ত্রাণের টাকা নিয়ে দুই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৪৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪
কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ওসমান গনি ছাত্রাবাস ও ওয়াসিমুদ্দিন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় এই সংঘর্ষ হয়। কলেজশিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল, সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওয়াসিমুদ্দিন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা জানায়, বন্যার্তদের মাঝে কলেজের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের জন্য তহবিল গঠন করা হয়। তহবিলের টাকা ওয়াসিমুদ্দীন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা দিনরাত পরিশ্রম করে সংগ্রহ করে।
রবিবার রাত ১০টায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই হলের শিক্ষার্থীদের একটি সভা হয়। পরে ওসমান গনি ছাত্রাবাসের বিদায়ী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী নাসিম, তুষার, হিরণ, অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মইন, ফয়সাল ও শফিকের নেতৃত্বে বহিরাগত কয়েকজন ওয়াসিমুদ্দিন হলে গিয়ে ত্রাণের টাকা জোর করে নিয়ে আসে।
ত্রাণের টাকা তারাই সংগ্রহ করেছে দাবি করে কলেজের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে দেয়। এ নিয়ে ওয়াসিমুদ্দীন ছাত্রাবাসের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে হলে ডেকে নিয়ে মারধর করে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী হলে ফিরে গিয়ে সহপাঠীদের জানালে দুটি হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা পরে সংঘর্ষ ও ইট–পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। দুই ঘণ্টা এই সংঘর্ষ চলে।
এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন থেকে চারজন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া আহত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
ওয়াসিমুদ্দীন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেন, ওসমান গনি হলের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নাসিম তুষার, হিরণ, শফিক, মঈন, ফয়সাল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময়ে বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের হলে আশ্রয় দেয়। অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ হলের পরিবেশ নষ্ট করে আসছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রশাসন ও ছাত্রাবাস প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ. ন. ম. মুশতাকুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারনামা দিয়ে আগে তাদের ছাড়িয়ে আনব। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সিট বাতিল করা হবে।
ত্রাণের টাকা তারাই সংগ্রহ করেছে দাবি করে কলেজের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে দেয়। এ নিয়ে ওয়াসিমুদ্দীন ছাত্রাবাসের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে হলে ডেকে নিয়ে মারধর করে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী হলে ফিরে গিয়ে সহপাঠীদের জানালে দুটি হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা পরে সংঘর্ষ ও ইট–পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। দুই ঘণ্টা এই সংঘর্ষ চলে।
এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন থেকে চারজন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া আহত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
ওয়াসিমুদ্দীন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেন, ওসমান গনি হলের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নাসিম তুষার, হিরণ, শফিক, মঈন, ফয়সাল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময়ে বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের হলে আশ্রয় দেয়। অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ হলের পরিবেশ নষ্ট করে আসছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রশাসন ও ছাত্রাবাস প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ. ন. ম. মুশতাকুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারনামা দিয়ে আগে তাদের ছাড়িয়ে আনব। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সিট বাতিল করা হবে।