ঢাকা, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
মেনু |||

টাইব্রেকারে সিটিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

 

আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ১৪ বারের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা। আর গতবারের চ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিল শেষ আট থেকেই। গত আসরে সিটির কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবারের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। অপর সেমিফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

ইতিহাদের ম্যাচটিতে ম্যানচেস্টার সিটি হেরেছে আসলে রিয়ালের রক্ষণের কাছে। ম্যাচের বেশির ভাগ সময় বলে দখল, বেশি আক্রমণ আর বেশি দাপট দেখালেও রিয়ালের রক্ষণ দেয়াল ভেদ করতে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে সিটিকে। যে দেয়ালের সর্বশেষ রক্ষক ছিলেন গোলকিপার আন্দ্রে লুনিন।

রিয়াল গোলকিপার টাইব্রেকারেই প্রতিহত করেছেন বের্নার্দো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট। বিপরীতে সিটি গোলকিপার এদেরসন আটকাতে পেরেছেন শুধু লুকা মদরিচের শট। এর আগে বার্নাব্যুর ৩-৩ সমতার স্কোরলাইন ইতিহাদের ১২ মিনিটেই রিয়ালের পক্ষে ৪-৩ বানিয়ে দেন রদ্রিগো। জাতীয় দল সতীর্থ এদেরসন তাঁর নেওয়া শট প্রথমে রুখে দিলেও ফিরতি যাত্রায় আবার পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান।

গোল হজমের পর ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য আক্রমণের ধার বাড়ায়। আর্লিং হলান্ড অনেকটা আড়ালে পড়ে থাকলেও রিয়াল রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়ান কেভিন ডি ব্রুইনা, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশরা। সিটির লাগাতার আক্রমণের মুখে রিয়ালের রক্ষণ ছিল জমাট, সুগঠিত। তবে ৭৬ মিনিটে রুডিগারের মুহূর্তের দুর্বলতায় সেটি আর থাকেনি। সিটিকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইনা।

নব্বই মিনিটের খেলা দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত আধা ঘণ্টাও যায় একই ধারায়। এ সময়ে গোলের ভালো সুযোগটি ছিল রুডিগারের সামনে। জার্মান ডিফেন্ডার ১০৫ মিনিটে ৬ গজ বক্সের ভেতর নেওয়া শট বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। তেমন কিছুই হলো রিয়াল মাদ্রিদের। শেষ পর্যন্ত রিয়ালের জয়ের মুহূর্তটা এনে দিয়েছেন রুডিগারই।


ঢাকাওয়াচ/টিআর

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