৌশলে এমআরপি শর্টেজ দেখিয়ে ই-পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করা প্রবাসী ও রেমিট্যান্স উভয়ের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বেমালয়েশিয়ায় পাসপোর্টের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন যাদের এনআইডি বা জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য মিল নেই। কারও বয়সের সঙ্গে বা নামের সঙ্গে নানাবিধ সমস্যা আছে তাহলে তাদের কী হবে! সুতরাং এই সরকারকে সফল হতে হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরসহ ওই সব সচিবদেরকে দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীরের পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ বাতিল হলেও তিনি এবং তার সহযোগীরা এখনও বহাল তবিয়তে আছেন হাইকমিশনে। তাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানাচ্ছি। তারা দীর্ঘদিন ধরে হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংকে একটি অকার্যকর ও অপ্রয়োজনীয় উইং প্রমাণ করে মিশন থেকে পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে পাসপোর্ট ও ভিসা সার্ভিস ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।তারা আরও অভিযোগ করেন, খাস্তগীর সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠ যে কিনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে খুশি করতে কাজাং থানায় মামলা করেন এবং আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত লাখ লাখ প্রবাসীকে অবৈধ বানিয়ে ফেলবে এবং অবৈধ হয়ে গেলে দেশে রেমিটেন্সের ওপর বিরাট অংশে প্রভাব পড়বে।বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়ায়ও প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউনের ঘোষণা করে তা বন্ধ রেখেছিল। ডিআইপির এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আবারও মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা রেমিটেন্স শাটডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না।একই সঙ্গে দ্রুত ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছেন তারা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি শাহাজান মিথুন, মো. জাহিদ হাসান, সহ-সভাপতি ফয়সাল শেখ, সহ-সভাপতি আমির হোসেন, সহ-সভাপতি মবিন, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, অর্থ সম্পাদক শিমুল শেখ প্রমুখ।

পুরুষকে মারধরের অভিযোগে কুয়েতে বাংলাদেশি নারী গ্রেপ্তার

কুয়েতে একজন পুরুষকে রুমের মধ্যে হাত বেঁধে লাঞ্ছিত ও নির্যাতনের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পরে আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জনসংযোগ ও নিরাপত্তা মিডিয়া বিভাগ।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এক পুরুষকে মারধর করতে দেখা যায় ওই নারীকে। এর জেরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পিছমোড়া করে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে এক পুরুষকে মারধর করছেন বাংলাদেশি এক নারী। এমনকি নির্যাতনের শিকার ওই পুরুষের মুখও কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।এ সময় ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, রানী কিং খান, কে আমি বল? কে আমি? বল কিং খান, ভিডিও কর... এই রকম মারছে আমাকে, ৩৫ বছরের সংসার। পাশ থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, মাইরেন না।তবে কী কারণে বাংলাদেশি নারী ওই পুরুষকে এভাবে মারধর করছেন সে বিষয়ে জানা যায়নি।এ ঘটনাকে কুয়েতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন দেশটির প্রশাসন। এর আগে এমন ঘটনা দেশটিতে আগে কখনো প্রকাশ পায়নি। ঘটনাটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বার্লিনে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

দলীয় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতার ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (২৮ অক্টোবর) নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বার্লিন যুবদল।বার্লিনের যুবদল সভাপতি আসিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ইফতি সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকো, দলের প্রয়াত সকল নেতৃবৃন্দসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও দেশের সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করা হয়।শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন যুবদল নেতা আবু তাহের।পরে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জার্মান বিএনপির সিনিয়র উপদেষ্টা হামিদুল ইসলাম হেলাল, জার্মান বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ মাস্টার, সিনিয়র শীর্ষ নেতা আবু হানিফ, জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাঈদুর রহমান সাঈদ, বার্লিন বিএনপির সভাপতি জসিম সিকদার, বার্লিন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল বেপারি ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ বার্লিন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল চৌধুরী, সিনিয়র যুবদল নেতা সোহেব আহম্মেদ, জামান মিয়া, সিরাতুল মোস্তাকিম আজম, আবু তাহের, শাহাদাত রাকিব, রুবেল ও নাসিরসহ দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে দলটির নেতাকর্মীসহ আরো অনেকেই ছিলেন উপস্থিত।এসময় বক্তারা বার্লিন যুবদলের এমন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, শুধু বার্লিন নয়, গোটা জার্মানির যুবদলের মধ্যে ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। কারণ শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া যুবদলই দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ।একইসাথে সদ্য বিদায়ী ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যাবহার করে লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি আর উন্নয়নের নামে আর কোনদিন ভাঁওতাবাজি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এবং সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে সে কারণে প্রবাস থেকেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

শহর পরিচ্ছন্ন করে ইতালিতে প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশিরা

ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি থেকে : ইতালির ভিচেন্সায় শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসায় ভাসছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।গত রোববার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির উদ্যোগে শহরের পথঘাট পরিষ্কার করেন প্রবাসীরা। প্রবাসীদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।রোববার (২৭ অক্টোবর) শহরের মেইন পয়েন্ট, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন প্রবাসীরা৷ তাদের এই উদ্যোগকে ভূয়সী প্রশংসা করেছে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন, ইতালিয়ান নাগরিকরা। শহর সুন্দর করার উদ্যোগে স্থানীয় মেয়রের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।জানা গেছে, ১৬ অক্টোবর ভিচেন্সা কমুনের vicesindaco - isabella sala এর উপস্তিতিতে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির সদস্যবৃন্দর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ভিচেন্সা কমুনেকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে ভিচেন্সায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। বাংলাদেশিদের সকল প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মেয়রের প্রতিনিধি দলটি।ভিচেন্সায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের শহর পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির প্রধান উপদেষ্টা আফিল উদ্দিন, সংগঠনটির সভাপতি এমদাদুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি শেখ, প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলী, দপ্তর ও আইন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হুসেন বাবলু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, ক্রীড়া সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, সহসাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন, সহ ক্রীড়া সম্পাদক মনজুর রহমান, কার্যকরী পরিষদ সদস্য বিজয় বেপারী।এছাড়াও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই সুন্দর উদ্যোগে অংশ নেয়।

ইউরোপীয়ান বাংলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আংশিক কমিটি ঘোষণা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইউরোপে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদিকদের নিয়ে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া হতে সরকারী ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করা সাংবাদিক সংগঠন ইউরোপীয়ান বাংলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর ভার্চ্যুয়াল সভা গত ১৭ ই অক্টোবর রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে ইউরো বাংলা টাইমস এর প্রকাশক ও সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ( অস্ট্রিয়া ) কে প্রধান উপদেষ্টা , চ্যানেল আই এর হাবিবুর রহমান হেলাল ( জার্মানি ) যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার এসকে এমডি জাকির হোসেন সুমন ( ইতালি ) কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি আগামী দুই বছর মেয়াদের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় । সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত এর মধ্য দিয়ে শুরু করা হয়। অস্ট্রিয়া হতে প্রবীন সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও গ্রিস হতে জহিরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সভায় পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন , ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা ও করনিয় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সে সময় সংগঠন কে এগিয়ে নিতে নানা বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিকরা।

লন্ডনে শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব

লন্ডনে আনন্দঘন পরিবেশে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অর্ধ শতাধিক শিল্পীদের অংশগ্রহণে বাউল শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করে আরিয়ান ফিল্ম এবং গ্লোব টিভি।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ইউকে বিডি টিভির কালচারাল ডিরেক্টর ও উৎসব কমিটির সচিব হেলেন ইসলাম, সুপ্রভা সিদ্দিকী, হাফসা ইসলাম, শেখ নুরুল ইসলাম এবং মতিউর রহমান তাজ।উৎসবে অর্ধ শতাধিক শিল্পীদের পরিবেশনায় বাউল শাহ আব্দুল করিমের গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালী গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও বাউল শাহ আব্দুল করিমের জীবনী নিয়ে প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে’, ‘বন্ধুরে কই পাব সখী গো’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’, ‘তুমি বিনে আকুল পরাণ’সহ এই শিল্পীর জনপ্রিয় অন্যান্য গান গাওয়া হয় অনুষ্ঠানে। উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল, পিঠা, কাপড়, জুয়েলারি, মেহেদী, ফটো ফ্রেমসহ রকমারি স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়।অনুষ্ঠানে লোক উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে লন্ডনের সামাজিক সাংস্কৃতিক, ও কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন- আনোয়ার চৌধুরী, আহবাব হোসেন, আলাউর রহমান, শেখ আলীউর রহমান, সিরাজ হক, জ্যোৎস্না ইসলাম, আকলু মিয়া, মাহি ফেরদৌস জলিল ও তাজরুল ইসলাম তাজ।উৎসবমুখর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, ব্রিটেনের নিউহ্যাম কাউন্সিলের চেয়ার রহিমা রহমান, লন্ডন বার্কিং অ্যান্ড ডেগেনহ্যাম কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার মঈন কাদরি, টাওয়ার হ্যামলেটেসের সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, প্রবাসের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাকাউন্ট্যান্ট মাহমুদ এ রউফ, কমিউনিটি লিডার সিরাজ হক, রেডব্রিজ কাউন্সিলের সাবেক মেয়র জ্যোৎস্না ইসলাম, চ্যানেল এস এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান মাহি ফেরদৌস জলিল, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার মোহাম্মদ মকিস মনসুর, কবি মুজিবুল হক মনি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আখলু মিয়া, কাউন্সিলর সাম ইসলাম, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান জসিম ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম ইউকের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ শাফি কাদিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কবি আসাদ চৌধুরী স্মরণে কানাডায় সভা অনুষ্ঠিত

কানাডায় কবি আসাদ চৌধুরী স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কানাডার স্কারবরোর কপিং রোডে কবির চলে যাওয়ার দিনটি স্মরণ করে তার স্বজন ও ভক্তদের কথায়, কবিতায়, সঙ্গীতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে কবিকে স্মরণে আবৃত্তিকার ও সংগঠক হিমাদ্রী রায়ের সঞ্চালনায় সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন মৈত্রেয়ী দেবী ও শিখা আখতারি আহমাদ।কবির কর্ম নিয়ে আলোকপাত করেন কবি দিলওয়ার এলাহী। সাংস্কৃতিক সংগঠক আরিয়ান হক নজরুল রচিত ভক্তিগীতির পরিবেশনায় স্মৃতিচারণ করেন সেলিনা সিদ্দিকী, কথা সাহিত্যিক সালমা বাণী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসমা আহমেদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক শাপলা শালুক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমিন মিয়া, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুমন রাহমান, কবি কন্যা নুসরাত জাহান চৌধুরী ও কবি পুত্র আসিফ চৌধুরী।কবি আসাদ চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম ও 'মানুষ' আসাদ চৌধুরীর উপর দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন কবি দিলারা হাফিজ এবং কবিকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। তিনি কবিপত্নী কবি সাহানা চৌধুরীকে সবার উদ্দেশ্যে কিছু বলতে বলেন। কবি দেলওয়ার এলাহী কবি দিলারা হাফিজকে সভানেত্রী মনোনীত করে কবি আসাদ চৌধুরী স্মৃতি পর্ষদের ঘোষণা দেন। শহরের সবাইকে নিয়ে এর পরিধি বাড়িয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যাশা করেন।কবি পরিবার ও উপস্থিত ভক্তরা তা সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেন। আলোকিত উপস্থিতি ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক ফাইজুল করিম ও জাকির হোসেনের। হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতিছিল আবৃত্তিকার দিলারা নাহার বাবু ও এলিনা মিতার। ছিলেন কবির প্রিয় মুখ রতন রায়, গৌতম শিকদার, গ্যারী ক্রিস্টোফার রোজারিও। শিখা আখতারি ও আসিফ চৌধুরীর সঙ্গীতে মধ্যরাতে সব কবি ভক্ত তাদের স্পন্দনে কবি আসাদ চৌধুরী উপস্থিতি নিয়ে ঘরে ফেরেন।

