জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস উদযাপন

১৬ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কে বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা এতে অংশ নেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদগণ ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পড়া হয়। এরপর অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত ‘গণমূক্তি অনিবার্য’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি, জুলাই-আগস্ট অভ্যুথানের মাধ্যমে যে বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। সমাপনী বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আমাদের সূর্যসন্তানরা দেখেছিলেন, যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা অমূল্য প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান।’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সামঞ্জস্য বর্ণনা করে আব্দুল মুহিত বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নির্মূলের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ সৃষ্টির স্বপ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, সেই একই প্রেরণায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।’ তিনি গণঅভ্যুথানের উত্তাল সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমর্থন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা গণঅভ্যুত্থানকে বেগবান করতে তাদের অবদান স্বরণ করেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আব্দুল মুহিত গণঅভ্যুথানের চেতনায় অদম্য বাংলাদেশ ২.০ গড়ে তোলার জন্য সব প্রবাসী বাংলাদেশীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। নানা ধরনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সাফল্য দেখিয়েছে।’ এ বিষয়ে তিনি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এই মুহুর্তে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ যে সব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবেলায় সকলের একতাবদ্ধ থাকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সদস্যরা দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া শিশু শিল্পীরা কবিতা ও গান পরিবেশন করে।এর আগে, সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. মো. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। মহান বিজয় দিবসে আলোচনাকালে চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বৈষম্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। এসব অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

দুবাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল মোঃ রাশেদুজ্জামান। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মরণে এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনা করে মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। সন্ধ্যায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণীসমূহ পাঠ করে শোনান কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা। দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল মোঃ রাশেদুজ্জামান সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং উপস্থিত সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি মহান বিজয় দিবসে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়ার আহবান জানিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার আহবান জানান। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর উপর আলোকপাত করে কনসাল জেনারেল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীদের সক্রিয় ভুমিকা রাখার জন্য আহবান জানান। এছাড়াও, তিনি সরকারী ও কনস্যুলার সেবা সহজীকরণের জন্য কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় কনস্যুলেট পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা সমবেত সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতারা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক দর্শক বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মানবপাচার চক্রের চার হোতা গ্রেফতার, উদ্ধার ১১ বাংলাদেশি

অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। উদ্ধার করা হয়েছে চক্রের কবল থেকে ১১ জন বাংলাদেশিকেও। তাদের পাচার করার প্রস্তুতি চলছিল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান। তিনি জানান, দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুয়ালালামপুর চেরাসের তিনটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় চক্রের হোতা চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের সবার বয়স ৩৫-৩৮ বছরের মধ্যে। গ্রেফতার পুরুষ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন আইন, ২০০৭’-এর ১২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আর আটক নারীর বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩’-এর ধারা ১৫ (৪) অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। চক্রের কবল থেকে ১১ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পাশাপাশি ১৭টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ২০টি মোবাইল ফোন, ৮০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ৮০০ মার্কিন ডলার ও দুইটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার ১১ বাংলাদেশির বয়স ৩০-৩৮ বছর বলে জানানো হয়। দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, চক্রটি কাজের লোভ দেখিয়ে তারা বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় আনতে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত আদায় করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘চক্রটি পাসপোর্ট, ভিসা ও বিমানের টিকিটের সব ব্যবস্থা করে বাংলাদেশিদের পর্যটক হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করাত।’

মালয়েশিয়ায় পোশাক কারখানা থেকে ৩৫ বাংলাদেশি ও ১৫ রোহিঙ্গা আটক

পোশাক কারখানায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগে ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খবর দ্যা স্টারের। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাহাবান জানিয়েছেন, স্থানীয়দের অভিযোগ ও দুই সপ্তাহের নজরদারির পর বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চেরাসের পোশাক কারখানায় অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘অভিযান চলাকালে ৪৬ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়, তিনি ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিচ্ছিলেন।’ এ ছাড়া, ৩৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ ও ১৫ জন মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পোশাককর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন বলে ধারণা অভিবাসন কর্তৃপক্ষের। কোম্পানিটি প্রায় দুই বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাহাবান বলেন, ‘অভিযানে প্রায় ৪০টি টাইম কার্ড ও বিভিন্ন সেলাই মেশিন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সবাইকে আরও তদন্তের জন্য বুকিত জলিল ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।’

আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বর্ণিল অভিষেক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে উৎসবমুখর পরিবেশ ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইয়ের নতুন কমিটির যাত্রা শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় বানিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের একটি অভিজাত হোটেলের বল রুমে প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইলের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শাহীনের যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি এস এম মোদাসসের শাহ। এতে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএর সভাপতি মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অভিষেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই এর মান্যবর কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। প্রধান অতিথি প্রেসক্লাবের ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে বলেন এটি যে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন তা চমৎকার এই আয়োজন দেখে বুঝা যায়। পাশাপাশি তিনি প্রেসক্লাবের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের আমিরাতের আইন কানুন মেনে চলার আহবান করেন। এই অভিষেকে বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রধান করেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিষ্ট আইয়ুব ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার ও কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব মীর আব্দুল আলীম। জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি আইয়ুব ভুঁইয়া তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, "আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।" তিনি বলেন, 'আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের নিয়ে তারা কাজ করছে। অতএব তাদের এ যাত্রায় অবশ্যই জাতীয় প্রেসক্লাব পাশে থাকবে এবং দেশে আসলে কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।" এছাড়াও তিনি প্রেসক্লাব ইউএই'র নেতৃবৃন্দের ভুয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ সমিতি ইউএই'র সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দুবাই পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা ওমর আফলাতুন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জাকির হোসেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বনামধন্য ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী, দুবাই কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান, ওলংগং ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. জিনাত রেজা খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুবাই পুলিশের সিনিয়র অফিসার ক্যাপ্টেন খালেদ আল হাসমি, কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, কাউন্সিলর কাজী ফয়সাল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুবাইয়ের রিজিউনাল ম্যানেজার শাকিয়া সুলতানা, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মীর কামাল, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইয়াকুব সুনিক। অনুষ্ঠানের মেইন স্পনসর মিডিলিস্ট ফ্যাশন, কো স্পনসর আফলাতুন গ্রুপ অব কোম্পানি ও প্রাইম হাব। সাপোর্টিং স্পনসর - ওয়াল স্ট্রিট এক্সচেঞ্জ, আল মামুন মেটালিক, এ ওয়ান প্রোটিন ডট কম, আল কারিয়াহ আল খাদরা ইউজড কার ট্রেডিং এলএলসি, তাউশ গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ওয়েল টাচ গার্মেন্টস ট্রেডিং এলএলসি, এক্সসেলেন্স জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি, শাহাদাত গ্রুপ অব কোম্পানিজ ও জি স্প্রিংক আইটি সোলুশনস এফজেড এল এল সি। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাফায়াত উল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইশতিয়াক আসিফের সঞ্চালনায় জমকালো আয়োজনে গান পরিবেশন করেন, আমিরাতের জনপ্রিয় শিল্পী রাসেল, সামিদা, সাদ ও মুহাম্মদ আবু শাহাদাত সায়েম। এ সময় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র সদস্যবৃন্দ, কনস্যুলেট কর্মকর্তা, আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্ম আল কোয়াইন, ফুজিরাহ, রাস আল-খাইমাহ তথা আমিরাতের সাতটি প্রদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গনে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রিসে পোলিশ নারীকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে বাংলাদেশি যুবকের যাবজ্জীবন

পোল্যান্ডের নাগরিক আনাস্তাসিয়াকে (২৭) অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিনকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন গ্রিসের একটি আদালত। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণার পর গ্রিসের গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটিকে সাম্প্রতিক দশকগুলোর অন্যতম নৃশংস অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংবাদ টিভিএন-২৪’-এর। গেল সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলার কৌঁসুলি সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনেন। পরে শুনানি ও অন্যান্য যুক্তিতর্ক শেষে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গ্রিসে কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের জুনের কোন এক দিনে তিনি তার কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে তাকে ওই ব্যক্তির স্কুটারে চড়ে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। এটিই ছিল আনাস্তাসিয়াকে জীবিত অবস্থায় শেষবার দেখা। আনাস্তাসিয়া তার প্রেমিককে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। সালাহউদ্দিনকে শুরু থেকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ তিনি ছিলেন আনাস্তাসিয়ার সঙ্গে দেখা করা শেষ ব্যক্তি। স্থানীয় পুলিশের ভাষ্য অনুসারে, নিহত আনাস্তাসিয়ার লাশ স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা খুঁজে পান। কস দ্বীপের পর্যটন স্থান সল্ট লেকের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ডালপালার নিচে লুকানো অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় লাশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আনাস্তাসিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং হত্যার আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

আমিরাতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাবের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সংযুক্ত আরব আমিরাত: সংযুক্ত আরব আমিরাতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব করেছে ‘বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব ইউএই’। শনিবার (৩০ নভেম্বর) শারজাহ মাদাম ওয়াইএস ফার্ম হাউসে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে হরেক রকম পিঠার চমৎকার আয়োজন ও পরিবেশন নজর কাড়ে ভিনদেশী দর্শনার্থীদেরও। ছিল নকশী পিঠা, ভাঁপা পিঠা, সেমাই পিঠা, পাকোন পিঠা, রসে ভেজা পিঠা, সুজি পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, পুলি পিঠা, তেলের পিঠা, দুধ চিতই পিঠা ও পায়েসসহ ৩০ প্রকার পিঠা।ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা লিজা হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাদিয়া আবছার শারমিন ও রাখি মহসিনা তানিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট লাবণ্য আদিল, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদিয়া আফসার ও নিশাত জাহান চৌধুরী নিশু, কো-অর্ডিনেটর শারমিন রাখী, উপদেষ্টা ইয়াসমিন মেরুনা, জেসমিন আক্তার, রোমানা আক্তার ও শরিফা সৈনিক, এক্সিকিউটিভ শবনম আক্তার, সালমা শাফায়েত ও তানিয়া আহমেদ, টিম লিডার সাঈদা আহমেদ নওরিন, মহসিনা তানিয়া, ঈশিকা মাজহার, সাথী আলী, ঈশিকা পারভিন, নাসরিন আক্তার, রুমানা বর্ণি, কামরুন নাহার ও ফাহমিদা সুলতানা। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আরব আমিরাত আইক্যাব শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি আহমেদ আলী জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন দুবাইয়ের সহ-সভাপতি ইয়াকুব সৈনিক, প্রবাসী সাংবাদিক সমিতির (প্রসাস) সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার।খেলাধুলা পর্বে ছিল ছোট ছেলে-মেয়েদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মহিলাদের বালিশ খেলা। শেষে খেলাধুলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানে আহমেদ আলী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের নারীরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রবাসে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা খুবই উৎসাহিত। তাদের এ অগ্রযাত্রা এভাবে আরো এগিয়ে যাবে, সে কামনাই করি। সংযুক্ত আরব আমরাতে বাংলাদেশী লেডিস ক্লাব বড় সংগঠন। এই সংগঠন গত ছয় বছর ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও তারা নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে বহির্বিশ্বে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তারা আরো সুনাম অর্জন করবে।’ ইয়াকুব সৈনিক বলেন, ‘বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব প্রবাসের বুকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি কালচার তুলে ধরছে। প্রবাসের মাটিতে পিঠা উৎসব, বাংলাদেশী কালচার, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে। আমিরাতে বাংলাদেশি পুরুষের পাশাপাশি লেডিস ক্লাব পিছিয়ে নেই। তারা বাংলাদেশি পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে কমিউনিটির জন্য কাজ করছে।’লিজা হোসাইন বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছি। বিভিন্ন সমাজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি অংশ নিয়ে থাকি। প্রবাসে বাংলাদেশের অসংখ্য মহিলা আছেন। তারা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন না। তাদের কথা মাথায় রেখে ছয় বছর আগে আমরা লেডিস ক্লাবের সূচনা করি। বাংলাদেশি সংস্কৃতি প্রবাসের মাটিতে তুলে ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ লেডিস গ্রুপে দুই হাজার ২০০ সদস্য রয়েছে। এখানে আবুধাবি, দুবাই, আল-আইন, রাস আল খাইমা, সারজাহ, আজমান, ফুজিরাসহ প্রত্যেক স্টেটে একজন করে প্রতিনিধি রয়েছে। প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যই আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ লাবণ্য আদিল বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরের মত এবারো নবান্ন উৎসব করেছি। নবান্নকে বরণ করার জন্য আমাদের আজকের এই আয়োজন। বাংলাদেশে বসবাস করার কারণে আমরা নবান্নের স্বাদটা দেখে বড় হয়েছি। আমাদের সন্তানদের অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্মকে নবান্ন বা পিঠা উৎসব পরিচয় করাতে চাই।’ নিশাত জাহান চৌধুরী নিশু বলেন, ‘বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব একটি নারী সংগঠন। এবারের উৎসবে বাচ্চাদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, মহিলাদের পিলো পাসিং ও পিঠা উৎসব ছিল। আমরা চেষ্টা করি, আমাদের সন্তানের দিকটা বিবেচনা করে তাদেরকে এই পিঠা-পুলির সাথে পরিচয় করাতে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। নিত্য নতুন অনুষ্ঠান নিয়ে আমরা আসব।’ সাদিয়া আফসার বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতেও আমরা এই উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, চিরায়ত বাংলার মুখ তুলে ধরতে আমাদের প্রস্তুতির কমতি ছিল না। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের এই অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেয়।’

সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপনের জন্মদিন আজ

দৈনিক কালবেলা ও বাংলানিউজের ইতালি প্রতিনিধি প্রবাসী সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপনের জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালের আজকের এই দিনে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।বর্তমানে তিনি ইতালির ভিচেন্সায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় শুরু হয়েছিল ইসমাইল হোসেন স্বপনের সাংবাদিকতার জীবন।তিনি বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে সাংবাদিকতায় কাজ করেছেন দৈনিক প্রভাত, দিনের শেষে, বহুল প্রচারিত ভোরের কাগজ, দৈনিক মানবজমিনসহ বেশ কয়টি পত্রিকায়।প্রবাসে আসার পর আজও সাংবাদিকতা জীবন অব্যাহত তার। এখানে আসার পর প্রথমে দৈনিক আমাদের সময়, পরবর্তীতে অনলাইন নিউজপোর্টাল রাইজিং বিডি, ইতালি প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তারপরসংবাদ প্রতিদিন, সময়ের কন্ঠস্বর, সারাবাংলা, নিউজ জি সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে কাজ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে ফিচার ও মতামত লিখেন তিনি।ইসমাইল হোসেন স্বপন বলেন, পাওয়া না পাওয়ার ব্যক্তিগত কোন অর্জন বা অনার্জনের কোনো চিন্তা থেকে নয় দেশ ও দশের স্বার্থে সাংবাদিকতা করি আমি। নিপীড়িত, শোষিত মানুষের স্বার্থে সাংবাদিকতাকেই ব্রত হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। কতটা সফল হয়েছি তা অপরের বিচার্য, তবে ব্যর্থ হইনি বলেই মনে করি।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যখন সাংবাদিকতা করতাম সহকর্মীরা সব সময় সংবাদ সংগ্রহে সহযোগিতা করতেন। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়, প্রবাসে সাংবাদিক সহকর্মীরা সব সময় সংবাদ সংগ্রহে আমাকে সহযোগিতা করেন। তাদের সহযোগিতাই হয়ত প্রবাসে এত ব্যস্ততার মাঝেও রক্তের সঙ্গে মিশে যাওয়া, ভালো লাগা, আত্মতৃপ্তির পেশায় নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরেছি।ইতালিতে প্রবাসী বাংলা কমিউনিটি, ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসসহ দেশটিতে ঘটে যাওয়া সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দ্রুত সময়ে কভার করেন তিনি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ইতালিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বাংলা কমিউনিটি সাথে কাজ করেন।

দুবাই ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের সাথে দুবাই বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের সাক্ষাৎ

সাইফুল ইসলাম তালুকদার, ইউএই থেকে:সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান দুবাই ইমিগ্রেশনের রেসিডেন্সি এন্ড ফরেনার্স এফেয়ারস-(জিডিআরএফএ)-এর মহাব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ আহমদ আল মারীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সংস্থাটির সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন তারা।মহাব্যবস্থাপক মারী বাংলাদেশের নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেলকে দুবাই-এ স্বাগত জানান এবং তার দায়িত্ব পালনকালে দুবাই ইমিগ্রেশনের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মহাব্যবস্থাপক আহমদ আল মারী ও কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ এবং অধিক সংখ্যক বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিসা সহজিকরণসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আহমদ আল মারী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বৈঠক শেষে মহাব্যবস্থাপক মারী কনসাল জেনারেলকে দুবাই ইমিগ্রেশেনের সদর দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরিয়ে দেখান। দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের শ্রম কল্যাণ উইং এবং জিডিআরএফএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের জমকালো উদ্বোধন

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সদ্য গঠিত পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এই জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আহাদ সালমান। সমাপনী বক্তব্যে চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ জীবন অতিথিসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। আব্দুল আহাদ সালমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, অত্যন্ত গর্ব ও কৃতজ্ঞতার সাথে আমি আজ চেম্বার অফ কমার্স পর্তুগাল-বাংলাদেশের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আছি। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত করে। বিশেষ করে সেক্রেটারি অফ স্টেট এর অটল সমর্থন এবং উপস্থিতিতে আমাদেরকে সম্মানিত করেছে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্ব আমাদেরকে অর্থপূর্ণ সহযোগিতার জন্য অনুপ্রাণিত করে। এছাড়াও অ্যাঙ্গোলান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে পারা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়। আপনাদের অংশগ্রহণ লুসোফোন দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযোগকে হাইলাইট করে, একতা এবং ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, অ্যাঙ্গোলার প্রাণবন্ত শহর লুয়ান্ডা থেকে আটলান্টিদা ইনস্টিটিউটের ডিন স্ট্যানিস্লা ব্যারোসকে অনুষ্ঠানে পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান। আপনার দক্ষতা এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষা এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এই ইভেন্টের জন্য অপরিমেয় মূল্য নিয়ে আসে। ব্রাজিলের চেম্বার অব কমার্সের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল আমাদের সাথে যোগ দেওয়ায় ব্রাজিল এবং পর্তুগালের মধ্যে সহযোগিতার সেতুকে শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশা করি। এছাড়াও আব্দুল আহাদ সালমান লিসবন জেলা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি ডাঃ জোয়াকুইন ফেরেইরা, পর্তুগিজ সরকারের উপদেষ্টা পাওলো নুনেস, চেম্বারের আইন উপদেষ্টা ডা. আলেকজান্দ্রে ক্যাটানো, আগা খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সার্জিও অলিভেরা এবং জোয়াও কুইরোজ, ইউনেস্কো এবং ওএনইউ-এর প্রতিনিধি প্রফেসর ডেভিড মায়া হিন্দু সম্প্রদায় থেকে আসা প্রতিনিধিদলসহ অতিথিদেরকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই চেম্বার একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি; এটি একটি সেতু যা জাতি, সংস্কৃতি এবং শিল্পকে একত্রিত করে। এটি অংশীদারিত্বের চেতনাকে মূর্ত করে এবং উদ্ভাবন, সংলাপ এবং বৃদ্ধির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে। একসাথে আমরা এমন সুযোগের পথ প্রশস্ত করব, যা কেবল পর্তুগাল এবং বাংলাদেশ নয়, আমাদের বর্ধিত বিশ্ব সম্প্রদায়কেও উপকৃত করবে। চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে পর্তুগিজ সরকারের উপদেষ্টা পাওলো নুনেস, লিসবন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি ডাঃ জোয়াকুইন ফেরেইরা, ব্রাজিলের চেম্বার অব কমার্সের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল, অ্যাঙ্গোলান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল, লুয়ান্ডার আটলান্টিদা ইনস্টিটিউটের ডিন স্ট্যানিস্লা ব্যারোস, আগা খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ ও পর্তুগালের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

গঠিত হল পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স

ইউরোপের দেশ পর্তুগালের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও ব্যবসায়-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স গঠন করা হয়েছে। মোহাম্মদ জীবনকে সভাপতি ও আব্দুল আহাদ সালমানকে সেক্রেটারি করে সম্প্রতি এ চেম্বার অব কমার্স গঠন করা হয়। কমিটিতে মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট, মীর মোহাম্মদ শাহরুজ্জামানকে প্রেসিডেন্ট জেনারেল এসেম্বলি, পেদ্রো জর্জ পিরেসকে নির্বাহী পরিচালক, রুই পাউলো মিগুয়েল মাউটিনহোকে পরিচালক, আলেক্সান্দ্রে কোতানো দা সিলভাকে আইন উপদেষ্টা, আনানা রহমানকে আর্থিক বিভাগের সভাপতি ও রোজানে লিভেইরা চাভেস পিরেসকে সহ-সভাপতি, ড. হেলিও-কে হিসাবরক্ষক ও ড. মারিশাকে সহকারী হিসাবরক্ষক করা হয়েছে। পর্তুগালে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশী প্রবাসী বাস করে। এরমধ্যে ৫০ হাজার বাংলাদেশী নিয়মিত কর দেন। বাংলাদেশ থেকে মোট ২৫ হাজার ৬৬৬ জন স্থায়ীভাবে অভিবাসন নিয়েছেন, যার মাঝে ২০ হাজার ৩৯৫ জন পুরুষ ও পাঁচ হাজার ২৭১ জন নারী। ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ১১৪ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয় পর্তুগালে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য সামগ্রীর মধ্যে টেক্সটাইল, হোম টেক্সটাইল, কটন, নন- কটন জাতীয় তৈরি পোশাক অন্যতম। গেল ছয় বছরে পর্তুগালে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৫৮ শতাংশ। পর্তুগাল থেকে চলতি বছরে জুলাইয়ে সাত দশমিক ৯২, আগস্ট মাসে ছয় দশমিক ৫৬, সেপ্টেম্বর মাসে আট দশমিক ৪৯, অক্টোবর মাসে ছয় দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে এসেছে। পর্তুগালে ৫০টি মসজিদ রয়েছে, যার মাঝে ১৪টি প্রবাসী বাংলাদেশীদের দ্বারা নির্মিত। এরই ধারাবাহিকতায় পর্তুগালের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও ব্যবসায়-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স গঠন করা হল। কাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) পর্তুগালে সংগঠনের গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে পর্তুগালের পররাষ্ট্র সচিব নুনো সামপাইও, লিসবনের মেয়র কার্লোস মোয়েডাস, অ্যাঙ্গলোর প্রতিনিধি, ব্রাজিল দূতাবাসের প্রতিনিধি, পর্তুগিজ পার্লামেন্টের পিএসডি পার্টির সাংসদ, আলভালাদে- লিসবনের জুন্তা দে ফ্রেগুয়েসিয়ার সভাপতি টোমাস গনক্যালভেস, এগা খান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. করিম মেরালি ও লিসবনের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সদর দফতরের শহর 'জেনেভা'

