ভারতীয়দের বাধায় তিন স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ
- সিলেট প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:২০ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সিলেটের তিনটি স্টেশন দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে তিনটি স্টেশনেই দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। ভারতীয়দের বাধার মুখে শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশন দিয়েও বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রফতানি। অন্যদিকে, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
আমদানিকারক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথিত অভিযোগ ও ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রোববার (১ ডিসেম্বর) ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন কয়েক শত লোক। পরে সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।
এ দিকে, একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ভারতের করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে ওই স্টেশন দিয়েও আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক ও পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন জানান, ইসকন ইস্যুতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোন পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য পরিমাপ নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে, পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। আগে শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করতেন। কিন্তু, বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেওয়ায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, এমন অবস্থায় তামাবিল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ডাউকিতে পাথর ও চুনাপাথর বোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।’
এ দিকে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মেস্তাফিজুর রহমান জানান, স্থলবন্দরে অফিস কার্যক্রম চলছে। তবে, কোন আমাদানি ও রফতানি হচ্ছে না।
এ অচলাবস্থায় আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিনই ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে।