Advertisement Image
Advertisement Image

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

পাওয়া গেছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকারী পাহাড়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে।সোমবার (২০ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরের বরাত এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে। অন্তত একজন যাত্রী ও একজন ক্রু সদস্য উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সেনাবাহিনীর সব সম্পদ ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘অন্ধকার হয়ে গেছে এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কিন্তু অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাদা তৈরি হওয়ায় তল্লাশি অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।’এদিকে, প্রতিবেশী দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যে কোনও উদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিমান বিধ্বস্তের খবর সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি স্যাটেলাইট ম্যাপিং প্রযুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যাতে ইরানকে তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করা যায়।ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্টকে খুঁজে বের করতে সব বাহিনীকে নির্দেশ

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে বের করার জন্য ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি দেশটির সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসসহ (আইআরজিসি) আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।রোববার রাতে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টকে বহন করা দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সেনাবাহিনী সব সরঞ্জাম ও সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিন দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে পাঁচ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না।হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি ও এ প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সীমান্তবর্তী একটি বাঁধ উদ্বোধন করে রাজধানীতে ফিরছিলেন তারা।ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বনজঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে। এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। তবে কথা শেষ হওয়ার আগেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাব্দুলাহিয়ান নিহত হয়েছেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরানের এক কর্মকর্তা। রোববার (১৯ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় তিনি আজারবাইজান থেকে ইরানের তাবরিজ শহরে যাচ্ছিলেন। নাম গোপন রাখার শর্তে ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, “হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা এখনো আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য আসছে সেগুলো খুবই চিন্তার।” ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ জানিয়েছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার আবহাওয়া বেশ বিরূপ এবং কুয়াশাচ্ছন্ন। যা উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করছে। দেশটির সরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পৌঁছেছে। তবে ওই অঞ্চল পুরোটি কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। সরকারি টিভিতে আরও দেখানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির জন্য পুরো দেশজুড়ে দোয়া করা হচ্ছে।৬৩ বছর বয়সী রাইসি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহজুব জাওয়ারি বলেছেন, ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী রাইসিকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়। একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গতকাল শনিবার আজারবাইজানে যান ইব্রাহিম রাইসি। আজ রোববার সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা তার কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। সূত্র: রয়টার্স

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
রাজনীতি

ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি: কাদের

ঢাকা: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনের সময় তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি। ভারতের দয়ায় নয়। পঁচাত্তরের পর কত বছর ক্ষমতায় ছিলাম না। তখন কি ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল? শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন৷ ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন ঠোকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফণা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে। বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। কাজেই বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি তাদের ওপর ছেড়ে দিই তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়। তিনি বলেন, কারা পালায় আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি পালায়, তাদের নেতা রাজনীতি করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছেন, দেশে ফেরার সাহস নেই। বিএনপি চলে রিমোট কন্ট্রোলে। এই রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন সফল হয় না। ভোটারদের ভয় পায় বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসে না। নির্বাচন নিয়ে তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোনো সংঘাতে জড়াব না। বিএনপি আমলে কোন স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে? এবারের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোনো ধরনের সংঘাত হয়নি। এর কৃতিত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারে যে ভোট পড়ছে খুব ভালো ভোট পড়েছে বলব না, মোটামুটি পড়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে দলটির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলটির কারো কথা কেউ শোনে না। ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি কোনো কিছু আদায় করতে পারবে না। মুখে ফুলঝুরি ছড়ালেও ভেতরে তারা হতাশ। যতদিন তারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকবে। তিনি বলেন, আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হতো না। যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই এক সঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাবো। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরবো। আবার পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরবো। তিনি বলেন, অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুদের কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম প্রমুখ।

আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়

Advertisement Image
রাজনীতি

বিএনপি এখন জনগণের আস্থার স্থল: সালাম

ঢাকা: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, মানুষ আজ শান্তিতে নেই। কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। অতিষ্ঠ জনগণ আজ বিএনপিকে আস্থার স্থল মনে করে। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই দলকে আরও সুসংগঠিত করে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সঙ্গে জোন ভিত্তিক থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জোন- ২ এর মতবিনিময় সভা হয়। সালাম বলেন, বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত হয়নি। পরাজিত হয়েছে সরকার। তাই রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। এ আওয়ামী লীগের কোনো নৈতিকতা নেই। জনগণের কাছে নেই কোনো দায়বদ্ধতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই সংগঠনকে ইস্পাতের ন্যায় শক্তিশালী করতে হবে। তিনি দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে কারাগারে যাননি। রশি বেশি টাইট করলে যেমন ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি অত্যাচারিত হতে হতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীই এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। তাই এখন প্রয়োজন সম্মেলিতভাবে নির্ভয়ে রাজপথে নামা। বারবার মরার চেয়ে একবার মরা ভালো। তবু দেশের মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, ভয়কে বিএনপি জয় করতে শিখেছে। বিএনপি এখন ভয় পায় না। ভয় পায় আওয়ামী লীগ। তাই আমাদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশও সরকার ভয় পায়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বাইরে থাকলে আতঙ্কে থাকে। এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এরা জানে যেকোনো সময় এদের পতন হবে। তাই সর্বক্ষণ তারা ক্ষমতার হারানোর ভয়ে অস্থির থাকে। সভায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জোন-২ এর সমন্বয়ক ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট ফারুকুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, শামসুল হুদা কাজল ও নাদিয়া পাঠান পাপনসহ আরও অনেকে।

বিএনপি নেতারা ট্রমায় ভুগছেন, যা খুশি তাই বলেন: ওবায়দুল

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
সারাদেশ

পুত্রবধূ হত্যা মামলায় র‍্যাবের হাতে শাশুড়ি আটক, পরে মৃত্যু

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র‍্যাবের হেফাজতে সুরাইয়া খাতুন (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে মৃত অবস্থায় তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় র‍্যাব। পুত্রবধূ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে ওই নারী ও তার ছেলে তাইজুল ইসলাম মিলনকে আটক করা হয়। রাতেই ওই নারীকে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে আনা হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় র‍্যাব। মৃত ওই নারী ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এর ১২ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুরতহাল রির্পোট তৈরি করা হয়। তবে আটকের পর ক্যাম্পের ভেতরে র‍্যাবের হেফাজতে সুরাইয়া কীভাবে মারা গেলেন এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেননি র‍্যাব কমান্ডার।ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার মো. ফাহিম ফয়সাল বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসবেন। তারা এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা ময়মনসিংহের নান্দাইল থানা পুলিশের ভেড়ামারি গ্রামের রেখা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার স্বামী তাইজুল ইসলাম মিলন ও শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুনকে আটক করে। আটক দুজনকে র‍্যাব হেফাজতে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে একই উপজেলার ভেড়ামারি গ্রামের কৃষক হাসিম উদ্দিনের মেয়ে রেখা আক্তারের সঙ্গে বরুনাকান্দি গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে তাইজুল ইসলাম লিমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী তাইজুল ইসলাম দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রেখাকে চাপ দিতে থাকেন। এরপর অটোরিকশা কিনতে রেখার পরিবার তার স্বামীকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলেও তিনি অটোরিকশা কেনেননি বলে রেখার পরিবারের অভিযোগ। পরে আরও একলাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে টাকা দিতে অস্বীকার করেন তারা। এরই মধ্যে রেখা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল রাতে রেখাকে যৌতুকের টাকার জন্য তার স্বামী তাইজুল ইসলাম লিমন, শ্বশুর আজিজুল ইসলাম ও তার শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুন অমানবিক নির্যাতন করেন। এরপর রাতেই তাকে আহত অবস্থায় ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার স্বামী ও শাশুড়ি হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে গেলেও শ্বশুর আজিজুল ইসলামকে হাসপাতালের কর্মচারীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এদিন শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার করে রেখা ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু চিকিৎসক বলেন, তার গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। খবর পেয়ে রেখার পরিবারের লোকজন মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে ময়নাতদন্তের পর দাফন করে। থানায় তারা মামলা করতে গেলে পুলিশ অপমৃত্যু মামলা হিসেবে নেয়। এরপর গত ২ মে রেখার মা রমিছা বেগম ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনজনকে (স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি) অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন। আদালতের বিচারক মামলার শুনানি শেষে নান্দাইল থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর করে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ১৩ মে নান্দাইল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন নান্দাইল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান। এরই মধ্যে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নান্দাইল থানায় গিয়ে পুলিশের মাধ্যমে স্বামী তাইজুল ইসলাম ও শ্বশুর আজিজুল ইসলামকে ডেকে আনেন এবং র‍্যাব শাশুড়ি সুরাইয়াকে বাজার থেকে আটক করে আনে। এ সময় শ্বশুরকে ছেড়ে দিয়ে দুজনকে আটক করে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। এরপর শুক্রবার সকালে র‍্যাব মৃত অবস্থায় ভৈরবের হাসাপাতালে সুরাইয়াকে নিয়ে যায়। রেখার স্বামী তাইজুল ইসলাম বর্তমানে র‍্যাবের হাতে আটক। মৃত সুরাইয়া খাতুনের স্বামী আজিজুল ইসলাম ফোনে বলেন, আমার পুত্রবধূ রেখা আক্তার ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তারপরও তার পরিবার মামলা করেছে। আর আমরা সেই মামলা আইনীভাবে কোর্টে লড়াই করছি। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে নান্দাইল থানায় পুলিশ আমাদেরকে ডেকে এনে র‍্যাবের হাতে সুস্থ অবস্থায় আমার স্ত্রী ও ছেলেকে তুলে দিল। আসামিরা যদি থানায় আসে তাহলে পুলিশই গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু তাদের আটক করে র‍্যাব ভৈরব ক্যাম্পে দিল কেন? র‍্যাবের হেফাজতে রাতেই আমার স্ত্রী মারা গেছে। র‍্যাব নির্যাতন করে আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নান্দাইল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বলেন, হত্যা মামলা হওয়ার আগে ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিল। রেখার শ্বশুর আজিজুল মামলাটি করেছিলেন। মূলত অপমৃত্যুর মামলার তদন্তের প্রয়োজনে তাদের থানায় ডাকা হয়েছিল। তারা থানায় এসে পৌঁছাতে পারেননি। এর আগে শহরের নতুন বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় সুরাইয়া র‍্যাবের হাতে আটক হন। আজিজুল তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টায় র‍্যাব সদস্যরা সুরাইয়া খাতুন নামের এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বিনিত দাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিশোরগঞ্জ জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সন্ধ্যা ৭টার দিকে র‍্যাব হেফাজতে থাকা নারী আসামি সুরাইয়া বেগমের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