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেখানে অভ্যর্থনা সভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নেভাল অপারেশনস ফর ইন্টিগ্রেশন অফ ক্যাপাবিলিটিস অ্যান্ড রিসোর্সেসের ভাইস অ্যাডমিরাল জে র্ব্যাড স্কিলম্যান। জে র্ব্যাড স্কিলম্যান জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে অগ্রগণ্য করে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার ও আত্মোৎসর্গকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক মহিমান্বিত অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। জে র্ব্যাড স্কিলম্যান শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ডিএম সালাহউদ্দিন মাহমুদ, দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম। দূতাবাসের প্রথম সচিব আতাউর রহমান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন । সালাহউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যসহ আত্মত্যাগকারী লাখো শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীর ও বহুমুখী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর জোর দেন এবং উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। সালাহউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, ডিফেন্স অ্যাটাচে, পেন্টাগন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মো. শাহেদুল ইসলাম অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সর্মথন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। কেক কাটা ও নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

একাত্তরের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত, বললেন আমির

১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী কোন ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিন। এ অভ্যুত্থানে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ অংশ নিয়েছিল। এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রত্যেকেই যার যার সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।’ প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘মনিটারি রেমিটেন্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যেও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে। এভাবেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসীরা অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’ বিগত সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে শফিক বলেন, ‘যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হত, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়েই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের দেশে সময় মত কোন প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সাথে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।’ একাত্তরে ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একাত্তরে আমরা কোন ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব। ব্রিটেনের কোর্ট চৌধুরী মাইনুদ্দিনের বিষয়ে বিচারের রায়ে আমাদের দেশে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচার হয়েছে, তার অবজারভেশনে এখানকার বিচারপতিরা সে রায়কে জেনোসাইড অব জাস্টিস বলেছে। ১৫টি বছর আমাদেরকে আমাদের অফিসে বসতে দেয়নি, আমাদেরকে কথা বলতে দেয়নি, আমাদেরকে কোন র‍্যালি করতে দেয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে যেতে পারিনি।’ শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘জাতিগতভাবে অনৈক্য ও দুর্নীতির কারণে আমরা জাতি হিসেবে আগাতে পারিনি। দুর্নীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদের দুর্নীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে পুরো বিশ্বে নিজেদের একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি। যারা সমাজ পরিচালনা করবেন, তারা পরিচ্ছন্ন না হলে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে না।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র আবু বকর মোল্লা। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পী কামাল হোসাইন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার ৫০ জনের মত সাংবাদিক এতে অংশ নেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিলছে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার বিশেষ সুযোগ