মালয়েশিয়ায় একদিনে বাংলাদেশিসহ ৬০২ জন্য অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

২১৪ বাংলাদেশিসহ ৬০২ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। কসমো অনলাইন ও সিনার হারিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় সেলাঙ্গর রাজ্যে একটি সমন্বিত অভিযানে এই অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।অভিযানে ১ হাজার ৯১ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এদের মধ্যে থেকে বৈধ কাগজপত্রহীন ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সী অন্তত ৬০২ (নারী-পুরুষ) অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্য স্টার অনলাইনকে সেলাঙ্গর মন্ত্রী দাতু সেরী আমিরুদ্দিন সারি বলেছেন, গ্রেপ্তার ৬০২ জনের মধ্যে ২১৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী বাংলাদেশি।যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন এবং আলজেরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩ এবং ব্যক্তি পাচারবিরোধী এবং অভিবাসী চোরাচালান আইন ২০০৭ এর অধীনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মন্ত্রী আরও বলেন, এই এলাকায় বিদেশিদের উপস্থিতির প্রবণতা দেখে গত মার্চ থেকে অপারেশনাল প্ল্যানিং করা হচ্ছিল। প্রাথমিক ফলাফল বিস্ময়কর ছিল। ১ হাজার ৯১ জন বিদেশির মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি ছিলেন অবৈধ অভিবাসী। তারা পাসপোর্ট বা ব্যক্তিগত কাগজপত্র রেখে পালানোর জন্য বিভিন্ন কারণ দেখায়, কেউ কেউ বলে যে তারা প্রতারিত হয়েছে।যেখানে বিদেশিরা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন সেসব জায়গায় অভিযান চলবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

কানাডায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহালয়া উদযাপন

কানাডায় মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার পুণ্যলগ্ন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সাউথইস্টের নিজস্ব মন্দির ভবনে এ অনুষ্ঠান হয়। সনাতনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনাও শুরু এদিন থেকে।শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পুরান মতে, এদিন মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। চন্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন করছেন ভক্ত-অনুসারীরা। মহালয়ার পর আগামী ১২ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ১৪ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব। উল্লেখ্য, বরাবরের মতো এ বছর ও কানাডার ক্যালগেরিতে ‘ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ’, ‘আমরা সবাই’ ও ‘বাংলাদেশ পূজা পরিষদ’ পৃথক পৃথকভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করবেন।সব ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ এবারের দুর্গাপূজার আয়োজন করছে ‘হাইউড সেন্টার’ হাই রিভারে।চন্ডিতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও প্রশস্তি। দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীকরূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।মহালয়ার আরও একটি দিক হচ্ছে, এই তিথিতে যারা বাবা-মা ছাড়া তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকেই বলা হয় মহালয়া।

আরাফাত রহমান কোকো স্মরণে চীনে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর প্রীতি ম্যাচ। উক্ত ম্যাচে গুয়াংজু একাদশ এবং শেনজেন একাদশ এই দুইটি দল অংশ নেয়। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টটি চীনের গুয়াংজু শহরে অবস্থিত ফুসান খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের বৃহত্তর চীন শাখার নেতা-কর্মীরা।খেলার শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় শেনজেন একাদশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৮৬ রান করে গুয়াংজু একাদশ। জবাবে ৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শেনজেন একাদশ। টুর্নামেন্টে ১ উইকেট এবং ২০ রান নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন মো. আবির। টুর্নামেন্টের স্পন্সর ছিল রাঁধুনি রেস্টুরেন্ট এবং স্টার ড্রাগন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসিফ হক রুপু, মো. রুহুল আমিন, মাসুদ আহমেদ, মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন, হোসাইন মোহাম্মদ সাখাওয়াত, মো. ওয়ালী উল্লাহ, শেখ মাহবুবুর রশিদ, মো. নাদিম আহমেদ, মোহাম্মদ আহমদ আলী মৃধা, মনোয়ার মো. বায়েজিদ, সালাউদ্দিন রিক্তাসহ আরও অনেক।আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ চীন শাখার আহ্বায়ক আসিফ হক রুপু বলেন, এই টুর্নামেন্টটি শুধু ক্রীড়ামূলক প্রতিযোগিতা নয়, এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি এবং একতা বৃদ্ধির একটি মাধ্যম। আমরা এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক ছাদের নিচে আনার যে প্রচেষ্টা, তা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক হিসেবে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি খেলাধুলা একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে একত্রিত করে।

