বৃষ্টিতে ভিজেই ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:৪০ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৪
শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যা করার প্রতিবাদে ও ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কয়েকশ’ শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
শুক্রবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের এই গণমিছিল শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের গণমিছিলটি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে শুরু হয়ে রামপুরা ব্রিজ ঘুরে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে যায়। পরে গণমিছিলটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে আবারও রামপুরা ব্রিজ হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পুলিশের ২৫-৩০ জনের একটি দলকে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলের সঙ্গে সঙ্গে চলতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গণমিছিলের সামনে ও পেছনে অবস্থান নিয়ে চলতে থাকে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা এসেছেন। যেন কোনো দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে।
তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়, তারা কোনো ধরনের পুলিশি নিরাপত্তা চান না। শিক্ষার্থীরা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কেন এখানে এসেছেন? আপনারা এখান থেকে চলে যান।
শিক্ষার্থীরা গণমিছিলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা স্লোগানে বলেন, ‘আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাইরে’, ‘পা চাটলে সঙ্গী না চাটলে জঙ্গি’ ও ‘আবু সাঈদ মরল কেন প্রশাসন জবাব দে’।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হন। এ সময় তারা ইস্ট ওয়েস্টের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নানা রকম স্লোগান ও বক্তব্য দেন। তারা ৩-৪টি গান পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
সমাবেশ চলাকালে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
দেশে অস্থির পরিবেশের মধ্যে সারা দেশে শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদে ও ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের আমরা আমাদের আজকের কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে সারা দেশের মানুষ যোগ দিয়েছে। যত দিন না আমাদের দাবি মানা হবে এবং শিক্ষার্থী জনতাকে হয়রানি বন্ধ করা হবে, ততোদিন আমরা রাজপথে থাকব। নামাজের পর আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য দোয়া করা হবে।