২০ বছর আত্মগোপনের পর চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক গ্রেফতার
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:৫৭ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
দুই দশক ধরে আত্মগোপনে থাকা চট্টগ্রামের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ আজিজুল হককে (৫১) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম সিটির কোতোয়ালী থানার লালদিঘীরপাড় হোটেল সোনালীর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজিজুল হক চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের উত্তর হিঙ্গলা গ্রামের বাসিন্দা। ২২ বছর আগে রাউজানে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার আসামি তিনি।
র্যাব-৭’-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজিজুল হকের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় হত্যা, অস্ত্র, অপহরণ, চুরি ও ডাকাতির অভিযোগে ১২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, একাধিক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। প্রায় ২২ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকার কথা আজিজুল হক স্বীকার করেছে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এড়াতে চট্টগ্রাম জেলা ও সিটির বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করে ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ আজিজুল হক। দুই যুগ আগে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০০২ সালের ১১ এপ্রিল রাউজান উপজেলার হিঙ্গলা বৌদ্ধ আশ্রমের পরিচালক জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষুকে তার কক্ষে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। বৌদ্ধভিক্ষু খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি আজিজুল হক। এই ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
২০০৪ সালে সেনাবাহিনীর পরিচালিত ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অল্প দিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যান। প্রায় ২০ বছর বিদেশে পালিয়ে ছিলেন তিনি। গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে আসেন তিনি। এলাকায় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। গেল ৩০ সেপ্টেম্বর ওমান প্রবাসী ইয়াসিন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।