মদনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৩


October 2/thumbnail_Detain_3_Youth_With_Arms_20241106_162136187.jpg

নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন ইউনিয়নের কদমতলী এলাকা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্রসহ তিন যুবককে আটক করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার কুলিয়াটি গ্রামের কামরুল ইসলাম (২২), মদন দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছোটন মিয়া (২০) ও দীপু (২৫)।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদ্ধার করা অস্ত্রটিকে রাইফেল দাবি করেছে সেনাবাহিনী। অভিযুক্তরা মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সেনাবাহিনী। পরে আইনি ব্যবস্থা নিতে তাদের মদন থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরণ নিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রকে রাইফেল বলছে সেনাবাহিনী। এদিকে ওই অস্ত্রকে এয়ারগান বলছে পুলিশ। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার পার হলেও দুই দুই বাহিনীই তাদের নিজেদের দাবিতে অটল রয়েছেন।

তবে ওই অস্ত্রসহ আটক তিন যুবককে মামলা না দিয়ে প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এসময়ই তারা মুক্তি পায়।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মদন সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ইমামুন নূর গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে জানান, মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার মদন ইউনিয়নের কদমতলী এলাকা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্রসহ তিন যুবককে আটক করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী।

উদ্ধার করা অস্ত্রটিকে রাইফেল দাবি করে সেনাবাহিনী। অভিযুক্তরা মদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সেনাবাহিনী। পরে আইনি ব্যবস্থা নিতে তাদের মদন থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তবে পুলিশ ওই অস্ত্রকে পাখি শিকারের এয়ারগান উল্লেখ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে প্রসিকিউশন দিয়ে ওইদিন দুপুরে আদালতে পাঠায়। আদালতে হাজির হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তি পায় অভিযুক্তরা।

এ বিষয়ে বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মদন সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন  ইমামুন নূর বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্রটি রাইফেল ছিল। গতকাল এটিকে রাইফলে উল্লেখ করে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটাই সঠিক। আমাদের বক্তব্য বদলাবে না। এটিকে মোটিভেটেড করে রাইফেলে রূপান্তরিত করেছে অভিযুক্তরা।

পুলিশ এয়ারগান দেখিয়ে মামলার পরিবর্তে প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বলে তিনি বলেন, পুলিশ বিষয়টি যাচাই করার জন্য সময় নিয়েছে। পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

এ বিষয়ে মদন থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশ কুমার দে বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্রটি এয়ারগান ছিল। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই। সেনাবাহিনী বুঝতে ভুল করেছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।  প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Your Image ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×