হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুরে পানিবন্দি ৩৩ হাজার পরিবার
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৩:৪৯ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ৩৩ হাজার পরিবার। এই অবস্থায় দুর্গতদের উদ্ধারকাজের পাশাপাশি চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোর মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ভূবনকূড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধূরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে। এতে এই উপজেলায় বতর্মানে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ।
একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার। এই উপজেলার মোট ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গামারীতলা, ঘোঁষগাঁও ও দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে কমেছে বন্যার পানি। তবে এই উপজেলা সদর, গোয়াতলা, পোড়াকানদলিয়া ও বাগবেড়সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন।
এদিকে ফুলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম জানান, সিংহেশ্বর, ছনধরা ও সদর ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি ভাটির দিকে নেমে আসায় বর্তমানে ফুলপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৫ হাজার একশ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭ হাজার।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোর মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ভূবনকূড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধূরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে। এতে এই উপজেলায় বতর্মানে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ।
একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার। এই উপজেলার মোট ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গামারীতলা, ঘোঁষগাঁও ও দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে কমেছে বন্যার পানি। তবে এই উপজেলা সদর, গোয়াতলা, পোড়াকানদলিয়া ও বাগবেড়সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন।
এদিকে ফুলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম জানান, সিংহেশ্বর, ছনধরা ও সদর ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি ভাটির দিকে নেমে আসায় বর্তমানে ফুলপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৫ হাজার একশ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭ হাজার।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজের পাশাপাশি চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। এসব এলাকায় ইতিমধ্যে ৬৩ মেট্রিক টন চাল, ৭ লাখ নগদ টাকা এবং দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে বন্যার কারণে মৎস্যখাতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ৭ হাজার ৮০ জন মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে ২১৭ লাখ, ভেসে গেছে ৫ হাজার ৬২৪ লাখ টাকার মাছ ও ১৪৯ লাখ টাকার রেনু পোনা।
জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে ধোবাউড়া উপজেলায় ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। হালুয়াঘাটে তলিয়ে গেছে ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান এবং ৭৫ হেক্টর সবজি খেত। একই অবস্থা ফুলপুরেও। এই উপজেলায় ৩ হাজার ৬৩০ হেক্টর ধান এবং ৬২ হেক্টর সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।