নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। মন্ত্রী হলেও বিসিবি সভাপতি হিসেবেই ক্রীড়াঙ্গনে তার পরিচিতি। এক দশকেরও বেশি সময় বিসিবির সভাপতিত্ব করলেও, ফুটবলকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে মন্তব্য করেছেন পাপন।

(শনিবার) বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) জাতীয় পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর সরকারি শারিরীক শিক্ষা কলেজ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। দেশের আনাচে-কানাচে সর্বত্র এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ফুটবলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি এই টুর্নামেন্টের খোঁজ রাখেন বলেও জানান ক্রীড়ামন্ত্রী, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফুটবলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি নিজেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। তিনি সবসময় এই টুর্নামেন্টের খোঁজ-খবর রাখছেন।’

নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে পাপন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ সবার নজর কেড়েছে। এতে হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে ফুটবলের। গতকালই ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল ৬-০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যথাযথ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শুধু ক্রিকেট-ফুটবলে নয়, ক্রীড়াঙ্গনের অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও বাংলাদেশ আরও ভালো ফলাফল অর্জন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (বালক অনূর্ধ্ব-১৭) প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৪৬৬৭টি দলের ৮৪০০৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। একই বছর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭) প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৫৮৪টি দল থেকে অংশগ্রহণ করেছেন ১০৫১২ জন খেলোয়াড়। ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ।