পাওয়া গেছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকা...
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপিরইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পীর হোসেইন কোলিভান্দ দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় অনুসন্ধান অভিযান শেষ হয়েছে বলেও ঘোষণা দেন ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান।গতকাল রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটে। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন বলে আজ দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকারী পাহাড়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে।সোমবার (২০ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরের বরাত এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে। অন্তত একজন যাত্রী ও একজন ক্রু সদস্য উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সেনাবাহিনীর সব সম্পদ ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘অন্ধকার হয়ে গেছে এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কিন্তু অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাদা তৈরি হওয়ায় তল্লাশি অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।’এদিকে, প্রতিবেশী দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যে কোনও উদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিমান বিধ্বস্তের খবর সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি স্যাটেলাইট ম্যাপিং প্রযুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যাতে ইরানকে তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করা যায়।ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে বের করার জন্য ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি দেশটির সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসসহ (আইআরজিসি) আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।রোববার রাতে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টকে বহন করা দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সেনাবাহিনী সব সরঞ্জাম ও সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিন দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে পাঁচ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না।হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি ও এ প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সীমান্তবর্তী একটি বাঁধ উদ্বোধন করে রাজধানীতে ফিরছিলেন তারা।ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বনজঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে। এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। তবে কথা শেষ হওয়ার আগেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে বিএসটিআই বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সোমবার (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশনের সদস্যপদ লাভ করে ন্যাশনাল কোডেক্স কন্টাক্ট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে চলেছে। পরে প্রতিষ্ঠানটি ওজন ও পরিমাপের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সংস্থার পূর্ণ সদস্য এবং আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে। তিনি বলেন, বিএসটিআই ২০১০ সালে ওজন ও পরিমাপের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব ওয়েট অ্যান্ড মেজারের অ্যাসোসিয়েট সদস্য এবং ২০২১ সালে ওজন পরিমাপ ও মান বিষয়ক ইসলামিক দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। সদস্যপদ অর্জন করার পর আন্তর্জাতিক মান ও পরিমাপে প্রণীতমান অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সামগ্রী ও যন্ত্রপাতির মান নির্ধারণ। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার ২০১০ সালে জাতীয় মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করে যা ওজন ও পরিমাপের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ল্যাবরেটরি হিসেবে কাজ করছে। এই ল্যাব সারা দেশের শিল্প ও বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যবহৃত ওজন ও পরিমাপক যন্ত্রপাতির সক্ষমতা নিশ্চিত করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন করছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শিল্পোদোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ওজন ও পরিমাপের সঠিকতা নিশ্চিত করে দেশীয় শিল্পের বিকাশ, দেশে মানসম্পন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের অবস্থান সুসংহত করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে। প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
ঢাকা: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, মানুষ আজ শান্তিতে নেই। কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। অতিষ্ঠ জনগণ আজ বিএনপিকে আস্থার স্থল মনে করে। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই দলকে আরও সুসংগঠিত করে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সঙ্গে জোন ভিত্তিক থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জোন- ২ এর মতবিনিময় সভা হয়। সালাম বলেন, বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত হয়নি। পরাজিত হয়েছে সরকার। তাই রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। এ আওয়ামী লীগের কোনো নৈতিকতা নেই। জনগণের কাছে নেই কোনো দায়বদ্ধতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই সংগঠনকে ইস্পাতের ন্যায় শক্তিশালী করতে হবে। তিনি দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে কারাগারে যাননি। রশি বেশি টাইট করলে যেমন ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি অত্যাচারিত হতে হতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীই এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। তাই এখন প্রয়োজন সম্মেলিতভাবে নির্ভয়ে রাজপথে নামা। বারবার মরার চেয়ে একবার মরা ভালো। তবু দেশের মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, ভয়কে বিএনপি জয় করতে শিখেছে। বিএনপি এখন ভয় পায় না। ভয় পায় আওয়ামী লীগ। তাই আমাদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশও সরকার ভয় পায়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বাইরে থাকলে আতঙ্কে থাকে। এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এরা জানে যেকোনো সময় এদের পতন হবে। তাই সর্বক্ষণ তারা ক্ষমতার হারানোর ভয়ে অস্থির থাকে। সভায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জোন-২ এর সমন্বয়ক ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট ফারুকুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, শামসুল হুদা কাজল ও নাদিয়া পাঠান পাপনসহ আরও অনেকে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপিরইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পীর হোসেইন কোলিভান্দ দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় অনুসন্ধান অভিযান শেষ হয়েছে বলেও ঘোষণা দেন ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান।গতকাল রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটে। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন বলে আজ দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উত্তাল ব্যাংকপাড়া।ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে অস্থিরতা, ব্যাংক খাতের বর্তমান তারল্য সঙ্কটের মতো সমস্যার সমাধান না করে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরির মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ আটকানোর চেষ্টা দেশের জন্য বড় কোনো বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।আগের মতোই অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত হোক এমন দাবি জানিয়ে রেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নিন। নইলে পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্বার্থে সামনে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব।’আজ সোমবার (২০ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।বর্তমান সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলে আসছে মন্তব্যে করে রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, ‘৫৩ বছরের প্রথা ভেঙ্গে হঠাৎ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যা সরকারের অবস্থানের বিপরীত। গত ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক অলিখিতভাবে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে ইআরএফেরপক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছে এবং দু’দফা চিঠিসহ বিভিন্নভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় দুই মাস হলেও সমস্যার সমাধান না করে এখন বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় আজকের এইসংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এখানে আমি একটি বিষয় পরিস্কার করতে চাই। সাংবাদিকরা এর আগে নিজের কার্ড প্রদর্শনকরে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারতেন। এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় নানা গুজব ডালপালা মেলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে কিনা সে প্রশ্ন উঠছে।রেফায়েত উল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে পাঠক, গবেষক, সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে প্রকৃত তথ্য জানার সুযোগ তৈরি হয়। সাংবাদিকরা অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনার মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন, খাদ্য মজুদ ও আমদানি পরিস্থিতি, বাজার ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভের প্রকৃত অবস্থা, সুদহার, রাজস্ব পরিস্থিতি, সরকারি–বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। আবার খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি, ব্যাংক খাতের অনিয়ম–দুর্নীতি, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন সমস্যার তথ্য তুলে ধরলে সরকার তাতে উপকৃত হয়। নিতে পারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ তথ্যের উৎস কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন হঠাৎ করে তথ্য প্রবাহ বন্ধ করার ফলে ভুল তথ্য, অর্ধ সত্য তথ্য ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবার একটি তথ্য পাওয়ার পর ডেস্ক অফিসারের মাধ্যমে বুঝে প্রকৃত তুলে ধরার সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারে কিনা তা নিয়ে কেউ–কেউ প্রশ্ন তুলেছেন জানিয়ে রেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘এর আগে জানতে হবে অন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইট অনেক সমৃদ্ধ। সেখানে অর্থনীতির সব সূচকের নিয়মিত আপডেট ছাড়াও বোর্ড মিটিংয়ের কার্যবিবরণী, বিভিন্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। কোনো সাংবাদিক প্রশ্ন করলে দ্রুত রেসপন্স করা হয়। আবার এসব দেশের আর্থিক খাতের সুশাসনের মাত্রা অনেক উঁচুতে। পদ্ধতিগত কারণে সেখানে কোনো অনিয়ম–দুর্নীতির তথ্য আড়াল করা কঠিন। এছাড়া বেনামি ঋণ, ঋণখেলাপি, অর্থপাচারকারী বা অনিয়ম–দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কেউ কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারে বলে আমাদের জানা নেই। এখন বাংলাদেশে সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে কেবল সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আসলে কি তথ্য আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে আমরা সে প্রশ্ন রাখতে চাই।রেফায়েত উল্লাহ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন হারানোর কারণে আর্থিক খাতের দূরবস্থার কথা বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ, গবেষকদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় দূর্বলতা, তদারকি ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা, বিভিন্ন গোষ্ঠীর চাপে নীতির ধারাবাহিকতা রাখতে না পারার বিষয়টি সবার জানা। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে তড়িঘড়ির কারণে অস্থিরতা, ব্যাংক খাতের বর্তমান তারল্য সঙ্কটের বিষয়টি সবার জানা। এসব সমস্যার সমাধান না করে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে জনমণে আতঙ্ক আরও বাড়বে। তথ্য প্রবাহ আটকানোর চেষ্টা দেশের জন্য বড় কোনো বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারও জন্য যা কাম্য নয়।’