আমার এলাকার খবর
Advertisement Image
আন্তর্জাতিক

রাইসির মৃত্যুতে ‘গভীরভাবে শোকাহত’ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এরপরই শোক জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে তিনি ‘গভীরভাবে শোকাহত’। সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ইরান এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি বলেছেন, রাইসি ভেনিজুয়েলার ‘নিঃশর্ত বন্ধু’ ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে মাদুরো লিখেছেন, ‘বলিভারিয়ান রিপাবলিক অব ভেনিজুয়েলার পক্ষ থেকে (আপনাকে) আন্তরিক আলিঙ্গন। আপনি ও ইরান মর্যাদা, নৈতিকতা এবং প্রতিরোধের উদাহরণ।’ এদিকে একই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানও। তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ইরানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। আল জাজিরা বলছে, ইরানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ দেশটির প্রেসিডেন্ট রাইসির সাথে তার উত্তরসূরি হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ানের নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এমনকি আমির-আবদুল্লাহিয়ানকে ‘আমার প্রিয় ভাই’ বলে উল্লেখ করেন জারিফ। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় জারিফ লিখেছেন, দুর্ঘটনার এই খবরটি ‘বেদনাদায়ক’। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি শহীদদের জন্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, যারা বেঁচে গেছেন তাদের জন্য শান্তি ও ধৈর্য এবং ইরানের জনগণের জন্য সংহতি ও অগ্রগতি কামনা করছি।’ এর আগে রোববার উত্তর-পশ্চিম ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়। তবে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি। এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছিল, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।প্রসঙ্গত, রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনাটি পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান এবং জোলফা শহরের মধ্যে অবস্থিত ডিজমার জঙ্গলে ঘটেছে বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
অর্থনীতি

