সাত কলেজ নিয়ে এবার ঢাবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:৩৬ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা যখন ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে তখন এসব কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে তারা অসহযোগ আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারি দেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে 'মেয়েদের জন্য হল নির্মাণ এবং সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে’ অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এই আলটিমেটাম দেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে 'মেয়েদের জন্য হল নির্মাণ এবং সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে’ অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এই আলটিমেটাম দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের বোঝা বহন করতে গিয়ে পড়াশোনা এবং র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। সাত কলেজের দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর বোঝা বহনের কোনো সক্ষমতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। সাধ্যের বাইরের এই বোঝা কাঁধে নেওয়ার ফলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য জায়গা পায় না। কিন্তু সাত কলেজের জন্য ঠিকই আলাদা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আমরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আব্বাসউদ্দীন বলেন, ‘সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করলে প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিস, লাইব্রেরি এবং ফ্যাকাল্টিতে তালা ঝুলাব।’
ঢাবির বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ বলেন, ‘হলে উঠে দুই বছর গণরুমে থেকেছি। এরপর বৈধ সিট পেয়েছি। মাস্টার্সের কিছু শিক্ষার্থী এখনো গণরুমে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের নতুন হল বানাতে পারছে না। তাদের বাজেট নেই। কিন্তু সাত কলেজের জন্য কীভাবে নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করবে?’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিল চাই। ঢাবিতে একটি নতুন ইটও গাঁথা হলে সেটা হবে মেয়েদের হলের জন্য। অন্যকিছুর জন্য কখনোই না।’