কমলগঞ্জে সহকারী শিক্ষক পদে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি
- মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:২৬ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৪
“শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারন করতে হবে।” প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী আদায়ের লক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
বুধবার (২অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মুখে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ থেকে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানিয়েছে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নিবার্হী অফিসার জয়নাল আবেদীন এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন বক্তারা জানান, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই দশ বছরে দ্রব্যমূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা বাজারমূল্য বহন করতে দিশেহারা। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস পেলেও তা আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি।
তারা আরও বলেন, ২০১৫ সালের পে-স্কেলে ২০টি গ্রেডে বেতন নির্ধারিত হয়েছিল। যার ২০ থেকে ১১তম গ্রেড পর্যন্ত গ্রেডের ব্যবধান নির্ধারিত হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। অথচ দশম থেকে প্রথম গ্রেডের ব্যবধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার ফলে ১৩তম গ্রেডধারী সহকারী শিক্ষক এবং ১১তম গ্রেডধারী প্রধান শিক্ষকের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, মিজানুল হক স্বপন, সালাহ উদ্দিন খালেদ, সাজ্জাদুল হক স্বপন, এ কে এম জয়নুল আবেদীন, নজরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান, কামরুননাহার কেয়া, মল্লিকা দেবী, আলমগীর হোসেন, রানা সিনহা সহ শতাধিক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।