২৮টি ছাত্র সংগঠনের সভা: যে কারণে ডাকা হয়নি শিবির ও বৈষম্যবিরোধীদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৪০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাবি: দেশের চলমান ইস্যু, ভারতীয় আগ্রাসন ও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতিসহ একাধিক বিষয়ে মতবিনিময় করেছে ২৮টি ছাত্র সংগঠন। তবে এই সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরকে রাখা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাঁটাবনের সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকটি আয়োজিত হয়।
বৈঠকে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে থাকার বিষয়ে সংগঠনগুলো ঐক্যমতে পৌঁছেছে।
এছাড়া ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি রাখা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় রাজনীতির হালচাল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমম্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের কথা বলেছি।
আমরা মনে করছি ছাত্র সংসদ না থাকার কারণে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরছে না। যে গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথা আমরা বাংলাদেশের জন্য বলছি, তা যদি ক্যাম্পাসগুলোতে নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে গণঅভ্যুত্থান সঠিক পথে যাবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে আমরা সব ছাত্র সংগঠন ছিলাম। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অঙ্গীকার করেছিল, সকল ছাত্র সংগঠনগুলোর পরামর্শ নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নেব। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা থেকে সরে গেছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য হয়েছিল, সেখানে এক ধরনের ফাটল ধরেছে। এই ফাটল যে ধরল, তার দায় কোনোভাবেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এড়াতে পারে না।
ছাত্রশিবিরকে না রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের বিষয়ে কোনো আপত্তি ছিল না। যেসব ছাত্রসংগঠন আলাপ-আলোচনার করে বসতে চেয়েছি, তারাই এসেছি। ব্যাপারটা এইরকম না যে ওনাদের নিয়ে আপত্তি আছে। কারণ যারা আলোচনায় এসেছে, তাদের বাইরেও অনেক ছাত্র সংগঠন আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে প্রত্যেকের মধ্যে একটা কমননেসের ভিত্তিতে বসেছি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, বর্তমান ক্যাম্পাস রাজনীতি, ভারতের ইস্যু, জাতীয় রাজনীতিসহ সব ইস্যু নিয়ে একটি রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে ছাত্র সংগঠনের সাথে বসেছি। উদ্দেশ্য ছিল জুলাই-আগস্টের পর নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ঝালাই করে নেওয়া। এর আগেও আমরা ছোট পরিসরে বসেছিলাম। তবে এবার বড় পরিসরে বসলাম।
এর আগে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বৈঠকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায় ছাত্র সংগঠনগুলো। সেখানে ছাত্রশিবির অংশ নিলেও ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো অংশ নেয়নি।
তবে নাছির মনে করছেন দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিলে তা কার্যকর হবে না। বৈঠকে তারা সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাননি।
নাছির বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি মত দিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরাও একটা মত দিয়েছি যে, তাড়াহুড়ো করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিলে তা কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তুলনামূলক বিচার করার সুযোগ পায়নি। কারা শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু কাজ করতে পারবে, কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে, এ পরিস্থিতিটি বোঝার জন্য যে পরিবেশ, তা তারা পায়নি। ফলে আমরা মনে করি, এখন যেহেতু ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক সময়। ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের বোঝার সময় দিতে হবে। কোন ছাত্রসংগঠন ভালো কোনটা মন্দ, সে সময়টুকু নিশ্চিত করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়ার কথা আমরা বলেছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মতামতও দেখতে হবে।
তবে কতদিন সময় দেওয়া প্রয়োজন এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি তিনি।
ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে আহ্বান না করার বিষয়ে নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে বসব। এখন যেহেতু তারা রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন না। পরে বসব। আজ যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভর, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছে, যাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির ঐতিহ্য রয়েছে, আমরা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও সামনে আহ্বান করা হবে। ছাত্রশিবিরের বিষয়ে অনেকের আপত্তি ছিল। সেকারণে তাদেরকে আমরা এ পর্বে আমন্ত্রণ জানাইনি।
এ দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ২৮টি ছাত্র সংগঠন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতৃবৃন্দ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে হাজারো জনতার রক্তের ওপর যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিলো গোষ্ঠীগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহারের কারণে তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা এই জাতীয় ঐক্যে যদি ভাঙনের সৃষ্টি হয় তার দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বরা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্রসমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (প্রধান) বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাষানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাঁটাবনের সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকটি আয়োজিত হয়।
বৈঠকে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে থাকার বিষয়ে সংগঠনগুলো ঐক্যমতে পৌঁছেছে।
এছাড়া ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি রাখা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় রাজনীতির হালচাল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমম্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের কথা বলেছি।
আমরা মনে করছি ছাত্র সংসদ না থাকার কারণে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরছে না। যে গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথা আমরা বাংলাদেশের জন্য বলছি, তা যদি ক্যাম্পাসগুলোতে নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে গণঅভ্যুত্থান সঠিক পথে যাবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে আমরা সব ছাত্র সংগঠন ছিলাম। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অঙ্গীকার করেছিল, সকল ছাত্র সংগঠনগুলোর পরামর্শ নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নেব। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা থেকে সরে গেছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য হয়েছিল, সেখানে এক ধরনের ফাটল ধরেছে। এই ফাটল যে ধরল, তার দায় কোনোভাবেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এড়াতে পারে না।
ছাত্রশিবিরকে না রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের বিষয়ে কোনো আপত্তি ছিল না। যেসব ছাত্রসংগঠন আলাপ-আলোচনার করে বসতে চেয়েছি, তারাই এসেছি। ব্যাপারটা এইরকম না যে ওনাদের নিয়ে আপত্তি আছে। কারণ যারা আলোচনায় এসেছে, তাদের বাইরেও অনেক ছাত্র সংগঠন আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে প্রত্যেকের মধ্যে একটা কমননেসের ভিত্তিতে বসেছি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, বর্তমান ক্যাম্পাস রাজনীতি, ভারতের ইস্যু, জাতীয় রাজনীতিসহ সব ইস্যু নিয়ে একটি রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে ছাত্র সংগঠনের সাথে বসেছি। উদ্দেশ্য ছিল জুলাই-আগস্টের পর নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ঝালাই করে নেওয়া। এর আগেও আমরা ছোট পরিসরে বসেছিলাম। তবে এবার বড় পরিসরে বসলাম।
এর আগে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বৈঠকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায় ছাত্র সংগঠনগুলো। সেখানে ছাত্রশিবির অংশ নিলেও ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো অংশ নেয়নি।
তবে নাছির মনে করছেন দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিলে তা কার্যকর হবে না। বৈঠকে তারা সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাননি।
নাছির বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি মত দিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরাও একটা মত দিয়েছি যে, তাড়াহুড়ো করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিলে তা কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তুলনামূলক বিচার করার সুযোগ পায়নি। কারা শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু কাজ করতে পারবে, কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে, এ পরিস্থিতিটি বোঝার জন্য যে পরিবেশ, তা তারা পায়নি। ফলে আমরা মনে করি, এখন যেহেতু ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক সময়। ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের বোঝার সময় দিতে হবে। কোন ছাত্রসংগঠন ভালো কোনটা মন্দ, সে সময়টুকু নিশ্চিত করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়ার কথা আমরা বলেছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মতামতও দেখতে হবে।
তবে কতদিন সময় দেওয়া প্রয়োজন এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি তিনি।
ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে আহ্বান না করার বিষয়ে নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে বসব। এখন যেহেতু তারা রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন না। পরে বসব। আজ যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভর, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছে, যাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির ঐতিহ্য রয়েছে, আমরা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও সামনে আহ্বান করা হবে। ছাত্রশিবিরের বিষয়ে অনেকের আপত্তি ছিল। সেকারণে তাদেরকে আমরা এ পর্বে আমন্ত্রণ জানাইনি।
এ দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ২৮টি ছাত্র সংগঠন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতৃবৃন্দ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে হাজারো জনতার রক্তের ওপর যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিলো গোষ্ঠীগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহারের কারণে তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা এই জাতীয় ঐক্যে যদি ভাঙনের সৃষ্টি হয় তার দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বরা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্রসমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (প্রধান) বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাষানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।