সেন্ট মার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে নানা উদ্যোগ সরকারের


30 November/Saintmartin.jpg

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ কক্সবাজার জেলার সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

Your Image

অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপস থেকে ট্র্যাভেল পাস সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাহাজে প্রবেশের সময় পর্যটকদের পলিথিন ও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে পর্যটকদের পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে।

পর্যটকদের হোটেলে অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সময় মানতে হবে- এমন বিধি-নিষেধ সম্পর্কে মৌখিকভাবে অবহিত করা হচ্ছে। এছাড়া, নুনিয়াছড়া ঘাঁটে পর্যটকদের জন্য নির্দেশনা সম্বলিত বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

সেন্ট মার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও, ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল জাহাজ ও পর্যটন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। ৩০ নভেম্বর-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের দশটি টিম জাহাজে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার মনিটর করছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মত ৬৪৪ জন পর্যটক ও ৩৭ জন স্থানীয়সহ সর্বমোট ৬৮১ জন যাত্রী বার আউলিয়া জাহাজে সেন্ট মার্টিন যাত্রা করেন। মোট ট্রাভেল পাস ইস্যু হয় ৭০৪টি। প্লাস্টিক/পলিথিন ব্যবহার রোধে পর্যটকদের কাছ থেকে পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের সুবিধার্থে পরিবেশ বান্ধব কাপড়ের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×