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, গহনায় রেকর্ড

ঢাকা: স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে এক দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা।তবে এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৩২ হাজার টাকার ওপরে গুনতে হবে। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের অলঙ্কারের এত দাম আগে কখনো হয়নি। সোমবার (২০ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এদিকে স্বর্ণালঙ্কারের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলেও, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম এর থেকেও বেশি ছিল। দেশের ইতিহাসে এক ভরি স্বর্ণ সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২০ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়। সে সময় এক ভরি স্বর্ণালঙ্কারের সর্বনিম্ন দাম নির্ধারিত হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা। স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি না হলেও, স্বর্ণের অলঙ্কারের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার কারণ মজুরি। আগে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হতো ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। কিন্তু এই নিয়ম পরিবর্তন করে গত ১৪ মে ভরি প্রতি ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। এতেই নতুন দামে স্বর্ণের অলঙ্কারের ক্ষেত্রে ভরি প্রতি ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে ৭ হাজার ১০৮ টাকা। অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হবে ন্যূনতম ৬ শতাংশ। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা গুনতে হবে। এত দামে এর আগে দেশের বাজারে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি হয়নি। রোববার (১৯ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা সোমবার (২০ মে) থেকে কার্যকর হবে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৪ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৮৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরআগে গত (১৯ মে) সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৩১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৯৩ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তার আগে গত ১২ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৩৮ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

Advertisement Image
খেলাধুলা

মেসির ফেরার ম্যাচে ইন্টার মায়ামির জয়

ইনজুরি কাটিয়ে ফিরলেন লিওনেল মেসি। এমন ম্যাচে জয়ও পেল ইন্টার মায়ামি। তবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নন, জয়ের নায়ক বদলি নামা লিওনার্দো কাম্পানা। মেজর লিগ সকারের ম্যাচে আজ মেসির দল ১-০ গোলে হারিয়েছে ডিসি ইউনাইটেডকে। ইনজুরির কারণে গত বুধবার ওরলান্ডোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের ম্যাচে মাঠে নামেননি মেসি। ডিসির বিপক্ষে অবশ্য শুরুর একাদশেই ছিলেন তিনি। কিন্তু দলের সেরা তারকা ফিরলেও আক্রমণভাগের দুর্বলতা বেশ ভুগিয়েছে ইন্টার মায়ামিকে। মেসির পাশাপাশি সুযোগ তৈরি করতে পারেননি তার প্রিয় বন্ধু ও উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেসও। বরং তার কারণে একাদশে জায়গা হারানো কাম্পানা বেঞ্চ থেকে নেমেই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। ইকুয়েডরের স্ট্রাইকার কাম্পানা মাঠে নামেন স্টপেজ টাইমের তৃতীয় মিনিটে এবং প্রথম ছোঁয়ায় পেয়ে যান গোলের দেখা। ডিসির ব্যাকলাইন ধরে দৌড় শুরু করেছিলেন কাম্পানা। তার দিকে উঁচু করে পাস দেন সাবেক বার্সা ডিফেন্ডার সের্হিও বুসকেতস। যা ধরে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন কাম্পানা। ইন্টার মায়ামি জিতলেও ম্যাচে আধিপত্য ছিল ডিসি ইউনাইটেডের। বিশেষ করে মেসিকে বেশ ভালোভাবেই আটকে রেখেছিল তারা। পুরো ম্যাচে মাত্র দুইবার ফ্রি-কিক নেওয়া ছাড়া আক্রমণে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে তার একটি শট অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে যায়। ওই পর্যন্তই। কিন্তু কাম্পানার শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছে তার দল। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে নয় ম্যাচ জিতলো ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে থাকা ইন্টার মায়ামি। গত মৌসুমে সবমিলিয়েই নয় ম্যাচ জিতেছিল তারা। আর এবার ১৫ ম্যাচেই সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেললো দলটি। তাছাড়া এ মৌসুমে টানা ৯ ম্যাচ ধরে অপরাজিত রয়েছে তাতা মার্তিনোর দল। ১৫ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা সিনসিনাটি ১৪ ম্যাচে তুলেছে ৩০ পয়েন্ট।

Advertisement Image
বিনোদন

মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে জনপ্রিয় শিল্পী প্রবীন

ভারতের তামিল ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় সুরকার প্রবীন কুমার আর নেই। মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এ শিল্পী। দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার প্রবীনের মৃত্যু হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সুরকার প্রবীন কুমার। এরপর বুধবার (১ মে) বিকেলে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবীনের মৃত্যুর খবরে শোকে স্তব্ধ তামিল ইন্ডাস্ট্রি। উদীয়মান এ সঙ্গীত শিল্পীর অকাল প্রয়াণে সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকেই। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image