মালয়েশিয়ায় দুইদিন ব্যাপী হাইকমিশনের কনস্যুলার সেবা প্রদান

বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর মালয়েশিয়ার উদ্যোগে জোহর বাহারু শহরের অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস হতে দুই দিন ব্যাপী (২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এ সময়ে জোহর বাহারু শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্টের আবেদনগ্রহণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট সম্পন্নকরণ, এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়। মোবাইল কনস্যুলার সেবা প্রদানের সময় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান প্রণব কুমার ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত পাসপোর্ট, ভিসা ও অন্যান্য সেবা সংক্রান্ত আউটসোর্সিং কোম্পানি ইএসকেএল-এর মার্কেটিং ম্যানেজার আরমান পারভেজ মুরাদ ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক সেবা প্রার্থী প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর কনস্যুলার সেবা প্রদান কালে অগ্রণী রেমিটেন্স হাউস এর সিইওসহ সকলকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানায়।

রেসিডেন্স পারমিট না থাকলে ইতালিতে সিম কিনতে পারবেন না অনিয়মিত অভিবাসীরা

বৈধ রেসিডেন্স পারমিট না থাকলে ইতালিতে এখন থেকে সিমকার্ড কেনা যাবে না। দেশটির আইনসভা গতকাল টেলিকমিউনিকেশন কোডের এই সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে।সংশোধিত আইন অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থী এবং অনিয়মিত অভিবাসীদের যেহেতু বৈধ ‘রেসিডেন্স পারমিট’ থাকে না সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষে ‘সিম কার্ড’ কেনা সম্ভব হবে না। এমন সিদ্ধান্তে হাজার হাজার মানুষ টেলিফোন নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা। নানা প্রশাসনিক কাজ এবংনিজ পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে একজন অভিবাসীর কাছে একটি সিম কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইটালির অতি-ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির সরকার নতুন আইনের সংশোধনীতে সমর্থন দিয়েছে।দেশটির দৈনিক লা রিপাবলিকা জানিয়েছে, সংশোধিত আইনে মোবাইল অপারেটরদের বলা হয়েছে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত নয় এমন দেশগুলোর নাগরিকদের’ কাছে সিম বিক্রির সময় তার যেন বৈধ রেসিডেন্স পারমিট যাচাই করে। কোনো বিক্রেতা এই আইন প্রয়োগ না করলে তাদের ব্যবসা পাঁচ থেকে ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে বলে আইনে উল্লেখ করা রয়েছে।এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যেসব বিদেশি দেশটিতে অনিয়মিত অবস্থায় বসবাস করছেন তাদের মোবাইল নম্বর পেতে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞার অধীনে আনা হয়েছে বলে নিন্দা জানিয়েছে এনজিওগুলো। ইতালিতে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সময় কয়েক মাস থেকে বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে অভিবাসীদের কাছে রেসিডেন্স পারমিট থাকে না। যার ফলে এই দীর্ঘ সময় মধ্যে তারা চাইলেও সিম কিনতে পারবেন না।সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস

জার্মানিতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মিলনমেলা

ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জার্মানির বায়ার্ন অঙ্গরাজ্যের রাজধানী মিউনিখে হয়ে গেল দেশটিতে বসবাসরত ও গবেষণায় নিয়োজিত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মিলনমেলা ডাস সুজামেনট্রেফেন। এ উপলক্ষে শহরের একটি মিলনায়তনে চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অ্যার্জটে আউস বাংলাদেশে’র আয়োজনে বর্ণাঢ্য এ মিলনমেলা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল দেশের গান, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য আর মজাদার দেশীয় খাবার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে আয়োজকদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- ডা. জুবাইদা লায়লা, ডা. সুমাইয়া মোস্তাফা, ডা. শামিনা নাসরিন এবং ডা. শরিফা শারমিনসহ অনেকে। এসময় দেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশ ও দেশের মানুষ এবং প্রবাসীদের কল্যাণে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে এগিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা। জার্মানির নানা প্রদেশ থেকে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও সর্বস্তরের প্রবাসীরা এ আয়োজনে অংশ নেন।

কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালুর দাবি

করোনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কুয়েত-চট্টগ্রামের ফ্লাইট আবারও চালুর দাবিতে বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসীরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা কুয়েতের বাংলাদেশ বিমানের অফিসে কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বকর ছিদ্দিকির সঙ্গে মতবিনিময় করেন ও বিমানের এমডি বরাবর স্মারকলিপি দেন।মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, মো. শহীদুল আলম চৌধুরী, মো. মহিউদ্দিন, মো. আলী হোসেন, আবদুল কাদের, মামুনুর রশিদ, মো. শাহাদাৎ হোসেন।বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমানের ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দিয়ে কুয়েতের কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট চালু করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।প্রবাসী প্রতিনিধিরা বলেন, এ দাবি প্রবাসীদের। ফ্লাইটটি চালু হলে চট্টগ্রামসহ তিন পার্বত্য জেলার প্রবাসীরা উপকৃত হবেন।

