দিনাজপুরে জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ১২
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:১২ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৩
দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে ফিল্ড ওয়ার্কে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
রবিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নে অবস্থিত ‘স্বপ্নপুরী’ পার্কে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর মাথা ফেটেছে ও এক শিক্ষার্থীর পা ভেঙেছে। আহতদের দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পার্কে রাইড চলাকালীন সময় জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ব্যাগ রেখে চলে আসে। পরে সেই ব্যাগটি ফেরত আনতে গেলে সেখানে কর্মরত স্টাফরা ওই নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ ও অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে ওই নারী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে স্টাফরা জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা, রড নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শ্রেয়সী শিকদার বলেন, আমরা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগের ফিল্ডওয়ার্কের কাজে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে আসি। সেখানে রাইডে কর্মরত এক ছেলে আমাদের এক বান্ধবীকে টিজ করলে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা পার্কের স্টাফদের সঙ্গে নিয়ে জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা, রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের নিয়ে আমরা এখন দিনাজপুর মেডিকেলে আছি।
ঘটনাস্থল থেকে উপস্থিত ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করলে তাদের (স্টাফ) সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অতর্কিতভাবে তারা রড ও লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আঘাত করে। আমাদের ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। দুইজন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটেছে ও তার মধ্যে একজনের হাতও ভেঙেছে। আহত শিক্ষার্থীদের আমরা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছি।
এ বিষয়ে স্বপ্নপুরী পার্কের স্বত্বাধিকারী ও দিনাজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন বলেন, এক শিক্ষার্থী ব্যাগ রেখে চলে যায়। পরে আরেক শিক্ষার্থী ফেরত নিতে এলে স্টাফরা ব্যাগের প্রকৃত মালিককে ডাকতে বলেন। পরে তিনি এসে ব্যাগ ফেরত নেন। কিন্তু আগেরজনকে কেনো ব্যাগ ফেরত দেওয়া হলো না এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ঝামেলা তৈরি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, আমি বিষয়টি শুনার পরেই দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ সাতজন স্টাফকে আটক করে রেখেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, মামলার কাজ চলছে। অভিযুক্তরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে।
ঢাকাওয়াচ/স