পাবনায় ছাত্রদলের হামলায় যুবদলের তিন নেতা আহত
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:৫০ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব লিখন সরকার ও তাঁর সমর্থকদের হামলায় যুবদলের তিন নেতা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া গ্রামের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত তিনজন হলেন– খানমরিচ ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), সদস্য সচিব হাসেম মোল্লা (৩৫) ও মণ্ডতোষ ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. মাসুদ রানা (৪৩)।
আহত যুবদল নেতারা বলেন, বৃহস্পতিবার লিখন সরকারের ভাই সজীব সরকার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নওগাঁ হাটে গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় ময়দানদীঘি বাজারে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতারা সজীবকে মারধর করে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেন। এর জেরে লিখন সরকার শনিবার সকালে ময়দানদীঘি বাজারে রতন নামে বিএনপির এক নেতাকে মারধর করতে যান।
বিষয়টি টের পেয়ে রতন পালিয়ে যান। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে শনিবার রাতে খানমরিচ ইউনিয়ন থেকে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান খোকনের নেতৃত্বে অন্যরা থানায় আসার পথে নৌবাড়িয়ায় তাদের বাধা দেন লিখন ও তাঁর সমর্থকরা। খবর পেয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিনুর রহমান শাহিন ও মণ্ডতোষ ইউনিয়নের আহ্বায়ক মাসুদ রানা সেখানে যান।
এ সময় লিখন ও তাঁর লোকজন খানমরিচ ইউনিয়নের নেতাদের ওপর হামলা চালালে তারা আহত হন। শাহিন ও মাসুদ বাধা দিলে তারাও আহত হন। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিনুর রহমান শাহিনের ভাষ্য, লিখন সরকার তাঁর ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সিনিয়র নেতাদের হামলা চালিয়ে আহত করেছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব লিখন সরকার বলেন, ‘আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।’
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আহত নেতাদের হাসপাতালে দেখে এসেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।