দ্রুত সময়ে ওয়ার্ক ভিসা সমস্যা সমাধানের নিশ্চয়তা ইতালির

দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজের ভিসা সমস্যার সমাধানে নিশ্চয়তা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো। পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই নিশ্চয়তা দেন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।এতে উল্লেখ করা হয়, পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো।বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আগামী দিনে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ইতালির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে অভিবাসন সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য ইতালির আগ্রহ প্রকাশ করেন।পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ইতালির রাষ্ট্রদূতের প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত আলেসান্দ্রো দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজের ভিসার সমস্যার সমাধান, অনিয়মিত অভিবাসন রোধে এবং বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে আইন অনুযায়ী দক্ষ কর্মী নিতে ইতালির আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পররাষ্ট্র সচিব ইতালির রাষ্ট্রদূতকে পেন্ডিং ভিসার আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।ইতালীয় রাষ্ট্রদূত জানান, মূলত সংগঠিত অপরাধী নেটওয়ার্কের অবৈধ হস্তক্ষেপ, কাজের ভিসা ব্যবস্থায় ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা, জাল নথি জমা দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধির কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাজের ভিসার আবেদন এখন দূতাবাসে মুলতবি রয়েছে।পররাষ্ট্র সচিব ইতালির রাষ্ট্রদূতকে অসামান্য কাজের ভিসার আবেদন সমাধানের জন্য আন্তরিক এবং বাস্তব প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। উভয়পক্ষই আশা করছে যে দক্ষ কর্মীদের কর্মসংস্থানের আইনি পথ সহজতর ও অনিয়মিত অভিবাসন রোধে দুই সরকারের মধ্যে প্রস্তাবিত এমওইউ শিগগিরই শেষ হবে।

দুবাইয়ে ৬০ দেশের নারী হাফেজদের কোরআন প্রতিযোগিতা

দুবাইয়ে শুরু হয়েছে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। মুসলিম মেয়েদেরকে পবিত্র কোরআন মুখস্থের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছে হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। শুধুমাত্র নারী হাফেজদের অংশগ্রহণে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ৮ম আসরে বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ সেরা ১০ নারী হাফেজকে পুরস্কার দেওয়া হবে।প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাফেজ মাইমুনা বিনতে মনিরুজ্জামান (১৩)। তিনি মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর প্রথম রাউন্ডে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। তার গ্রুপের অন্য দুই প্রতিযোগী হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের উজরা আবদুর রহীম ও মোজাম্বিকের উম্মে সুলাইম আবদুস সাত্তার।হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে মাইমুনা ইরানে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এই মাদরাসার অপর শিক্ষার্থী নুসাইবা হক ফাইজা ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থানে অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনেন।দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার মিডিয়া প্রধান আহমেদ আল জাহিদ জানিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মামরেজ এলাকায় অবস্থিত অফ কালচার অ্যান্ড সায়েন্স মিলনায়তনে চলবে। একাধিক প্ল্যাটফর্ম এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রতিযোগিতা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, শাইখা ফাতিমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা সারাবিশ্বে পবিত্র কোরআনের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।দুবাই টাইমসের খবরে বলা হয়, প্রতিযোগিতায় মধ্যআফ্রিকার খাদিজা আব্দুল করিম, মায়ানমারের ভিও থিরি, ঘানার জয়নাব আবদুর রহমান, সোমালিয়ার আয়শা মাহমুদ, টোগোর ক্যামিলো হেদায়া কোরা, মালির আসমা ডৌকোরি, চাদের উম্মে সেলিম অ্যাডাম, বুরকিনা ফাসোর খাওলা সিসাও, ফিলিপাইনের ফাহিমা আবদুল্লাহ, ইরিত্রিয়ার সারাহ ইউসুফ, রুয়ান্ডার মদিনা নুমুতোনি, তিউনিসিয়ার আসমা বিনতে আবদুর রাজ্জাক শেলবি, নাইজেরিয়ার মরিয়ম হাবিব, কেনিয়ার ফাতি হাসান রশিদ, ফ্রান্সের সামিয়া হাদ্দাদ, ইন্দোনেশিয়ার সেলভি সালসবিলেহ, ক্যামেরুনের খাদিজা আহমেদ, দক্ষিণ আফ্রিকার আয়েশা বিলাল জাখোর, সিরিয়ার আলা কোশেহ, ইতালির আলা বাহিরি, ইথিওপিয়ার ফেরদৌস খলিল জামে, ইউনাইটেড রিপাবলিক অব কমোরোস থেকে রাবিয়া মাতার ইউয়ান এবং আইভরি কোস্টের মরিয়ম কিয়া অংশ নিয়েছেন।তিউনিসিয়ার প্রতিনিধি আসমা শালাবি বলেন, আমি ছয় বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হেফজ করা শুরু করি, কিন্তু বিরতির কারণে উনিশ বছর বয়সে শেষ করি। দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করছি।ফ্রান্সের প্রতিনিধি মরক্কো বংশোদ্ভূত সোমিয়া হাদ্দাদ। তিনি সাত বছর বয়সে পবিত্র কোরআ ন হেফজ করা শুরু করেন এবং এক বছরের মধ্যে তা শেষ করেন। হাদ্দাদ এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন।

মালয়েশিয়ায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি কর্মীর বকেয়া বেতন আদায়ে উদ্যোগ হাইকমিশনের

মালয়েশিয়ার কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং নামে একটি কোম্পানিতে কর্মরত ২০০ জন বাংলাদেশি কর্মীর বকেয়া বেতন আদায়ে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। ইতোমধ্যেই আংশিক বেতন আদায় করা গেছে।এর আগে, ৩০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির বাইরে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করায় উল্টো হুমকি ধমকি দেয়া হয় কর্মীদের। সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চান ভুক্তভোগী কর্মীরা। এই সংবাদ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর আমলে নেয় হাইকমিশন।২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী কর্মীরা হাইকমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে হাইকমিশন দেশটির শ্রম বিভাগ ও কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালায় এবং শ্রম বিভাগ বিষয়টি নজরে এনে তদন্ত শুরু করে।শুক্রবার দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, বকেয়া বেতন আদায়ের লক্ষ্যে কোম্পানির প্রতিনিধি ও বাংলাদেশি কর্মীদের পক্ষ থেকে নয়জন কর্মীকে নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকমিশনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উভয়পক্ষের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনে সমস্যার কারণ ও তা সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নির্ধারণ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বকেয়া বেতনের আংশিক পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার কোম্পানির সভা কক্ষে হাইকমিশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বকেয়া বেতনের আংশিক হিসেবে ৩ লাখ রিঙ্গিত দেয়া হয়।এ সময় কোম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কোম্পানির চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে অবশিষ্ট বকেয়া বেতন হাইকমিশনে প্রদত্ত প্রতিশ্রুত সময়ে পরিশোধ করার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।

