সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে ইয়াঙ্গুনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

  • প্রকাশঃ ০৪:৪১ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৫

March 2025/Yangon sadinota.JPG

রাষ্ট্রদূত ড. এম মনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘুরে দাড়ানোর সক্ষমতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অদূর ভবিষ্যতে এদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবে।’

তিনি বুধবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ দূতাবাস ইয়াঙ্গুনের আয়োজনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। 

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা। দ্বিতীয় অংশে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মিয়ানমার সরকারের ইউনিয়ন ফর গভর্নমেন্ট অফিস-২, অভিবাসন মন্ত্রী, উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী, উপ-বাণিজ্য মন্ত্রী, ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীসহ ৫ মন্ত্রী, ইয়াঙ্গুন সিটির মেয়র অংশগ্রহণ করেন। 

সন্ধ্যায় ইয়াঙ্গুনের লট্টে হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ছিল স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু। শতাধিক রাষ্ট্রদূত/কূটনীতিক, জাতিসংঘের সংস্থাসগুলোর প্রধানগণ, মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ও দূতাবাসের সদস্যসহ তিন শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদ, মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রমহারানো নারী ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৯৭১-২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সংকটে বাংলাদেশ যে সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে, তা তুলে ধরেন। এছাড়াও, মনোয়ার হোসেন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক খাতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশকে শীঘ্রই একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হবে। 

রাষ্ট্রদূত সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান। 

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর, দূতাবাস কর্তৃক নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দিক এবং গত দুই বছরে দূতাবাসের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। পরে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়, যা অতিথিদের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। সৃজনশীল মঞ্চসজ্জা ও নান্দনিক পরিবেশ অতিথিদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×