হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে ১৫ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:০১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশে ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫টির নাম ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে। এর মধ্যে দুইটি তার নিজের নামে। পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১১টি, আর মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে আছে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বলছে, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে নাম পরিবর্তন হতে পারে।
শিক্ষা কিংবা গবেষণার মান বাড়ুক বা না বাড়ুক, সংখ্যার খাতিরে বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই হয়েছে ৫৫টি। যার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগের নামকরণ হয় শেখ পরিবারের নামেই। যা প্রতিষ্ঠা হয় বিগত সরকারের সময়ে।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরণে আছে রকমফের। যেমন- সাধারণ, মেডিকেল, মেরিটাইম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস, কৃষি, ডিজিটাল- এই সাত ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়। এর ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে জামালপুর ও সিলেটে আছে আরও দুইটি। আর কন্যা শেখ হাসিনার নামে নেত্রকোণা ও খুলনায় আছে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়।
গেল ৫ আগস্টের পর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই দেখা যায় নামফলক থেকে মুছে ফেলা হয়েছে শেখ পরিবারের চিহ্ন। গাজীপুরের দুইটি, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, সিলেটে একই চিত্র। তবে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকে শব্দ মুছে ফেললেই নাম পরিবর্তন হয় না। সাধারণত ইউজিসিতে আবেদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সংসদে বিল আকারে পাশ হতে হয়।
কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সরকারির সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকারের সব সিদ্ধান্তই আমরা অনুসরণ করে থাকি। নাম পরিবর্তনে সরকার কোন সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তা অনুসরণ করব।’
ইউজিসি বলছে, ‘সব অংশীজন উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে হতে পারে নাম পরিবর্তন।’
ইউজিসির চেয়ারম্যান এসএমএ ফায়েজ বলেন, ‘অনেকই আমাদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। সরকার যদি আমাদের কাছে মতামত চায়, আমরা তখন অবশ্যই মতামত দেব। এটি বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে যেহেতু হয়েছে, তাই সরকারই এটি দেখাশোনা করবে। সরকার সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নেয় বলে আমরা বিশ্বাস করি।’