অবসরভাতাসহ ১১ দাবি প্রবাসীদের

ঢাকা: দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাসে থেকে দেশে ফেরত আসার পর যুক্তিসঙ্গত অবসরভাতা নিশ্চিতসহ ১১ দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এসব দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাসুদ নামের এক প্রবাসী। তিনি বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুই কোটির বেশি লোক বর্তমানে প্রবাসে অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মরত। প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেমিট্যান্স হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থার টেকসই উন্নয়নে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে বিধায় তাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হয়। তিনি আরও বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন, স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ-হাসপাতাল স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা এবং ব্যবস্থাপনায় এবং নাগরিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে ও প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্রবাসী মাসুদ বলেন, প্রবাসীরা নিজেদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে প্রবাসে থেকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সার্বিক ক্ষেত্রে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তারা এবং তাদের পরিবার নানাভাবে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে এবং যথাযোগ্য মূল্যায়ন পাচ্ছে না। প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা অভিভাবকহীনভাবে দেশে থাকলেও তাদের দেখার কেউ নেই। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীকরণের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা এবং সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য প্রবাসীরা বাংলাদেশ সরকারের নিকট কিছু যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করছে। প্রবাসীদের যত বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে তত বেশি রেমিট্যান্স আসবে দেশে। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ সচল থাকলে দেশের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি ঘটবে। ১১ দফা দাবি ১। ১৫ বছর প্রবাসে থেকে দেশে চলে এলে যুক্তিসংগত প্রবাসী অবসরভাতা দিতে হবে। ২। প্রবাসীরা প্রবাসে কিংবা ছুটিতে দেশে এসে কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করলে বা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক পঙ্গুত্ববরণ করলে এককালীন তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে। ৩। কোনো প্রবাসী প্রবাসে মারা গেলে ওই প্রবাসীর লাশ রাষ্ট্রীয় খরচে এবং ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরত আনতে হবে এবং স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। 8। প্রত্যেক প্রবাসীকে প্রবাসী পরিবার নামে বিশেষ স্মার্ট কার্ড দিতে হবে। ওই স্মার্ট কার্ড দিয়ে বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেকটি সেক্টরে প্রতিটি কাজে যেমন- মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ইউনিয়ন অফিস, থানা, সিটি করপোরেশন, ভূমি অফিস, পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সব নাগরিক সেবায় প্রবাসীর পরিবার যেন সুফল ভোগ করতে পারে। ৫। শুধুমাত্র পাসপোর্ট, ভিসা কপি অথবা আকামা কপি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীদের সহজ শর্তে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন অন্যান্য ব্যাংক থেকে বিনা সুদে বা সহজ শর্তে গৃহঋণ, ব্যবসায়িক ঋণসহ অন্যান্য ঋণ দিতে হবে এবং কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমনে আগ্রহী ব্যক্তিকেও এসব ব্যাংক থেকে ঋণ দিতে হবে। ৬। কোনো কারণে বাংলাদেশে কোনো প্রবাসীর নামে কোনো ধরনের মামলা-মোকদ্দমা হলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধি-বিধান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০-১২০ দিন সময় দেওয়া যেতে পারে। ৭। প্রবাসে কোনো প্রবাসীর কোনো রকম সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করতে হবে। বাধ্যতামূলক দায়িত্ব পালন বা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশাসনিক ও আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। ৮। অসুস্থতার কারণে কোন প্রবাসী দেশে এলে বাংলাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। ৯। প্রতিটি প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র বা সরকার উপযুক্ত নীতিমালা ও কর্মপন্থা তৈরি করে তা যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেবেন। ১০। এয়ারপোর্টে কোনো ধরনের লাগেজের ক্ষতি হলে প্রতিটি খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে এবং লাগেজের ভেতরের কোনো মালামাল চুরি হলে প্রতি কেজির মূল্য গড়ে ২০ হাজার টাকা করে বিমান কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে। এয়ারপোর্টের ট্রলি এয়ারপোর্ট পার্কিং এরিয়ায় নেওয়ার সুবিধা করে দিতে হবে। ১১। অভিবাসনের ক্ষেত্রে এবং বিদেশযাত্রায় হয়রানি প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা ইত্যাদি নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রবাসীরা বাংলাদেশে আসা এবং বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতায় পড়েন, সেসবের স্থায়ী নিরসন করতে হবে এবং প্রবাসীদের বিদেশে গমনাগমন সহজ ও সুশৃঙ্খল করার কার্যকর বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগামীকাল থেকে আমিরাতে  সাধারণ ক্ষমার আওতায় অবৈধ প্রবাসীরা

