ফতুল্লায় স্কুলছাত্রকে খুন করে নয় টুকরো, ধরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:০৩ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমনকে খুনের পর নয় টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ ও র্যাব-৭।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-১১’র সিপিসি-১’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এর আগে, রোববার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা এলাকায় র্যাব-১১ ও র্যাব-৭’র যৌথ অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আহম্মদ আলী (৬৬) ও সেন্টু মিয়া (৩৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হোসনা বেগম (৫৮)।
র্যাব জানায়, ২০১৩ সালের ১৬ জুন স্কুলছাত্র মো. ইমন হোসেন (১৪) তার দাদার সঙ্গে নিজ বাড়িতে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। রাত সাড়ে আটটায় এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ভিকটিমকে কৌশলে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ভিকটিমের বাবা পরের দিন থেকে আশপাশের এলাকাতে বহু খোঁজাখুঁজির পরও ভিকটিমকে খুঁজে পায়নি। ২০১৩ সালের ২২ জুন ভিকটিমের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম পাশে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে ভিকটিম ইমনের নয় টুকরো গলিত লাশ পাওয়া যায়।
আসামিদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কলহ চলছিল। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে ঘটনার আনুমানিক দেড় বছর আগে পারিবারিক কলহের জেরে আসামিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে মারামারি হয়। ওই মারামারিতে মামলার আসামি আহম্মদ আলী আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হলেও আসামিদের ভিকটিমের পরিবারের ওপর আক্রোশ থেকে যায়।
এ শত্রুতার জেরে আসামিরা ২০১৩ সালের ১৬ জুন ভিকটিম মো. ইমন হোসেনকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ টুকরা টুকরা করে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তী ভিকটিমের বাবা লোক মারফত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় নিহত ইমনের পিতা বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম ছাবিনা ইয়াছমিন স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলার চারজনের মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে এ মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।