চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোলের হার কমানোর প্রস্তাব
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:০১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে টোলের হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা। তবে, প্রস্তাবে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়ার কথা হলেও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এর বিপক্ষে প্রকল্প পরিচালক।
চলতি বছরের শুরুতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় যে টোল হার নির্ধারণ করেছিল তা বেশি উল্লেখ করে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা হয়েছিল। সে কারণে নতুনভাবে টোল হার নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।
জিইসি, সিআরবি ও আগ্রাবাদ থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে সিইপিজেড, সিমেন্ট ক্রসিং, কেইপিজেড, সি-বিচে নামা গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ৩০ টাকা, অটোরিকশা তিন চাকা ৩০ টাকা, প্রাইভেটকার ৮০ টাকা, জিপ ১০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ২০০ টাকা, বাস ২৮০ টাকা, ট্রাক চার চাকা ২০০ টাকা, ট্রাক ছয় চাকা ৩০০ টাকা, কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা ও ট্রেইলার ৪৫০ টাকা। তবে, ট্রেইলারে টোল নির্ধারণ করা হলেও চলাচলের অনুমতি এখনো দেয়া হয়নি।
এছাড়া, সি-বিচ, কেইপিজেড ও সিইপিজেড থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে নিমতলা, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস ও লালখানবাজারে নামা গাড়িগুলোর টোলহার মোটরসাইকেল ৩০ টাকা, অটো তিন চাকা ৩০ টাকা, প্রাইভেটকার ৮০ টাকা, জিপ ১০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ২০০ টাকা, বাস ২৮০ টাকা, ট্রাক চার চাকা ২০০ টাকা, ট্রাক ছয় চাকা ৩০০ টাকা ও কাভার্ডভ্যান ৪৫০ টাকা।
অন্য দিকে, সিটির জিইসি ও টাইগারপাস থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে আগ্রাবাদ ও ফকিরহাটে নামা গাড়িগুলোর টোল মোটরসাইকেল ৩০ টাকা, সিএনজি ও অটো ২০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫০ টাকা, জিপ ৭০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, পিকআপ ১৩০ টাকা, মিনিবাস ১৮০ টাকা, বাস ২৫০ টাকা, ট্রাক চার চাকা ১৮০ টাকা, ট্রাক ছয় চাকা ৩০০ টাকা ও কাভার্ডভ্যান ৪৫০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘মোটরসাইকেল এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন ছিল না। এ দুইটাকে আমরা এখন অন্তর্ভুক্ত করেছি, যাতে সব স্তরের মানুষ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নিয়ে শহর থেকে এয়ারপোর্ট ও এয়ারপোর্ট থেকে সিটির মধ্যে আসতে পারে।’
নিরাপত্তা ও গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাইওয়ান থেকে ক্যামেরা অর্ডার দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে আমরা ক্যামেরা এনে লাগিয়ে দিতে পারব। পুলিশ কমিশনারের অফিসে আমরা সেটি সেটআপ করে দেব। এসব ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছেও থাকবে, পুলিশ কমিশনার অফিসেও থাকবে। সেক্ষেত্রে গতি নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হবে। এতে ছিনতাইয়ের ঘটনাও কমবে।’
এ দিকে, সব ধরনের যানবাহনের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত করা হলে নামের বৈশিষ্ট্য হারাবে বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সহনীয় পর্যায়ে বা সহনীয় পর্যায়ের একটু বেশি টোলটা থাকা প্রয়োজন, যেন এটি ফের সর্বজনীন না হয়ে ওঠে। আর একইভাবে এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি সব ধরনের যানবাহনের জন্য যদি উন্মুক্ত করা হয়, তাহলে তার নামের যে বৈশিষ্ট্য সেটি হারাবে।’