ইউএই প্রতিনিধি : সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার কর্তৃক ঘোষিত এমিনিস্টি কার্যক্রম বা (সাধারণ ক্ষমার সুযোগ) ১ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ প্রদান শুরু হবে। এই সাধারণ ক্ষমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। ভিসাবিহীন অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রবাসীরা এই সময়ের মধ্যে বিনা জরিমানা ও বিনা জেল দেওয়া ছাড়াই তাদের অবস্থা বৈধকরণ অথবা দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।যারা ইতিমধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ করে অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমার সুবিধা নিতে হবে। দুবাইয়ে বসবাসকারীদের আল-আবীর ইমিগ্রেশনে এবং অন্যান্য আমিরাতের ভিসাধারীদের সংশ্লিষ্ট প্রদেশের ইমিগ্রেশনে যেতে হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইউএই সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল/আমের সেন্টার ব্যবহার করতে হবে। দেশে ফেরার জন্য এক্সিট পারমিট নিতে হলে মূল পাসপোর্ট ও দূতাবাস/কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল পারমিট প্রয়োজন হবে।অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিরা পাসপোর্ট এবং পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য দিয়ে কনস্যুলেট/দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন থেকে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। এক্সিট পারমিটের মেয়াদ ১৪ দিন।জরিমানার ছাড় এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ফি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/ দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। ভিসা নিয়মিত করা ও দেশে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক্সিট পারমিট এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। এক্সিট পারমিট প্রাপ্তির পর ১৪ দিন তার মেয়াদ থাকবে।বাংলাদেশ কন্স্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে বায়োমেট্রিক্স স্ক্যান করার পর এক্সিট পারমিট ইস্যু করা হবে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে ভিসা রেকর্ড চেক করার পর কেউ যদি ‌‌পলাতক/তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) হয়ে থাকেন, তাহলে দেশে যাওযার জন্য এক্সিট পারমিট অথবা ভিসা নিয়মিত করার জন্য পুলিশ রিপোর্ট লাগবে।তবে সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনো প্রকার ব্যান/নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না। সাধারণ ক্ষমার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আদালত থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।স্পন্সর কর্তৃক ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার বিষয়ে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করা হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট হস্তান্তর করবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কিছু সংখ্যক পাসপোর্ট কনস্যুলেটে/দূতাবাসে হস্তান্তর করেছে যা কনস্যুলেটে/দূতাবাসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে।সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা/আইডি কপি দাখিল করে প্রসেসিং ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করা হবে এবং ছয় মাস মেয়াদি জব সিকার্স ভিসা ইস্যু করা হবে।অবৈধপথে আমিরাতে যারা প্রবেশ করেছে তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন।

ইতালিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আনন্দ ভ্রমণ

প্রবাসজীবনের কর্ম-ব্যস্ততার ফাঁকে আনন্দ বিনোদনের প্রত্যাশায় সাগর ভ্রমণ ও বনোভোজন ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ এসোসিয়েশন মদেনা শাখার উদ্যাগে এই সাগর ভ্রমণ ও বনোভোজন আয়োজন করা হয় । এ আনন্দ ভ্রমণে মদেনায় বসবাসকারী দেড় শতাধিক প্রবাসীরা অংশ গ্রহনা করেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৭ টায় মদেনা বাসস্ট্যান্ডে থেকে চেছেনাতিক র উদ্দেশ্য দুটি বাস রওয়ানা হয়। চেছেনাতিক র ঐতিহাসিক দর্শনীয়স্হান গুলো পরিদর্শন শেষে সাগর ভ্রমণে অংশ নেন প্রবাসীরা পরে সাগরের সুন্দর্য উপভোগ করে অনেক সাঁতারে যোগ দেন। ভ্রমণ শেষে প্রবাসীরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে আয়োজন করেন লটারীর পরবর্তীতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করে ভ্রমণ সমাপ্ত করেন। ভ্রমণের অংশ নেওয়া সকল প্রবাসী পুরুষ মহিলারা বাংলাদেশ এসোসিয়েশন মদেনার সকল নেতৃত্ব বূন্দদের ধন্যবাদ ও কূতজ্ঞতা জানান। সভাপতি মাসুদুল আমিন লিটন জানান প্রতি বছরের ন্যায় আমরা এ বছরও দুটি ভ্রমণ ও বনোভোজন সফল ভাবে প্রবাসীদের সহযোগিতায় সম্পন্ন করেছি আগামীতে আমরা বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গ্রিল পার্টি র আয়োজন করব আশাবাদী প্রবাসীরা অংশ গ্রহন করবেন। ভ্রমণে সার্বিক সহযোগিতা ও দায়িত্বে ছিলেন ছিলেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল আলম আজাদ, উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস, সভাপতি মাসুদুল আমিন লিটন সিনিয়র সহ সভাপতি জামাল মিয়া সহ সভাপতি প্রিন্স মন্ডল সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মুন্সি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসাইনসহ এসোসিয়েশনের সকল পর্যায়ের নেতূবূন্দ সহ প্রায় দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ইতালির পৌর কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশি তরুণ, সংবর্ধনা দিল বাংলা কমিউনিটি