সাইফুল ইসলাম তালুকদার, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত: সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে অবৈধভাবে অবস্থানরত প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার বিশেষ সুযোগ সাধারণ ক্ষমা। এ সাধারণ ক্ষমার মেয়াদকাল ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। ফলে, অবৈধরা বৈধ হয়ে দেশটিতে অবস্থান করার অথবা বৈধভাবে দেশে চলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রবাসীরা এ সুযোগটা লুপে নিতে সকলকে আহ্বান জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীদের সংখ্যা কম নয়। দীর্ঘ দিন ধরে আমিরাতে দেশীয় শ্রমিকদের ভিসা বন্ধ থাকায় এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় আমিরাতের সাধারণ ক্ষমায় অবৈধ প্রবাসীদের একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আল বোরাক গার্মেন্টস আজমানের ডিরেক্টর নারী উদ্যোক্তা শেফালী আকতার আখি বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমায় অবৈধরা ভিসা লাগিয়ে বৈধ হতে পারলেও ভিসা আভ্যন্তরিন পরিবর্তনের সুযোগ না থাকাতে চাহিদা মাফিক দেশীয় কর্মী পাচ্ছেন না বহু প্রতিষ্ঠান। ফলে, তারা দেশীয় শ্রমিক সংকটে আছেন। ব্যবসায়-বাণিজ্য ও কাজ কর্মের পরিধি বাড়াতে পারছেন না।’ দুবাই স্কাইজোন ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন রশিদ জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ দুই মাস বাড়াল দেশটির সরকার। ক্ষমা প্রার্থীদের অনেকে নানা প্রতিবন্ধকতায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈধ হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, সময়সীমা বৃদ্ধির ঘোষণায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। দুবাই হাবিবুর রহমান টাইপিং এর স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রবাসীদের প্রত্যাশা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে আমিরাতে বন্ধ ভিসার দ্বার উম্মুক্ত করতে অন্তর্বতী সরকার সচেষ্ট হবেন।’ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের সেবা দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের দুইটি মিশন থেকে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। প্রবাসীরা যাতে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে মিশনের পাসপোর্ট উইং এবং লেবার উইংকে স্বয়ংক্রিয় করতে জনবলও বাড়ানো হয়েছিল। তবে, যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাসপোর্ট হাতে পাননি, তারা এখন নির্বিঘ্নে সুযোগটি নিতে পারছেন।’তিনি আরো বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের দেওয়া সাধারণ ক্ষমা আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর্যন্ত আরো দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। আমি আহ্বান করব, যারা এখনো পর্যন্ত অবৈধ আছেন, তারা যেন এ সুযোগটা কাজে লাগান। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে অথবা নয়া পাসপোর্ট করাতে চান, সেসব বাংলাদেশিদের দ্রুত পাসপোর্ট করিয়ে নিয়ে ক্ষমার বর্ধিত সুযোগ কাজে লাগাতে পারেবেন।’ কনসাল জেনারেল বলেন, ‘মেয়াদ দুই মাস বাড়ানোয় যেমনিভাবে প্রবাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে, তেমনিভাবে আমরাও চাই বৈধতা লাভে ভিসা প্রত্যাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। সেজন্য সহজ পরিসেবা বৃদ্ধি ও বিশেষ ব্যবস্থাসহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাসময়ে পাসপোর্ট/দেশ ত্যাগে ট্রাভেল পারমিট করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার, দূতাবাস ও কনস্যুলেট খুবই সক্রিয়।’ তিনি জানান, দুবাই আল আবির সেন্টারে কনস্যুলেটের হেল্প ডেস্ক রয়েছে। সেখান থেকেও সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। আমিরাতের প্রসিদ্ধ বা বড় কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে আবির সেন্টারে বুথ খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইর কাউন্সিলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল জানান, সাধারণ ক্ষমা শুরু হওয়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দুবাই থেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় সেবা নিয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৩ জন অভিবাসী। এ সময় প্রবাসীরা ই পাসপোর্ট নিয়েছেন এক লাখ ২৭ হাজার ৬৭০, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিয়েছেন ১৮ হাজার ৫৯৮ জন। হাতে লিখা পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়িয়েছেন নয় হাজার ৭৩৭টি। সর্বমোট এক লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৭১ জন প্রবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে পাসপোর্ট নিয়েছেন। ট্রাভেল পারমিট নিয়ে দেশে গেছেন ১১ হাজার ৪৬৫ জন অবৈধ অভিবাসী। অপর দিকে আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবির কাউন্সিলর (পাসপোর্ট এন্ড ভিসা) সাইফুল ইসলাম জানান, আবুধাবিতেপ্রবাসীরা ই-পাসপোর্ট নিয়েছেন সাত হাজার ২১০ জন এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিয়েছেন চার হাজার ৫৯৭ জন।

মালয়েশিয়ায় এক সপ্তাহে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু

মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত এক সপ্তাহে মোট তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের তিনজনই যশোরের বাসিন্দা। এর মধ্যে দু’জন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ও একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৫), মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৫) ও হানুয়ার গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে মিন্টু হোসেন (৪৫)। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৫) গত রোববার (১০ নভেম্বর) একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করার সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মহিদুল ইসলামের দুই জন সন্তান রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের আব্দুল মজিদও (৪৫) হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে মারা যান। জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন তিনি। গত রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমান মজিদ। রাতের কোনো এক সময়ে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালে হিমঘরে রয়েছে। আব্দুল মজিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু মুছা। এ ছাড়াও, গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মিন্টু হোসেন (৪৫) নামে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। মালয়েশিয়ার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। নিহত মিন্টু হোসেন মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক। স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেদুর রহমান টিটো এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনজনের মৃত্যুতে প্রতিটি পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের স্বজনেরা তাদের প্রিয়জনের মরদেহ ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন। তাদের এলাকায়ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরদেহ তিনটি বাংলাদেশে আনার সকল আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপন পেলেন বিটিএসএফ সম্মাননা

ইতালি থেকে: শরীয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান, বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান, সংগঠক ও ইতালি প্রবাসী সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপন সফল সংগঠক হিসেবে বিশেষ অবদানের জন‍্য বিটিএসএফ ‘সম্মাননা স্মারক’ পেয়েছেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তোপখানা রোডের ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরামের (বিটিএসএফ) ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় দেশের নানা শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।তিনি আগেও বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিটিএসএফ-এর চেয়ারম্যান কায়সার হাসানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. আল-আমিন শাওনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবেক এমপি ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সংগঠক ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু। প্রধান বক্তা ছিলেন- বার্তা প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট জাদু শিল্পী ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ঢাকার লাবণ্য ক্রিয়েশনের চেয়ারম্যান ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মো. মনিরুজ্জামান, ইদিলপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ওবিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মো. দেলোয়ার হোসেন শিকারী, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান শরীফ মো. আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ প্যাকেজিং মালিক কল্যাণ পরিষদ ঢাকার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শামছুল আলম, রুদ্রকর নীলমনি উচ্চ বিদ্যালযের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইদ মাহমুদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন- বিটিএসএফ-এর ভাইস-চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম, এম এ গফুর মোল্লা, মাহবুবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- ভাইস-চেয়ারম্যান মু. হারিসুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো. ছবুর হোসেন, হামিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, আসাদুজ্জামান মিঞাসহ অনেকে। বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।

কানাডায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কুইবেক ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কানাডা শাখার যৌথ উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।কানাডার মন্টিয়েল শহরে এ দিবস পালন করা হয়। এসময় বক্তার বলেন, ৭ নভেম্বর এর চেতনায় আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনে বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফিরে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক কানাডা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন কুইবেক বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান। পরিচালনা করেন কুইবেক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কানাডা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়াও প্রধান আলোচক ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবিদ বাহার, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দল কানাডার সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আরমান মিয়াসহ অনেকে।

চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি

চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও ছবি সম্বলিত নোটিশ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে বসবাসরত বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে দূতাবাস কর্মীরা শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলেন। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে ছবি নামাতে বলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদের নির্দেশনায় উপস্থিত ছিলেন, হোসাইন মোহাম্মদ সাখাওয়াত, শেখ মাহবুবুর রশীদ, মো. রুহুল আমিন, আসিফ হক রুপু, মো. ওয়ালী উল্লাহসহ অনেকে। বিএনপি নেতারা বলেন, একজন স্বৈরশাসকের বিদায় হলেও বিভিন্ন জায়গায় এখনো তাদের প্রেতাত্মারা বিরাজমান। আজকে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতিবাদ করায় তারা নিজ দায়িত্বে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও ছবি সম্বলিত নোটিশ সরিয়ে নেয়।

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দিতে গড়িমসি ব্যাংকগুলোর!

প্রবাস থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে বাংলাদেশ সরকার রেমিট্যান্স হিসেবে বৈধতা দেয়। কিন্তু রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে একদিকে যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা, অন্যদিকে দেশ হারাচ্ছে রাজস্ব। এমন পরিস্থিতিতে, দ্রুত এর সমাধানের দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান অমূল্য, এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই। দীর্ঘদিন পরিবার পরিজনের কাছ থেকে দূরে থেকে পাঠানো প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ যেমন পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তোলে, তেমন এই রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিশেষ অবদান রাখে।প্রবাসীরা কেউ বাংলাদেশে তাদের নিজেদের অ্যাকাউন্টে, কেউ তাদের মা-বাবা কিংবা পরিবারের অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। বিদেশ থেকে পাঠানো এ অর্থ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে বাংলাদেশ সরকারও রেমিট্যান্স হিসেবে এর বৈধতা দিয়ে থাকে। তবে প্রবাসীরা ভোগান্তিতে পড়েন দেশে তাদের ব্যাংকে জমানো টাকার রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট চাইতে গিয়ে।প্রবাসীদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি এবং সময় টিভির প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেন, ‘অনেক প্রবাসী দেশে বাড়ি-গাড়ি সব করেছেন প্রবাস জীবনের আয় দিয়ে। কিন্তু দেশে গিয়ে আয়কর ফাইল খুলতে গিয়ে ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে না পেরে আর আয়কর ফাইল করেন না অনেকে। প্রত্যেক প্রবাসীর দেশে নিজের বা আত্মীয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে কোনো না কোনো ব্যাংকে। প্রবাস জীবনের সকল আয় ঐ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টেই পাঠিয়ে থাকেন।’মঈন উদ্দিন সরকার সুমন আরও বলেন, ‘এখন বিদেশ থেকে পাঠানো প্রবাসীর টাকার হিসাব ব্যাংক দেবে। কারণ ব্যাংকে টাকা পাঠায় এবং ব্যাংক প্রতিবছর অ্যাকাউন্ট থেকে এসবের চার্জও কাটে। কিন্তু ব্যাংক রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দেবে না। কেন দেয়নি জানতে চাইলে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন অন্য ব্যাংক ভায়া হয়ে টাকা জমা হওয়ায় অ্যকাউন্ট যে ব্যাংকে সেই ব্যাংক রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দিতে নারাজ।’উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি বলেন, ‘বিদেশে থেকে টাকা পাঠাতে গেলে প্রবাসীরা কুয়েতে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে দিনারের বিপরীতে টাকার মূল্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকে ভিন্ন রেট পেয়ে থাকেন। যে এক্সচেঞ্জ দিনারের বিপরীতে টাকার মূল্য বেশি দেয় সেখান থেকেই বেশিরভাগ প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। কুয়েতের বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ দিনারের বিপরীতে বাংলাদেশে যে ব্যাংক টাকা বেশি দেয়, সেই দ্বিতীয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকে।’‘যেমন কুয়েত থেকে দেশে এক্স ব্যাংকে কোনো প্রবাসী তার নিজের অ্যাকাউন্ট অথবা তার আত্মীয়-স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে কুয়েতে কোনো একটি মানি এক্সচেঞ্জে গেলেন। এক্সচেঞ্জে গিয়ে ওই প্রবাসী দেখলেন সরাসরি এক্স ব্যাংকে টাকা পাঠালে কুয়েতের এক দিনারের বিপরীতে তিনি পাবেন ৩৯০ টাকা। অথচ দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে ওয়াই ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে কুয়েতের এক দিনারের বিপরীতে পাবেন ৪০০ টাকা। তিনি প্রবাসীরা বেশি মূল্য পেয়েছেন সেভাবেই পাঠিয়েছেন। এক্সচেঞ্জ থেকে দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে ওয়াই ব্যাংকের মাধ্যমে ভায়া হয়ে রেমিট্যান্স হিসেবে ওই প্রবাসীর অ্যাকাউন্টে তা জমা হয়। যেভাবেই পাঠাক না কেন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাঠালে বৈধ এবং রেমিট্যান্স হিসেবে ওই প্রবাসীর অ্যাকাউন্টে তা জমা হয়।’ যোগ করেন এই প্রবাসী সাংবাদিক।ক্ষোভ প্রকাশ করে মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেন, ‘এক্স ব্যাংক থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট তোলা হলে সেখানেও দিন, তারিখ এবং টাকার পরিমাণসহ কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ফরেন কারেন্সি হিসেবে কুয়েত থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে সেটা স্পষ্ট লেখা থাকে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাইলে সহজেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দিয়ে দেয়। কোনো কারণে ওই প্রবাসী রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট চাইলে শুরু করে গড়িমসি। তখন তাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আপনার টাকা আসছে ওয়াই ব্যাংকের মাধ্যমে, আপনি রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট তুলতে ওয়াই ব্যাংকে যান।’দেশে ব্যাংকে রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট চাইতে গেলে প্রবাসীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। এই হয়রানি থেকে মুক্তি চায় তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, প্রবাস জীবনে তারা দেশে যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান, সেই ব্যাংক সব তথ্য দেবে। তারা কেন টালবাহানা করে? এদিকে, রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার কারণে অনেক প্রবাসীই টিন সার্টিফিকেট থাকা সত্যেও আয়কর রিটার্ন দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে প্রতি বছর দেশও বড় একটি অংশের রাজস্ব হারাচ্ছে বলে মনে করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবাসী সাংবাদিক মঈন সুমন।

এনটিভি ইউকের সিইও সাবরিনা হুসাইনের জন্মদিন পালিত

ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি : গতকাল ১২ নভেম্বর ছিল এনটিভি ইউরোপের সিইও এবং ডাইরেক্টর সাবরিনা হুসাইনের জন্মদিন।১২ নভেম্বর রাত বারোটার সোসাল মিডিয়ায়/ ফেইসবুকে এ্যালার্ট দেয়ার পর থেকে শতাধিক মানুষের আইডি থেকে সাবরিনা হুসাইনকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়।এনটিভি ইউকেতে কর্মরত সংবাদকর্মীরা, প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশি সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ কে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়।এনটিভি ইউকের ইতালির ভিচেন্সা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন স্বপন , ভিচেন্সার স্থানীয় মেয়র, কাউন্সিলর, প্রবাসী বাংলা কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।আবার কেউ কেউ মোবাইল ফোনে ফোন করে ও ফুল নিয়ে দেখা করেও শুভ জন্মদিন এর শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন।১২ নভেম্বর এনটিভি ইউকে কার্যালয়ে কেক কেটে সাবরিনা হুসাইনের জন্মদিন পালন করা হয়।জন্মদিনের শুভেচ্ছায় শিক্ত এনটিভি ইউকের সিইও জানালেন তার অনুভূতির কথা। তিনি সকলের শুভেচ্ছা অভিনন্দন পেয়ে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করেন এবং সকলকে অন্তর ও অন্তরস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।

পাসপোর্ট নবায়নে প্রবাসীদের ক্ষোভ, দ্রুত সমাধান চায় মালয়েশিয়া বিএনপি

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) ও ই-পাসপোর্ট নবায়নে চরম জটিলতার কারণে ব্যাপক ভোগান্তি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।গতকাল (১১ নভেম্বর), মালয়েশিয়া বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় কুয়ালালামপুরের জি টাওয়ার হোটেলে।মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন এম মোজাম্মেল হক প্রধান। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। প্রধান বক্তা ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি তালহা মাহমুদ, ড. এস এম রহমান তনু, শাখাওয়াত হোসেন, আলমগীর হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি উল্লাহ জাহিদ, প্রচার সম্পাদক এস এম বশির আলম, দফতর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম রতন, যুবদলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গির আলম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মন্ডল, সহ-দফতর সম্পাদক হাবিবুর রহমান শিশির ও সদস্য মো. জসিম উদ্দিনসহ আরো অনেকে।কেলাং, পেনাং, কেডাহ, ও অন্যান্য শহরের নেতারা বক্তব্য রাখেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, জাসাস নেতা শেখ আসাদুজ্জামান মাসুম, মো. ইসমাইল, যুবদলের রমজান আলী, নূরে সিদ্দিকী সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের হেলাল শিকদার ও মোশারফ হোসেন হৃদয়।অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ছিলেন মির্জা খোকন, আব্দুল জলিল লিটন, মোয়াজ্জেম হোসেন নিপু, এম ফরহাদ হোসেন পলাশ, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মো. আরিফ হোসেন, এম এ কালাম, গোলাপ হোসেন, আফজাল হোসেন, মোহাম্মদ রাহুল, মো. সুমন বেপারি, এস কে আলম কাজি, মো. নুরজামান মুন্সি, মো. আজাদ উদ্দিন, নাজমুল হাসান, মারুফ এলাহী, গোলাম কবির, মাহফুজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শাহ জালালজ এবং আরও অনেকে।শহীদ জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোর রূহের মাগফেরাত এবং খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন তালহা মাহমুদ।

মালয়েশিয়ায় পাচার হয়ে যাওয়া  ৬ বাংলাদেশি উদ্ধার

মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সোমবার (৪ নভেম্বর) সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা করা হয়।গোয়েন্দা ও স্পেশাল অপারেশন ডিভিশনের অভিযানে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দফতর মানব পাচার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত৩০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করেছে।জেআইএম এক বিবৃতিতে বলেছে সিন্ডিকেট ভুক্তভোগীদের পর্যটক হিসেবে নিয়ে আসে। এরপর তাদেরকে নেয়া হয় একটি ‘ট্রানজিট হাউজে’।আরও জানানো হয়, সিন্ডিকেটটি প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে চার্জ ফি হিসেবে ১৫ হাজার রিঙ্গিত এবং ভুক্তভোগীকে ‘ট্রানজিট হাউজ’ থেকে ছেড়ে দেয়ার জন্য জনপ্রতি আরও ৫ হাজার রিঙ্গিত নিতো।উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে মালাক্কার তানজুং ক্লিং-এর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।