প্রথম বারের মত ট্রাভেল পাসে সেন্টমার্টিন গেলেন ৬৫৩ পর্যটক


30 November/Travel Pass Saintmartin.jpg

বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে দেশে প্রথম বারের মত ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে ৬৫৩ জন পর্যটক নিয়ে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন গেছে এমভি বার আউলিয়া।

Your Image

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি ছেড়ে যায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ওই দিন কেয়ারী সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা থাকলেও পর্যটক সংকটের কারণে যাত্রা বাতিল করে।

এমভি বার আউলিয়ার পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘রোববার (১ ডিসেম্বর) তিনটি জাহাজ ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও ছেড়েছে কেবল এমভি বার আউলিয়া। জাহাজটিতে ৮৫০ জন যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও যাচ্ছেন ৬৫৩ জন।’

রোববার (১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এই রুটে কেয়ারী সিন্দাবাদ ও এমভি বার আউলিয়া ছাড়াও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। তবে, যাত্রী সংকটের কারণে বার আউলিয়া ছাড়া অপর দুইটি জাহাজ সেন্টমার্টিন যায়নি।

সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির আহ্বায়ক এবং কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনা মেনে পর্যটকেরা আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। দৈনিক দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন।’

ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সপরিবারে সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন ওবাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দ্বীপে দুই দিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে যাচ্ছি।’ তাদের মত অনেকেই দুয়েক দিন থাকার প্রস্তুতি নিয়েই সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন বলে জানান।

এ দিকে, জেটিতে জাহাজে উঠার সিঁড়িতে পর্যটকদের হাতে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আছে কিনা তা তদারকি করতে দেখা যায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।

পর্যটকরা যাতে জাহাজে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন।

জমির উদ্দিন বলেন, ‘পর্যটকদের পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। জাহাজে যাতে কোনভাবে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর থাকবে পরিবেশ অধিদপ্তর।’

এ দিকে রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে পর্যটকবাহী জাহাজ পরিদর্শনে যান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। 

তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণ এবং জাহাজ চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের ঘাট নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা কার্যকর করতে এ সংক্রান্তে গঠিত কমিটি কাজ করবে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×