ইতালির ভিচেন্সা প্রভিন্সের Montecchio Maggiore (VI) ২০২৪ এর নির্বাচনে Partito Democratico (PD) দল থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ ( মিয়া এমডি অলি)।ভিচেন্সা শহরের মন্তেক্কিও মাজ্জোরে ঐ পৌরসভার নির্বাচনে পিডি দল থেকে ২১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে ভিসেন্সায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তার জয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।শনিবার (১০ আগস্ট ) কাউন্সিলর ( মিয়া এমডি অলি ) কে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্টানের আযোজন করা হয়।সংবর্ধনা অনুষ্টানে আনফার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় মেয়র সিলভিও ( পারিসে )। ( মিয়া এমডি অলীকে ) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলা কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। (মিয়া এমডি অলির) জয়ে তারা বেশ উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত।মিয়া এমডি অলি এই পৌরসভার প্রথম বাংলাদেশি কাউন্সিলর। তার দেশের বাড়ি সিলেটের দক্ষিন সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কাদিপুর বড় গ্রামে।তিনি ছোট বেলা থেকেই ইতালিতে বসবাস করে আসছেন। মিয়া এমডি অলি পড়ালেখা শেষ করে নিজস্ব ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। পাশাপাশি ইতালির স্কুল ধারার রাজনীতি এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন।কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করে (মিয়া এমডি অলি) তার প্রধান লক্ষ্য ইতালি ও বাংলাদেশি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। তিনি সবাইকে একটি সুন্দর শহর উপহার দিতে চান।

অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টোদের দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে তাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। যদিও রাত ৮ টায় তাদের শপথগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন এদিকে, গতকাল রাতে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও শপথ নেন ১৪ সদস্য। ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বাইরে থাকায় তারা গতকাল শপথ নিতে পারেননি বলে শপথ অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রণালয় বন্টনঃ ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ- অর্থ ও পরিকল্পনা ২. ড. আসিফ নজরুল- আইন, বিচার ও সংসদ ৩. আদিলুর রহমান খান- শিল্প ৪. হাসান আরিফ- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ৫. তৌহিদ হোসেন- পররাষ্ট্র ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান- পরিবেশ, বন ও জয়বায়ু পরিবর্তন ৭. শারমিন মুরশিদ- সমাজকল্যাণ ৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন- স্বরাষ্ট্র ৯. ড. আ.ফ.ম খালিদ হাসান- ধর্ম ১০. ফরিদা আখতার- মৎস ও প্রাণিসম্পদ ১১. নূরজাহান বেগম- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ১২. মোঃ নাহিদ ইসলাম- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি ১৩. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া- যুব ও ক্রীড়া

এডিনবারা পিএইচসি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশিদের আনন্দ ভ্রমণ

যুক্তরাজ্য থেকে তুহিন মাহামুদ : স্কটল্যান্ডের রাজধানী পর্যটক শহর খ্যাত এডিনবারায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন "এডিনবারা পিএইচসি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের" উদ্যেগে সমাপ্ত হলো আনন্দ ভ্রমণ- ২০২৪।গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকাল নয়টায় দুটি ট্যুরিষ্ট বাসযোগে প্রায় ১৫০ জন ভ্রমণ পিয়াসীদের নিয়ে এডিনবারা থেকে ইংল্যান্ডের দর্শনীয় শহরলেক ডিষ্ট্রিকের উন্ডের মেরিতে পৌঁছায়। যাত্রা পথে নানা বিনোদন মূলক আয়োজনের মধ্যে ছিলো ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের কোরআন তেলাওয়াত, ছড়া, সংগীত পরিবেশন সহ কৌতুক, গান সহ নানা আয়োজন। দু'পাশে উঁচু-নিচু পাহাড়বেষ্টিত সবুজ অরণ্যের ভীড় ঠেলে পিচঢালা কালো সড়ক পথ বেয়ে অবশেষে লেকের পাড়ে এসে পৌছায় বাস দুটি। নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোর সকলের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক।বিধাতার অপার কৃপায় যেন সোনালী রোদের কণা গুলো অঝোরে ঝরছে আরামদায়ক তপ্ততার পরশে দর্শণার্থীদের শরীরে। দুপুরে বাঙ্গালী খাবার পরিবেশন যেন আরো উৎফুল্লতা বয়ে এনেছে সকলের মাঝে।মনোরম পরিবেশ আর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য যেন আকৃষ্ট করেছে সকলকে।একঘেয়েমি জনজীবনের রেশ কাটাতে শহর থেকে দূরে লেক আর পাহাড়ের কোলে শান্তির পরশ নিতেই এ আয়োজন।এ যেন চৈত্রের খরতাপে চৌচির হওয়া মাটির বুকে এক পশলা বৃস্টির মতই এ আনন্দধারা সকলের অন্তুরজুড়ে। খাবার শেষে এবার লঞ্চ যোগে এক দ্বীপ থেকে অন্যদিপে ভ্রমণের এ আনন্দ যেন মনকে আরও সতেজ ও সজীব করে তুলেছে। অনেকদিন পর এ ধরনের আয়োজনে সকলেই আনন্দিত। আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ভ্রমণকারীরা বলেন, বাচ্চাদের মন বিকাশ ও যান্ত্রিক জীবনের মাঝে স্বস্হির ছোঁয়া পেতে এ ধরনের আয়োজন মাঝে-মধ্যে হওয়া দরকার। পরন্ত বিকালে ক্লান্ত দেহে এক এক করে সবাই বাসে এসে বসলো অবশেষে এবার শো শো করে বাস ছুটে চলছে এডিনবারার পথে।পথে যেতে যেতে রাফেল ড্র খেলায় বিজয়ীদের আর্কষনীয় পুরষ্কারে আনন্দ ভ্রমণ যে ষোল কলায় পূর্ণ হলো।আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই বাস এসে থামলো গন্তব্যে। ভ্রমণকে সুন্দর ও স্বার্থক করে তুলতে নিরলসভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন আলমগীর কবির,শাহ ইমদাদুল হক বাবু,কবির হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন,আবুল কালাম,তুহিন মাহামুদ,ওবায়দুর রহমান,মোমেনুর রহমান সহ প্রমুখ।