বাকৃবিতে খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সেমিনার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্যোগ হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন বিষয়ক ‘আগাম সতর্ক সংকেত’ ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের আয়োজনে এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ‘বাংলাদেশে কৃষি স্থিতিস্থাপকতা ও খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে শিক্ষা ও গবেষণার ভূমিকা: একীভূত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বাকৃবির এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, স্মার্ট এগ্রিকালচার প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. সহিদুজ্জামান এবং কৃষি অনুষদের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
সেমিনারটির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. মাহমুদুল ইসলাম এবং মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান।
এ সময় বাকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রতিটি মুহূর্তে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনুভব করছি। এসব সমস্যা মোকাবেলায় এগ্রোমেটিওরোলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষা এবং গবেষণার জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যাভাব দূরীকরণে কৃষক ও কৃষিবিদদের অবদান অপরিসীম। তবে আবাদি জমি কমে যাওয়া, সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব, এবং মৃত্তিকার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃষিখাতের উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। এ সমস্যা সমাধানে কৃষি গবেষণার প্রসার, বাজেট প্রণয়ন এবং তার সঠিক ব্যবহার জরুরি।